সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন ধরেই সামুতে নেই । তাই আমি নিজেই শুরু করে দিলাম । কোন ফরমাল বা আনুষ্ঠানিক কোন ইন্টারভিউ কিছু না । মনে যা এসেছে তাই জিজ্ঞেস করেছি । এবং পুরো উত্তরটুকু একেবারে আনকাট ভাবেই প্রকাশ করছি এখানে। আজকে ইন্টারভিউতে এসে হাজির হয়েছেন আমাদের সবার প্রিয় (কারো কারো অপ্রিয় ) ব্লগার শায়মা !
অপুঃ কেমন আছো তুমি?
শায়মাঃ অনেক ভালো আছি। এই সময়, এই অসহনীয় গরমের ভেতরেও কি করে ভালো থাকা যায় এবং জীবনের সব কর্মকান্ড সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া যায় সেটা একটু প্লান করে নিয়ে ঠিক ঠাক চলবার চেষ্টা করছি এবং সেটা বেশ ভালোভাবেই এখনও পারছি । তাই ভালো আছি, আনন্দে আছি।
অপুঃ সংসার কাজ কর্ম স্কুলের পরে ব্লগের আসার সময় পাও কিভাবে শুনি?
শায়মাঃ দেখো নিশ্চয় এতদিনে জেনে গেছো আমি খুবই ওয়েল অরগানাইজড একজন মানুষ। আসলে আমি আমার দিনের সারা সময়টাকে আমার কাজ অনুযায়ী ভাগ করে নেই। খুব সকালে আমি বাসা বের হয়ে যাই এবং আমার কর্মক্ষেত্র থেকে আমি কখনই কিন্তু ব্লগে লগ ইন করি না কারণ আমি যখন যেই কাজটা করি সেটাতেই ১০০% মন দিতে চেষ্টা করি। আমি বাসায় ফিরি ৪টায় । বাসায় ফিরে ইদানিং যেটা করি ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এই ৩ ঘন্টা একটু রেস্ট নিয়ে স্যুইমিং এবং একটু গিটার বা গানের চর্চা আমার যত অকাজ আছে আর কি সে সব করার চেষ্টা করি। এসবের পর আমি সাধারণত ৭ টার পর ব্লগে আসি।
এরপর আমার যত কাজই থাকুক ব্লগ খোলা থাকে। এর মাঝেই হয়ত ছবি আঁকি বা অন্য কোনো স্কুলের কাজ বা দরকারী লেখালিখি, অডিও ভিডিও এডিটিং, এসব কাজগুলোও করি। কিন্তু ব্লগ খোলা থাকে। আগেও আমি কখনও আমার কর্মক্ষেত্র থেকে ব্লগে লগ ইন করতাম না কিন্তু দিন দিন কাজের পরিধি, সময়ের পরিধি বাড়ছে। আগে অনেক কম ছিলো। তাই দুপুরের পর থেকেই লগ করে ফেলতাম ব্লগে। আর একট কথা তুমি জানো আমি নানা নিকে নানা সময় গল্প কবিতা বা অনেক রকম লেখাই লিখেছি। এটা আমার ভেতরে হয় মাঝে মাঝেই যে এখুনি এটা লিখতে হবে। অনেকটা ক্ষিধা পেলে যেমন আমরা তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে ফেলি তেমন। তখন আমি যতটুকু সময় পাই অন্যকাজে ব্যায় না করে চেষ্টা করি ব্লগে দিতে। ব্লগে আমি প্রায় রোজই লগ করি। কিছু লিখি বা না লিখি অথবা নাই মন্তব্য করি কিন্তু লগ ইন করি অন্তত একটা বার হলেও। ব্লগে অবস্থানকাল আগের থেকে আমার অনেকটাই কমে গেছে। এটার কারণ বাস্তব জীবনের কর্মব্যস্ততা ও দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া।
অপুঃ সর্ব প্রথম কিভাবে ব্লগের সাথে পরিচয় হল? কোথা থেকে কিংবা কার কাছ থেকে এই সামু ব্লগের নাম শুনতে পেয়েছিলে?
শায়মাঃ সর্বপ্রথম ২০০৮ এ প্রতিফলনের থেকে জানতে পাই এই ব্লগের কথা। তার সাথে আমার অন্য প্লাটফর্মে পরিচয় ছিলো। সে আমাকে বলে এই ব্লগের কথা। প্রতিফলন কে সেটা তুমি জানো এবং পুরোনো ব্লগাররা জানে আমাদের যৌথ উপন্যাস "বসন্তদিন" এর নায়ক এবং লেখক।
অপুঃ ব্লগিংয়ের শুরুটা কেমন ছিল?
