সত্য ঘটনা । অনু হোসেন
শীতের সকালে একদিন নির্বিঘেœ হাঁটতে হাঁটতে পায়ের নিচে কী যেন একটা ঠেকল। দেখি একটি ওয়ালেট। হাতে নিয়ে খুলে দেখলাম মালিকের ছবি, নামধাম বা ঠিকানা কিছুই নেই। আছে কেবল তিনটি ডলার আর একটি দুমড়ানো চিঠি। এ দিয়ে ওয়ালেটের মালিককে শনাক্ত করা খুব সহজ নয়।
মালিকবিহীন কুড়িয়ে পাওয়া এই জিনিসটি নিয়ে একরকম বিপদের মধ্যেই পড়লাম। পথে-ঘাটে এমন কিছু পেলে প্রকৃত ব্যক্তির হাতে ওটা পৌঁছে না দেওয়া পর্যন্ত এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে। কুড়িয়ে পাওয়া এমন অনেক জিনিস আছে যা অন্যের কাছে মূল্যহীন হলেও প্রকৃত মালিকের কাছে অমূল্য সম্পদ। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল, এই ওয়ালেটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠিটা খুললাম। দীর্ঘ ষাট বছর আগে ১৯৪২ সালে লেখা। নিবিষ্ট মনে পড়তে শুরু করলাম। চিঠি শুরু হয়েছে ‘প্রিয়জন’ সম্বোধনে। মুক্তোদানার মতো সুন্দর হাতের লেখা। চিঠির প্রাপক মাইকেলকে বলা হয়েছে : ও যেন ওর মায়ের নির্দেশমতো মাইকেলের সঙ্গে আর সম্পর্ক না রাখে। তবু মাইকেলকে জীবনভর ও ভালোবেসে যাবে। চিঠি শেষ হয়েছে ‘হান্না’ স্বাক্ষরে।
এমন সুন্দর চিঠি আমি সম্ভবত এই প্রথম দেখলাম। চিঠির ছেঁড়া-খামে একটি ঠিকানাও পাওয়া গেল। এ ঠিকানায় যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই ওয়ালেট-মালিকের কোনো না কোনো হদিস মিলবে।
আমি টেলিফোন অপারেটরের কাছে গিয়ে বিনীত অনুরোধ জানালাম, ‘দয়া করে আমাকে একটি নম্বর দিতে হবে। আমি একটি ওয়ালেট পেয়েছি। ওয়ালেটটা মালিককে পৌঁছে দেওয়া দরকার। ওটার ভেতর একটা ঠিকানা পাওয়া গেছে। ওই ঠিকানার ফোন নম্বর বের করার কি কোনো উপায় আছে?’
অপারেটর তার সুপাভাইজারকে ফোনটা হস্তান্তর করলেন। তিনি জানালেন, ‘কাউকে অন্যের নম্বর সরাসরি দেওয়ার বিধান নেই। তবে আপনি যদি মনে করেন তাহলে আমরা নিজেরাই সংযোগ করে দিতে পারি।’
এক মিনিটের মতো অপেক্ষা করলাম। হঠাৎ সুপারভাইজার টেলিফোনে বললেন, ‘ওই নম্বরে এক ভদ্রমহিলাকে পাওয়া গেছে, আপনি তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ’
আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভদ্রমহিলার সঙ্গে আলাপ করি। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি হান্নাকে চেনেন কি না। ভদ্রমহিলা জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই চিনি। আমরা হান্নাদের কাছ থেকেই এই বাড়িটি তিরিশ বছর আগে কিনেছিলাম।’
‘বলতে পারেন হান্নারা এখন কোথায় থাকেন?’
