দীন শরৎ বলে
ধরণঃ জীবনী/গবেষণা
প্রকাশকঃ রোদেলা প্রকাশনী
স্টল নং-213,214,215
কিছু কথাঃ
ভাগ্যক্রমে ভাটি এলাকায় জন্ম হওয়ায় লোকসংস্কৃতির মিষ্টি রস গায়ে মেখেই বড় হয়েছি। হাসনরাজা, আবদুল করিম, কাশীনাথ তালুকদার সহ অন্যান্য সাধকদের গান এই এলাকার নদী-হাওর-বাতাসকে চঞ্চল করে তুলে। আর এভাবেই সাধক দীন শরতের গানের সাথে আমার পরিচয়। এক সময় তাঁর গানে আকৃষ্ট হই। ইচ্ছে হয় তাঁকে নিয়ে কাজ করার। নেমে পড়ি তথ্য সংগ্রহে। আর এভাবেই দীন শরতের জন্মস্থান নেত্রকোণায় বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করি।
এরই মাঝে পরিচয় হয় নেত্রকোণার আপেল মাহমুদ ভাই এবং সাংবাদিক সঞ্জয়দা’র সাথে। উনারা বিভিন্ন তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে সহায়তা না করলে এই বইটির মলাটবন্দি হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল না। গবেষক সুমনদা তাঁর মূল্যবান সময় ব্যয় করে পান্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন। তবে সবশেষে ড. জাফর ইকবাল স্যার ভূমিকা লিখে বইটির পরিপূর্ণ রূপদানে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
বইটি প্রকাশে আরেকটা গোপন তথ্য রয়েছে। একটা দুর্ঘটনায় আমার পায়ের আঙুল ভেঙে যায়। অফিস থেকে প্রায় দুই মাসের ছুটি নিতে হয়।সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু বই লিখতে পায়ের প্রয়োজন নেই তাই অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। তাই এই দুইমাস বিছানায় শুয়ে/বসে বইয়ের অধিকাংশ কাজ ল্যাপটপে সেড়ে নিয়েছি। (মাঝে মাঝে পা ভাঙাটাও জরুরী হয়ে পড়ে )
সংক্ষেপে দীন শরৎঃ
১৩১০ বঙ্গাব্দে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউরা গ্রামে শরৎ চন্দ্র দেবনাথ জন্মগ্রহণ করেন।তিনি যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন তখন তাঁর পিতা মারা যান। দুর্ভাগ্যক্রমে শিশুকালেই তিনি মাতৃহারা হন। যখন তাঁর বয়স ৯ বছর তখন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে আজীবনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করেন। সহায়সম্বলহীন এই অন্ধসাধক এক মানবেতর জীবন পার করেছেন। তবে অন্ধ হয়েও মনের চোখ খোলা রেখে তিনি সাহিত্যসাধনা করে গেছেন। তাঁর অসংখ্য বাউলগান, দেহতত্ত্বের গান, ধামাইলগান, ইসলামীগান আজও তাই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।
কথা আমার একটাইঃ
এই বই পড়ে যদি একজন মানুষও নতুনভাবে দীন শরতকে জানতে পারেন তবেই আমার শ্রম স্বার্থক হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