somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কমিউনিষ্ট জোকস্ (না পড়লে মিস্) পর্ব-৪

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমিউনিস্ট জোকস্ (না পড়লে মিস) পর্ব-১

কমিউনিস্ট জোকস্ (না পড়লে মিস) পর্ব-২

কমিউনিস্ট জোকস্ (না পড়লে মিস) পর্ব-৩

জোকস-১

কথায় বলে, এইডস হল বিংশ শতাব্দীর ব্যাধি । কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জাপানের কাছে তা কোনও হুমকিই নয় । কারণ জাপান বাস করে একবিংশ শতাব্দীতে । আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ? – ঊনবিংশ শতাব্দীতে ।

জোকস-২

কমিউনিজমের মূল কথা হল, এক তাত্ত্বিক বোঝাচ্ছেন অন্য জনকে,
প্রতিবেশীর সঙ্গে নিজেরটা ভাগ করে নেওয়া ।
না মোটেই না । আরেকজন প্রতিবাদ করেন, কমিউনিজমের মূল কথা হল, প্রতিবেশীরটা নিজের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া ।

জোকস-৩

রুশ ও পোলিশ একসঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে কুড়িয়ে পেল একশ রুবল ।
প্রস্তাব দিল রুশ :
এসো, টাকাটা আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে ভাগ করে নিই ।
উহুঁ একেবারে না । ভাই-ভাইয়ের হিসাব বাদ দাও । তার চেয়ে এসো, টাকাটা অর্ধেক অর্ধেক করে নিই ।

জোকস-৪

জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টের একশ জন প্রেমিকা । তাদের মধ্যে একজন এইডস্ এ আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক কে, প্রেসিডেন্ট তা জানেন না ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের একশ জন দেহরক্ষীর মধ্যে একজন কেজিবির এজেন্ট । কিন্তু ঠিক কে, তা তিনি জানেন না ।
সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের একশ জন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মধ্যে একজনের কাছে সঠিক অর্থনৈতিক কর্মসূচীটি আছে । কিন্তু ঠিক কার কাছে, তা তিনি জানেন না ।

জোকস-৫

এক পোলিশ পুরনো এক প্রদীপ ঘষেমেজে পরিষ্কার করছিল । হঠাৎ আলাদিনের জিনের আবির্ভাব । জিন বলল, তোমার তিনটে ইচ্ছে আমি পূরন করে দিতে পারি ।
বেশ আমার প্রথম ইচ্ছে, চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আমার দ্বিতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আর আমার তৃতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে ।
জিন অবাক হয়ে জানতে চাইল এই অদ্ভুত ইচ্ছের কারণ ।
খুব সোজা । তাহলে চীনের সৈন্যবাহিনীকে ছ’বার রাশিয়ার উপর দিয়ে যেতে হবে ।

জোকস-৬

এক ভুক্তভোগী কমিউনিজমের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করছেন :
যদি তিরিশ বছর বয়সের আগে তুমি কমিউনিস্ট না হও, তাহলে বুঝতে হবে, তোমার হৃদয় বলে কোন পদার্থ নেই । যদি তুমি তিরিশের পরেও কমিউনিস্ট থেকে যাও তাহলে বুঝতে হবে, তোমার মস্তিষ্ক বলে কোনও পদার্থ নেই !

জোকস-৭

লেনিনের আমলে সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব তখন ছিলেন ফেলিক্স দ্‌জেরজিনস্কি । কেজিবি নামে সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের আদিরূপ একেভিডি-র উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি । আর নাদিয়া ক্রুপস্কায়া ছিলেন লেনিনের স্ত্রী ।
এক শিল্পী ছবি এঁকেছেন । ছবির নাম ‘পোল্যান্ডে লেনিন’ । ছবিতে দেখা যাচ্ছে শুধু দুজোড়া পা । এক নিরেট দর্শক প্রশ্ন করলেন, পাগুলো কার ?
-- কেন, ফেলিক্স দ্‌জেরজিনস্কি এবং নাদিয়া ক্রুপস্কায়ার । - শিল্পীর উত্তর ।
-- কিন্তু ছবির নাম তো ‘পোল্যান্ডে লেনিন’ । তা লেনিন কোথায় ?
-- আঃ এটাও বোঝেন না ? লেনিন তো পোল্যান্ডে !

