somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুচরো ব্লগিং ০২

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বসুন্ধরা সিটিতে গতকাল কে গিয়েছিলাম মুভি দেখতে । ঢাকাতে বসবাসের ভেতরে অন্যতম একটা ভাল দিক হচ্ছে এই বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে মুভি দেখা । আগে যখন ছোট ছিলাম কিংবা যখন স্কুল কলেজে পড়তাম তখন কোন দিন আমার ভাভনাতে এটাতে আসে নি যে এমন একদিন আসবে যে পুরো বিশ্বের সাথে একই দিনে বড় বড় মুভি গুলো দেখার সুযোগ পাবো । লাইক, এন্ডগেম কিংবা ইনফিনিটি ওয়্যার মুভি গুলো মুক্তি পেল, একদম তার পরের দিনই হলে গিয়ে মুভি দেখে এসেছি ।

আমি মুভি দেখতে সব সময় পছন্দ করি । ছোট বেলা থেকে মুভি দেখা মানে হচ্ছে দোকান থেকে ডিভিডি ডিস্ক ভাড়া কিংবা কিনে এনে দেখা । তাও সেটা মুভি রিলিজের কত দিন পরে সেটা ঠিক নেই । মুভি রিলিজ পেত । সেগুলো ডিভিডিতে মুক্তি পেত সেগুলো আবার মফস্বলে যেত তারপর আমরা হাতে পেতাম ! তারপর যখন ঢাকাতে এসে হাজির হলাম তখন ডিস্ক কিনে না দেখাটা বাদ হল । তার বদলে নেট থেকে ডাউনলোড করে দেখা শুরু হল । মুভি মুক্তি পাওয়ার কয়েক দিন পরেই দেখে ফেলতাম বটে কিন্তু ভাল প্রিন্টের জন্য অপেক্ষা করতে হত অনেকটা সময় । কিন্তু তারপর একটা সময় এল যে আমাদের দেশে বিশ্ব বিখ্যাত সিনেমা গুলো আসা শুরু করলো । প্রথম প্রথম এমন হত বিশ্বে অন্যান্য দেশে মুক্তির কয়েক দিন পরে মুভি গুলো স্টার সিনেপ্লেক্সে আসতো । কিন্তু তারপর থেকে এমন শুরু হল যে যেদিন মুভিটা মুক্তি পাচ্ছে ঠিক সেদিন আমাদের দেশেই মুক্তি পাচ্ছে মুভিটা । তখন আর হল প্রিন্ট দেখতে হত না । সরাসরি সিনেমা হলে গিয়েই মুভিটা দেখে আসতে পারতাম । এটা বেশ চমৎকার একটা ব্যাপার !

আমার প্রথম হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা অনেক আগে । তখন আমার বয়স অনেক ছোট । মুভিটার নাম ছিল ''চরম আঘাত''। মুভির কাহিনী আমার একদম মনে নেই । কেবল একটা দৃশ্য আামর মনে আছে । মভিতে পবিরমিত্রকে গুন্ডারা বড় রামদা দিয়ে কোপ মারছে । তার শরীরে রক্তে ভেসে যাচ্ছে । এই দৃশ্যটা মনে আছে কারণ তখন এই দৃশ্য দেখে আমি ভয় পেয়ে কেঁদে দিয়েছিলাম । হলের স্ক্রিনে বড় বড় মানুষ । এটা দেখে ভয় পেয়েছিলাম । আমাকে নিয়ে আমার বাবা হলের বাইরে চলে এল । হ্যা হলটা ছিল যশোরের বিখ্যাত মনিহার সিনেমা হল । তখন সেটাই ছিল বাংলাদেশের সব থেকে বড় সিনেমা হল !

