আমরা জানি আমাদের প্রিয় শায়মা অনেক অনেক সাহসী। লিংকে ক্লিক করলে আপনারা স্বচক্ষে দেখে এবং পড়ে নিশ্চিত এবং আশ্বস্ত হতে পারবেন।
যা পড়ে আমি হা হা হে হে করে হেসেছিলাম তা নিচে দিলাম....
রাতের খানাপিনা সেরেই আমি সামনের লনে হাঁটতে শুরু করলাম ছোটদের দলের সাথে। কিন্তু বড়দের দল বড়ই ভীতু আর ভীতু, তারা বারান্দা থেকেই চেচাচ্ছিলো, রাতে ঝোঁপঝাড়ের দিকে যেন না যাই কারণ সাপ-টাপ বের হতে পারে। আমি অবশ্য এই কথা শোনার আগে পরম সাহসী ছিলাম কিন্তু ভীতুদের সাপের ভয় শোনানোর পরে আমি তাকিয়ে দেখি এক লং জ্যাম্পে আমি ওদের নেটের বারান্দায় ভেতরে ঢুকে গেছি। ঐ দিকে পিচ্চিদের দলবল দৌড়াচ্ছে আমার পিছে বাট আমি ফার্স্ট!
কিন্তু রাতে সাপের ভয় থেকে লং জ্যাম্প দিয়ে রক্ষা পেলেও সাত সকালে আরেক আপদ! আপদ মানে কি যে বিপদ আমি হয়ত ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সকালে ঘুম ঘুম চোখে বাথরুমের দরজার পরদা সরাতেই ওমা দরজায় এক কুমিরের বাচ্চা! এই কুমিরের বাচ্চা ড্যাব ড্যাব করে আমার দিকে আবার তাকিয়েও ছিলো। আমি তো তাকে দেখেই এমন এক চিৎকার দিয়েছি যে কোনো ইনসিডেন্ট এলার্মও ফেইল হবে মনে হয় আমার চিৎকারের আওয়াজের কাছে এবং পুরা আমাদের টিমের ১১জন সহ ওদের বাংলোর বাবুর্চি, দারোয়ান, ড্রাইভার, মালী, তাদের বউ বাচ্চাসহ সব ঘুম ভেঙ্গে হাজির হলো আমার রুমে।
আমাদের অঘটন-ঘটন-পটীয়সীর বই কয়েকখান বইমেলায় পাবনে। দয়া করে কয়েক কপি কিনবেন। প্রকাশকের জন্য আমি সত্যি চিন্তিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