জোকস-৮

পুশকিনের মূর্তি গড়া হবে । জমা পড়েছে কয়েকটি প্রজেক্ট । সেগুলো খতিয়ে দেখছেন স্তালিন ।
এক নম্বর প্রজেক্ট : পুশকিন বায়রনের লেখা বই পড়ছেন ।
-- নাঃ চলবে না, স্তালিনের মন্তব্য, কারণ ঐতিহাসিকভাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু এর মধ্যে কোথাও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই ।
দু নম্বর প্রজেক্ট : পুশকিন স্তালিনের লেখা বই পড়ছেন ।
স্তালিন বললেন, রাজনৈতিক দিক দিয়ে এটা অবশ্যই অনুমোদনযোগ্য, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে ভিত্তিহীন । পুশকিনের জীবদ্দশায় আমি কোন বই লিখিনি । অতএব রাজনৈতিকভাবে অনুমোদনযোগ্য এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে বিশ্বাসযোগ্য তিন নম্বর প্রজেক্টটি ছাড়পত্র পেল । মূর্তির বিষয়:
স্তালিন পুশকিনের লেখা বই পড়ছেন ।
মূর্তি নির্মিত হল । উদ্বোধনের পর দেখা গেল, স্তালিন পড়ছেন স্তালিনের লেখা বই ।

জোকস-৯

নতুন গায়ক স্টেজে গান গাইতে ওঠার আগেই নিশ্চিত ছিল, নিজের সাফল্য সম্পর্কে । সে ভেবে রেখেছিল : প্রথম গানের পর যদি হাততালি না পড়ে তাহলে লেনিনের উপর গান গাইব । তারপরেও যদি হাততালি না দেয় শ্রোতারা, তাহলে গাইব স্তালিনের উপর গান । দেখব, তখন হাততালি না দিয়ে তারা যায় কোথায়....
কোথায় আবার ? কেজিবির দপ্তরে !

জোকস-১০

টিওডর ড্রাইজার ছিলেন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী আমেরিকান লেখক । জিনিয়াস, টাইটান, ফিন্যান্সিস্ট, আমেরিকা ট্রাজেডি ইত্যাদি বেশ কয়েকটি বই তিনি লিখেছিলেন । সোভিয়েত ইউনিয়নে তাঁর প্রায় সব বই-ই অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল । তাঁর সম্পর্কে রসিকতা করে বলা হয় :
প্রশ্ন : টিওডর ড্রাইজার কী করে কমিউনিস্ট হলেন ?
উত্তর : তিনি প্রথমে হতে চেয়েছিলেন জিনিয়াস, কিন্তু তত মগজ ছিল না তাঁর মাথায় ; পরে তিনি হতে চাইলেন টাইটান, কিন্তু তাঁর শরীরে ছিল না তত শক্তি, ভাবলেন ফিন্যান্সিস্ট হবেন, কিন্তু টাকায় কুলোল না ; পরে তাঁর জীবনে ঘটল আমেরিকান ট্রাজেডি , ফলে তিনি হয়ে গেলেন কমিউনিস্ট ।

জোকস-১১

ইতিহাস প্রসিদ্ধ আলেকজান্ডার, জুলিয়াস সিজার এবং নেপোলিয়ন মস্কোর রেড স্কোয়ারে দেখছেন সোভিয়েত সশস্ত্র বাহিনীর শোভাযাত্রা ।
আলেকজান্ডার বললেন :
-- এরকম সোভিয়েত ট্যাঙ্ক আমার থাকলে কেউ দাঁড়াতেই পারত না গ্রিক বাহিনীর সামনে ।
জুলিয়াস সিজার বললেন :
--আমার কাছে সোভিয়েত বোমারু বিমান থাকলে গোটা দুনিয়া জয় করে নিতাম আমি ।
-- আর আমার কাছে যদি একটি পত্রিকা থাকত প্রাভদার মতো , বললেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, তাহলে ওয়াটারলুতে আমার পরাজয়ের কথা বিশ্ব আজও জানতে পারত না ।