শায়মাঃ শুরুটা খুবই মজার ছিলো। এতটাই মজার যে রবিঠাকুরের সেই গানটার সাথে তুলনা করা যায়, "গায়ে আমার পুলক লাগে, চোখে ঘনায় ঘোর"। আসলেই হঠাৎ এখানে যা খুশি তাই মনের কথা লিখতে পেরে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম আমি। তখন বাংলা লেখাটা সহজ ছিলো না আজকালকার মত। আমি ফোনেটিকে এ ইংলিশ লেটার চাপ দিলে আ হচ্ছে এটা যে কতটা অবাক করা ছিলো আমার কাছে! কিন্তু সমস্যা বাঁধলো নিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে। সেটা আমি কিছুতেই পারছিলাম না। শেষে প্রতিফলন একটা নিক বানালো চাঁদকন্যা ও সূর্য্যপুত্র আর আমাকে পাসওয়ার্ড বলে দিলো। রফা হলো আমি যখন লিখবো নীচে লিখে দেবো চাঁদকন্যা আর সূর্যপুত্র যখন লিখবে সে নীচে লিখে দেবে সূর্যপুত্র। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি কেউ আমাদের লেখা পড়বেও। কিন্তু অবাক করে দিয়ে শাহেদ রিয়াজ ভাইয়া, কালপুরুষ ভাইয়া প্রমুখ আমাদের লেখা পড়ে খুশি হয়ে কমেন্ট দিতে লাগলো। আমরা তো অবাক! আসলেই এখন বুঝি ইন্সপিরেশান, প্রশংসা বাক্য এসব মানুষকে যে কোনো কাজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। যদিও কেউ কেউ বলছিলো এই নিক একজন মেল নিক। ইচ্ছা করে হিজড়া সেজেছে। আমার সেটা শুনে কি দুঃখ! আমরা কি হিজড়া!! আরে আমি চাঁদকন্যা আর প্রতিফলন সূর্যপুত্র তো দু'জন মানুষই। হা হা তখন ব্লগিং এর শৈশব ছিলো তো তাই কষ্ট পেয়েছিলাম আর কি।
অপুঃ তোমার কি মনে হয় শুরুর সেই সময়ের ব্লগিং আর বর্তমান সময়ের ব্লগিং কালচারে পার্থক্য এসেছে?
শায়মাঃ প্রচুর পার্থক্য! পার্থক্য শুধু একটু আধটু নয়, এত বেশি পার্থক্য তা হয়ত বলে শেষ করা যাবে না। আমি কিছু কিছু বলছি আর যারা এই পোস্ট পড়বে এবং তারা যদি সেই সময়টা থেকেই থেকে থাকে তো আরও এড করতে পারবে।
প্রথমেই যদি বলি তো যেই ব্যাপারটার কথা বলতে হবে সেটা হলো সেই সময়ের ব্লগার লিস্টে ব্লগারস এবং ভিজিটরস সংখ্যা, এখন যেটা অনেক অনেক কম। বলতে গেলে তলানীতে এসে ঠেকেছে।
তারপরই যেহেতু ব্লগারস বেশি ছিলো কাজেই পোস্টের সংখ্যাও ছিলো অনেক বেশি। একদিনে ৮,৯, এমনকি ১০ পাতা ছাড়িয়ে যেত পোস্টগুলো মানে ২৪ ঘন্টায়।
তখন যারা ব্লগ লিখতেন পরবর্তীতে তারা অনেকেই লেখক হিসাবে নাম করেছেন কারণ তখন যে সব আর্টিকেল, গল্প বা কবিতা আসতো সে সব আসলেও বেশ ভালো মানের ছিলো। তার থেকেও বড় কথা সে সময়টাতে যারা লিখতেন লেখাতে যে সময় দিতেন এবং মন দিয়েই লিখতেন তা একেকটা পোস্ট পড়লেই বুঝা যায়। এখন বড় পোস্ট কেউ তো পড়তেই চায়না। ফেসবুক কালচার পোস্ট বা ছোট পোস্টে একটু ইন্টারেস্টেড হয় আর বড় লেখা দেখলেই মনে হয় ভয় পেয়ে যায়। আজ থেকে ১৬ বছর আগে যে মানুষগুলির সময় ছিলো যতটা ততটা হয়ত আর নেই। সেই তুলনায় নতুনেরা ফেসবুক বা অন্যান্য প্লাটফর্মে লিখছে অতি সহজে যা মনে আসে তাই স্টাইলে।
তখন রেজিস্ট্রেশন করলেই মন্তব্যের এক্সেস ছিলো না। ওয়াচে রাখা হত। এখন একজন ব্লগার সাথে সাথে কমেন্ট করতে পারে। এতে আক্রমনাত্মক ব্লগার নিক খোলে শুধু নেগেটিভ কাজের জন্যই।
