বলবেন, আমি কোনও পথে নেই, মাঝপথে! নির্দলীয়, নিরপেক্ষ!! তাহলে বলব- আপনি বেপথে! ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ছা-পোষা, নিরীহ, নিরপেক্ষ মানুষদেরও একটি পক্ষ নিতে হয়। সময়ের প্রয়োজনে। মানুষরা নিয়েও নেয়। যেমন- ১৯৭১। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচীত মুজিবকে অত্যন্ত অন্যায্যভাবে পদবন্চিত করা হল। শুধু তা না, নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের উপর বর্বর হামলা চালানো হল। আর পরিস্কারভাবে ন্যায় ও অন্যায় এ ধরনের দুটি পক্ষ তৈরী হল। হয়ত: ন্যায়ের পক্ষে সবার অংশগ্রহন সমান ছিলনা। তেমনি- অন্যায়কারীদেরও। তবে মনে মনে প্রতিটা বাঙ্গাল ঘোর মুক্তিযোদ্ধা বনে গিয়েছিল। এবং শেষতক ন্যায়ের জয় হয়েছিল।
পৃথিবীতে অন্যায়ের পক্ষে সাময়িক কিছু জয় এসেছে। তবে স্থায়ী জয় হয়েছে ন্যায়ের। রাশিয়ার অন্যায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আফগানরা জয়ী হয়েছে। আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও তারা জয়ের পথে। ভিয়েতনামের মানুষেরা জিতেছে। তিউনিসিয়ার মানুষ জিতেছে। এদেশও ন্যায়ের বিজয়ের ইতিহাসে ভর্তি। এরশাদের বিরুদ্ধে মানুষ জিতেছে। পরবর্তীকলের ১ম খালেদা, ১ম হাসিনা, ২য় খালেদার শাসনকালের জমাকৃত কুকর্মের জবাব মানুষ ব্যালটে দিয়েছে। মঈনুদ্দিনরা পয়লা পয়লা অনেক লম্ফঝম্ফ করলেও ঢাবি ঘটনার পর জনমতের চাপে লেজগুটিয়েছেন। চলছে ২য় হাসিনার শাসনের কৃষ্ণপক্ষের শেষ ক'টি রাত!
তেমন শক্তি, সংগঠনহীন বিএনপিজোটটির চলমানদাবি অভিনব কোন বস্তু নয়, যেমনটি তা ছিল ১৯৯৬ সালে! অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে 'ছিলনা' এমন একটি বস্তুর দাবি করতে থাকে আ-লীগ+জামাত+জাপা জোট। আর বর্তমানে "আছে" এমন একটি বস্তুকে বহাল রাখার পুন:পুন: দাবিই তারা করছে, নিয়তীর পরিহাসে! আ-লীগের 'যৎসামান্য' বিবেকবানলোকগুলো হাসিনার প্রিয়ভাজন সাজেদাকে ২০১০ সালে সংবিধান সংশোধনকালেও এ "আছে" বস্তুটি "রাখা"র সাজেশন দিয়েছিল। কিন্তু হাসিনার গভীরতর কুটচালও জেদের কাছে তা পরাজিত হয়! হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, হাসিনার ছিটানো খুদ কুড়ো খাওয়া কিছু জ্ঞানপাপী এখন টেলিভিশনে খোঁড়াযুক্তি উপস্থাপন করেন!
যাহোক, আপাতত: বিএনপি আছে ন্যায়ের পথে, আর আ-লীগ (বিশেষকরে হাসিনা) আছে অন্যায়ের পথে!