জোকস-১২

রাজনৈতিক প্রোপাগন্ডার সমাবেশ । আবেগমথিত কন্ঠে বক্তা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন :
-- কমরেড, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা নিউট্রন বোমা মেরে আমাদের উড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে । কমরেড, আপনারা জানেন, নিউট্রন বোমা বিস্ফোরিত হলে সব মানুষ মারা যাবে, কিন্তু আস্ত থাকবে ঘরবাড়ি, দোকানপাট - বাকি সব কিছুই । তাই, কমরেড....
শ্রোতাদের মধ্য থেকে একজন উঠে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করলেন :
-- কিন্তু কমরেড আপনি কি বলতে পারেন, আমাদের দেশে ঠিক কোন ধরনের বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে, যার ফলে আমরা সবাই আস্ত আছি, অথচ দোকানপাট থেকে সব কিছু উধাও ?

জোকস-১৩

বুড়ো বলশেভিক বলছেন সমবয়সী প্রতিবেশীকে :
কমিউনিজম পর্যন্ত আমরা বেঁচে থাকতে পারব না । কিন্তু দুঃখ হয় ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনিদের জন্য !

জোকস-১৪

কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নেওয়া হচ্ছে । তার জন্য চলছে ইন্টারভিউ ।
এমনই এক সাক্ষাৎকারের বিবরন:
প্রশ্ন : তোমার মা কে ?
উত্তর : সোভিয়েত ইউনিয়ন ।
প্রশ্ন : তোমার বাবা কে ?
উত্তর : আমাদের মহান নেতা কমরেড স্তালিন ।
প্রশ্ন : তোমার সবচেয়ে কাঙ্খিত স্বপ্ন কী ?
উত্তর : অচিরেই পুরোপুরি অনাথ হয়ে যাওয়া ।

জোকস-১৫

দুই কয়েদির কথোপকথন :
-- আপনাকে ক’বছরের জেল দিয়েছে ?
-- কুড়ি বছরের ।
-- কারন কী ?
-- এমনি । কোনও কারন ছাড়াই ।
-- মিথ্যে কথা । কারণ ছাড়া হলে তো দশ বছরের জেল হয় ।

জোকস-১৬

সোভিয়েত দেশ ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে বসবাস করছিলেন এক ভদ্রলোক । সেখানে জমজমাট ব্যবসা করে একদিন রীতিমতো কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি । বয়সও হয়েছিল । দুঃখের বিষয়, আমেরিকা যাওয়ার সময় তাঁর পরিবারের সকলকে নিয়ে যেতে পারেননি । বিশষ করে ছোট নাতির জন্য তাঁর মন কেমন করত । ইতিমধ্যে ছোট শিশুটি যুবক হয়েছে । বৃদ্ধ কোটিপতি চিঠি লিখলেন নাতিকে -- যেভাবে পারো এখানে চলে এসো । এখানে আমাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই । শরীরও বেশ খারাপ । তাছাড়া কোটি কোটি ডলারের এত বড় সম্পত্তির ভার তো তোমাকেই নিতে হবে, ইত্যাদি ।
যথারীতি কেজিবির হাতে পড়ল সেই চিঠি । নাতির ডাক পড়ল কেজিবি অফিসে । বাঘা অফিসাররা নাতিকে বললেন, ‘আপনার দাদুকে চিঠি লিখে বলে দিন ব্যবসাপত্র গুটিয়ে টাকা-পয়সা সব এখানকার ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করে দিতে । তারপর তিনি এখানেই চলে আসুন । তাঁর যাতে এখানে কোনও অসুবিধে না হয় তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করবে ।’
নাতি উত্তর দিলেন, আপনারা, মশাই গোড়াতেই ভুল করছেন । দাদুর শরীর খারাপ হয়েছে ঠিকই । কিন্তু মাথাটা খারাপ হয় নি !

