কি ভাবছেন?
এটাই বাংলাদেশ! প্রতিটা দিন এদেশে মানবাধিকার গুমরে গুমরে কাঁদে! আর আমরা এড়িয়ে চলে যাই!
অন্যদিকে উদ্দেশ্যমূলক রাষ্ট্র ও সেনা বিরোধী প্রচারনার কারনে তনুদের ধর্ষণের চাহিদা আমাদের কাছে অনেক!
হ্যাঁ চাহিদাই বটে। তা না হলে সেনা বিরোধী সেন্টিমেন্টের কারনেই ধর্ষণের দাম বাড়বে কেন? মিডিয়া আছে, রমরমে বক্তব্য দেয়ার বুদ্ধিবেস্যা আছে! আবেগী বাঙ্গালীর আর কি চাই?
একটাবারও ভাবলাম না, যে শাহবাগীরা আজ তনু ইস্যুতে পুরো সেনা বাহিনীকে ধর্ষক বাহিনী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেই শাহবাগেরই আরেক নেত্রী কৃষ্ণকলির ঘরে তার স্বামীর লালসায় ধর্ষিতা হয়ে নিহত হয়েছে জান্নাতুল নামের ১৭ বছর বয়সী কিশোরী গৃহকর্মী! ধর্ষক শাহাবাগীকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় চলছে দেন দরবার!
আমাদের জাতীয় চরিত্রের জন্যই বারবার নির্লজ্জ শাহাবাগী চরিত্রগুলোই নেতার আসনে বসে।
কারন, তারা নিজেরা ধর্ষক হতে পারে। তারাই ধর্ষণ উপলক্ষে কনসার্ট করে আনন্দ বিলাতে পারে! এদেশেই ধর্ষণের সাম্রাজ্য প্রতীষ্ঠার লক্ষ্যে হিজাবকে নিষিদ্ধের দাবি করতে পারে। আবার দিন শেষে তারাই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অপবাদ দিয়ে আসর জমাতে পারে! আমাদের কারনেই। বিবেকহীন আবেগের কারনেই!
প্রতিদিন এদেশে শাহবাগী আদর্শের দ্বারা যে পরিমান বোন ধর্ষিত হচ্ছেন তাদের নিয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা নাই। কারো মনে একটাবারও প্রশ্ন ওঠে না, এত কিছুর পরেও শাহাবাগীরা হিজাবের বিরুদ্ধে নোংরা যুক্তি দেয় কোন উদ্দেশ্যে?
আমরা ভাবি না, আমাদের সীমাছাড়া আবেগ কত বাবাকে গুমরে মারছে। আমাদের অবিবেচক হুজুগ কতবার আমাদের জাতিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এবার না হয় শক্ত হয়ে শাহবাগীদের প্রশ্ন করুন!!
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরির বিরুদ্ধে আন্দোলন কোথায়?
নিজেদের নেত্রী কৃষ্ণকলির ঘরে ধর্ষিতা নিহত ১৭ বছরের জান্নাতুলের ধর্ষন কোন কারনে বৈধ হল?
জিজ্ঞেস করুন, প্রতিদিন বাংলাদেশে কত কোটি টাকা লুট করছে সরকার ও তার সাঙ্গরা?
প্রশ্ন করুন, নিয়মিত ঘুষ-দূর্নীতির মাধ্যমে লুটের এত টাকা!!! অথচ একজন বাবা তার মেয়ের চাকরির বিনিময়ে নিজের কিডনি বিক্রি করতে চান কেন? কোথায় সরকারী সুবিধাধারী শাহবাগী নাস্তিকের দল?
চিন্তা করবেন না। আপনার মাজা ভাঙ্গা! কোন সমস্যা নাই! সেই বাবাই শাহবাগীদের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। হয়তো বিবেক মরে গেছে বলে প্রশ্ন গুলো খুজে পাচ্ছেন না কেউ।
এই বাবা কি লিখেছেন পড়ুন! একেবারে বিশুদ্ধ কিডনি তার! তিনি পরিশ্রম করেন। ডায়াবেটিকসও নেই তার! তিনি এমনকি ধুমপানও করেননা। এই দারিদ্রের মাঝে দাঁড়িয়েও তিনি আল্লাহর বানী ভুলে যাননি! কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি যদি কোন রোগীকে বাঁচাতে হলেও কিডনিটা কিনে নেন!!
তিনি কোথায় পাবেন হৃদয়বান ব্যাক্তিদের? দেশ আজ মহামারীর প্রকপে! হৃদয়বানরা ছুটে যেতেন তার দুয়ারে! আজ তারা দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী, ধর্ষকের তকমা নিয়ে জেলে কিংবা পলাতক হয়ে আছেন! আর্থিক স্বচ্ছলতা হারিয়ে বেকার বসে আছেন ঘরে ঘরে! শাহবাগীদের উন্মত্ততায় ভালো মানুষ কোথায় পাবেন?
আজ ঘুষ ছাড়া চাকরি নাই বলে তিনি তার সুস্থ বিশুদ্ধ কিডনির বিনিময় চান! শুধু একটা চাকরি!
শাহাবাগীরা ঘুষের বিরুদ্ধে সমাবেশ করে না কেন??
প্রশ্ন তুলুন!
অসংখ্য প্রশ্ন তুলে দেশদ্রোহী ভারতীয় চরদের মুখোশ উন্মুক্ত করে দিন। তা না হলে এইসব পাপিষ্ঠের হাতে অসহায় জান্নাতুলের মত বাংলাদেশটাও বারবার ধর্ষিতা হতে থাকবে।
আপনিও আপনার চোখের সামনে দেখতে পারেন, প্রতিবার দেশকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে শাহবাগে আসর বসেছে। ধর্ষণ শেষে তার উদযাপন হচ্ছে নাচ গানের কনসার্টের মাধ্যমে। আর আপনার সামনে দিয়ে নতুন প্রজন্ম একেকটা কনসার্ট মূখী ধর্ষন মানসিকতায় বেড়ে উঠছে!
উঠুন। বাঁচান নিজের দেশকে! ভারতীয় চরদের নিবৃত করুন। নচেৎ মাতৃভূমি ভারতের হাতে ধর্ষিত হতেই থাকবে। প্লিজ পলাশীর প্রান্তরে যে নিরবতা পালন করেছিলেন। আজও সেটাই করবেন না! তাহলে ২০০ বছর কেন? কেয়ামত পর্যন্ত আপনি অখন্ড ভারতীয় উগ্র সাম্রাজ্যের পদাবনত হয়ে থাকতে বাধ্য হবে! আবেগ ঝেড়ে কাশ্মিরের দিকে একটা বার তাকান!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