মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমরা। মুক্তিসংগ্রামের সেই লড়াই, বীরত্ব, আত্মত্যাগের দিনগুলো স্বচক্ষে দেখা হয়নি আমাদের। সুযোগ হয়নি আমাদের সেই উত্তাল সময়ের অগ্নিস্পর্শে স্পর্ধিত হবার। মুক্তিযুদ্ধকে আমরা চিনতে শিখি পূর্বপুরুষের কথায়, গল্পে, কবিতায়, গানে, আলোকচিত্র কিংবা চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কারো কারো কাছে শুধু একটি রূপক মাত্র, যা আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সঞ্চয়ে নেই।
মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে আমরাও শিহরিত হই, সংগ্রামমুখর সেই দিনগুলোর ইতিহাস পড়লে অনুপ্রাণিত হই, তবু ঠিক অনুভব করতে কি পারি সেই সময়কে? যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলে তাদের চোখের মণি আজো যেমন জ্বলজ্বল করে, আমাদের স্বপ্নমাখা চোখও কি সেরকম উজ্জ্বল হয় কখনো? মনে হয়, যারা দেখিনি সেই সময়কে, হয়তো পুরোমাত্রায় কখনোই অনুভব করতে পারবো না সেই মহান আত্মত্যাগ ও লড়াইয়ের অগ্নিঝরা দিনগুলিকে। তবে কী মুক্তিযুদ্ধ কেবলই থেকে যাবে ইতিহাসের পাতায় আর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানসর্বস্বতায়? মুক্তিযুদ্ধ কী তবে ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছে? বর্তমান সময়ে কী আর তবে কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই সেই লড়াইয়ের? ভৌগলিকভাবে স্বাধীন একটি ভূখন্ড পাবার মাঝেই কী মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে গেছে?
মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা জন্মেছি অথবা বেড়ে উঠেছি এমন এক সময়ে যখন ক্ষমতার মসনদে বসে স্বৈরশাসকেরা মুক্তিযুদ্ধের অর্জন, প্রত্যাশা, সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করেছেÑ মুক্তিযুদ্ধের পথ থেকে সরে এসে পুরো বিপরীত পথে নিয়ে গেছে জাতিকে। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান তারা বারবার কাটাছেঁড়া করেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিরা আবার পুনর্বাসিত হয়েছে লাখো শহীদের রক্তমাখা বাংলায়। এই সময়ে আমরা দেখছি অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র নামেমাত্র এলেও, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক চর্চা তো হয়ই নি, বরং স্বৈরশাসকদের পথ ধরেই হেঁটেছে ভোটে নির্বাচিত সরকারগুলো। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবিদাররাও ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে বারবার। মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর, কানে হেডফোন লাগিয়ে, আমরা হয়ে পড়ছি বধির; টিভি ও কম্পিউটারের ভার্চুয়াল জগতে নিবদ্ধ দৃষ্টি অন্ধ করে দিচ্ছে আমাদের । পশ্চিমা ক্যারিয়ারমুখী- ভোগবাদী সংস্কৃতি এসময় আমাদের যেন মুক্তিযুদ্ধ থেকে আরো আলোকবর্ষ দূরে নিয়ে যেতে চায়।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ও বস্তনিষ্ঠ ইতিহাসের চর্চা থেকে। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ও রাষ্ট্রক্ষমতার আশেপাশে থেকে প্রতিক্রিয়াশীলরা ইতিহাস বিকৃত করেছে, মুক্তিযুদ্ধকে আড়ালে আবডালে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে। শুধু তারাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবিদারদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে খ-িতভাবে উপস্থাপন করেছেন মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের কাছে। আবার সংকীর্ণ যান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন প্রগতিশীলতার ধ্বজাধারী কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপকতর ও বহমুখী মাত্রা ও সেই সংগ্রামে শামিল গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি না করতে পেরে ভুল সূত্রায়ন করেছেন। ফলে মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের নানামাত্রিক বিভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। ইতিহাসচর্চায় ব্যাপক আগ্রহ না থাকলে, ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও সমাজের গতিমুখ সম্পর্কে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে না উঠলে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপকতাকে অনুভব করা কঠিন। তাই মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের অনেকের কাছেই মুক্তিযুদ্ধ সীমিত কেবল নয় মাসে, কিংবা বড়জোর ১৯৫২ থেকে ১৯৭১-এর ঘটনাপ্রবাহের অগভীর বিশ্লেষণে।
