somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চালু হোক ক্যাম্পাস টিভি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব টিভি চ্যানেল। খুবই ছোট পরিসরের টিভি চ্যানেল গুলো শুধুমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রচারিত হয়ে থাকে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এইসব টিভি চ্যানেল কে ক্যাম্পাস টিভি বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন ক্যাম্পাস টিভিতে শুধুম্ত্রা ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিষয় প্রচার করেনা বরং স্থানীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান স¤প্রচার করে । পৃথিবীর কোথাও কোথাও ক্যাম্পাস টিভিকে স্টুডেন্ট টিভি বলা হয়। ক্যাম্পাস টিভির কার্যক্রম ও সম্পাদকীয় নীতিমালা ছ্াত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্র করে , ছ্াত্র-ছাত্রীদের দ্বারা প্রণীত হয়। বৃটেনে গ্লাসগো ইউনিভাসির্টির স্টুডেন্ট টেলিভিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। আবার পৃথিবীর কোন কোন দেশে ক্যাম্পাস টিভির স¤প্রচার আওতা শুধুমাত্র ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ নয় । দেশের অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ এর অর্ন্তভূক্ত যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমটিভিইউ । এই ক্যাম্পাস টিভি শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের সাধারণ ইস্যু, দাবী-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রীয় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের ক্যাম্পাস টিভি নেই এমনকি ক্যাম্পাস রেডিও নেই। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বাংলদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব টিভি চ্যানেল স্থাপিত হতে পারে। এতে অবশ্য রাষ্ট্রিয় এবং বেসরকারী টেলিভিশন গুলোর মত ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের প্রয়োজন হবেনা, প্রয়োজন হবেনা লাইসেন্স নেয়ার । দরকার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ও উদ্যোগ। আমাদের দেশের জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক কর্মীরা মূলত:ছ্াত্রজীবনে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন । ক্যাম্পাস টিভি চালু হলে সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হবে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গণমাধ্যম কর্মকান্ড। তৈরী হবে সামাজিক দায়বদ্ধশীল গণমাধ্যম কর্মী। নিঃসন্দেহে এটি হবে সময়ের সাথে পথ চলার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে একটি বিষয়ে খুব গভীর মনযোগ দিতে হবে এই ক্যাম্পাস টিভির কর্মকান্ড কোন ভাবেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ব্যাহত না করে । বরং ক্যাম্পাস টিভিকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বা আন্দোলনের সহযোগী করে তুলতে হবে। প্রশ্ন হতেই পারে কি কি হবে ক্যাম্পাস টিভিতে?
সচরাচর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন, গান, নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক,
স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি অর্থাৎ সৃজনশীল ও মননশীল সুকুমার বৃত্তির প্রকাশ । তাছাড়াও থাকতে পারে বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার, বিভিন্ন গবেষণার উপস্থাপন। কিংবা দেশের বাইরে থেকে যদি গবেষক দল অথবা সাংস্কৃতিক দল আসে তাদের সাক্ষাতকার প্রচার করা ইত্যাদি। এতে করে একজন ছ্াত্রী-ছাত্রের তার নির্ধারিত বিষয়ের পড়াশুনার বাইরে অন্যান্য বিষয়ে সম্যখ জ্ঞান লাভ করবে। নির্ধারিত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণের আন্তহল প্রতিযোগিতা হতে পারে । তাছাড়াও থাকতে পারে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠান বিনিময়ের সুবিধা । যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্যাম্পাস টিভি নির্মিত অনুষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস টিভি তে দেখানো হবে। সর্বোপরি থাকবে নিজস্ব ক্যাম্পাসের সংবাদ পরিবেশনা। ক্যাম্পাসের যদি কোন সাংস্কৃতিক দল মনে করে তারা নিজেরা নাটক রচনা করে নিজেদের মধ্যে থেকে নির্দেশনা দিয়ে ডিজিটাল ফিল্ম অথবা নাটক নির্মান করবে তাও ক্যাম্পাস টিভিতে দেখানো যেতে