এরপর আরও কয়েকবার পরিবারের সাথে সিনেমা দেখতে যাওয়া হয়েছে । তখনও পরিবেশ ছিল। তারপর এক সময় সেটা বন্ধ হয়ে গেল । আমার ছোট ফুফার একটা সিনেমা হল ছিল টঙ্গিবাড়িতে । দাদীবাড়ি আসলে সেখানে যাওয়া হল । এরপর ঢাকায় প্রথম সিনেমা দেখি স্টার সিনেপ্লেক্সে ২০০৫ সালে । মুভিটার নাম ছিল টাকা । বাংলা সিনেমা । আমার মনে আছে তখন টিকেটের দাম ছিল ১২৫ টাকা । ঢাকাতে এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম । তাদের সাথে যাওয়া হয়েছিলো । এরপর ঢাকাতে বসবাসের জন্য আসার পরে অনেক কয়বারই স্টারে সিনেপ্লেক্সে যাওয়া হয়েছে মুভি দেখার জন্য । বলতে গেলে সবই মার্ভেলের মুভি দেখার জন্য । একবার বাংলা সিনেমা দেখেছি তিনটা । প্রথম মুভির নাম ছিল খোজ দ্য সার্চ । কি এক হাস্যকর মুভি সেটা । দেখেছিলাম বলাকা সিমেনা হলে । তখন শুক্র-শনিবার সকালে হাফ টিকিট ছিল বলাকাতে । এক বন্ধুর সাথে গেলাম খোজ দ্য সার্চ দেখতে ! এরপরেরটার নাম ব্লাক । সেটাও খানিকটা হাস্যকর সে মুভি । অন্য মুভিটার নাম ছিল ঢাকা এটাক ! এটা মোটামুটি মানের মুভি । আর যা মুভি দেখেছি সবই ইংরেজি মুভি ।

গতকাল আবার আরেকটা মুভি দেখে এলাম ! স্যাং চি দ্যা লেজেন্ড অব টেন রিংস । মার্ভেলের মুভির তুলনায় একটু স্লো তবে মুভির কাহিনী আমার কাছে বেশ লেগেছে !

আজকের খুচরো ব্লগিং এখানেই শেষ !



সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
৪৫৬ বার পঠিত
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাই সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন: নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার

লিখেছেন বিদ্রোহী ভৃগু, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

ভূমিকাঃ

ছাত্র-জনতার সফল জুলাই বিপ্লবের পর আজ বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন ও প্রকৃত উন্নয়নের এক নতুন পথে যাত্র শুরু করেছে। নোবেল লরিয়েট ড। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=শোকর গুজার প্রভুর তরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪



প্রভু তোমার দয়ার কথা, বলে হয় না শেষ তো
কত রিযিক আহার দিয়ে, রাখছো মোদের বেশ তো!
তোমার সৃষ্টির কেরামতি, নেই কো বুঝার সাধ্য
তোমার বান্দা তোমার গোলাম, শুধু তোমার বাধ্য!

গাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুপার সানডে : সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের পথে বাংলাদেশ!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭


আজকের দিনটি বাংলাদেশের সচেতন মানুষের দীর্ঘদিন মনে থাকবে। এত সংঘর্ষ ও মারামারি অনেকদিন পর ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করলো। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মানুষ আগে থেকেই উদ্বিগ্ন তার উপর বিভিন্ন অবরোধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপে সংস্কার শেষে ভোটের পক্ষে রায় দিয়েছে ৬৫.৯ % মানুষ

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


পাগল ও নিজের ভালো বুঝে ,কখনো শুনেছেন পাগল পানিতে ডুবে মারা গেছে কিংবা আগুনে পুড়ে মারা গেছে ? মানসিক ভারসাম্য না থাকলেও মানুষের অবচেতন মন ঠিকই বুঝে আগুন ও পানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনূস সরকার নিজেই নিজের চাপ তৈরি করছে

লিখেছেন রাকু হাসান, ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩


ইউনূস সরকার সব সংস্কার কিংবা কাজ করতে পারবে না ,সেটা নিয়মিতর নিয়ম মেনে নিতে হবে । রাজনৈতিক দলগুলো , যে কালচার তৈরি করে গেছে সেটা এই সরকার আমূলে বদলে দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×