গত রাতে (২২/০৫/২০১৬, লাইলাতুল বরাত) মসজিদে নামাজ পড়ছি। নামাজের ফাঁকে এক দোস্ত এসে কানের সামনে ফিসফিস করে বলল “দোস্ত, দরকারি কথা আছে”।
“হুম্, বল” – বলি আমি।
"দোস্ত, পায়ের টাখনুর ওপরে প্যান্ট রাখতে হইবই"।
চোখ আমার টাখনুর দিকে চলে যায়, বলে কি? কোন ভুল হয়ে গেল? নাহ্, ঠিক আছে। আমার পায়জামা অন্ততঃ টাখনুর বিঘৎ খানেক ওপরে। নিশ্চিন্ত হয়ে বলি “হঠাৎ এই কথা?”
ও অবাক হয়ে বলল "ক্যান? তুই জানস না? আমেরিকায় এক গবেষণায় প্রমাণ হইছে টাখনুর নীচে কাপড় থাকলে পুরুষের শুক্রাণূ শুকাইয়া যায়?"
আমার চোখের ডায়া ইঞ্চি খানেক হয়ে যায় "বলিস কি? তাই নাকি?"
দোস্ত সারা শরীরে শিহরন কাঁপিয়ে বলে "চিন্তা কর দোস্ত, এই কথাডা আমাগো নবী ১৫০০ বছর আগে বইলা গেছে"।
আমি আর পারি না - "নবী আবার তোগো হইল ক্যামনে? নবী যেইডা ১৫০০ বছর আগে কইছে তোর সেইটা গত চল্লিশ বছর মানতে মুঞ্চায় নাই। যেই আমেরিকা কইছে - হ, টাখনুর ওপরে কাপড় রাখা ভালো, অমনি মানা শুরু করছস"। আবার কয় "আমাগো নবী ! আরে ব্যাডা, শবে-বরাতের রাইতে তো অন্ততঃ সত্যি কথা কইবি, তোরা নবীর কথা শুইনা চলবি? নাকি আমেরিকা গবেষণা কইরা অনুমতি দিলে নবীর কথা মানবি? নবী কি আমাগো মাননের লাইগা? নাকি আমেরিকার গবেষণা করণের লাইগা? এইডা আগে ঠিক কইরা 'ক' ।”