অপেক্ষা করলে নাকি দেখা হয়। কারন বড় হওয়ার সাথে সাথে নাকি মহা গণিতের ফলাফল মিলতে থাকে। এই কথা কে বিশাস করে ছেলেটি অপেক্ষা করে। টিপ্ টিপ্ বৃষ্টি পড়তে থাকে, ঘড়ির কাটা চলতে থাকে ২.৫৫ থেকে ৩.০০ এর দিকে। সময় পেরিয়ে যায়, কিন্তু দেখা হয় না । তাকিয়ে থাকে ছেলেটি মনিপুরি পাড়া ২ নম্বর গেট এর দিকে। না এ তো সে নয়, এই যে এল বুঝি, না এ রখম তো না। না আর মনে হয় আসবে না শুধু শুধু আশা নিয়ে আসা। তবে কি এসবই ছিল নতুন কোন ...। ভাবে ছেলেটি।
কে ওইখানে দাঁড়িয়ে কাকে খোজে। দেখি তো এই তো সে এসেছে। সেই আগের মত চাহুনি, দাঁড়ানো, অস্থিরতা, ব্যস্ততা। হ্যাঁ, সে এসেছে। দেখি আমাকে চেনে নাকি, ছেলেটি ভাবে না কোন সপ্ন দেখছে না। বুকে সাহস আর ভালবাসা নিয়ে ছেলেটি রাস্তা পার হয়। ইচ্ছা করেই দেরি করে রাস্তার মাঝে। দেখে তাকে মেয়েটি চিন্তে পারে কি না। হ্যাঁ মেয়েটি তাকে চিন্তে পারে। বিরক্ত চোখে চেয়ে থাকে ছেলেটির দিকে, যেন বলছে তাড়াতাড়ি রাস্তা পার হও না কেন। রাস্তা পেড়িয়ে ছেলেটি যায় মেয়েটির কাছে, ভয়ে হয়তবা তার দিকে তাকেতে পারে না কিছু বলতে পারে না। একই অবস্থা মেয়েটির। তবুও মেয়েটি অভিযোগ করে কেন দেরি হল? তারপর তারা ঠিক করতে পারে না কোন দিকে যাবে। কোথাও কি বসবে না এখনই চলে যাবে......।