তখন ছিলো আমাদের আরিফ জেবতিক, মনজুরুলভাইয়া, কৌশিকভাইয়া, অমি রহমান পিয়াল ভাইয়া, ব্রাত্য রাইসু ভাইয়া, তামিমভাইয়া, মাহাবুব মোর্শেদ ভাইয়া, ক খ গ ভাইয়া, নাফিস ইফতেখার ভাইয়া, বিষাক্ত মানুষ, শাহেদ রিয়াজ, কালপুরুষ ভাইয়ামনি, শামসীর ভাইয়া,ত্রিভূজভাইয়া, বিখ্যাত চিকনমিয়া ভাইয়া, বাঁধনভাইয়া, রাজামশাই ভাইয়া, স্নপ্নজয় ভাইয়া, মোজাম ভাইয়া,একরামুল হক শামীমভাইয়া, ভাঙ্গা পেনসিল, ত্রিশঙ্কুভাইয়া, অনন্ত দিগন্ত, হামা ভাইয়াও সেই সময় থেকেই আজও টিকে আছে আর জুলভার্ন ভাইয়া তখন বাবুয়া নিকে থাকতেন আর আপুদের মধ্যে ছিলেন গোল্লা কাকন আপু,আইরিন আপু, মেঘ আপু, নুশেরা আপু, বন্ধু সোহেলী, সাঁজি আপু, সুরঞ্জনা আপু, তনুজা আপুনি, রেজওয়ানা, আরজুপনি আপুনি, জেরীমনি, ছবি আপুনি আর জুন আপুনিও অবশ্য সেই সময় থেকেই আছে।
লাবন্য প্রভা আপুনিকে মাঝে মাঝে দেখা যায়।
ব্লগে সে সময় খুব গ্রুপিং চলতো। এটিম, সিজিপি কি কি সব নাম ছিলো। তারা প্রায়দিনই যুদ্ধে লিপ্ত হত। নানা রকম গ্রুপ, নানা রকম যুদ্ধ। প্রথমদিকে আমি কিছুই বুঝতাম না। আমি নিজের আপন মনেই লিখতাম অংবং। কিন্তু আমি প্রথম থেকেই সকলের কাছেই বেশ পাত্তা পেয়ে যাই এই অংবং লেখা দিয়েই। আমাদের চাঁদকন্যা ও সুর্যপুত্র নিকের লেখাগুলির সমঝদার ছিলেন কালপুরুষ ভাইয়া। তার সাথে অনেক কেচাল গ্রুপ লেগে যেত।
এখন মডারেটর ভাইয়া হাতে নাগালে আমরা তাকে ফেসবুকে নক করলেই পেয়ে যাই কিন্তু তখন মডারেটর ভাইয়াদের সাথে কারো কোনো সম্পর্ক আছে শোনাই যেত না। কারা কারা মডুভাইয়া আপু সেটাও বেশ গোপনীয় ছিলো। তবে আমার কাছে তখন থেকেই কৌশিকভাইয়া, অমি ভাইয়া, আরিফ জেবতিক ভাইয়া, স্বপ্নজয় ভাইয়া, মনজুরুলভাইয়া, আইরিন আপু সবাই মডু প্যানেল ছিলো মনে হত এবং খুব দ্রুত তারা আমার প্রিয় ভাইয়া আর আপুনি হয়ে উঠেছিলো।
সে সময় এত এত কেচাল দেখেছি নানা রকম ইস্যুতে এবং একটা সময় গ্রুপিং কথাটা বদলে দেখি সবাই সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট করছে। হায়! কোথায় আজ সে সব সিন্ডিকেট কোথায় সেই রমরমা সামু! এখন যে কজন টিকে আছে তার মাঝে খুব পুরোনোরা একেবারেই অনিয়মনিত বা আসেইনা। আর যারা আছে তারা মোটামুটি নির্বিবাদী খুব দু একজন ছাড়া।
তখন সামু ছিলো এক কথায় লেখার স্থান, শেখার স্থান ও বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে এক ভালোবাসার স্থান।শুধু বাংলাদেশ নয় এই পৃথিবীর নানা জায়গা থেকেই বাঙ্গালীরা শান্তি পেতেন এই সামুতেই এসে। আমি নিজে যেটা বলবো এই সামু থেকেই আমি শিখেছি টপিক কিভাবে লিখতে হয়, গল্প কবিতা বা অরগানাইজড আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে লিখতে হয়। জেনেছি দেশ বিদেশের নানা তথ্য। এই শেখাটা আমার বাস্তব জীবনে বড় কাজে লেগেছে। এখন সেই লেখা এবং শেখার স্থানে ভাটা পড়েছে। নতুনেরা আজকাল আর এই রকম বিস্তৃতভাবে লেখালিখি চর্চা করে বলে মনে হয় না আমার। যা করে ফেসবুকে।
অপুঃ অনেকেই বলে তুমি নাকি মডু, ঘটনা কত টুকু সত্যি?
