ভিতরের পাতার খবরঃ চিকিৎসা না পেয়ে প্রসব বেদনায় আত্মহনন!
ঢাকার সাভারে গত রোববার রাতে ছিন্নমূল এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ফুটওভারব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন। এতে তাঁর পেটের বাচ্চা বেরিয়ে আসে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতকসহ তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাভার থানার পুলিশ জানায়, প্রসব ব্যথা নিয়ে গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই নারী সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর তিনি সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকেন। প্রসব ব্যথায় কাতর হয়ে একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সম্ভবত সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ফুটওভারব্রিজ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গতকাল সাভার থানায় পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদ আহামেদ বলেন, মৃত ওই নারীর কাছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যায়। সেটিতে তাঁর নাম লেখা রয়েছে খবিরন ও স্বামীর নাম লাবলু। তবে কোনো ঠিকানা উল্লেখ নেই।
রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালে উপস্থিত কয়েকজন রোগী অভিযোগ করেন, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর কাছে কোনো টাকা ছিল না। প্রসব ব্যথায় কাতর হয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিখিল কুমার সাহা বলেন, প্রসব ব্যথা নিয়ে ওই নারী রোববার সন্ধ্যায় যখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসেন, তখন তাঁর পেটের বাচ্চার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই নারী শুধু অর্থের অভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে না পেরেই সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
Click This Link
প্রথম পাতার খবরঃ ঢাকার রাজপথে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ
পূর্বানুমতি ছাড়া রাজধানীর রাস্তায় মিছিল-সমাবেশসহ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়—এমন সব ধরনের কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার তাঁর ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞা দেন। মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মাসে যানজটের কারণে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ পর্যন্ত অতি প্রয়োজনীয় কোনো বিষয় ছাড়া রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।.........................
খবিরন কেন আত্মহননের জন্য নিশুতি রাত বেছে নিল?
রবিবার ( ২২ আগস্ট ২০১০) সন্ধ্যায় প্রসব যন্ত্রণাকাতর খবিরণ অর্থ অভাবে হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত হয়ে তৎক্ষণাত ফুটওভার ব্যীজের উপর থেকে ঝাপিয়ে পড়তে পারত ।
কিন্তু , সে তা করে নি। কারণ সে এই রাষ্ট্র যন্ত্রের একজন সদা কৃতজ্ঞ অনুগত পরজীবি বাসিন্দা। তার আত্মহনন হয়ত সাভার মহাসড়কে সৃষ্টি করত যানজট। কিছু সুযোগ সন্ধানী হয়ত তাঁর আত্মহনন কে পুজি করে মহাসড়ক অবরোধ করত , ভাঙ্গচুর করত গাড়ি দোকান-পাট।
খবিরণ কিংবা তাঁর অনাগত সন্তান কারও রাষ্ট্রের নিকট কোর দাবি ছিল না;কিছু করুণা প্রত্যাশা ছিল।
তাই আমাদের সমাগত ঈদের আনন্দে এক বিন্দু বিপত্তি না ঘটিয়ে খবিরণ আত্মহননের জন্য নিশুতি রাত কে বেছে নিযেছে। বেছে নিয়েছে কারণ সে চাই নি......মৃত্যুপর তাঁকে ও তাঁর অনাগত সন্তানের নামে এই রাষ্ট্রযন্ত্র অকৃতজ্ঞ রাষ্ট্রদ্রোহীর অপবাদের বালিমা লেপন করুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৫২