আমি একদিনও বাঁচবোনা, বাঁচতে পারবোনা স্বপ্ন ছাড়া
আমি মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবো কারো স্বপ্ন হয়ে
আমার স্বপ্নের মাঝে যেমন বেঁচে থাকে ভবানীপুরের মেয়েটি,
আমার স্বপ্নের মাঝে যেমন বেঁচে থাকো তুমি, বেঁচে থাকে জামিলেরা।
তোমার মতিহারে কি এখনো আঁধার? হবেনা প্রভাত?
আমার এখানে? ----প্রখর দুপুর আর বৈপরীত্যের ধুসর বিকেল।
হেলমন্দের এই পাথর সন্ধ্যায় তবুও খুজে খুজে নিয়ে আসি আমি
মতিহারের সবুজ ঘাসের সন্ধ্যাআদর আর মাধবীলতার ঘ্রাণ।
সে সবুজতা, সে ঘ্রাণ আমি পেয়ে থাকি তখনি কেবল---
হেঁটে হেঁটে সাথে সাথে পথ চলো যখন তুমি কিংবা
তোমারি মত কেউ---- দুরত্বকে করে অস্বীকার।
আমি আঁধারের শিকল খুলে ছুঁতে পারি রৌদ্রসকাল,
আমি নিয়তো করি অনুভব পবিত্র রাতের শীতল ছায়া----
যখন তুমি বা তোমারি মত আর কেউ বিভর ভালবাসায়
পাঠ করে কবিতা মতিহারের সবুজ ঘাসে হেঁটে হেঁটে,
করে মন্ত্রশপথ রিমুদের নামে, জামিলের নামে।
(সেদিনের হেলমেন্দ'র মরুভূমির মাঝে পাহাড় ঘেসে গড়ে উঠা মার্কিন মেরিন ক্যাম্পে বসে বুকের মাঝে বাজতে থাকা এই স্বপ্ন কথাগুলোই আজ আবার বাংলা বর্ণে লিখতে বসা----)