শায়মাঃ হা হা তাহা বটে। অনেকেই বলে আমি মডু, মডুদের কারো বোন, জানা আপুর শান্তি নিকেতনের পুরোনো বন্ধু কত কিছু!!! তাও আবার সেই আদ্দিকাল থেকেই, অনেকেই বিশ্বাসও করে এবং বিশ্বাস করে নিজেরা অপরাধ করে শাস্তি পেয়ে আবার আমাকে গালাগালিও করে ইনডাইরেক্টলী বা পিছে। সামনে করলেই তো ..... বিপদ! হা হা সত্যিটা তো বলা যাবে না তাহলে যারা আজ পিছে পিছে ভেবে নিয়ে ইনডাইরেক্ট গালাগালি করছে তখন সামনে সামনে করবে। তুমি কি তাদের বিপদ ডেকে আনতে চাও বলো???
অপুঃ যদি তোমাকে সত্যি একদিনের জন্য সামুর মডু বানিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তুমি কোন কাজটা সবার আগে করবে?
শায়মাঃ পুরোনো সবাইকে মেইল দেবো। ফিরে আসো, ফিরে আসো, একবার দেখে যাও তোমাদের সেই সোনার গাঁ। তারপর কেমনে ফেসবুকে আমাদের লেখালিখি চর্চা বন্ধ করা যায় সেই চেষ্টা করবো যাতে যারা লিখতে ভালোবাসে, না লিখলে যাদের পেটের ভাত হজম হয়না তারা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে আমাদের এই ভালোবাসার জায়গাটাতে।
অপুঃ একটা ব্লগ পোস্ট লেখার পেছনে আগে ব্লগাররা প্রচুর সময় ব্যয় করত । এখন দেখা যাচ্ছে তেমনটা হচ্ছে না । কিছু একটা লিখেই ব্লগে ছেড়ে দিচ্ছে । তোমার ক্ষেত্রে ব্যাপার কেমন ? আগের মতই সময় ব্যয় করছো একটা পোস্টের পেছনে?
শায়মাঃ আমি আমার মত মানুষ মানে কোনো কিছুতে লেগে থাকা মানুষ বলো বা যে কোনো জিনিস নিয়েই বেস্ট ট্রাই করা বলো বা সব থেকে সাধ্যের মাঝে যে কোনো কাজকেই সুন্দর করে তোলা মানুষ জান প্রাণ দিয়ে দেওয়া টাইপ আর কি আসলেই আমার জীবনে কম দেখেছি। আমি কখনও কোনো কিছুর মানকে কমিয়ে ফেলতে চাইনি আমার জীবনে বা হাল ছেড়ে দেওয়া বা হতাশ হওয়া এই ব্যপারটা নেই বললেই চলে। আমার ধারণা আমি আগের মত অনেক বেশি পোস্ট লেখার সময় না পেলেও যতটুকুই লিখি আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে ও যতটুকু সম্ভব সময় দিয়েই লিখি। আসলে আমি শুধু একটা নিকে লিখলে হয়ত আমার লেখা পোস্টের সংখ্যা আরও বেশি দেখাতো কিন্তু আমি তো সেটা করি না । না না নিকে লিখতে ভালোবাসি আর যেটাই লিখি ১০০% মন ও সময় দিয়েই লিখি।
অপুঃ আমাদের বর্তমান সামু ব্লগকে নিয়ে তুমি কতটা আশাবাদী?
