কিছুদিন আগে রেগেমেগে ফ্লাডিং করেছিলাম। কতর্ৃপক্ষ আমাকে ব্যান করেছেন প্রথম পাতায়। ইমরান হাসান কিংবা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার প্রয়াসটা মাঠেই মারা গেছে বলতে হয়। তিনি একটি দায়সারা পোস্ট দিয়ে, সবার মতামত চেয়ে ক্লাসে চলে গেছেন। উল্টো ফাপড়- আপনাদের কথা শুনলে মনে হয়, সামহোয়ার ব্লগ খুলে আমরা অপরাধ করে ফেলেছি।
এখানে না বলে পারছি না, অনেকদিন ধরেই এই ব্লগে আসি। একটা নেশার মতো হয়ে গেছে। সুস্থ্য একটা আড্ডার জায়গা যাতে ঘিনঘিনে না হয়, সেটা ঠেকানো আবশ্যিক মানি। কারণ সামহোয়ার আপনার যতখানি, আমাদের কাছে তারচেয়ে কম নয় একবিন্দুও।
কে যেন বলেছেন, পত্রিকায় অপাংক্তেয় সব লেখা এখানে ছাপা হয়, ছেপে যান ব্লগাররা। দীর্ঘদিন পত্রিকায় থাকার সুবাদে বলতে পারি ভুল বলেননি সে ব্লগার। এসব লেখার 80% মানোত্তীর্ণ নয়। সুনীল সমুদ্্েরর মতো কবি এখন লিখেন না। শরৎ ও সুমন চৌধুরী ভয়ে লিখেন না। শেখ জলিল কনফিউজড। লিখব!
আসা যাক শিরোনামের কথায়। গতকালই অস্ট্রেলিয়ার ক্রোকোডাইল হান্টার নামে খ্যাত স্টিভ আরউইনকে নিয়ে সকালে ও রাতে দুটো পোস্ট পড়েছে। বিজ্ঞানী সফদর আলী ও গোপাল ভাড়। তারা সংবাদটা পড়েছেন, সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। একজন লিংক দিয়ে জানিয়েছেন বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে পড়ে নিতে পারেন। আরেকজন তার আক্ষেপ জানিয়েছেন, কিন্তু সেটা ব্লগিংয়ের ধাচে। আজ যে কোনো ঘটনা নিয়ে আমি আমার পোস্ট দিতে পারি, সেটা বিশ্ল্লেষণ হতে পারে কিংবা মন্তব্য প্রতিবেদন।
আগে জাকিরুল হক তালুকদার তার পত্রিকার ছাপা না ছাপা সব লেখা তুলে দিতেন ব্লগে। এম হুসেইন ছিলেন সেই টাইপের একজন। হাবিব মহাজনের শুরুটাও তাই। উনি ইন্টারনেট ঘাটতেন, প্রচুর নিউজ অনুবাদ করে ছাড়তেন। তো ফোর্বস ম্যাগাজিনকে উনি একবার ফোরবিস লেখার পর বোঝা গেছে তার সমস্যাটা কোথায়। আর আলী এখন যা করছেন সেটা হুসেইন করতেন।
দুজনের কারো প্রতিই আমার বিদ্বেষ নেই, বিরোধও নেই। ধরে নিচ্ছি দুজনেই নিউজম্যান। এমনও হতে পারে কালই এক পত্রিকাতেই কাজ করব। হাবিব মহাজন যেই সিভি দিয়েছেন তাতে তো মনে হয় উনি লিখলেই মোটামুটি আট-দশটা পত্রিকা সেটা ছাপিয়ে দেবে নিশ্চিত। (কথাটা একটি মন্তব্য পড়ে লেখা, যেখানে উনি দাবি করেছেন কোন পত্রিকায় তার লেখা দেখতে চান!)। আমি অতো দূরে যাবার সৌভাগ্য অর্জন করিনি। তবে ব্ল্লগের স্বার্থে একটা অনুরোধ করার মতো শক্ত মাটি পায়ের নিচে আছে বলেই জানি।
আলী আপনি সবচেয়ে ভালো হয় সংবাদ কনিকা বা আজকের খবর নামে একটা পোস্ট দিন প্রতিদিন, সেখানে ভালো ভালো নিউজগুলোর শিরোনাম এবং পত্রিকার নাম, সেইসঙ্গে দুচারলাইন সংবাদ থাকবে। যারা পড়ার ঠিক পড়ে নেবে।
হাবিব ভাই, আপনি এখন যে ধাঁচের লেখা লেখেন সেটা শোহেইল মোতাহির চৌধুরি ভাই অনেক আগে লিখে গেছেন, পড়ে দেখেন কি মচমচে স্বাদু তার লেখা। পড়ে মনেই হয় না উনি নেট ঘেটে উপাত্ত নিয়ে নিজের মতো করে লিখেছেন।
হঁ্যা। এটাই মন্ত্রগুপ্তি ভালো লেখার। টুকে লেখা যায়। কিন্তু সেটাও অখাদ্য ব্যাপার। পত্রিকার সাব এডিটররা দিনভর বিভিন্ন বার্তা সংস্থার নিউজ অনুবাদ করে যান। সেটা আলাদা মাত্রা পায় যখন কেউ পুরো ব্যাপারটা আত্মস্থ করে নিজের মতো করে লেখে। যা বুঝলেন, সেটার সঙ্গে নিজের জ্ঞান মিশিয়ে শব্দের কারিগরিতে অসাধারণ একটা পোস্ট সম্ভব।
নিবেন নাকি টেরাই একটা!