বছর কয়েক আগের কথা। আমার ভাগিনার মুসলমানি। সে নিজেই জানেনা মুসলমানিটা কি?? তার কোন্ জায়গায় ওই বদমাস ডাক্তার কেটে দিবে জানলে কি মুসলমানি নিয়ে আনন্দ করতো?? সবাইকে কি আর বলে বেড়াতো? এই জানো কাল না আমার মুসলমানি।


ফয়জলেকে ঘুরছিলাম ওকে নিয়ে।
বড় আপার ফোন।
-পাগলা তুই কই?
-কেন? আমিতো নিউ মার্কেটে (বান্ধবীর সাথে ঘুরছিলাম সেটা কি বলা যায়??


-তাড়াতারি বাসায় আয়তো।
-কেন?
-বাবুইয়ার খৎনা করাবে আজ।
-তো আমি কি করবো? ওইটা কুরবানীর গরু নাকি যে আমাকে হাত পা শক্ত কইরা ধইরা রাখতে হবে? (জিন্দেগীতেও কুরবানীর গরু ধরিনাই

-আরে তোর ভাগিনার মুসলমানি তুই থাকবিনা??
-নারে বুবু আমার ডর লাগে এসব কাটাকাটিতে।



তো আপার বাসায় ওইদিন আর গেলামনা। পরদিন গিয়ে দেখি ভাগিনা মুখটা কালো করে লুঙ্গিটা হাতে ধরে শুয়ে আছে। আমাকে দেখেই মা মা করে কানতে লাগলো।




-ওইরে এই কথা তোকে কে বলছে?


-ভাইয়া বলছে।
তাই নাকি? কই ওই বদমাশ? কই?? এই পিচকা এদিকে আয়।

-তুমি নাকি কি বলছো ওকে?? তোমাকে কে বলছে যে টুনটুনি কেটে ফেল্লে বিয়ে করতে পারেনা??
-না মা মা আমি কিছু বলিনাইতো।
-সত্যি কথা বল, মাইর খাবি নইলে।


-না মা মা আমি বলিনাইতো।
মাইর না দিয়ে বুদ্ধি করে বল্লাম, হুজুরে বলছে, যারা মিথ্যা কথা বলে তারা নাকি বিয়ে করতে পারেনা।
এটা শুনে তার মুখ কালো হয়ে গেল। না না আমি বলিনাইতে দাদা বলেছেন।
দাদার কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম। আইচ্ছা ঠিকাছে তুমি বিয়া করতে পারবা, যাও। বাবু খুশি হয়ে চলে গেল।
এর ক’দিন পরে তাদের অনুষ্টান হচ্ছে। আমার বান্ধবী আর তালত বোনকে নিয়ে বসে গল্প করছিলাম। :!>







হায়রে নারী তোমরা কালার আসল গুরুত্ব আর বুঝলানা। কালাই গলার মালা কে বুঝাইবে তোমগরে? আর চাকরী? আরে বিয়ে করতে আবার চাকরী লাগে নাকি?? কি আজব সব চিন্তাভাবনা।
পিচকাটারযে মুখ চেপে ধরবো তারও সুযোগ নাই, মরছি আজকে মান সোলেমান সব শেষ ।


সে বলে মা মা মিথ্যা কথা বলেছেন তাই। যারা মিথ্যা বলে তারা বিয়ে করতে পারেনা।
আমার জানটা মনে হলো আবার ফিরে পেলাম। হঠাৎ আসমান থেকে জানটা ফিরে আসায় বুকটা ধুক ধুক করতে লাগলো। জানটা তার আগের জায়গাটা খুজে পেতে একটু সময় লাগল। তাড়াতাড়ি দুই গ্লাস পানি খেলাম। পানি খাইয়া মনে হলো পানি যেন মরুভুমিতে ঢালছি। বল্লাম আমি আবার কখন মিথ্যা বল্লাম ?


আ আপনি ফুফিকে বলছেন যে ওইটা আপনার বান্ধবী, ওইটাতো আপনার প্রেমিকা। বলেই দিল দৌড়।