জীবন সামনে এসে হাত ধরে বলে …কোন দূর অজানায়
যেতে চাও বল...নিয়ে যাব, ধুলো মাখা পথ পাড়ি দিয়ে
কোমল মাটির জল, সূর্যাস্তের হাওয়া,শীতের সন্ধ্যার কাছে ;
কখনও বা একাকি চাঁদের ছায়ার মতো কখনো বা
রাত্রিভারে নুয়ে-পড়া পাতাটির মত।।
নিয়ে যাব কোন সহযাত্রী ছাড়াই--কুয়াশা আচ্ছন্ন ভোরে ,
রোদে পোড়া দুপুরে বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায়--জঙ্গলে, মাঠে-ঘাটে,
নির্জন কোন জল ডোবার ধারে...অশ্রুসিক্ত চোখের
টপ-টপ করে ঝরে পড়া জল মুছে
আমার থেকে একমুঠো আনন্দ তোমায় দেব ;
নাম না জানা পাখি পাখা ঝাপ্টে উড়ে যাওয়ার মত করে
মৃত্যুকেও ইশারায় মাঝে মাঝে ডেকে নেব কাছে ।।
পায়ে বেঁধা কাঁটাগুলো খুলে, কীভাবে হয়েছে নদী রক্তের ধারা বয়ে,
পাহাড়কে ধুলো করে, ধুলোকে কুণ্ডুলী বানিয়ে সে কুন্ডুলির আবর্তে...
পাইয়ে দেব একমুঠো সুখ-স্বপ্ন !!
বুনো ঘ্রাণের মুগ্ধতায়...বন্ধ জানালার কপাট খুলে
বেদনার আস্তর সরিয়ে হাহাকার চারিদিকে কেউ নেই,
কেউই নেই চারপাশে...সে সময় বৃষ্টিস্নাত মধ্যরাতে
রাতপোকাদের দলে সুরে সুর মিলিয়ে ভেবে নিও
সেও বুঝি বলে ভালোবাসি...ভালোবাসি...ভালোবাসি...
বাহুবন্দি জলের ধারার মতো বয়ে যেতে যেতে
জীবন আমায় আরও বলে ‘হারতে দেবনা, হারাবোও না’।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:২৫