বাসর ঘরে নবদম্পতি ভংচং করবে, কিন্তু দুষ্টু শালা-শালীরা তাদের ডিস্টার্ব করবে না- তা তো হয় না! বাসর যেহেতু একবারই, সুতরাং দুষ্টামীর সুযোগও একবারই।অতএব সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটা দুষ্টু শালা শালীদের অবশ্য কর্তব্য।
আগে যেমন খাটের তলে লুকিয়ে থেকে খাটের উপরের ঘটনা বোঝার চেষ্টা হতো। কিংবা বউয়ের জায়গায় অন্য কাউকে বসিয়ে চলতো দুষ্টামী। ছিলো জানালায় ঢিল। বাইরে থেকে টিকা-টিপ্পনী। কিন্তু এখন দিন পাল্টাইসে। এইগুলান আর আগের মত জমে না। ডিজিটাল শালা-শালীদের আরেকটু স্মার্টভাবে ফাইজলামী শেখা দরকার! অতএব, ডিজিটাল দুষ্টু ছেলে মেয়েগণ-- নিচের টিপস গুলা ভালো করে পড়েন।
ফাইজলামী ১। গভীর রাতে বাসর ঘরের দরজায় ঠক ঠক করে বলতে পারেন- 'ভাইয়া, সুস্থ্য আছেন তো??'
ফাইজলামী ২। জানালায় নক দিন। জানালা খুলতেই হাতে এক প্যাকেট ‘বঙ্গজ’ বিস্কুট ধরিয়ে দিন।-‘খালি পেটে গল্প ভালো জমে না’--এই টাইপ বদ ডায়লগ দিয়ে ভেগে যান!
ফাইজলামী ৩। ভাইয়া/আপু কেউ সায়েন্সের স্টুডেন্ট হলে ঘন জ্যামিতির একটা জটিল সমস্যা নিয়ে সোজা হাজির হন।
ফাইজলামী ৪। দরজায় জোরে থাবা দিন। দরজা খুলতেই-‘অনেকক্ষণ ধরে কোন সাড়া শব্দ নেই। ভাবলাম কিছু হয়ে গেলো কিনা! তাই দেখতে এলাম।’-- টাইপ ডায়লগ হাবাগোবা মুখে চালিয়ে দিন।
ফাইজলামী ৫। আজকে ৭ দিন পর আপনার ‘বাথরুম’ ভালো হলো-এই সুখবরটা নবদম্পতিকে দিয়ে আসতে পারেন!
ফাইজলামী ৬। ভেন্টিলেটরের ফুটা দিয়ে ভাইয়ার কাছে প্রশ্ন রাখেন- ‘ভাইয়া, এনার্জী ড্রিংক লাগবে কি??’
ফাইজলামী ৭। হঠাৎ দরজায় থাবা দিয়ে প্রশ্ন রাখেন--‘ভাইয়া, কি খান?’
ফাইজলামী ৮। দরজায় গিয়ে অভিযোগ দিতে পারেন- ‘ভাইয়া/আপু, খাটের অতিরিক্ত ক্যাঁচকোঁচ শব্দে পড়ায় মন বসছে না। শব্দটা একটু আস্তে করা যায় না?!’
নিতান্তই ফাইজলামী পুষ্ট। এর থেকে আরো ভালো বুদ্ধি নিচ্চয়ই আপনার মাথায় আছে।সেগুলার ব্যাপারে আওয়াজ দিয়েন। কিংবা ভুক্তভুগী ভাইয়া/আপুরাও ঘটে যাওয়া দুষ্টামীর ব্যাপারে জানান দিয়েন।
বিঃদ্রঃ- হবু দম্পতির সাথে রাত ১২--২টা সব ধরনের ফাইজলামী নিষিদ্ধ! এর আগে করা যেতে পারে।
[যে সব পুরুষ নিজেরাই বাসর ঘরে ঢুকতে যাচ্ছেন ..... তাদের জন্য আমার আরকটি পুষ্ট... ]
বাসর রাতেই বিলাই মারিতে চান?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৫