গায় ধুনুরি
৬
তুলো ঘষে আগুন জ্বেলে লেপ তোশকে বানাও উম
ও ধুনুরি তুমি বলো কার দেহে থাকে ঘুম।
ঘুমায় ঘুমায় মেঘমানুষে ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্নকোলে
ও ধুনুরি তোমার হাতে সব হারানোর কল্পধুম
লেপ তোশকে দেহ নাচে দেহের ভেতর নদী কেউ
সাত সমুদ্রে নৌকা চলে জলের উপর আকাশ ঢেউ
হে ধুনুরি ও ধুনুরি তোমার হাতে এতো যাদু
তুলো ঘষে আগুন জ্বেলে লেপ তোশকে বানাও উম।
১০/০৪/০১/২০১০
৭
কাঁচের বেড়ায় বানাইছি বাড়ি
তোমায় যেন দেখতে পারি
তোমায় যেন শুনতে পারি
বন্ধুরে।
তুমি চুল খুলে জানালায় দাঁড়াও
কাপড় ছড়াতে ছাদে যাও
আমি তোমায় দেখতে পারি
বন্ধুরে।
সমাজচোখে বন্দি আমি
আমার বাড়ি নিত্য কবর
তোমার পথে বাগান ফোটে
আমি সদা দেখতে পারি।
কাঁচের বেড়ায় বানাইছি বাড়ি
যেন তোমায় দেখতে পারি
তোমায় যেন শুনতে পারি
বন্ধুরে।
১৫/০১/২০১০
৮
আয়না খুলে যে রূপ রূপে আমি কেউ
অন্য দেহে অন্য নামে লুকিয়ে আছে আর এক কেউ
সেতো আমি নই আমি নই।
আয়না চেনে বাইরের গঠন
ভেতর বাড়ি সেতো চেনে না
মনের আয়নায় যে রূপ ধরি
সেই রূপ আয়না চেনে না
আয়না চেনে গাছগাছালি ভেতরবৃক্ষ জানে না।
আয়না খুলে যে রূপ রূপে আমি কেউ
অন্য দেহে অন্য নামে লুকিয়ে আছে আর এক কেউ
সেতো আমি নই আমি নই।
২৫/০৪/২০১০
৯
ঘুড়ি উড়ে সাত আসমানে হলুদ রঙে লালনীল
বন্ধুর লাটিম ঘুরে জোরে চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে
আহা শৈশব।
সন্ধ্যারাতে দুপুররোদে গলির মোড়ে খোলামাঠে
স্বপআড্ডা সিগারেট মুখে চোখ ঢেকে যায় ধুয়োর ফুলে
আহা শৈশব।
ফ্রক পড়া মেয়েরা আসে খুলে বেড়ায় চুলের সাগর
একটু ধরা একটু ছোঁয়া তাতেই জীবন পাল্টে সুদূর
আহা শৈশব।
হঠাৎ করে বাবার মরণ হঠাৎ করে বড় হওয়া
স্বপ্নআড্ডা ফেলে এসে কামাই রোজগার জীবনধান্ধা
আহা শৈশব।
২০/০৩/২০১০
১০
লাইব্রেরীর ছাদে উড়ে বট বৃক্ষের পাতা
তুমি ফেলো গেছো কবে তোমার ভূগোলের খাতা
লেখার ভিড়ে পড়ে আছে তোমার মাথার চুল
আর একটি গোলাপের পাতা
লাইব্রেরীর ছাদে উড়ে বট বৃক্ষের পাতা।
সকাল দশটায় আসা বিকেল পাঁচটায় যাওয়া
তোমার হলুদ জামা উড়ে উড়ে বসন্তের হাওয়া
আড়াল করে দেখা তোমার আঙুলফুলের লীলা
তোমার বাড়ির উঠোনে কাগজের নৌকা বাওয়া।
লাইব্রেরীর ছাদে উড়ে বট বৃক্ষের পাতা
তুমি ফেলো গেছো কবে তোমার ভূগোলের খাতা
লেখার ভিড়ে পড়ে আছে তোমার মাথার চুল
আর একটি গোলাপের পাতা
লাইব্রেরীর ছাদে উড়ে বট বৃক্ষের পাতা।
১৬/০৪/২০১০