‘বেশ ক বছর আগে হান্না ওর মাকে একটা নার্সিং হোমে রেখে গিয়েছিলেন। ওখানে হয়তো হান্নার খবর পাবেন।’
মহিলা নার্সিং হোমের নাম বললেন। আমি ওখানে ফোন করে জানলাম, হান্নার মা অনেক আগেই মারা গেছেন। যে ভদ্রমহিলা এই তথ্য দিলেন তিনি একটি ঠিকানাও দিলেন, যেখানে হান্নাকে পাওয়া যেতে পারে।
ফোন করলাম। অপর প্রান্ত থেকে এক ভদ্রমহিলা জানালেন, হান্না নিজেই এখন একটি নার্সিং হোমে আছেন। তিনি আমাকে নার্সিং হোমের ফোন নম্বরটিও দিলেন। ওই নম্বরে ফোন করতেই আমাকে জানানো হল, ‘হ্যাঁ, তিনি আমাদের এখানেই আছেন।’
জানতে চাইলাম, হান্নার সঙ্গে এখন দেখা করা যাবে কি না। তখন রাত প্রায় দশটা। ডিরেক্টর জবাবে বললেন, ‘তিনি সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছেন। কিন্তু আপনি একান্তই যদি দেখা করতে চান, তবে একটা সুযোগ নিয়ে দেখতে পারেন; উনি এ সময় কখনো কখনো টেলিভিশন দেখেন।’
নার্সিং হোমে পৌঁছতেই একজন গার্ড ও ডিরেক্টর আমাকে উষ্ণভাবে গ্রহণ করলেন। তিন তলায় গিয়ে নার্সকে বলার পর তিনি জানালেন, ‘আপনাদের ভাগ্য ভালো, হান্না সত্যিসত্যি এখন টিভি দেখছেন।’
আমরা ঘরের ভেতর ঢুকলাম। সোনালি চুলের হান্না ভারি মিষ্টি! ঠোঁটে উষ্ণ হাসি, চোখে বন্ধুসুলভ চাহনি। এই নার্সিং হোমের একজন পুরনো বাসিন্দা।
আমি ওয়ালেটের কথা বলতে বলতে চিঠিটা বের করে তাকে দেখালাম। মুহূর্তেই তিনি একটি লম্বা নিশ্বাস নিলেন। ‘ইয়াংম্যান’, তিনি বললেন, ‘এই চিঠিই মাইকেলকে লেখা আমার জীবনের শেষ চিঠি।’ তিনি কিছুক্ষণ চিঠিটির দিকে তাকিয়ে ম্রিয়মাণ হয়ে রইলেন। বললেন, ‘আমি ওকে প্রচণ্ড ভালোবাসতাম। ও ছিল চমৎকার দীর্ঘদেহী যুবক। নিশ্চয়ই খ্যাতিমান অভিনেতা সিন কনোরিকে আপনি চেনেন; ঠিক ওরই মতো সুপুরুষ ছিল আমার মাইকেল।’ আমরা দুজনেই হাসলাম।
ডিরেক্টর আমাদের রেখে চলে গেলেন। ‘হ্যাঁ, মাইকেল গোল্ডস্টিন ওর নাম। যদি আপনি ওর খোঁজ পান, বলবেন আমি এখনো ওর কথা ভাবি। আমি বিয়ে করিনি। মাইকেল ছাড়া অন্য কাউকে আমার জীবনে কল্পনাই করতে পারি না...’ প্রচণ্ড আবেগমিশ্রিত এরকম আরো অনেক কথা বলতে বলতে হান্না এক পর্যায়ে কেঁদে ফেললেন।
হান্নার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনতলা থেকে এলিভেটরে চড়ে নিচতলায় নামলাম। আমি যখন দরজার সামনে, গার্ড আমাকে বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করল, ‘বৃদ্ধা কি আপনাকে কোনো সহযোগিতা করতে পারলেন?’ আমি তাকে বললাম, ‘ভদ্রমহিলা আমাকে একটা পথ বাতলে দিয়েছেন। নামের শেষ অংশটুকু উদ্ধার করেছি। এর জন্য আমাকে হয়তো আর দৌড়াতে হবে না।’
কথা বলার সময় সেই ওয়ালেট গার্ডকে দেখালাম। সে ওটা দেখে অবাক বনে গেল। চোখে ভুল দেখছে না তোÑ যেন অনেকটা এই ভেবেই গভীর মনোযোগের সঙ্গে ওয়ালেটটির দিকে দৃষ্টি দিল। বেশ কিছুক্ষণ পর বলল, ‘ও হ্যাঁ, কোথায় যেন এটা দেখেছিলাম! কোথায় যেন! হ্যাঁ মনে পড়েছে, এটা গোল্ডস্টিন সাহেবের। সাহেব প্রায়ই ওটা হারিয়ে ফেলেন। আমি কম করে হলেও হলরুমে ওটা তিনবার পেয়েছি। ’
‘গোল্ডস্টিন সাহেব কে?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘উনি এই ভবনের আটতলার একজন পুরনো বাসিন্দা। আমি নিশ্চিত, এটা গোল্ডস্টিন সাহেবেরই। তিনি প্রায়ই বাইরে হাঁটতে বের হন। কিছুটা আনমনা মানুষ তো, হয়তো হাঁটতে গিয়ে পথে পড়ে যায়।’
গার্ডকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দ্রুত ডিরেক্টরের অফিসে ফিরে এলাম। গার্ড যা বলল সব তাকে জানালাম। আমি ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে একান্তভাবে আশা করছিলাম এ সময় গোল্ডস্টিন সাহেব যেন ওপরে থাকেন।
‘আমার মনে হয় উনি ডে-রুমেই আছেন। ভদ্রলোক রাত জেগে পড়তে ভালবাসেন। চমৎকার মানুষ তিনি।’ নার্স বললেন।
ঘরের কোণে মৃদু আলো জ্বলছে। একজন তন্ময় হয়ে বই পড়ছেন। আমি আর ডিরেক্টর ভেতরে ঢুকলাম। ডিরেক্টর ভদ্রলোকের ওয়ালেট হারিয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলেন। মাইকেল গোল্ডস্টিন বই ছেড়ে আমার দিকে দৃষ্টি দিলেন। তারপর দ্রুত পেছন পকেট হাতড়ে চমকে গিয়ে বললেন, ‘ওহ, ওটা হারিয়ে গেছে!’