জোকস-১৭

-- লেনিন পরতেন সাধারন জুতো, কিন্তু স্তালিন পরেন গামবুট । কেন ?
-- কারণ লেনিনের সময় দেশে নোংরামির পরিনাণ ছিল পায়ের পাতা পর্যন্ত । স্তালিনের সময় তা হাঁটু ছুঁই ছুঁই করছে !

জোকস-১৮

হুবহু স্তালিনের মতো দেখতে একজনকে গ্রেপ্তার করে স্তালিনের কাছে নিয়ে এল কেজিবির লোকেরা । জানতে চাইল কী করা উচিত একে নিয়ে ?
-- গুলি করে মেরে ফেল, স্তালিন বললেন ।
-- না কি, গোঁফ ছেঁটে দেব কমরেড ?
-- হ্যাঁ, তাও করা যেতে পারে -- নির্বিকার স্তালিনের উত্তর ।

জোকস-১৯

একা রাশিয়ান গেছেন ইতালি ভ্রমনে । সেখানে কোদাল কাঁধে এক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল । রুশ পর্যটক কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন,
-- হপ্তায় ক’দিনের কাজ পাও তুমি ?
-- মাত্র দু’দিনের, সিনর !
-- খুবই খারাপ । আচ্ছা কমিউনিস্টরা যদি ইতালির ক্ষমতায় আসে, তাহলে সপ্তাহে ক’দিন কাজ পাবে বলে আশা কর ?
-- ওহ সিনর, তাহলে তো আমাকে সাতদিনই কাজ করতে হবে -- দিবারাত্র ।
-- বাঃ তা কী কাজ কর তুমি ?
-- কবর খোঁড়াই আমার কাজ সিনর !

জোকস-২০

শ্রমদিবসের প্যারেডে হাজিরা দেওয়ার জন্য রাবিনোভিচকে ডাকা হয়েছে কারখানার পার্টি শাখায় । তাঁকে বলা হল :
-- এই কারখানার সবচেয়ে প্রবীণ শ্রমিক হিসেবে আপনাকে কমরেড চেরনেনকোর প্রতিকৃতি বহনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ।
প্রতিবাদ জানিয়ে রাবিনোভিচ বললেন :
-- না কমরেড আমাকে এই দায়িত্ব দেবেন না । লেনিনের প্রতিকৃতি নিয়ে প্যারেডে গিয়েছি , লেনিন মারা গেছেন । গিয়েছি স্তালিনের ছবি নিয়ে, মারা গেছেন স্তালিনও । ক্রুশ্চেভের প্রতিকৃতি নিয়ে গিয়েছি, তিনিও গেছেন পরলোক । ব্রেঝনেভের ছবি নিয়েছি, তিনিও বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে । আর এই তো ক’দিন আগে বহন করেছি আন্দ্রোপভের প্রতিকৃতি । তিনিও আজ আর এই ধরাধামে নেই ।
পাশ থেকে এক শ্রমিক প্রস্তাব দিলেন :
-- শুধু চেরনেনকোর প্রতিকৃতিই নয়, রাবিনোভিচকে কমিউনিজমের লাল পতাকাও বইতে দেওয়া হোক ।

জোকস-২১

কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক নেতা শ্রমিকদের ক্লাস নিচ্ছেন :
-- আপনারা নিশ্চই এতদিনে জেনে গেছেন যে কমিউনিজম ইতিমধ্যে দিগন্তে পৌছে গেছে ।
-- দিগন্ত মানে কী, কমরেড ?
-- দিগন্ত হল একটা কাল্পনিক রেখা, যেখানে ভূমি মিশে যায় আকাশের সঙ্গে । আর দিগন্তের দিকে যত এগোনো যাবে, তত বেশি তা দূরে সরে যেতে থাকে ।

জোকস-২২

জাদুঘরে স্তালিনের মায়ের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে একটি লোক খুব বিমর্ষ ভাবে মাথা ঝাঁকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল :
-- কী সুন্দরী মহিলা । কিন্তু কেন যে সময়মতো অ্যাবরশান করাননি !

