এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধন এবং স্টেডিয়াম নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করছেন সমালোচকরা। বিশ্ববাসী একটু হতাশ হলেও, অলিম্পিক প্রতিবারই ছাড়িয়ে যায় নিজেকে। এবার দেখে নেবো বিগত কয়েকটি অলিম্পিক স্টেডিয়ামের খবর...
অলিম্পিক আসরগুলোর মধ্যে যেগুলো নজর কেড়েছে তার মধ্যে বেইজিং অলিম্পিক ২০০৮ অন্যতম। চীনের জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ এর আসর। এই স্টেডিয়ামের ডাক নাম হলো বার্ডস নেস্ট বা পাখির বাসা। ২০০৩ এর ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০৮ এর জুনে। আর এটি তৈরীতে মোট খরচ হয় ৪২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনিতে এর ধারণক্ষমতা ৮০হাজার হলেও ২০০৮ অলিম্পিকের সময় ৯১ হাজার দর্শক উপভোগ করেছিলো খেলা।
অলিম্পিকের জন্মস্থানে অলিম্পিক ঘুরে এসেছিলো ২০০৪ সালে। ১৮৯৬ এ প্রথম অলিম্পিকের ম্যারথন বিজয়ী স্পাইরোস লুইসের নামানুসারে এথেন্সের এই স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হয় স্পাইরোস লুইস স্টেডিয়াম। ১৯৭৯ সালে কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৮২ সালে। এরপর অবশ্য ২০০৪ অলিম্পিককে সামনে রেখে পুণ:নির্মান করা হয় স্টেডিয়ামটির। তাতে খরচ হয় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার। আর এর ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার।
খেলা প্রেমীদের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিলো যে অলিম্পিক সেটা হলো ২০০০ সিডনী অলিম্পিক। এ এন জেড স্টেডিয়াম বা স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার কাজ শুরু হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে। ৬৯০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে খুলে দেয়া হয় ১৯৯৯ এর মার্চে। চোখ ধাঁধানো এই স্টেডিয়াম অস্ট্রিলিয়ায় সিডনী অলিম্পিকে দর্শক ছিলো ১ লাখ দশ হাজার যা মূল ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ হাজার বেশি।
১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিক অনিুষ্ঠিত হয়েছিলো সেন্টেনিয়াল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ২০৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এই স্টেডিয়ামটি তৈরী করতে সময়র লেগেছিলো পাক্কা তিন বছর। সেন্টেনিয়াল স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৮৫ হাজার।
বিশ্ববাসী আরেকটি ভুবন ভুলানো অলিম্পিক উপভোগ করেছিলো ১৯৯২ সালে। স্পেইনের বার্সেলোনা অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলো প্রায় ৫৬ হাজার দর্শক। ১৯২৭ সালে এই স্টেডিয়ামটি তৈরী হলেও ১৯৮৯ সালে নতুন করে আবার সাজানো হয়েছিল বার্সেলোনা অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে।
এবারে ২০১৬ ব্রাজিল অলিম্পিক। রিও ডি জেনিইরোতে অবস্থিত স্তাদিও জার্নালিস্তা মারিও ফিলহো তে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ১৯৫০ সালে স্টেডিয়ামটি চালু হলেও ২০০৬ এ পুণ:নির্মান করা হয় এটি। আর অলিম্পিকের আগে আরো একবার সাজানো হবে এই স্টেডিয়াম। বিশ্ববাসী এখন তাকিয়ে আছে নতুন এক চমকের দিকে। তবে যত যাই হোক না কেন, অলিম্পিক প্রতিবারই ছাড়িয়ে যায় নিজেকে।

আলোচিত ব্লগ
অনু গল্পঃ ব্যর্থ বাসনার দাহ
খুব তাড়াহুড়া করে বের হয় তন্দ্রা, আজ স্কুলে যাবে না, কোনো টিউশনি করাবে না, ফোন করে সব student-কে মানা করে দিয়েছে। এগারোটার আগে ওকে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হবে।
নাবিল আসছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ডায়েরী- ১৫২
এনসিপি আওয়ামীলীগকে এত ভয় পাচ্ছে কেন?
অলরেডি আওয়ামীলীগের তো কোমর ভেঙ্গে গেছে। তবু রাতদুপুরে এত আন্দোলন কেন? দেশে ১৮/২০ কোটি মানুষ। তারা তো আওয়ামীগকে ভয় পাচ্ছে না। তাহলে এনসিপির এত... ...বাকিটুকু পড়ুন
তারেক জিয়ার দেশে না ফেরার কারণ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর কেটে গেলেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি কি দু’জন ভারতীয়র আচরণ দিয়ে পুরো ভারতকে বিচার করব?
সাম্প্রতিককালে একটি আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে ভারত এবং চীনের জনসংখ্যাগত আনুপাতিক কারণে অংশগ্রহণ বেশি। এই কমিউনিটিতে ভারত, চীন ছাড়াও পাকিস্তান, নেপাল, ইউক্রেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুদ্ধের মঞ্চে রাজনীতির খেলা: জনগণের বেদনা ও শাসকের বিজয়গাথা
দীর্ঘ তিন বছরের কূটনৈতিক আলোচনার পর ৬ মে ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর করে, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে... ...বাকিটুকু পড়ুন