পারে। কিংবা কিছু মঞ্চ নাটক যেমন, সক্রেটিসের জবানবন্দী, কোর্ট মার্শাল, গ্যলিলিও প্রভৃতি ধরণের দেখানো যেতে পারে । জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে যেমন, রাষ্ট্র কর্তৃক জাতীয় বাজেট ঘোষণার সময় ধরা যাক জাহাঙগীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের ক্যাম্পাস টিভি বাজেট নিয়ে অর্থনীতি বিভাগ বিভিন্ন বিশ্লেষনধর্মী অনুষ্ঠান স¤প্রচার করবে, ফলে বাজেট সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি ধারণা পেতে পারবে। শুধু বাজেটই নয় এরকম অন্যান্য জাতীয় ইস্যুতে বিভিন্ন বিভাগ ক্যাম্পাসের সবাইকে অবহিত রাখবে ।
ক্যাম্পাস টিভির পরিচালনার ভার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেখভাল থাকতে হবে। যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে তারা ক্যাম্পাস টিভির দেখভাল করতে পারেন কিংবা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ঠ কোন বিভাগ নেই সেখানে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে থাকতে পারে ছ্াত্র কল্যাণ পরামর্শ কেন্দ্র। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মতই ছ্ত্রা-ছাত্রীরা সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ের ব্যাবহারিক ক্লাস , এসাইনমেন্ট এবং হাতেকলমে কাজ শিখবে ক্যাম্পাস টিভিতে শিডিউল অনুযায়ী কাজ করে। তাছাড়াও আগ্রহী সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাজ করার সূযোগ রাখতে হবে। এতে করে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকেই অনুষ্ঠানের পরিচালক, প্রযোজক, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, শিল্পী এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার তৈরী হবে। ক্যাম্পাস টিভির যে নিজস্ব সংবাদ পরিবেশনা থাকবে সেখানে কাজ করতে পারে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার নিযুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা। প্রশ্ন আসতে পারে ক্যাম্পাস টিভির স¤প্রচার পরিধি নিয়ে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ক্যাম্পাস টিভি বা স্টুডেন্ট টেলিভিশন নির্মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে, সেই সব প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্মিত অনুষ্ঠান পাঠানো যেতে পারে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাস টিভি স্থাপিত হবে সেই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, শিক্ষকদের ডর্মিটরী, আবাসিক এলাকা এবং বিভিন্ন অফিস। প্রচারসূচী নির্ধারিত হবে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে। সপ্তাহে তিনদিন, চারদিন কিংবা সাত দিন হতে পারে কিন্তু তা হতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে। সে সময়ে ক্যাম্পাসে অন্যান্য টেলিভিশন নেটওর্য়াক বন্ধ রাখতে হবে যাতে করে সবাই ক্যাম্পাস টিভির অনুষ্ঠান দেখতে পারে অথবা দেখার আগ্রহ তৈরী হতে পারে। এমন একটি সময় বেছে নিতে হবে যাতে করে ছাত্র-ছাত্রী সহ অন্যান্য আবাসিক দর্শকরা ক্যাম্পাস টিভির অনুষ্ঠান দেখতে পারে । একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে আমাদর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওর্য়াক রয়েছে । সুতরাং স¤প্রচার অবকাঠামো নতুন করে স্থাপন করার প্রয়োজন হবেনা বরং বিদ্যমান অবকাঠামো দিয়েই স¤প্রচার করা যাবে। যেমন করছে স্থানীয় ক্যাবল অপারেটররা। তাছাড়াও বহিদৃশ্য ধারণ করার জন্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানকে শুটিং স্পট হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে তাছাড়াও ক্যাম্পাসের নিজস্ব কোন বিল্ডিংএ স্টুডিও স্থাপন করে তা’ ব্যাবহার করা যায়। অনুষ্ঠান নির্মানের জন্য প্রয়োজন হবে অনুদানের । দেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের রয়েছে নিজস্ব একাধিক ক্যামেরা, এডিট প্যানেল সহ পূর্ণ মিডিয়া সেন্টার । প্রথম দিকে যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিজস্ব মিডিয়া সেন্টার রয়েছে তারা চালু করতে পারে । তারপর ক্রমাগত ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা চালু হতে পারে । ক্যাম্পাস টিভি স্থাপিত হলে সেটি হবে যুগোপযোগী কাজ। তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরো সুসংহত ও দায়ীত্বশীল ।


পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব টিভি চ্যানেল। খুবই ছোট পরিসরের টিভি চ্যানেল গুলো শুধুমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রচারিত হয়ে থাকে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এইসব টিভি চ্যানেল কে ক্যাম্পাস টিভি বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন ক্যাম্পাস টিভিতে শুধুম্ত্রা ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিষয় প্রচার করেনা বরং স্থানীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান স¤প্রচার করে । পৃথিবীর কোথাও কোথাও ক্যাম্পাস টিভিকে স্টুডেন্ট টিভি বলা হয়। ক্যাম্পাস টিভির কার্যক্রম ও সম্পাদকীয় নীতিমালা ছ্াত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্র করে , ছ্াত্র-ছাত্রীদের দ্বারা প্রণীত হয়। বৃটেনে গ্লাসগো ইউনিভাসির্টির স্টুডেন্ট টেলিভিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। আবার পৃথিবীর কোন কোন দেশে ক্যাম্পাস টিভির স¤প্রচার আওতা শুধুমাত্র ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ নয় । দেশের অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ এর অর্ন্তভূক্ত যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমটিভিইউ । এই ক্যাম্পাস টিভি শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের সাধারণ ইস্যু, দাবী-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রীয় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের ক্যাম্পাস টিভি নেই এমনকি ক্যাম্পাস রেডিও নেই। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বাংলদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব টিভি চ্যানেল স্থাপিত হতে পারে। এতে অবশ্য রাষ্ট্রিয় এবং বেসরকারী টেলিভিশন গুলোর মত ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের প্রয়োজন হবেনা, প্রয়োজন হবেনা লাইসেন্স নেয়ার । দরকার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ও উদ্যোগ। আমাদের দেশের জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক কর্মীরা মূলত:ছ্াত্রজীবনে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন । ক্যাম্পাস টিভি চালু হলে সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হবে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গণমাধ্যম কর্মকান্ড। তৈরী হবে সামাজিক দায়বদ্ধশীল গণমাধ্যম কর্মী। নিঃসন্দেহে এটি হবে সময়ের সাথে পথ চলার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে একটি বিষয়ে খুব গভীর মনযোগ দিতে হবে এই ক্যাম্পাস টিভির কর্মকান্ড কোন ভাবেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ব্যাহত না করে । বরং ক্যাম্পাস টিভিকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বা আন্দোলনের সহযোগী করে তুলতে হবে। প্রশ্ন হতেই পারে কি কি হবে ক্যাম্পাস টিভিতে?
সচরাচর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন, গান, নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক,
স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি অর্থাৎ সৃজনশীল ও মননশীল সুকুমার বৃত্তির প্রকাশ । তাছাড়াও থাকতে পারে বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার, বিভিন্ন গবেষণার উপস্থাপন। কিংবা দেশের বাইরে থেকে যদি গবেষক দল অথবা সাংস্কৃতিক দল আসে তাদের সাক্ষাতকার প্রচার করা ইত্যাদি। এতে করে একজন ছ্াত্রী-ছাত্রের তার নির্ধারিত বিষয়ের পড়াশুনার বাইরে অন্যান্য বিষয়ে সম্যখ জ্ঞান লাভ করবে। নির্ধারিত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণের আন্তহল প্রতিযোগিতা হতে পারে । তাছাড়াও থাকতে পারে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠান বিনিময়ের সুবিধা । যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্যাম্পাস টিভি নির্মিত অনুষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস টিভি তে দেখানো হবে। সর্বোপরি থাকবে নিজস্ব ক্যাম্পাসের সংবাদ পরিবেশনা। ক্যাম্পাসের যদি কোন সাংস্কৃতিক দল মনে করে তারা নিজেরা নাটক রচনা করে নিজেদের মধ্যে থেকে নির্দেশনা দিয়ে ডিজিটাল ফিল্ম অথবা নাটক নির্মান করবে তাও ক্যাম্পাস টিভিতে দেখানো যেতে পারে। কিংবা কিছু মঞ্চ নাটক যেমন, সক্রেটিসের জবানবন্দী, কোর্ট মার্শাল, গ্যলিলিও প্রভৃতি ধরণের দেখানো যেতে পারে । জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে যেমন, রাষ্ট্র কর্তৃক জাতীয় বাজেট ঘোষণার সময় ধরা যাক জাহাঙগীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের ক্যাম্পাস টিভি বাজেট নিয়ে অর্থনীতি বিভাগ বিভিন্ন বিশ্লেষনধর্মী অনুষ্ঠান স¤প্রচার করবে, ফলে বাজেট সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি ধারণা পেতে পারবে। শুধু বাজেটই নয় এরকম অন্যান্য জাতীয় ইস্যুতে বিভিন্ন বিভাগ ক্যাম্পাসের সবাইকে অবহিত রাখবে ।