ডিরেক্টর আমার হাত থেকে ওয়ালেটটা নিয়ে গোল্ডস্টিন সাহেবকে বললেন, এই ভদ্রলোক এটা পেয়েছেন। দেখুন তো এটা আপনার কি না?
বিস্মিত হয়ে গোল্ডস্টিন পরম আশার দৃষ্টি দিয়ে ওয়ালেটটির দিকে তাকালেন। বললেন, ‘এটা আমার। সম্ভবত এটা আজ সন্ধ্যায় আমার পকেট থেকে পড়ে গেছে। আমি আপনাকে পুরস্কৃত করব।’
‘না না, ধন্যবাদ। পুরস্কার দেবার দরকার নেই। বলছিলাম কি ওয়ালেটের চিঠিটা আমি পড়ে ফেলেছি। মানে ব্যাপারটা হল, চিঠিটা না পড়লে মালিককে অর্থাৎ আপনাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হত। আপনি কিছু মনে করেননি তো?’ আমি বললাম।
হারিয়ে যাওয়া ওয়ালেট পেয়ে তার মুখে যে হাসির ঝিলিক খেলছিল, আমার কথা শুনে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। গোমড়ামুখে বললেন, ‘আপনি চিঠিটা পড়ে ফেলেছেন?’
‘শুধু চিঠিই পড়িনি, আমি জানি হান্না কোথায় থাকেন।’
গোল্ডস্টিনের মুখে বিস্ময়ের রেখা। ‘হান্না? আপনি সত্যিই জানেন ও কোথায় আছে? ও কি আগের মতোই সুন্দরী আছে?’
আমি ইতস্তত করলাম।
মাইকেল বেশ অনুরোধের স্বরে বললেন, ‘দয়া করে আমাকে হান্নার কথা বলুন।’
‘চমৎকার মহিলা। আপনি আগে যেমন দেখেছিলেন তেমনি সুন্দরী আছেন।’
আমার হাত ধরে গোল্ডস্টিন সাহেব বললেন, ‘দয়া করে ও কোথায় আছে আমাকে বলবেন? আমি কালই ওর সঙ্গে দেখা করতে চাই। জানেন, এই চিঠিই আমাকে লেখা হান্নার শেষ চিঠি। আমি আর বিয়ে করিনি। আমি ওকে এখনো আগের মতোই ভালোবাসি।’
আমি বললাম, ‘মাইকেল, ঠিক আছে, আপনি আমার সঙ্গে চলুন।’
আমরা তিনজন এলিভেটরে চড়ে তিনতলায় গেলাম। হান্না ডে-রুমে বসে তখনো টিভি দেখছিলেন। ডিরেক্টর হান্নার কাছে গেলেন। আমরা দরজায় দাঁড়িয়ে। ডিরেক্টর আমাকে দেখিয়ে হান্নাকে বললেন, ‘আপনি ওই ভদ্রলোককে চিনতে পারছেন?’
হান্না তার চশমাটা চোখে লাগিয়ে মাইকেলের দিকে তাকালেন। কিছুই বলতে পারলেন না হান্না। নির্বাক হয়ে রইলেন।
আমি বললাম, ‘হান্না, আপনি কি মনে করতে পারছেন না, এই ভদ্রলোকই হলেন মাইকেল গোল্ডস্টিন!’
‘মাইকেল? মাইকেল! তুমি!’
