ক্ষুদ্র বাংলাদেশের বিশালতম এ কোম্পানির গত বছরের সেলস রেভিনিউ ছিল ৬৬০০ কোটি টাকা (প্রায়)! এর আনুমানিক এসেট ভ্যালু ৩০,০০০ কোটি টাকা, যা আমাদের বাজেটের প্রায় ১/৩ অংশ! অর্থাৎ ৩টি জিপিকে বেচতে পারলেই বাংলাদেশ ১ বছর চলবে!! সরাসরি প্রায় ৫০০০ (গ্র্যাজুয়েট) ও থার্ড পার্টির প্রায় ৫০০০ লোক এখানে চাকরি করে। জিপির শ খানেক ডিস্ট্রিবিউটর, লক্ষাধিক রিটেইলার ও সাপ্লাইয়ার প্রতিস্ঠানে কর্মরত আরও লক্ষাধিক লোক। নিছক 'ব্যবসা প্রতিস্ঠানের' গন্ডি ছাড়িয়ে ১২ বছরে জিপি এখন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক মহীরুহ। একে নিয়ে নানান কথা উপকথা। আসলে কেমন এর ভেতরটা? চলুন দেখি (তথ্যসুত্র: গ্রামীনফোনে চাকরি, ২০০৬-২০০৯):
ক্যামনে চাকরি হবে জিপিতে?
একসময় বিডিজবস্.কম ভর্তি থাকত জিপির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। লেজ ধরে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে লম্বা ফরম ফিলাপ। কিন্তু কাংখিত ডাক আসেনি। এমনকি 'যেকোন বিষয়ে স্নাতক' চাওয়ার বিপরীতে আবেদন করেও না! সবগুলি প্রথম বিভাগ/শ্রেনী, প্রয়োজনের চেয়ে ঢের বেশী কম্পিউটার জ্ঞান, একেবারে নিস্প্রয়োজন হলেও ইংরেজি ভাষায় অভ্যস্ততা ইত্যাদির 'ফেরী' করেও 'সেলিব্রেশন' পয়েন্টের মন গলেনি। লোকেরা বলত 'লোক না থাকলে ওরা ডাকে না।' আমি অনেক খুঁজেও 'লোক' পাইনি। তবে এগিয়েছে ছাত্রত্ব। আইবিএ র এমবিএ প্রোগ্রাম। হঠাৎ করে এমবিএর শেষ পর্বের দিকে গিয়ে কোনোএকদিন আমার ক্ষুদ্র একটেল নাম্বারে সুরেলা নারীকন্ঠ। 'মি. ....বলছেন? জ্বি। আপনার একটা রিটেন পরীক্ষা আছে.......।' এর কিছুদিন পর '...আপনার একটা ইন্টারভিউ...।' বুঝলাম ঠেলেঠুলে লিখিত পার হয়েছি। নির্দ্দিস্ট দিনে 'অফিসার- ক্রিয়েটিভ রাইটিং' পদের ঐ ইন্টারভিউতে 'আপনার তো এখনো এমবিএ শেষ হয়নি? স্যার আমি এখন ইভেনিং এ আছি। তাও আগামী মাসে শেষ হয়ে যাবে' ব্যাখ্যা সম্ববত: কতৃপক্ষের মন গলাতে পারেনি। কেননা এ বিষয়ে জিপি আর কখনোই কিছু জানায়নি! (চলবে)