ক্যাম্পাস টিভির পরিচালনার ভার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ছেড়ে না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেখভাল থাকতে হবে। যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে তারা ক্যাম্পাস টিভির দেখভাল করতে পারেন কিংবা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ঠ কোন বিভাগ নেই সেখানে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে থাকতে পারে ছ্াত্র কল্যাণ পরামর্শ কেন্দ্র। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মতই ছ্ত্রা-ছাত্রীরা সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ের ব্যাবহারিক ক্লাস , এসাইনমেন্ট এবং হাতেকলমে কাজ শিখবে ক্যাম্পাস টিভিতে শিডিউল অনুযায়ী কাজ করে। তাছাড়াও আগ্রহী সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাজ করার সূযোগ রাখতে হবে। এতে করে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকেই অনুষ্ঠানের পরিচালক, প্রযোজক, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, শিল্পী এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার তৈরী হবে। ক্যাম্পাস টিভির যে নিজস্ব সংবাদ পরিবেশনা থাকবে সেখানে কাজ করতে পারে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার নিযুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা। প্রশ্ন আসতে পারে ক্যাম্পাস টিভির স¤প্রচার পরিধি নিয়ে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ক্যাম্পাস টিভি বা স্টুডেন্ট টেলিভিশন নির্মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে, সেই সব প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্মিত অনুষ্ঠান পাঠানো যেতে পারে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাস টিভি স্থাপিত হবে সেই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, শিক্ষকদের ডর্মিটরী, আবাসিক এলাকা এবং বিভিন্ন অফিস। প্রচারসূচী নির্ধারিত হবে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে। সপ্তাহে তিনদিন, চারদিন কিংবা সাত দিন হতে পারে কিন্তু তা হতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে। সে সময়ে ক্যাম্পাসে অন্যান্য টেলিভিশন নেটওর্য়াক বন্ধ রাখতে হবে যাতে করে সবাই ক্যাম্পাস টিভির অনুষ্ঠান দেখতে পারে অথবা দেখার আগ্রহ তৈরী হতে পারে। এমন একটি সময় বেছে নিতে হবে যাতে করে ছাত্র-ছাত্রী সহ অন্যান্য আবাসিক দর্শকরা ক্যাম্পাস টিভির অনুষ্ঠান দেখতে পারে । একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে আমাদর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওর্য়াক রয়েছে । সুতরাং স¤প্রচার অবকাঠামো নতুন করে স্থাপন করার প্রয়োজন হবেনা বরং বিদ্যমান অবকাঠামো দিয়েই স¤প্রচার করা যাবে। যেমন করছে স্থানীয় ক্যাবল অপারেটররা। তাছাড়াও বহিদৃশ্য ধারণ করার জন্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানকে শুটিং স্পট হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে তাছাড়াও ক্যাম্পাসের নিজস্ব কোন বিল্ডিংএ স্টুডিও স্থাপন করে তা’ ব্যাবহার করা যায়। অনুষ্ঠান নির্মানের জন্য প্রয়োজন হবে অনুদানের । দেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের রয়েছে নিজস্ব একাধিক ক্যামেরা, এডিট প্যানেল সহ পূর্ণ মিডিয়া সেন্টার । প্রথম দিকে যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিজস্ব মিডিয়া সেন্টার রয়েছে তারা চালু করতে পারে । তারপর ক্রমাগত ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা চালু হতে পারে । ক্যাম্পাস টিভি স্থাপিত হলে সেটি হবে যুগোপযোগী কাজ। তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরো সুসংহত ও দায়ীত্বশীল ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×