প্রশ্ন হলো, কি এমন লিখতে দিলো পরীক্ষায়?
বাংলায় সাত দিনের নাম লিখা ছিলো, ছাত্রছাত্রীদের এগুলোর আরবী লিখতে হবে। এটা তো মানসিক অত্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। যেখানে একজন প্রথম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রী বাংলায় সাতদিনের নাম লিখতে পারলেই যথেষ্ট, সেখানে ইংরেজীও নয়, আরবীতে সাত দিনের নাম মুখস্হ করানোটার কোন যুক্তিকতা নাই।
স্কুলের প্রথম শ্রেণী থেকেই বাধ্যতামূলক আরবী শিক্ষার কোন সরকারী নির্দেশ নাই, শুধু স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে অন্য স্কুল থেকে আলাদা, এটা বুঝানোর জন্যই ছাত্রছাত্রীদের মাথায় পাহাড় তুলে দিচ্ছে। যেখানে সরকারী কারিকুলামে প্রথম শ্রেণীতে মাত্র ৩টা বই পড়ানো হয় , সেখানে বেসরকারী স্কুলগুলো ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বই পড়াচ্ছে প্রথম শ্রেণীতে।
আর অভিভাবকদেরও একটা ভুল ধারনা আছে, যে স্কুলে যত বেশি বই পড়ানো হয়, সেই স্কুল তত ভালো। এই ধারণাটা ভাঙতে হবে।
এই ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের (যদি তেমন কেউ থাকে/ কারো নজরে যদি আসে) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