শ্রাবণ আহমেদ হিমু।
ছেড়েই দিলি হাত !
অমানিশার পথিক আমি, নিকষ আমার রাত।
বুঝিনা বৈভব, শুন্যতে শুরু হয় তাতেই শেষ,
লাভ-ক্ষতির হিসেব হয়না এটুকুই অবশেষ।
ভাল লাগে তোর সবকিছু আদি থেকে আজ,
তারপরও হলো কেন এই অপ্রত্যাশিত সাঁঝ।
ছেড়েই দিলি হাত !
দুর পথে হাটা সেই ঝরে পড়া তাঁরারই অপরাধ।
অভিশাপ, অভিসম্পাত, ভ্রুকুটি সবই পায়,
ভূলের পুনঃরাবৃত্তিতে ভূল আমারই দ্বায়।
প্রতিদিন ভোর ঠিকই হয় আগেরই মতোন
হয়তো হয়না সে আর পুরান যতন্ ।
ছেড়েই দিলি হাত !
থাকুকই না নাহয় বিশ্বস্ত্ব নিবৃত এ আঘাত।
ঢলে পড়া আলোতে মিলেনা ছায়ার সাথে আমার,
পুরোই একাকী করে ছায়া কেড়ে নেয় আঁধার।
আপন আপনার ছিল যা মনে মস্ত্ব দীর্ঘশ্বাস -
অবসর পেয়েছি পায়নি বিশ্বাসের অবকাশ।
ছেড়েই দিলি হাত !
কেউ নই আমি কেনইবা আর সাথ্ -
ঝিমিয়ে পড়া সেই বিকেলের গল্প
ভূলে গিয়েছি তার কিছু বাকি তার অল্প।
জোড়াতালি’র তৈরি আপন মনের স্বপ্ন,
ছাঁদহীন ঘর তারপরও খোলা আকাশ অপ্রসন্ন।
ছেড়েই দিলি হাত !
রয়ে গেল সে স্পর্শ শিহরণে হৃদয়ের রক্তপাত।
যতই করি নিবৃত নিজেকে বলবনা আর কিছু -
লাগাম ছিড়ে ইচ্ছেগুলো ছুটে চলে তারই পিছু।
অস্পর্শী স্পর্শ তার দেওয়া সবই জীবনের চেয়ে দামী -
কালের যাত্রা মধ্যপথে জানিয়ে দিল কেউতো নই আর আমি।