অথচ ইতিহাসের নিবিড় পাঠ ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এ কথা বোঝা কঠিন নয় যে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল নয় মাসের যুদ্ধের ইতিহাস নয়। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচনা করতে, মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য নানামাত্রিক সংগ্রামের প্রয়োজন হয়েছে। শোষিত, বঞ্চিত এদেশের মানুষ সংগ্রাম করেছে নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তির তাগিদে। মুক্তিযুদ্ধের ভ্রুণ সৃষ্টি হয়েছিল ব্রিটিশ শাসন শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধপর্বের সূচনাকাল থেকে। শতাব্দীর অধিককাল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এবং দুই যুগ ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগঠিত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াইয়ে সে ভ্রুণ বিকশিত হয়েছে, নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে তা পেয়েছে পুর্ণাঙ্গ আকার-আকৃতি এবং ভূমিষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি।
দুর্ভাগ্য আমাদের, বিজয়ের চার দশক পরেও দেশে প্রতিক্রিয়ার শক্তিরা বিলীন হয় নি। দেশ মুক্তিযুদ্ধ নির্দেশিত প্রগতির পথে আজো চলছে না। আমরা দেখছি এইসময়েও দেশের অধিকাংশ মানুষ পায় না খেতে, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত মেহনতী মানুষের সন্তানেরা। সা¤্রাজ্যবাদনির্ভর লুটেরা পুঁজি বৈষম্য বাড়িয়ে চলেছে। নতুন নতুন কলকারখানা সেভাবে গড়ে উঠছে না, গড়ে উঠলেও সেখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চরম সংকট। মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতিতে মানুষ দিশেহারা। দুর্নীতি, লুটপাটে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু মানুষ, আর দিশেহারা শতকরা ৯৯জন মানুষ। গার্মেন্টসে, বস্তিতে আগুনে পুড়ে মরছে শ্রমিক ও মেহনতী মানুষেরা। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা হিং¯্র বিষদাঁত বের করে আছে। আজো বঙ্গোপসাগরে সেই হায়েনার আনাগোনাÑ আবারো আগ্রাসন চালাতে তৈরি মার্কিন ৭ম নৌবহর। দেশের সম্পদ লুটে নিতে মরিয়া বহুজাতিক কোম্পানীগুলো। সা¤্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু এদেশের শাসকগোষ্ঠী। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। প্রকৃত মুক্তি তো সুদূর পরাহতÑ আমাদের সার্বভৌমত্বও আজ হুমকির মুখে।
আমাদের র্প্বূপ্রজন্মের একজন, হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন, ‘আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম’? রুদ্র লিখেছেন, ‘জাতির পতাকা আজো খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’। সৈয়দ শামসুল হক আবারো এই বাংলায় নুরুলদীনের মতো বীরের আগমনের প্রতীক্ষা করে আছেন, যিনি সবাইকে ডাক দেবেন, ‘জাগো বাহে, কুনঠে সবাই’ বলে। তাহলে আমাদের পূর্বপ্রজন্ম- মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম, কোন বাংলাদেশ আমাদের জন্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন? কোন বাংলাদেশের জন্য তারা অকাতরে জীবন দিয়েছেন? তা কি শুধুমাত্র একটি স্বাধীন ভূখন্ডের জন্য? নাকি মুক্তিযুদ্ধের ‘মুক্তি’ শব্দটির মধ্যে নিহিত ছিল আরো ব্যাপক ও মহত্তর স্বপ্নের বীজ? ১৯৭১-এ যে বীজ তারা বপন করেছিলেন, আজ চার দশক পরে সেই বীজের অঙ্কুরোদগম কী হয়েছে, ডালপালা বিস্তৃত হয়েছে কী সেই স্বপ্নের? নাকি অঙ্কুরেই সেই স্বপ্নকে বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লাগা প্রতিক্রিয়ার শক্তি নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে?
শত বছরের সংগ্রামের সঞ্চিত শক্তিতে সংগঠিত এই মুক্তিযুদ্ধের শক্তিএত বিপুল যে, দেশি বিদেশি নানামাত্রিক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতাকাঠামোর আশেপাশে থেকে প্রতিক্রিয়াশীল ‘পুরনো শকুন’দের মরিয়া প্রচেষ্টা স্বত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করা যায় নি। এদেশের সাধারণ মানুষ কখনো প্রকাশ্য, কখনো অপ্রকাশ্য সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে নিজের মত করে। মুক্তিযুদ্ধ তাদের কাছে এক মহৎ লড়াই। মুক্তিযুদ্ধ মানেই শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ মানে অর্থনৈতিক মুক্তি। মুক্তিযুদ্ধ মানে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের লড়াই। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও মুক্তিসংগ্রামের সেই চেতনা একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি, বরং নানা রকম বিভ্রান্তি ও সংশয় নিয়েও মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের কাছে তা পৌছে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লড়াইয়ে তাই দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ। সত্যিকার প্রগতির পথে দেশ পরিচালিত হলে যেটুকু বিভ্রান্তি ও সংশয়ের ধোঁয়াশা রয়েছে, তাও উড়ে যাবে ধীরে ধীরে।
তবুও, মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পরেও আমরা স্পষ্টতই অনুভব করতে পারছি, মুক্তিযুদ্ধ অসমাপ্ত থেকে গেছে। যে বাংলাদেশ আমাদের পূর্বপুরষেরা চেয়েছিলেন, যার জন্য অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেননিÑ সেই বাংলাদেশ গড়তে এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি ও খ-িত উপস্থাপন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানপন্থী শক্তির আস্ফালন, সা¤্রাজ্যবাদের কালো থাবা আমাদের প্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে উপলব্ধি করে এই প্রতিকূল সময়ে সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, লুটেরা অর্থনীতি, ভোগবাদী সংস্কৃতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিতে হবে মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের, ঘুরিয়ে দিতে হবে ‘চলতি হাওয়া’র রুগ্ন প্রবণতা। যুদ্ধাপরাধের বিচার নস্যাৎ করার যেকোন ষড়যন্ত্রকে রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে সমূলে উৎখাত করতে হবে তারুণ্যের শক্তিতে। মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনই আজ মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।
এই বাস্তবতায়, গৌরবময় ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ তুর্কীদেরই স্বপ্নের সমতার সমাজ সৃজনের তাগিদে হয়ে উঠতে হবে একেকজন নুরুলদীন। দিতে হবে জেগে ওঠার ডাক, ‘জাগো বাহে, কোনঠে সবাই’। মুক্তিসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস ও চেতনা তুলে ধরতে হবে সর্বস্তরে। পাশাপাশি এই প্রজন্মের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মীদের, সাহিত্যিকদের পাল্টা আধিপত্য তৈরি করতে হবে বিদ্যমান বিচ্ছিন্নতার, স্বার্থপরতার, ভোগবাদী দর্শনের বিপরীতে। নির্মাণ করতে হবে গণমানুষের পক্ষে আগামীর গান-কবিতা-কথাসাহিত্য-নাটক-চলচ্চিত্র। আর এই পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলার মাধ্যমে গণমানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, সম্পৃক্ত করার ঐতিহাসিক দায়িত্বটিও পালন করতে হবে মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মকেই। মুক্তিসংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের মিশে যেতে হবে মানুষের কাছে। সম্পৃক্ত হতে হবে মেহনতী মানুষের সংগ্রামে। মেহনতী মানুষের স্বার্থের সাথে নিজেদের স্বার্থের ঐক্যসূত্র খূঁজে নিয়ে সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বৈষম্য ও শোষণহীন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে পরিচালিত করতে হবে নিরন্তর রাজনৈতিক সংগ্রাম। এই সংগ্রামের পথই মুক্তিযুদ্ধের পথ।
মুক্তিযুদ্ধের পথই প্রগতির পথ। প্রতিক্রিয়ার শক্তিরা তাই সময়ের সাথে সাথে মুখ থুবড়ে পরবে, আর মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শক্তি সঞ্চয় করবে এটাইতো স্বাভাবিক। সেই প্রগতি-পথে সামনে এগিয়ে যাবার লড়াইয়ের মশালটি বহন করার দায় এখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্মেরই কাঁধে। মুক্তিযুদ্ধে পূর্বসূরীদের গৌরবময় ভূমিকা হোক সেই লড়াইয়ে প্রেরণার অফুরন্ত উৎসধারা।
ঁ