ময়মনসিংহের ১ হাজার ১০০ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সংবিধান বহির্ভূত। দেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করা হলেও একটি মহল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের নামে জাতিকে বিভক্ত করে দেশে নির্বাচন না হওয়ার মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের বিদেশী প্রভুদের ডেকে আনতে চায়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশকে চরম বিশৃঙ্খলা থেকে উদ্ধার করে দুর্নীতি উচ্ছেদসহ স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত ঠিক তখনই দেশের কিছু চিহ্নিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের নামে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সূত্র
এদিকে খেলাফত আন্দোলন বলেছে:
ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের দাবি অযৌক্তিক
একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম, ইসলাম ও মুসলমানির বিরুদ্ধে নয়। তাই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল বক্তারা এ কথা বলেন। মহানগরী আমীর মাওলানা কাজী আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা হামিদুল্লাহ ইবেন হাফেজ্জী হুজুর, নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কাজী আজিজুল হক, প্রচার সম্পাদক মোঃ আজম খান প্রমুখ। সূত্র
অন্যদিকে তাসলিমা নাকি ধীরে ধীরে তার লেখালেখি নিয়ে "সুস্থা" হতে শুরু করেছে:
তসলিমার ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইন প্রত্যাহার
এনডিটিভি
বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইনগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তসলিমাকে দেশটিতে অবস্থানের অনুমতি দেয়ার মাত্র দু’দিন পর এ পদক্ষেপ নিলেন তিনি। ভারত সরকার অবশ্য তাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
অজ্ঞাত স্থান থেকে এনডিটিভি’র সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইনগুলো আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে নেয়ার সময়ের স্মৃতিচারণ করে ২০০২ সালে এই বইটি আমি লিখেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা অত্যন্ত মূল্যবান। আমি চেয়েছিলাম, বাংলাদেশের সংবিধানে এটা থাক। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য বইটি লিখিনি। কিছু মানুষ দাবি করেছেন, তাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এটা ইচ্ছাকৃত নয়। আমি আশা করি এ ব্যাপারে আর কোনো বিতর্ক থাকবে না এবং আমি শান্তিপূর্ণভাবে ভারতে বাস করতে পারব।’ ২০০৩ সালে ‘দ্বিখণ্ডিত’ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ভারত সরকার তা নিষিদ্ধ করে।
কলকাতায় গত ২১ নভেম্বর তসলিমাকে ভিসা দেয়ার প্রতিবাদে মুসলমানরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় কলকাতায় কাফুê্য জারি করা হয়। পরে তাকে কলকাতা থেকে সরিয়ে প্রথমে নয়াদিল্লি এবং পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারত থেকে আহমদ হাসান ইমরান জানান, খবরে বলা হয়েছে, তসলিমার বিতর্কিত বই দ্বিখণ্ডিত’র পরবর্তী সংস্করণে ইসলামের নিন্দা-মন্দ করা পৃষ্ঠাগুলো বাদ দেয়া হবে। কিন্তু বর্তমান সংস্করণ কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট নেই। যদি প্রকাশক তসলিমার ভাষায় ‘বিতর্কিত সংস্করণ’ আরো কয়েকবার ছেপে বাজারে চালাতে থাকে তবে কে তা দেখতে যাচ্ছে? আর কাউকে খুন বা হত্যার করার পর দুঃখপ্রকাশক করলেই আইন কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয় না। তসলিমা ধর্ম ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে অপমান ও গলিগালাজ করে প্ররোচনা সৃষ্টি করেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘন করেছেন। সূত্র
তবে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের সরকারী উদ্যোগ তথা "প্রত্ননিদর্শন ফ্রান্সে প্রেরণের প্রস্তুতির প্রতিবাদে শাহবাগে বিড়্গোভ, ঘেরাও" খবরটি অপ্রিয় এবং ক্ষোভের; মেনে নিতে পারছি না।