শায়মাঃ আমি আশাবাদী মানুষ। যদিও ব্লগে আগে ৩০০ জন লগিন করা ব্লগার থাকতো আজ ৩০ জনও থাকে না তবুও সেই ৩০ জনের মাঝেই আমি আশার আলো দেখতে পাই। আমার মনে হয় এই ৩০ জন যদি সামুকে আজ আরও নতুন ৩০ এর কাছে পৌছে দিতে পারে তো সামুতে পাঠক লেখক ও ভিজিটর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
তবে আমার কাছে অনেক অনেক পুরোনো ব্লগারেরাই বলে তারা লগ করতে পারছে না, পাসওয়ার্ড সমস্যা, ফোনে লগ ইন সমস্যা। এসব দেখে মনে হয় এত সমস্যা নিয়ে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আজ সামুতে লিখতে পারছেন না।
যদি সামু কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে এই সব সমস্যার সমাধান করতে পারতো তবে হয়ত আমাদের সামু আবারও ঝলমল করে উঠতো। বর্তমানে জানা আপুর শরীরের অবস্থা এবং সামুর সার্বিক অবস্থার কারণও এই উদ্যোগের পরিপন্থী। তবুও আশা করি সকল সমস্যা কাটিয়ে সামু আবার হেসে উঠুক পুরোনো দিনের মত! এখনও আমাদের আছেন আহমেদ জি এসভাইয়া, খায়রুল আহসান ভাইয়া, ডঃ এম এ আলী ভাইয়া, সোনাবীজ ভাইয়া, শাহ আজিজ ভাইয়া, অপু তানভীর ভাইয়াও আছে মানে তুমিও আছো, আছে শেরজা তপন ভাইয়া, ভুয়া মফিজভাইয়া, সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়া, কলাবাগান ভাইয়া, রানার ব্লগভাইয়া, হামা ভাইয়া, ঢাবিয়ান ভাইয়া, ইসিয়াক ভাইয়া, পদাতিক ভাইয়া, আছেন সেলিম আনোয়ার কবি ভাইয়া, আছেন রুপোক বিধৌত সাধু, করুণাধারা আপু, মনিরা আপু, ছবি আপুনি, রোকসানা লেইস আপুনি, সোহানী আপু, জুন আপু আর আমাদের মিররমনি। কাজেই এখনও আশা ফুরোয়নি। পুরোনো যারা তারাও প্রায়ই ঢু মেরে যায় আজও।
অপুঃ বর্তমানে যে কয়জন ব্লগার নিয়মিত সামুতে আসা যাওয়া করে সেই নিয়মিত ব্লগারদের ব্যাপারে তোমার মূল্যয়ন কী?
শায়মাঃ যারা নিয়মিত তারা এখনও ভালোই লিখছেন তবে ব্লগে আগের মত আর্টিকেল আসছে না বা রাজনৈতিক আলোচনা কিংবা গল্প কবিতার সংখ্যা কমে এসেছে স্বাভাবিকভাবে ব্লগারস সংখ্যার সাথে সাথে। কাজেই মূল্যায়ন যদি বলো তো বলবো লেখা আসছে, সে সব এখনও ভালো টপিক এবং কনটেন্টেই আসছে শুধু ব্লগারস সংখ্যা কমে যাবার জন্য আগের মত পঠিত হচ্ছে না। অনেক কষ্টের লেখাটি যদি বহুল পঠিত না হয় তো লেখকের মনের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে মিটে না।তবুও আজও মানুষ লিখছে, গুরুত্বপূর্ণ লেখাও আসছে, আসছে কবিতা, ভ্রমন কাহিনী। সামুতে এক যুগের বেশি সময় যারা আছে যুগের সাথে লেখার স্টাইল, লেখার দৈর্ঘ প্রস্ত টপিক বদলাবে এটাই স্বাভাবিক।
অপুঃ উপরের প্রশ্নটা আরও ভাল করে করি। আমাদের বর্তমান সামুর নিয়মিত ব্লগারদের পক্ষে কি সমাজে কোন প্রকার ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব?
শায়মাঃ অবশ্যই সম্ভব। তবে যেহেতু ব্লগারস লগ ইন একেবারেই কম কাজেই কোনো পরিবর্তনসূচক আলোচনা তর্ক বিতর্ক ইতিবাচক বা নেতিবাচক কিছুই পৌছাচ্ছে না সারা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর কাছে। যা আগে বেশ ভালোভাবেই সম্ভব ছিলো, অন্তত আশার আলো প্রখর ছিলো।
অপুঃ ব্লগে আগেও ট্যাগিং কালচার ছিল । এখনও আছে । বর্তমানে ব্লগের ট্যাগিং কালচার নিয়ে কোন মনভাব কেমন?
