গত ১৫ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে যে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়টি জনপদের পর জনপদকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তার তুলনা ১৯৭০ সালে বরিশাল ও ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ধ্বংসকারী ঝড়ের সাথেই হতে পারে। এবারের প্রলয়ঙ্করী ঝড়ে ..............মৃতের সংখ্যা ......স্বয়ং রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান বলেছেন, ...... ১০ হাজারের ঊর্ধ্বে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন হূদয়বিদারক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডাররা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে নিউ ডিওএইচএস’র অভিজাত রাওয়া ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ভুল বুঝবেন না। আলোচনার বিষয়বস্তু দুর্গত বিপন্ন মানুষের ত্রাণকাজ বিষয়ক ছিল না। আলোচনা হয়েছে মুক্তযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম নিয়ে। উপকূলে আমাদেরই দেশের মানুষের ক্ষুধা নিবারণের অন্ন নেই, পিপাসা নিবারণের জন্য সুপেয় পানি নেই, মাথার ওপর কোনো আচ্ছাদন নেই। তাতে সেক্টর কমান্ডারদের বয়েই গেল। ......... লিখেছেন: মাহমুদুর রহমান ফাটাফাটি লেখা, পুরোটা মিস করবেন না যেন কেউ...
বি.দ্র: সময়ের অভাবে পুরোটা কনভার্ট করে দিতে পারলাম না। লিংক ফলো করুন প্লিজ।
আরো কিছু দৃষ্টি আকর্ষন মূলক খবর:
আন্তর্জাতিক হেফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী হাফেজের সাফল্য
মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ (রাবেতা আলম আল ইসলামী) অধিভুক্ত হোলি কুরআন মেমোরিজ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল অরগানিজ্যাশন (আল হাইয়া আল আলামিয়া লি তাহফিজিল কুরআন আল কারিম) ও কুয়েত আওকাফ ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক হাফেজ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশী হাফেজ নাজমুছ ছাকিব (১২) দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। .......নাজমুছ ছাকিব চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার অড়পুর গ্রামের মরহুম আনোয়ার হোসেন মাস্টারের ছেলে। সে বর্তমানে জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত। বিজ্ঞপ্তি। বিস্তারিত........
অভিযাত্রীর কথা: উপরের খবরের মত আরো অসংখ্য খবর আমরা পড়েছি যেগুলোতে বাংলাদেশী ছাত্রদের সাফল্য গাঁথা সমুন্নত। এসব কিছু এটাই প্রমাণ করে যে, এদেশের মানুষের মনে তথা এদেশের মাটির অনেক গভীরে ইসলামের শিকড় বিস্তৃত। অতএব এদেশ থেকে ইসলামকে বিতাড়নের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত তাদের উচিত এ দিবাস্বপ্ন চোখ থেকে মুছে ফেলা।
আরো খুশীর খবর:
এবারে দূর্যোগে সবচেয়ে বেশি সাহায্যের ও বিপদে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে মক্কা-মদীনার দেশ সৌদি আরব।
খবরে বলা হয়: প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গতদের জন্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুত ত্রাণসহায়তায় এখন পর্যন্ত সৌদি আরব শীর্ষে রয়েছে। সৌদি আরব ১০০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬৯০ কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রাণসহায়তার পরিমাণ মাত্র ১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত পূর্বঘোষিত ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ মিলিয়ন মিলে উন্নয়ন সহযোগীদের মোট খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ১৯৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৯০ কোটি টাকাই সৌদি আরবের, যা বিদেশী প্রতিশ্রুত সাহায্যের অর্ধেকেরও বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। জাপান দিয়েছে ১৮.০২ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১২৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর ভারত দিয়েছে ১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬ কোটি ৯০ লাখ। যদিও ভারত বলেছিল তারা ২২ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়েছে। অথচ তাদের এ টাকা ২১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকাই গত বন্যায় দেয়া ত্রাণসহায়তা। এ ছাড়া কুয়েত ১০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা, যুক্তরাজ্য ১০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা, ইসি ৯.০৮ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা, তুরস্ক ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, নরওয়ে ৩.৩৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ২৩ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বেলজিয়াম ২ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, জার্মানি ১.৪৪ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, চীন ১.০৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৭ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইতালি ১.৫২ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শ্রীলঙ্কা ০.০২৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ইউএন ৭ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, কানাডা ৩.৪ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ২৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, অস্ট্রেলিয়া ২.৭৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্পেন ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা , সুইডেন ১.২৬ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৮ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, নেদারল্যান্ড ৭.২০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, লিবিয়া ১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সুইজারল্যান্ড ০.১৬ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, কোরিয়া ০.০৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং থাইল্যান্ড ০.০১৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ত্রাণসহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা এবং এডিবি ২০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৩৮ কোটি টাকার অর্থ ঋণের আশ্বাস দিয়েছে। সূত্র
অভিযাত্রীর কথা: মুসলিম ভাইদের সাহায্যে অপর মুসলিম ভাইদের এমনি হওয়া উচিত। কি বলেন?