বেশ কিছুদিন জেলে থাকার কারনে দেশের অনেক কিছুই জানা হয়নি। এরপরেও একটা জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতেই বা কম কিসে! তাছাড়া বিবিসি তো শুনতে মানা নাই। বিটিভি না হয় সরকারের খারাপ কোন বিষয় দেশের মানুষকে জানতে দিতে চায় না কিন্তু অন্যান্যরাতো এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
পেপারাটা যখন হাতে পাই তখন সবার আগে চোখ পড়ে গতকাল দেশে কতজন খুন হয়েছেন! চোখ পড়বেই না বা কেন, কারন সেই খবরটাই তো পেপারের হেডলাইন করা হয়। এখানে খুন, সেখানে গুম, ওখানে অপহরন আরও কতকি! এগুলো দেখে ও শুনে কি যে খারাপ লাগে তা বুঝাতে পারবো না। তবে কষ্টটা তখন আরও বেড়ে যায় যখন এতকিছু দেখার পরেও আমাদের সম্মানিত(!?)মন্ত্রী মহোদয় বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল! তাঁর কাছে জানতে ইচ্ছা হয় যে "আপনার নিকট ভালর সংজ্ঞাটা আসলে কি?"
আমাদের আরেক মন্ত্রী মহোদয় বললেন "কম খাওয়া"র জন্য! তাঁর যেহেতু অনেক সম্পদ আছে তাই তিনি সেখান থেকে কম খেতে পারেন কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যাদের সেই খাওয়ার সামর্থই নাই তিনি কি করবেন, সেই গরীব মানুষদের জন্য আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শ কি? কারন আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল বলা হলেও মূলত তা এখনও দরিদ্র্য দেশ হিসেবেই বিশ্ব দরবারে পরিচিত। এখন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র্য সীমার নিচে বাস করেন বলে জানি।
ভারতকে অনেক ধন্যবাদ এই কারনে যে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্র সফলভাবে বাস্তবায়ন করেতে পারছে বলে! কোন দেশকে পঙ্গু বানানোর জন্য সে দেশের যুব সমাজ আর সংস্কৃতিকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট বলে মনে হয়। ভারত সফলতার সাথেই তা করতে পেরেছে। নেশার যত উপকরণ আছে তার সবকিছুই ভারত আমাদের দেশের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের যুব সমাজকে ইতোমধ্যেই ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। অপরদিকে ডিশের নামে তাদের সকল পঁচা সংস্কৃতি আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দিয়ে পুরো সাংস্কৃতিক অঙ্গনকেই শেষ করে ফেলেছে অথচ আমাদের এত ভাল সংস্কৃতিও কখনও ভারত নিতে চাচ্ছে না!
জেলে থাকতে একজন ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আমাকে দুঃখ করে বললেনঃ আমার কাছে ১০০বোতল ফেনসিডিল ছিল, প্রশাসনের লোক যখন আমাকে গ্রেফতার করে তখন তারা কারাকারি করে ২০বোতল ফেনসিডিল খেয়ে ফেলে আর মামলায় উল্লেখ করে যে আমার কাছে নাকি ৮০বোতল ডাল পাওয়া গিয়েছিল!
ভারত ইতোমধ্যেই আমাদের বিডিআরকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। এরপরও কেন জানি আমরা ভারতকে তোষামোদ না করে শান্তি পাই না তা আমার বুঝে আসে না।
রমজান মাস চলছে অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া, সরকার সেই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নিতে পারছে না না নিচ্ছে না সেই ব্যাপারেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে!
লোডশেডিং থাকবেনা বিশেষ করে রমজান মাসের বিশেষ সময়গুলোতে এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা উচ্চস্বরে কিছুদিন আগে বলেছিলেন অথচ দেশবাসী জানে বিদ্যুতের কি অবস্থা, আজকেও আমরা ইফতার করেছি মোমবাতির আলোতে!