শায়মাঃ আগে ট্যাগিং ছিলো ভয়ংকর রকম গায়ে লাগা ট্যাগিং যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠতো সামু এবং ট্যাগিংগুলো আসলেও খুব শক্তিশালী ক্ষুরধার ও ভাবনার বিষয় ছিলো। অকারণে বা শুধু শুধু গায়ে পড়ে লাগবার জন্যই ট্যাগিং হত এমনটা আমার খুবই কম মনে হয়েছে। যদিও গ্রুপ বা সিন্ডিকেটগুলো অযথাই ট্যাগ লাগিয়ে মজা পেত কখনও সখনও। আর এখন মানে বর্তমানের ট্যাগিং কালচার যা দু একটা আছে তা বড়ই দূর্বল ও অক্ষম টাইপ মনে হয় আমার কাছে। মাঝে মাঝে তো ধার করা পুরনো দিনের কিছু ট্যাগ নিয়ে কিছু মানুষ অযথাই সময় নষ্ট করে। লেবু বেশি চিপলে যে তিতা হয়ে যায় বা যারা চিপে তারা মূল্য হারায় এখনকার কিছু ট্যাগবাজ মানুষ তা বুঝে না। যে দু একজন ট্যাগবাজ আছেন তারা ট্যাগ দিতে গিয়ে নিজেরাই ট্যাগ খেয়ে যান কিন্তু সে ব্যাপারে তাদের কোনো উপলদ্ধিই নেই।
অপুঃ সামু ব্লগে ব্লগাররা কতটুকু স্বাধীন ভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করত পারে বলে তোমার মনে হয়?
শায়মাঃ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ সামু ব্লগে ১০০% সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশকে যদি গালাগালি বা আক্রমনাত্নক পন্থায় মত প্রকাশকেই মনে করে তবে সেটা সামু ব্লগ কেনো পৃথিবীরে সবখানেই কিছুটা অসম্ভব রয়ে যাবে।
অপুঃ বাকস্বাধীনতা বলতে তোমার একান্ত নিজেস্ব মতামত কী? বাকস্বাধীনতা মানেই কি যাকে ইচ্ছে যা ইচ্ছে তাই বলার অধিকার?
শায়মাঃ বাকস্বাধীনতা মানে কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের নির্ভয়ে, বিনা প্রহরায় বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা, অনুমোদন গ্রহণের বাধ্য বাধকতা ব্যতিরেকে নিজেদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা। এটা বই এর ভাষা। আর আমার ভাষায় অনেকটা ঐ গানটার মত, হারে রে রে রে আমায় ছেড়ে দে রে দেরে, যেমন ছাড়া বনের পাখি মনের আনন্দে রে। মানে মনের আনন্দে নির্ভয়ে কিছু বলতে পারা। মানে তার কাছে যেটা সঠিক মনে হয় সেটা বলতে পারার সামর্থতা।
তাই বলে যাকে যা ইচ্ছে তাই বলার অধিকারকে বাক স্বাধীনতা বলা যাবে না তবে পাগলের বাক স্বাধীনতা বলা যেতে পারে। তবুও পাগলের স্বাধীন মত প্রকাশ যদি পরিবার তথা দেশ ও দশ তথা সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে তবে তাকে জেইলে বা মেন্টাল হসপিটালে পাঠানোই উত্তম হবে। আসলে স্বাধীন মত প্রকাশ বলে তো কোনো প্রমাণিত সত্য নেই। সত্যকে জানার জন্য, সত্য নিয়ে ভাবনার জন্য মত প্রকাশ করা হয়। তাই মত বা চিন্তার অবাধ প্রবাহ দরকার। একজন পাগলেও সেই রাইট আছে। শুধু রাইট নেই সমাজ কলুষিত করার। (এইটা আমার মত আর কি? ইহা আমার স্বাধীন চিন্তা। এখন সত্য মিথ্যা অন্যে ভাবুক) চিন্তা বাধাগ্রস্ত হলে সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। একমাত্র পাগলের চিন্তা ছাড়া। যদিও পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী, গবেষক, বড় বড় পন্ডিৎদেরকেও প্রথমে পাগল উপাধীই পেতে হয়েছিলো।
আসলে কারো বাক স্বাধীনতায় অন্য কারও অনুভূতি আহত হতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই অনুভূতিকে আহত হবারও দরকার আছে।সেই অনুভূতি আহত নিহতের মধ্য দিয়েই আমরা শিখি কোনটা গ্রহনযোগ্য আর কোনটা নয়। সোজা কথা ঠিক বেঠিক কিছুই নেই। অকারনে কেউ ভুল করে বার বার বেঠিক কথা গালাগালি করতেই পারে। অন্যের অনুভুতিও আহত নিহত করতে পারে। সে ভুল হলে গ্রহনযোগ্যতা হারাবে। সঠিক হলে সমাজ উন্নতি করবে। স্বাধীন মত প্রকাশের সাথে সাথে গালাগালি ও অন্যকে ছোট করে নিজের গ্রহনযোগ্যতা যেন না হারায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই সহজ সমাধান আসা যায় বলে আমার মনে হয়।
অপুঃ সামু ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি সব ব্লগারকে সম ভাবে ট্রিট করে? অথবা তোমার কি মনে হয় ব্লগ কর্তৃপক্ষ কাউকে একটু বেশি সুবিধা দেয় আবার কারোর প্রতি একটু বেশি কঠিন আচরণ করে?
