ক্রমশ: মানুষ থেকে মানুষখেকোদের দলে রূপান্তরিত বোধহীন বনমানুষদের দল আওয়ামীলীগকে একদলা থুথু। থুথু তোদের টক-শো নায়কদের, উপস্থাপকদের, সম্পাদকদের, সাংবাদিকদের, মানবাধিকার কমিশনারদের, নাট্যজনদের, গায়কদের, কার্টুনিস্টদের, চিত্রগ্রাহকদের, উপন্যাসিকদের ও নানাবিধ মন ও মননশীলতার ভেকধারী তলেতলে বনমানুষদের। তোরা জানোয়ার। তোরা মাংসাশি। তারচেয়েও অধম। বাঘে বাঘের মাংস খায়না, কুমির কুমিরের না। তোরা তার চেয়েও হিংস্র। তোদের কাছাকাছি একপ্রজাতির বানর আছে মধ্য আফ্রিকায় যারা মাঝে মাঝে স্বজাতির মাংস খায়, সেদিন ডিসকভারীতে দেখলাম।
দেয়াল লিখন, পোস্টারিং, মাইকিং, মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশ, গণসমাবেশ, মঞ্চনির্মান করে দিবানিশি রাজপথে অবস্থান, অবরোধ, অসহযোগ, হরতাল- কোন কাজটি আওয়ামীমানুষখেকোলীগ একরত্তি কম করেছে? কি পাকিস্তান আমলে, কি বাংলাদেশ আমলে। কি ১ম খালেদার আমলে, কি ২য় খালেদার আমলে। অফিসযাত্রীকে ল্যাংটা করা, বাসে বোমা মেরে মানুষ কয়লা করা, গাড়ী ভাংচুর করা, সরকারী বেসরকারী অফিস পোড়ানো- এসবের পাইওনিয়ারইবা কে? তবুও ঘুমন্ত জনসমাবেশের উপর আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, খালেদা কেউতো ট্যাংক উঠিয়ে দিলনা। তবে হ্যাঁ, ঐ একদিন ২৫ মার্চ ১৯৭১!
সকল ধর্মের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, গণতন্ত্র, মেহনতী মানুষের মুক্তি, ন্যায়বিচার, শোষনমুক্ত সমাজ, মানবাধিকার, প্রগতি.....আরো কত কি? আওয়ামী ছাড়া কোন চেতনার ভেকধারীদের এর চেয়ে বেশী এসব বাগধারা আওরাতে শুনা যায়? দেখা যায়? তবে এ ই কি তার নমুনা?
পুলিশ গুলি চালানোর বৈধ অধিকার রাখে যখন কোনো বন্ধুকধারী সন্ত্রাসী পুলিশকেই গুলি করতে উদ্যত হয়। ৫ মে বাংলাদেশের মতিঝিলে লক্ষ লক্ষ হেফাজত ও অহেফাজত নাগরিক সমাবেশকারীরা ক'টি বন্ধুক উদ্যত করেছিল? এমনকি কোনো ছোরা, তীর, ধনুক বা তলোয়ার?
ঠিক কোন 'পাপ' লুকোনোর জন্য বাতি নিভানো হয়? মিডিয়া ব্ল্যাকআউট করা হয়? এক পর্যায়ে দাসানুদাস টিভি পালের ব্যতিক্রম 'দিগন্ত' ও 'ইসলামিক' টিভিকে শাটডাউন করা হয়। হানিফে গংদের কথামত সব হেফাজতীর পলায়ন দৃশ্য জাতি দেখলে দোষ কি!
আসল কথা হল- আওয়ামীরাক্ষসরা আবার ভেক ধরেছে। একদল অসহায় বনীআদমের উপর অন্যায্য জুলুম ও গণহত্যা চালানোর পর তারা নানাবিধ শ্যাওলা, কাঠের টুকরা, ইট, ছাই আকড়ে ধরেছে। আল্লাহর বাণীর সর্বশেষ সংকলন কোরানের পুড়ে যাওয়া পাতাকে আঁকড়ে ধরছে। ভাবখানা এমন- তারা কতই না ধর্মপ্রাণ!
আওয়ামীলীগ আর কোন রাজনৈতিক দল নয়। এ দলের সরকার কোন মানুষের ব্যবস্থাপনা নয়। এটা গণহত্যা, মিথ্যা, অপপ্রচার, জুলুম, পাইকারী লুট ও স্তাবক মিডিয়ার আখড়া। সরকারী পুলিশ, বেসরকারী টেলিভিশন ও ভারত সরকারের আনুকুল্য তাদের সর্বশেষ পাটাতন। পায়ের তলার সে পাটাতন খসে পড়লেই...!
আসুন, তার আগেই একদলা থুথু নিক্ষেপ করি- তুই আওয়ামীলীগ! তুই মানুষখেকো!! থু!!!
