somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১১০০ আলেমের বিবৃতি: ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সংবিধান বহির্ভূত

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ময়মনসিংহের ১ হাজার ১০০ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সংবিধান বহির্ভূত। দেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করা হলেও একটি মহল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের নামে জাতিকে বিভক্ত করে দেশে নির্বাচন না হওয়ার মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের বিদেশী প্রভুদের ডেকে আনতে চায়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশকে চরম বিশৃঙ্খলা থেকে উদ্ধার করে দুর্নীতি উচ্ছেদসহ স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত ঠিক তখনই দেশের কিছু চিহ্নিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহল ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের নামে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সূত্র ;)

এদিকে খেলাফত আন্দোলন বলেছে:
ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের দাবি অযৌক্তিক

একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম, ইসলাম ও মুসলমানির বিরুদ্ধে নয়। তাই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল বক্তারা এ কথা বলেন। মহানগরী আমীর মাওলানা কাজী আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা হামিদুল্লাহ ইবেন হাফেজ্জী হুজুর, নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কাজী আজিজুল হক, প্রচার সম্পাদক মোঃ আজম খান প্রমুখ। সূত্র

অন্যদিকে তাসলিমা নাকি ধীরে ধীরে তার লেখালেখি নিয়ে "সুস্থা" হতে শুরু করেছে:
তসলিমার ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইন প্রত্যাহার

এনডিটিভি

বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইনগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তসলিমাকে দেশটিতে অবস্থানের অনুমতি দেয়ার মাত্র দু’দিন পর এ পদক্ষেপ নিলেন তিনি। ভারত সরকার অবশ্য তাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
অজ্ঞাত স্থান থেকে এনডিটিভি’র সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে বিতর্কিত লাইনগুলো আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে নেয়ার সময়ের স্মৃতিচারণ করে ২০০২ সালে এই বইটি আমি লিখেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা অত্যন্ত মূল্যবান। আমি চেয়েছিলাম, বাংলাদেশের সংবিধানে এটা থাক। আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য বইটি লিখিনি। কিছু মানুষ দাবি করেছেন, তাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এটা ইচ্ছাকৃত নয়। আমি আশা করি এ ব্যাপারে আর কোনো বিতর্ক থাকবে না এবং আমি শান্তিপূর্ণভাবে ভারতে বাস করতে পারব।’ ২০০৩ সালে ‘দ্বিখণ্ডিত’ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ভারত সরকার তা নিষিদ্ধ করে।
কলকাতায় গত ২১ নভেম্বর তসলিমাকে ভিসা দেয়ার প্রতিবাদে মুসলমানরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় কলকাতায় কাফুê্য জারি করা হয়। পরে তাকে কলকাতা থেকে সরিয়ে প্রথমে নয়াদিল্লি এবং পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারত থেকে আহমদ হাসান ইমরান জানান, খবরে বলা হয়েছে, তসলিমার বিতর্কিত বই দ্বিখণ্ডিত’র পরবর্তী সংস্করণে ইসলামের নিন্দা-মন্দ করা পৃষ্ঠাগুলো বাদ দেয়া হবে। কিন্তু বর্তমান সংস্করণ কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট নেই। যদি প্রকাশক তসলিমার ভাষায় ‘বিতর্কিত সংস্করণ’ আরো কয়েকবার ছেপে বাজারে চালাতে থাকে তবে কে তা দেখতে যাচ্ছে? আর কাউকে খুন বা হত্যার করার পর দুঃখপ্রকাশক করলেই আইন কিন্তু তাকে ছেড়ে দেয় না। তসলিমা ধর্ম ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে অপমান ও গলিগালাজ করে প্ররোচনা সৃষ্টি করেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘন করেছেন। সূত্র


তবে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের সরকারী উদ্যোগ তথা "প্রত্ননিদর্শন ফ্রান্সে প্রেরণের প্রস্তুতির প্রতিবাদে শাহবাগে বিড়্গোভ, ঘেরাও" খবরটি অপ্রিয় এবং ক্ষোভের; মেনে নিতে পারছি না
১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×