শায়মাঃ হুম মাঝে মাঝে মনে হয় অনেকদিনের গড়ে তোলা ব্লগারদের নানা রকম ইমেজের উপরে অনেক কিছু মূল্যায়ন করা হয়। এটা শুধু সামু না পৃথিবীর সকল কর্মক্ষেত্র, সমাজ ও সংসারেই এইভাবেই সকলে সকলকে ট্রিট করছে।
অপুঃ ব্যক্তিগত প্রশ্ন- জীবনে প্রেমে পড়েছো কতবার?
শায়মাঃ শুধু একবার! তবে কতজনকে প্রেমে পড়িয়েছি বা কতজন প্রেমে পড়েছে এটা জিগাসা করোনি বলে থ্যাংকস জানাচ্ছি।
অপুঃ তোমার কি মনে হয় ব্লগ আবার আগের মত জনপ্রিয়তা পাবে কখনও? ব্লগকে জনপ্রিয় করার কি কোন উপায় জানা আছে তোমার? কিংবা তোমার কোন পরামর্শ?
শায়মাঃ আমাদের কাছে ব্লগ এখনও অনেক প্রিয় আর যারা আছি আজও তাদের কাছে জনপ্রিয়ও বটে। তবে এর ব্যপ্তি ব্যহত হয়েছে শুধুমাত্র ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক ওয়েব সাইটের জন্যই না। ব্লগে লগ ইন সমস্যা অনেক ব্লগারদেরকেই ব্লগে প্রবেশ করাতে বাঁধা দিচ্ছে। ব্লগে লগ ইন সমস্যা কাটিয়ে সবাই যদি পৃথিবী যে যেখানে আছে প্রবেশ করতে পারতো তো ব্লগ হয়ত এখনও জনপ্রিয় থেকে যেত। অনেক লেখা আসতো, তর্ক বিতর্ক আলোচনায় মুখর থাকতো ব্লগ আগের মত। সকলে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার স্থান হিসাবে ব্লগকেই বেঁছে নিত। এত কিছু ফিচার বা নানা কিছু আকর্ষনীয় কিছুরই দরকার ছিলো না। আমাদের এই ভালোবাসার ব্লগে কিছু না থাকলেও দিনহীন ভাবে হলেও প্রায় সকলেই থেকে যেত বা ফিরে ফিরে আসতো ভালোবাসার টানেই। সেই ভালোবাসার টানটাই বাংলা ভাষাভাষীর লেখার প্রতি ভালোবাসার টান।
অপুঃ ব্লগারদের উদ্দেশ্য তোমার কোন উপদেশ বানী?
শায়মাঃ আমি বলবো লেখার ইচ্ছা বা শখ বা মনের খোরাক যাদেরই আছে তারা লেখা নিয়ে এগিয়ে যাবে। পৃথিবীর কে কি বললো, লাঞ্ছনা গঞ্জনা সব কিছু এড়িয়ে শুধু ভালোটুকু নিয়ে নিজের লেখার উন্নতি করবে। শুধু লেখা বা ব্লগ নয় সকল কাজেই এগিয়ে যাবার মূল মন্ত্র নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকা। নিজের লক্ষ্য স্থির রাখা। এখানে আমাদের নেতিবাচক এবং ইতিবাচক সকল আলোচনা থেকেই শিক্ষা নিতে হবে আসলেই আমাদের করনীয় কি।
অপুঃ ধর তোমাকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে । কিডন্যাপার তোমাকে বলল তোমার বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে তুমি এমন একজন ব্লগারের নাম বলবে সে ব্লগারকে তারা ধরে নিয়ে আসবে এবং তোমাকে ছেড়ে দিবে। তুমি তখন কোন ব্লগারের নাম নিবে?
শায়মাঃ হা হা হা হা আমি বলার আগেই মনে হয় সবাই আন্দাজ করে ফেলেছে কোন সে ব্লগারের নাম আমার মাথায় এসেছে। দেখি যারা এই ইন্টারভিউটা পড়বে তারা তার নাম কি লেখে? তাদের উপরে থাকুক এই ১০০% সঠিক আন্দাজ করে নেওয়া উত্তর।
অপুঃ আবার ধর কিডন্যাপার ব্লগের কাউকে ধরে নিয়ে গেছে । এবং এই পর্যায়ে তাদের দাবী যে কেবল মাত্র তুমি যদি তাদের কাছে স্ব ইচ্ছেতে ধরা দাও তবেই তারা সেই ব্লগারকে ছাড়বে। এমন কোন ব্লগার কি আছে বা ছিল যার জন্য তুমি স্ব ইচ্ছেতে কিডন্যাপারদের দাবী মেনে নিবে?