জোকস-২৩

মানুষের সুখের রকমফের :
কাজের শেষে ঘরে ফির এল জার্মান । বউ তাকে খেতে দিল ঝলসানো মাংস আর বিয়ার । ডিনার করে সে শুয়ে পড়ল বউকে জড়িয়ে ধরে । তারা সুখী । কাজকর্ম সেরে ইংরেজ ফিরে এল সন্ধ্যাবেলায় । স্ত্রীর সঙ্গে ডিনার করে কুকুরকে নিয়ে একটু বেড়াতে বেরোল সে । তারপর ফিরে এসে বউকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল সে । তারা সুখী । হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বাড়ি ফিরল ফরাসি । বউকে ঘরে পেল না । এক বোতল শ্যাম্পেন নিয়ে সে চলল প্রেমিকার কাছে । তারা সুখী ।
কাজের শেষে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মিটিঙে বাধ্যতামূলক হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরল রুশ দম্পতি -- ইভানভ আর ইভানভা । বেশ একচোট ঝগড়া হল দু’জনের মধ্যে । ডিনারের প্রশ্নই ওঠে না । কারণ ঘরে খাওয়ার মতো কিছু নেই । তাই পরস্পরের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল তারা । মাঝরাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ ।
-- কে ?
-- আমরা কেজিবি থেকে আসছি । দরজা খুলুন ।
দরজা খুলতে জনাদশেক লোক ঢুকল । নেতা গোছের একজন প্রশ্ন করল :
-- আপনারা পেত্রোভ আর পেত্রোভা তো ? গ্রেপ্তার করা হল আপনাদের ।
-- ভুল করছেন । আমরা পেত্রোভ আর পেত্রোভা নই, আমরা ইভানভ আর ইভানভা । পেত্রোভরা থাকেন উপরের ফ্ল্যাটে ।
দুঃখিত বলে কেজিবির লোকজন চলে গেল । একটু পরে ইভানভ আর ইভানভা জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখল পেত্রোভ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে কেজিবি । গাড়ির দরজা বন্ধ হতেই শুয়ে পড়ল ইভানভ আর ইভানভা ।
তারা সুখী !
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবশেষে মায়ের বাড়ি ফেরা ও তুরিনের ভুয়া ডিগ্রি কাহিনী—এক আলোচিত আইনজীবীর পতনের গল্প

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

অবশেষে মায়ের বাড়ি ফেরা ও তুরিনের ভুয়া ডিগ্রি কাহিনী—এক আলোচিত আইনজীবীর পতনের গল্প

ছবি যুগান্তর অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

আলোচিত আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বিতর্ক বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রহস্যঃ কী হলেছিলো মেরি সেলেস্ট জাহাজটির সাথে?

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫০



১৮৭২ সালের নভেম্বর মাসের এক শীতের সকালবেলা। সমুদ্রপথে যাত্রা পথে ব্রিটিশ ব্রিগেন্টিন জাহাজ ‘দেই গ্রাটিয়া’র নাবিকরা একটা অদ্ভুত ব্যাপার খেয়াল করল। তারা তাদের সামনে একটা জাহাজকে এলোমেলো ভাবে চলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।।খালেদা জিয়া এখন ঢাকায়

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫









দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে আছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবিক করিডোর: আশীর্বাদ না অভিশাপ?

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

মানবিক করিডোর: আশীর্বাদ না অভিশাপ?

ছবি, এআই দ্বারা তৈরিকৃত।

রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ ত্রাণপথ বা "মানবিক করিডোর" স্থাপন নিয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনা নতুন মাত্রা... ...বাকিটুকু পড়ুন

গেলো বসন্ত এলো বৈশাখ এলো নতুন বাংলা বছর ১৪৩২

লিখেছেন শায়মা, ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২০


রঙে রঙে রঙিন বসন্ত ফুরোতে না ফুরোতেই চলে এলো বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া পহেলা বৈশাখ। সেই উৎসব ঘিরে কেটে গেলো বেশ কিছুদিন। ব্যস্ততায় কাটলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×