মাইকেল ধীরে ধীরে হান্নার দিকে এগিয়ে গেলেন। হান্নাও উঠে দাঁড়ালেন। কয়েক মুহূর্ত পরস্পরের দিকে তাকিয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর দুজন সোফায় বসে হাতে হাত রেখে দূর অতীতে হারিয়ে গেলেন। এই দৃশ্যে আমরাও অভিভূত এবং বাকশূন্য। আমি আর ডিরেক্টর ডে-রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। দার্শনিকের মতো আমি ডিরেক্টরকে বললাম, ‘ঈশ্বর কত মহান! তার ইচ্ছায় কত কী হয়...’
তিন সপ্তাহ পর ডিরেক্টরের একটা ফোন পেলাম। তিনি বললেন, ‘আপনি আগামী রোববার সময় করে একটা পার্টিতে আসতে পারবেন?’
তিনি আমার জবাবের অপেক্ষা না করে বললেন, ‘রোববার হান্না ও মাইকেল সুখের বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন।’
অনেক লোকের সমাগমে সেদিন জাঁকালো এক বিয়ের উৎসব হল। নার্সিং হোমের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী আর নার্সদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে উঠল। অভিজাত পরিবারের বিয়েতে যেমন হৈ-হুল্লোড় পড়ে যায়, এই বিয়ের অনুষ্ঠানেও অনেক লোকের আগমনে নার্সিং হোম তেমনি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল। হান্না পরেছেন দামি পশমি কাপড়ের বেইজ। বেইজে হান্নাকে অপূর্ব মানিয়েছে। ধূসর নীলরঙা স্যুটে মাইকেলকেও আরো লম্বা ও সুন্দর লাগল। নার্সিংহোমকে মনে হল যেন ওদের নিজের বাড়ি। তাদের যখন বিয়ে হয় তখন কনের বয়স ৭৪ বছর আর বরের ৭৮। তবে তাদের আবেগ ও আচরণে মনে হচ্ছিল তারা যেন তরুণ নবদম্পতি।
ষাট বছর আগে ওরা একে অন্যকে ভালোবাসতেন মনেপ্রাণে। মাঝখানে হান্নার মায়ের চাপে হান্নার লেখা এই অনাকাক্সিক্ষত চিঠি ওদের দুজনকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবু এর পরের ষাট বছরের জীবনে ওরা কেউ বিয়ে করেননি, ভালোবেসেছেন দুজন দুজনকে, কিন্তু দুজন বাস করতেন একই ভবনে। শেষ পর্যন্ত তাদের মিলন ঘটাল ভালোবাসার অলৌকিক নটরাজ।
১৯৮৪ সালের ২০ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ঔবরিংয চৎবংং পত্রিকায় এই সত্য ঘটনাটি এ লেটার ইন দ্য ওয়ালিট নামে প্রকাশিত হয়।

আলোচিত ব্লগ
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও আমার ভাবনা
অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হলো
আমি সবসময়ই প্রজ্ঞাপন দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে ছিলাম। কারণ, বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী এখনো দলটিকে সমর্থন করে। এত বড় একটি জনগোষ্ঠীর মতামত কিংবা... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিষিদ্ধ নয়, শুধু নড়াচড়া বন্ধ: আওয়ামী লীগ, ‘কার্যক্রম’ ও বিরোধীদের বিভ্রান্তির রাজনীতি
“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে”—এই লাইনটি ফেসবুকে ঝড় তুলেছে, চায়ের কাপে তুফান এনেছে, এবং কিছু বিরোধী রাজনীতিকের মুখে সাময়িক হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটু থামুন ! খেয়াল করুন: বলা হয়েছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আঁচলে বাঁধা সংসার
আমি তখন কলেজে পড়ি। সবেমাত্র যৌথ পরিবার ভেঙে মায়ের সঙ্গে আমাদের ছোট্ট একটা সংসার হয়েছে। নতুন সংসার গুছিয়ে নিতে, মা দিনের প্রায় সবটা সময় ঘরকন্নার কাজে পার করে দিতেন। ঘরের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ডায়েরী- ১৫৩
কেন জানি মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
কিছুই ভালো লাগছে না। ইচ্ছা করছে ঘোড়ায় চড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। হাতে থাকবে চাবুক। যেখানে অন্যায় দেখবো লাগাবো দুই ঘা চাবুক। সমস্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ঐতিহাসিক দিন: বাল সাম্রাজ্যের পতন
একটি ঐতিহাসিক দিন: বাল সাম্রাজ্যের পতন
প্রিয় পাঠক, গতকাল ১০ মে ২০২৫। এই দিনটি কোনো সাধারণ দিন ছিল না। এটি ছিল ঐতিহাসিক এমন একটি দিন, যা বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন