ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও বিজয়কে টিকিয়ে রাখতে হলে ইসলামি শক্তিকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। যারা বলেন ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে তারা মিথ্যা বলেন। ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করেই সংবিধানে বিসমিল্লাহ, আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো সংবিধান থেকে বাদ দেয়া দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করা জনগণ কোনো দিন মেনে নেবে না। লালবাগের কার্যালয়ে গতকাল বাদ জোহর বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে মোনাজাতের প্রাক্কালে তিনি এ কথা বলেন। বিজ্ঞপ্তি।
সূত্র ।
খবর সম্পর্কে: আমিনী ঠিক কথাই বলেছেন।
বর্তমানে কিছু সংখ্যক দাঙ্গাবাদী কর্তৃক আমাদের স্বাধীনতার অপব্যবহার দেখে বুক থেকে ফুঁসে উঠা আমার কিছু কথা---
বিজয়ের মাস এখনো বহমান। দিবসের রেশ এখনো কম্পমান। স্বাধীনতা কে না চায়? কিন্তু স্বাধীনতার নামে আরেক পরাধীনতা কারুরই কাম্য নয়। এদেশ প্রথম স্বাধীন হয় ৪৭-এ। তারপর স্বাধীন হয় ৭১-এ। তারপর স্বাধীন হয় ৭৫-এ।
মেজর জলীল ঠিকই বলেছেন- "অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা"। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে যারা সওদাবাজী করছে তারা ধীরে ধীরে এ সম্পদকে অরক্ষিত করে তুলছে। তারা এখন দেশের মানুষের মাঝে পারস্পরিক হানাহানির আগুন জ্বালাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রকারান্তরে তারা দেশকে ঠেলে দিচ্ছে আরেক পরাধীনতার দিকে।
দেশের ভেতর হানাহানি শুরু করে দিতে পারলে তা বন্ধ করার জন্য ছুটে আসবে এ যুগের সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি আমেরিকা। সে বাংলাদেশকে ঠান্ডা করতে ডাকবে তার মাসতুত ভাই ভারতকে। পর্যায়ক্রমে এদেশ 'শান্তি প্রতিষ্ঠা'র নামে বরণ করবে আরেক পরাধীনতা।
এগুলো অবস্থার পর্যবেক্ষণে ধারণা মাত্র। দো'আ করুন- যেন সবটুকু ধারণাই থেকে যায়।
তবে রুখে দাঁড়াতে হবে স্বাধীনতা স্বঘোষিত তল্পিবাহক এসব দাঙ্গাবাজদের। শান্তি-সম্প্রীতি-সৌহার্দ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এদেশের ঐতিহ্যের ধারণা থেকে। বাংলাদেশের সহস্র বছরের সুনাম পণ্ড করতে যে অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করার অপচেষ্টায় তৎপর, তাদেরকে চিনুন ও প্রতিহত করুন।
-অভিযাত্রী।