স্বাধীনতা যুদ্ধ কালে মাননীয় শ্রমমন্ত্রীর ভুমিকা নিয়ে খোদ ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই নিচু স্বরে নানা কথা বলেন । তবে ফরিদপুরের আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মাননীয় সংসদ উপনেতা মাননীয় শ্রমমন্ত্রীকে দুষ্টজনের দুষ্ট কথা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন............' মন্ত্রী মহোদয় নয়; তাঁর পিতা ছিলেন রাজাকার।'
বাবা স্বাধীনতা বিরোধি বলে সন্তানও স্বাধনীতা বিরোধী হবেন তা আমি বিশ্বাস করি না।আমি এমন ৫ মুক্তিযোদ্ধা ভাই কে চিনি যাদের বাবা স্বাধনীতা বিরোধি ছিলেন।আমি এমন সন্তান দেখেছি যে পিতার জানাজার নামাজে দাড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে পিতার ভুমিকার জন্য সকলের নিকট ক্ষমা চেয়েছেন।
না । মাননীয় মন্ত্রীকে এখনও তাঁদের মত মহান হতে শুনিনি। তবে,...........
আর সকল আওয়মী নেতার মত তাঁর দলের যে কোন কর্মকান্ডের সমালোচনাকারী ও প্রতিবাদকারীকে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করতে সদা তৎপর।
তাই মাননীয় মন্ত্রী তথা ক্ষমতাসীন সরকার নুন্যতম ৫০০০/- টাকা দাবিতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষরে মাঝেও স্বাধীনতা বিরোধেদের চক্রান্ত খুজে পেয়েছেন। মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধিদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধি শক্তি শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে।
তাই গত ৩০ জুলাই ২০১০ মধ্যরাত থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক দলে বিভ্রান্তকারী স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে গ্রেফতারের জন্য সরকারের সকল স্তরে নিরাপত্তা শাখা তৎপর হয়ে উঠেছে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০৬ সালে নারয়নগঞ্জ শ্রমিক অভ্যুত্থান কালে গার্মেন্টস সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ভারতীয় চর হিসাবে যে বাসদ নেতা ( বর্তমান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি) এ্যাডঃ মাহবুব ইসমাইল কে আটক করেছিল, আজ মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র দাবিদার দল ক্ষমতায় থেকে সেই এ্যাডঃ মাহবুব ইসমাইল কে স্বাধনিতা বিরোধি চক্রান্তকারী হিসাবে চিহ্নিত করে হুলিয়া জাড়ি করেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধেদের বিচারকে ব্যহত করার প্রচেষ্টার ১ নম্বর চক্রান্তকারী চিহ্নিত হয়েছেন ৮০ সাল ও ৮২ সালে ( সর্ব্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত) দুই দুই বার নির্বাচিত ডাকসু সদস্য বর্তমানে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খানরে ফেইসবুক অ্যালবামে খুজে পেলাম গণআদালত ১৯৯২ নিচের ছবিটি।
যু্দ্ধ অপরাধীদের বিচার দাবীতে গণআদালত অভিমুখে মিছিলের প্রথম সারিতে বজলুর রশিদ ফিরোজ (বাম থেকে ৫ম)