somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার একটি অতি সত্যি

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নিতান্তই সাধারণ একজন মানুষ। তবে সাধারণ এর মাঝে অসাধারণ কিছু করার কোনো ক্ষমতা লুকিয়ে আছে কি না তা এখন পর্যন্ত যানা যায়নি। মাঝে মাঝে ভাবি কোনো কিছু নিয়ে লেখা শুরু করব কিন্তু যখনই লিখতে বসি তখনই কোন আজানা জগতে যেন হাড়িয়ে যাই, লিখাটা আর হয়ে উঠে না। বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ—মনে উঠতেই কুমার বিশ্বজিৎ স্যার এর একটা গান এর কথা মনে পড়ে যায় “একদিন বাঙালী ছিলাম রে......” আসল কথা বলতে গেলে কোনো সময় নববর্ষ ঠিক মত পালন করার সুযোগ পাইনি। কিভাবে পালন করব? ওই যে প্রথমেই তো বললাম নিতান্তই সাধারণ একজন মানুষ। নিতান্ত সাধারণ একজন মানুষ বললে ভুল হবে নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে আমি। আমার কি ভুলে গেলে হবে আমার বাবা মা অনেক কষ্ট করে আমার জন্য। আমাকে নিয়ে তাদের অনেক আশা একদিন অনেক বড় হব আমি। আসলে আমার কথাগুলা আর কয়েকটা সাধারণ গল্পের সাথে মিলে যাচ্ছে কিন্তু মিলে গেলে কি করব? তার পরে ও যে আমাকে লিখতে হবে। কষ্টের কোনো কিছু লিখে পাঠককে কষ্ট দেবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই। পাঠক বললাম এই কারণে যে কেউ না কেউ তো আমার লেখাটা তা অবশ্যই পড়বে। যাই হোক পড়াশুনার ফাকে ফাকে সবাই অনেক মজা, ঘুরা-ফেরা, আড্ডা দেয়া ইত্যাদি করে থাকে কিন্তু আমি অন্য সকল সাধারণ গল্পের মতই সবার মত এত সুযোগ পাই না কারন আমার বাবা একজন হকার। হকারি করে রোজগার করে সংসার চালায় এবং সেখান থেকে কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে আমাকে দেয়।যাতে করে আমি ঠিক মত পরালেখা করতে পারি। কিন্তু অন্য সাধারণ গল্পের মত আমি এত মেধাবী ছাত্র ছিলাম না আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটা কলেজ থেকে হিঃ বিজ্ঞান এ অনার্স পড়ুয়া একজন সাধারণ ছাত্র। কিন্তু আমার বাবা মা এর কাছে এটাই সবচেয়ে বড় পড়ালেখার জায়গা। একটা মেছে থাকতাম ভাড়া প্রতি মাসে ১২০০ টাকা। টিউশুনি যে করব তা ও আমাকে দিয়ে কেউ পরাতে চায় না কারন আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়ুয়া একজন ছাত্র তাই। যাই হোক অনেক মিথ্যা বলে একটা টিউশুনি জোগাড় করলাম। সম্মানি ছিল ৩০০০ টাকা। এটা পাবার পর বাসা থেকে টাকা নেয়া বন্ধ করে দিলাম বাসায় বললাম আমি একটা টিউশুনি পাইছি আপনাদের আর আমাকে টাকা পাঠাতে হবে না আপনারা নিজেদের দেখাশুনা ঠিক মত করেন। আমার জন্য কোনো চিন্তা করবেন না আমি ভাল আছি। ৩০০০ টাকা দিয়ে পুরো মাস চলা খুব কঠিন। যেহেতু হিঃ বিজ্ঞান এর ছাত্র ছিলাম বাইরের টিচার এর কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতে হত তার সম্মানি আবার মাসে ৫০০ টাকা। তাই আমি ঠিক করলাম প্রতিদিন দুপুরে খাব আর পড়াতে গেলে যে নাস্তা দিত তাতে আমার আর রাতে খাওয়া দরকার পরত না এতে করে ৩০০০ টাকা দিয়ে আমার পুরা মাস চলে যেতো। মাঝে মধ্যে আবার কোনো বন্ধুদের বাসায় অনেকটা ইচ্ছা করে চলে যেতাম দুপুরের আগে আগে এটা অবশ্য মাসের শেষের দিকে বেশি হত। আমার বেশ কয়েকটা ভাল বন্ধু ছিল। ছিল বললে ভুল হবে এখনো আছে। ওদেরকে আমি জিবনেও ভুলতে পারব না আমার বন্ধুরা আমাকে অনেক উপকার করেছে। পহেলা বৈশাখ- একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে......... একদিন বাঙ্গালী হতে পারার গৌরব টা ও কম কিসের যদি কিনা সেটা আবার আমার মত হওয়া যায়? সচরাচর পহেলা বৈশাখে আমি সারাদিন মেছে থাকতাম কোথাও যেতাম না। হঠাত করে ২০১২ সালের পহেলা বৈশাখ এ আমার ২য় মা আমার মেছে এল আমার বন্ধুকে সঙ্গে করে। আমার ২য় মা এর কথা বলা হয় নি। আমার একটা ২য় মা আছে আমাদের কলেজের সামনে তার একটা ছোটো দোকান তার তার কোনো ছেলে মেয়ে নাই। আমি অবশ্য তার সাথে অনেক সুখদুঃখের কথা বলতাম তার কোনো ছেলে মেয়ে নাই তো তাই আমি তাকে মা বলে ডাকতাম। যাই হোক মা এসে আমাকে তার সাথে নিয়ে গেল তার বাসায় বাসায় গিয়ে ত আমি অবাক!!!!!!! আমার ২য় মা আমার জন্য তার কষ্টের কামানো টাকা দিয়ে একটা ভালো সুধু ভালো বললে অনেক ভুল হবে অনেক ভালো একটা পাঞ্জাবী কিনে এনেছে এবং আমার জন্য তার সাধ্যমত ভালো খাবার রান্না করেছে আমাকে নিয়ে খাবে বলে। তখন আমি এমন একটা মুহূর্তের মধ্যে ছিলাম যে অন্য কেউ এই রকম অবস্থায় না থাকলে বুঝতে পারবে না চোখের পানির কথা না হয় না ই বললাম এইটা পাঠক বুঝে নিবে। দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেলো। আমাকে অনেক কিছু করতে হবে। সদ্য মাত্র অনার্স শেষ করলাম এখন পর্যন্ত রেজাল্ট হয় নাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিক্ষাঙ্গনে অপ্রীতিকর ঘটনার মুল দায় কুৎসিত দলীয় লেজুরভিত্তিক রাজনীতির

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোমলমতিদের নিয়ে আমি কি বলেছিলাম?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।

ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

লিখেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত গভীর ষরযন্ত্র লিপ্ত। মুর্তি ভাঙ্গা,আগুন বিস্ফোরণ ও বোমা হামলা হতে পারে তাই দেশবাসীর সর্তক থাকুন।

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৪


পিনাকী ভট্টাচার্য ও বললেন ভারত ভেঙ্গে ১০ টুকরা হওয়ার পথে। যাদের বিন্দুমাত্র ভূ-রাজনৈতিক জ্ঞান আছে তারা এই একই কথা বলবে৷ আমি সেটা পিনাকীর আগেই বলেছিলাম। যাদের দিল মে হিন্দুস্তান তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আহা তোফাজ্জল

লিখেছেন সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪




মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।

যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×