মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দায়ভার নিয়ে গড়ে ওঠা একটি সেবামূলক সংগঠন `প্রজন্মের দায়ভার’। ২০১১ সালের শেষের দিকে বেশ কয়েকজন নবীন লেখক, ব্লগার এবং সমমনা ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই সেবামূলক সংগঠনটি।
প্রজন্মের দায়ভার প্রদানকৃত হুইল চেয়ারে বসে আছেন মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী।
`প্রজন্মের দায়ভার’ বিজয় দিবস ২০১১ উপলক্ষ্যে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারকে সাবলম্বী করার পদক্ষেপ নিয়ে অনলাইনে উন্মুক্ত সাহায্যের আহ্বান জানায়। সে লক্ষ্যে সংগঠনটির ফেসবুক গ্রুপটিতে প্রকাশিত সহযোগীতার আহ্বানটি ছিল নিম্নরূপঃ
প্রজন্মের দায়ভার
৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাগনের কাছে আমাদের ঋনের শেষ নেই। সে ঋনের খুব ক্ষুদ্র অংশটুকু হলেও শোধ করার দুঃসাহস নিয়ে আমরা “প্রজন্মের দায়ভার” এর বন্ধুরা একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নিয়েছি। ৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধা, এই দেশকে যারা স্বাধীন করেছেন তাদের অনেকেই আজ অত… আরও দেখুন৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাগনের কাছে আমাদের ঋনের শেষ নেই। সে ঋনের খুব ক্ষুদ্র অংশটুকু হলেও শোধ করার দুঃসাহস নিয়ে আমরা “প্রজন্মের দায়ভার” এর বন্ধুরা একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নিয়েছি। ৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধা, এই দেশকে যারা স্বাধীন করেছেন তাদের অনেকেই আজ অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। আমরা প্রজন্মের দায়ভার থেকে উদ্যোগ নিয়েছি আগামী ১৬ ই ডিসেম্বরে দু’ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্বাবলম্বী করার । আমাদের এ উদ্যোগে হাত মিলিয়েছেন দেশী প্রবাসী অনেক হৃদয়বান বন্ধু। আমরা প্রত্যাশী যে প্রজন্মের দায়ভার এবং বিবেকবান বন্ধুরা মিলে আমাদের এই উদ্যোগ সফল করব.।
ঐ লক্ষ্যে প্রজন্মের দায়ভার দুঃস্থ, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বা তদ্রুপ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে।
চার বছর ধরে একটি হুইল চেয়ারের আশায় মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী শীষর্ক দৈনিক প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীর হুইল চেয়ারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি প্রজন্মের দায়ভারের নজরে আসে। রিপোর্টটি থেকে জানা যায় -
শরীরের সব শক্তি হারিয়ে দীর্ঘ চার বছর থেকে একটি চালা ঘরে পড়ে আছেন তিনি। পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় উঠে বসেন, আবার শুইয়ে দিলে বিছানায় পড়ে থাকেন। অর্থের অভাবে ঠিকমতো চিকিত্সাও হচ্ছে না। এমনই এক অবস্থায় জীবন কাটছে মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীর। চার বছর আগে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন।
………………………
বাবরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, চার বছর আগে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টিউবওয়েলের দিকে যাওয়ার সময় হঠাত্ করে তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর খুব ইচ্ছা একটু বাড়ির চারপাশ ঘুরে বেড়ানো। নিজে উঠতে পারে না, তাই সারাক্ষণ হাত দিয়ে ইশারা করে একটি হুইল চেয়ারের কথা বলেন। এই চেয়ার পেলে তিনি চালা ঘর থেকে বাইরে বেরুতে পারবেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাঁরা কিনে দিতে পারেননি।
প্রবাসি লেখক এবং ব্লগার তৌহিদ উল্লাহ শাকিল মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীর বিষয়টি প্রথমে গল্পকবিতা.কম এর আড্ডা পাতায় জানানোর মাধ্যমে প্রজন্ম দায়ভারের দৃষ্টিতে আনেন।
পরে প্রজন্ম দায়ভারের সিনিয়র কর্মী আগমাদ মুকুল, নীরব , নিরো প্রমুখ মিলে যিনি রিপোর্টটি করেছিলেন সেই সাংবাদিক আজাদ রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন।
প্রজন্মের দায়ভার যোগাযোগ এর মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয় এবং অসহায় ও দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেব `প্রজন্মের দায়ভার’ এর পক্ষ হতে গত ২৯শে ডিসেম্বর , ২০১১ তারিখে ঝিনাইদহের দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীকে একিট হুইল চেয়ার এবং ২০০০ টাকা ঢাকা হতে প্রেরন করা হয়।
দৈনিক প্রথম আলোর স্থানীয় রিপোর্টার আজাদ রহমান হুইল চেয়ার এবং টাকা গ্রহণ করে এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহযোগে প্রজন্মের দায়ভারের পক্ষে এগুলো মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীকে পৌঁছে দিয়েছেন।
আর্থিক প্রয়োজনের বিষয়টা আলোচনা না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীর প্রয়োজনীয় হুইল চেয়ারের সাথে শুভেচ্ছা স্বরূপ ২০০০ টাকাও পাঠানো হয়।
`প্রজন্মের দায়ভার’ তাদের লক্ষ্য নিয়ে দুঃস্থ অসহায় , দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সদা উদগ্রীব। শীঘ্রই এ সংগঠনটি আরও এক বা দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাবলম্বি করার উদ্যগ নিতে যাচ্ছে।
আগ্রহীগন প্রজন্মের দায়ভারকে অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারেন :
Name: Md. Nazmul Hosen, Rowsan Jahan Bhuiyan, A/C No: 107.101.278128, Dutch Bangla Bank Ltd , Kawran Bazar Branch,বাংলাদেশ।