শায়মাঃ হ্যাঁ এমন অনেক আছে যারা আমার প্রিয় ভাইয়ুমনি আপুনি যাদের জন্য আমি এমনটা ভাবতে পারি। একজনের নাম বললে তো হবে না।
অপুঃ কোন ব্লগার কে তুমি তোমার ব্লগ নিকের পাস দিবে?
শায়মাঃ হ্যাঁ দিতে পারি একজনকে নয় কয়েকজনকে। জিনিভাইয়াকে দিতে পারি, মানে জেন রসি ভাইয়াকে আরেকজনকে দিতে পারি, সে শার্দূলকে । তোমাকেও দিতে পারি। তুমিও আমার অনেক প্রিয় বিশ্বাসযোগ্য একজন মানুষ। আজকেই পরীক্ষা নিয়ে দেখতে পারো কিন্তু হা হা ।
অপুঃ তোমার মোট কয়টা মাল্টি আছে বলত?
শায়মাঃ এ বি সি ডি দিয়ে গুনে বললে মনে পড়তে পারে সবগুলো হয়ত। তবে চাঁদকন্যা, বরুনা, অপ্সরা, নিরুপমা, স্পর্শিয়া, ইন্দ্রনীলা, বনমহুয়া, রাজকন্যা কঙ্কাবতী, কবিতা পড়ার প্রহর এসব আমার বহুল পরিচিত নিক সকলের কাছেই। এসবগুলোই মূলত সিরিজ লেখার জন্য সৃষ্টি করেছিলাম আমি এবং বেশ ভালোভাবেই সফল হয়েছিলাম। সিরিজ লেখা শেষে আমি সব সময় বলে দিতাম সেটা আমি। কারণ এত কষ্ট করে মন প্রাণ দিয়ে সিরিজগুলো লিখেছি আমি, সেটা অন্যেরা জানবে অন্য কেউ লিখেছে!!!!! তাই কি হয়!!! হা হা নিজের সাথেই নিজের প্রতিযোগীতা বলতে পারো।
অপুঃ আজকের মত ইন্টারভিউ শেষ । যাওয়ার আগে কিছু বলতে চাও ব্লগারদের?
শায়মাঃ আমি এই ব্লগ এবং ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা জানা আপুনি এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষ যারা আমাদের জন্য এত কষ্ট করে এই ব্লগ বানিয়েছেন এবং মেইনটেইন করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভকামনা জানাচ্ছি। আর এই ব্লগের সকল ব্লগারদের জন্য জানাই ভালোবাসা। তারা তাদের লেখা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে আরও একশো বছর বাঁচিয়ে রাখুক আমাদের প্রিয় সামহ্যোয়ারইন ব্লগটাকে।
বর্তমানে যে কয়জন নিয়মিত ব্লগার আছেন, তাদের সবার ইন্টারভিউ নিতে চাই । সবার বলতে সবার । যতদুর সম্ভব আমি নিজেই সবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। তবে আমার একার পক্ষে সবার কাছে পৌছানো সম্ভব নয় । তাই যারা ইন্টারভিউ দিতে ইচ্ছুক তাদের অনুরোধ করব যেন যোগাযোগের জন্য নিচের ফর্মটি পূরণ করে । এছাড়া এই ফর্মের নিচে একটা অপশন আছেন যেখানে আপনি চাইলে কোন ব্লগারকে প্রশ্ন করতে পারেন । যদি সেই ব্লগার ইন্টারভিউ দিতে রাজি হয় তাহলে তাহলে সেই প্রশ্ন গুলো করব । মোটামুটি এখানে যে প্রশ্ন রয়েছে সেই প্রশ্নই গুলোই সবাইকে করা হবে তবে কিছু নিকের জন্য আলাদা কিছু প্রশ্ন করা হবে । এবং অবশ্যই আপনি না চাইলে সেই প্রশ্নের জবাব দিবেন না । আশা করি সবাই এক এক করে ইন্টরভিউ দিবেন । মাসে অন্তত একটা করে ইন্টারভিউ পোস্ট করতে চাই । গুগল ফর্ম লিংক
হ্যাপি ব্লগিং !
ছবি সুত্র পিক্সেল
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৬