একটা পোস্ট পড়লাম। পড়ে সেখানে মন্তব্য করার চেয়ে ভিন্ন পোস্টে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে ইচ্ছে হলো। তাই এই পোস্ট।
সংশ্লিষ্ট পোস্টঃ সিগারেট! কেন আর লিঙ্গ বৈষম্য? -কালোজাম
আমার আলোচনাঃ ধূমপান এমন একটা নেশা যার কোন উপকারিতা নেই। ধূমপানের স্বপক্ষে বলার কিছু নেই। তবু পৃথিবীব্যপী মানুষ যুগ যুগ ধরে আরো অনেক নেশার মতো ধুমপানও করে আসছে। বলাই বাহুল্য নিকোটিন এমন একটি নেশাদ্রব্য যার ক্ষতির মাত্রা লিঙ্গের বাছ বিচার করে না; করার কথাও না। নারী-পুরুষ উভয়েই এটাতে আসক্ত হতে পারে এবং হয়ও।
আমাদের রক্ষনশীল সামাজিক বাস্তবতার কারনে নারীর তুলনায় পুরুষের ধূমপায়ী হওয়ার সুযোগ বেশী; ফলে পুরুষের মধ্যে ধূমপায়ী হওয়ার প্রবণতাও তৈরী হয় বেশী। এদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও পাহাড়ী/ আদিবাসী অধ্যূষিত এলাকাগুলোতে প্রকাশ্যেই নারীরা ধূমপান করে থাকে। এজন্যে তাদেরকে কোন প্রকার সামাজিক/ পারিবারিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় না। এই জায়গাটিতে তারা পাশ্চাত্যের সভ্য সমাজগুলোর মতোই।
নারীর কি অধিকার নেই ধূমপানের? অবশ্যই আছে। তার যেহেতু ইন্দ্রীয় রয়েছে তাই তার ধূমপানের অধিকারও রয়েছে। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও বৈষম্যপীড়িত সমাজ ব্যবস্থায় অন্য অনেক অধিকারের সাথে নারী বঞ্চিত হচ্ছে ধূমপানের অধিকার থেকেও। আমি ধূমপানের পক্ষে বলছি না। আমি বলছি মানুষের অধিকারের কথা।
একজন পুরুষ দিব্যি রাস্তা দিয়ে সিগারেট ফুকতে ফুকতে চলতে পারলে, একজন নারী কেন পারবে না? কেন তাকে পুরুষের (এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু নারীর) বক্র চাহনীর শিকার হতে হয়? বিয়ের বেলায় একজন পুরুষের ধূমপানে আসক্তি যদি অযোগ্যতা না হয় তাহলে নারীর বেলায় কেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে?
নারী ধূমপায়ীকে বিয়ে করা যাবে না? বিয়ের আগে খোজ খবর নিতে হবে মেয়েটির ধূমপানের অভ্যাস আছে কি না?
খুবই বিস্মিত ও হতাশ হই একুশ শতকের শিক্ষিত বাঙ্গালী পুরুষের মানষিকতা দেখে।
বি.দ্রঃ ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে। এটা তীব্রভাবে পরিত্যাজ্য। (তবে পুরূষ ও নারী সকলের জন্যেই কথাটি প্রযোজ্য)