যেদিন থেকে মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের আশ্রমের ছবি ব্লগে দেখেছি, সেদিন থেকেই মনের ভেতরে একটা ইচ্ছে জেগেছে যে ওখানে দু একটা দিন কাটিয়ে আসতেই হবে । কিন্তু ব্যাটে বলে না মেলার কারণে কিছুতেই যাওয়া যাচ্ছিলো না । অবশেষে একটা সময়ে বের করে রওয়ানা দিয়েই ছিলাম । আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে ছুটির দিন গুলো এড়িয়ে যাবো । কারণ এই সময়ে আশ্রমে লোকজন আসতে পারে ।
সব কিছু ঠিকঠাক করে রওয়ানা দিলাম আশ্রমের দিকে । জলদস্যু ভাই আগে থেকেই আমাকে বলে দিয়েছিলেন যে কী কী জিনিস পত্র নিতে হবে এবং কোন দিক দিয়ে যেতে যেতে হবে । দুদিন থাকার পরিকল্পনা ছিল । সেই অনুযায়ী বাজার সদাই করে, প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে আমি যখন আশ্রমে পৌছালাম তখন বিকেল হয়ে গেছে ।
আমার আসার কথা আগে থেকেই বলা ছিল । আমি যখন গ্রামের ভেতরে ঢুকেছি তখনই মনে হয়েছিলো যে আমি একেবারে আমার পরিচিত কোন গ্রামে চলে এসেছি । ছোট বেলা থেকেই গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছি, তাই এই পরিবেশটা আমার চেনা । মাঝের কিছুটা পথ বিস্তর ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে আমাকে আসতে হয়েছে। কয়েক স্থানে পানিও ছিল । আগে দাদা বাড়ি যাওয়ার সময় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হত ।
আশ্রমের পুরো অংশটুকু টিনের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা । সবার আগে যেটা চোখে পড়লো সেটা হচ্ছে পাকা ওয়াশরুম । মাথার উপরে একটা একটা গাজী পানির ট্যাংক দেখা যাচ্ছে । এটা দেখে আসলে সত্যিই মনটা বেশি ভাল হয়ে গেল । জলদস্যু ভাই বলেছিলো যে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা ভাল তবে এতো ভাল হবে সেটা আমি আশা করি নি ।
এবার আশ্রমের একটা ছোট বর্ণনা দেওয়া যাক । মুল আশ্রমটা ভেতরে একটা টিনের বড় ঘর । মুল গেটের পাশেই এই বড় টিনের ঘরটা! এটা অনেকটা দুই তলা টাইপের ঘর । নিচতলা যেমন আছে আবার দোতলাও বিদ্যমান । দুইতলা বললেও আসলে দুইতলা সমান উচু নয় এটা । মূল ঘর আসলে এটাই । এখানেই রাতে থাকতে হবে । এই ঘরের নিচে সব প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখা হয় । উপরের প্লেন মেঝে । তোষক রয়েছে, মশারি রয়েছে । এখানে রাতের শোয়ার ব্যবস্থা !
আরেকটা ঘর রয়েছে । বলা চলে এই ঘরটা সব থেকে আকর্ষনীয় । এটা দেওয়ালের কোল ঘেষে তৈরি করা হয়েছে । আশ্রমের উচু স্থানের পরেই মাটি নেমে গেছে। এখন বর্ষা কাল হওয়ার কারণে পানি জমে আছে । এই ঘরটা অনেকটা পানির উপরেই দাড়িয়ে । আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে রাতে আমি এখানেই থাকবো যদিও জলদস্যু ভাই আমাকে মুল ঘরেই থাকতে বলেছেন রাতে ! এই ঘরে বসার জন্য কয়েকটা শোফা রয়েছে । আমি সেখানেই বসে কিছু সময় দিগন্ত জোড়া পানির দিকে তাকিয়ে রইলাম । দুরে দেখতে পেলাম যে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে কয়েকজন কী যেন করছে । সম্ভবত মাছ ধরছে কিংবা জাল তুলছে । এতো দুর থেকে আসলে দেখা যাচ্ছিলো না । আমি অবশ্য চিন্তা করলাম না । কেবল তাকিয়ে রইলাম । আমার অন্য কিছু আর মনে রইলো না । কেমন একটা নেশা ধরানো দৃশ্য । সহজে চোখ ফেরানো যায় না ।
-ভাইয়া চা বানাবো ?
আমি ফিরে তাকিয়ে দেখি রহমান দাড়িয়ে আছে । রহমান এখানেই থাকে । এই আশ্রম দেখার দায়িত্ব ওর । এখানকার কেয়ারটেকার সে । আমার যদিও চায়ের টান নেই খুব একটা । সাথে করে আমি কয়েক প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট কফি নিয়ে এসেছি । আমি সেগুলো রহমানের হাতে দিয়ে বললাম, চা বানাতে হবে না । কেবল গরম পানি করে একটা তার ভেতরে ঢেলে দিবে । চাইলে তুমি একটা নিজের জন্য বানাতে পারো !
দেখলাম রহমান দাঁত বের করে হাসলো । আমি বললাম, চিনি আছে কি ?
-জে আছে ।
-তাহলে আমারটাকে এক চামচ চিনি দিও কেবল ! ঠিক আছে ?
মাথা কাত করে সে চলে গেল ।
আমি আবারও প্রকৃতি দেখায় মন দিলাম। এই দৃশ্য যেন দেখে শেষ হওয়ার নয় ! একটু পরেই রহমান কফির কাপ নিয়ে এল । আমি সেটা হাতে নিয়ে আবারও তাকিয়ে রইলাম সামনের দিকে ! সত্যিই জীবন বড় সুন্দর মনে হল । এমন চমৎকার নির্জন সময় আমি কাটাই নি অনেক দিন । পাহাড়ে এমন নির্জনতা পাওয়া যায় ! শেষ পাহাড়ে গিয়েছি অনেক দিন।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এল ! আমি একই ভাবে বসেই রইলাম । আশ্রমে সোলার বিদ্যুৎ আছে । তার মৃদু আলো জ্বলে উঠলো । আমি সেই আলো বন্ধ করে দিলাম । অন্ধকারের ভেতরে বসে রইলাম একই ভাবে । বাইরে বেশ চমৎকার বাতাস দিচ্ছে । আলাদা ভাবে ফ্যানের দরকার নেই কোন !
রাতের খাওয়া হল দ্রুত । আমি দুদিন থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে এসেছি । তিনটা জ্যান্ত মুরগি কিনে এনেছি । তার ভেতরে একটা আজকে রান্না হয়েছে । বাকি দুইটা রেখে দেওয়া হয়েছে । কাল সময় মত জবাই করে রান্না করা হবে । খাওয়া দাওয়া শেষ করে রহমান আমাকে মুল ঘরে গিয়ে ঘুমাতে বলল । আমি ওকে খানিকটা বুঝিয়ে শুনিয়ে বললাম যে আমি বাইরের ঘরটাতেই ঘুমাবো । আর আমার ঘুমুতে দেরি আছে ।
রহমান একটু গড়িমসি করে, ঘুমাতে চলে গেল । যাওয়ার আগে আমাকে দেখিয়ে দিয়ে গেল যে কিভাবে ঝাপ গুলো বন্ধ করতে হবে । আমি ওকে আশ্বস্ত করলাম । কোন সমস্যা হবে না ।
এবার আশ্রমের সোলার আলো জ্বাললাম । তারপর বই নিয়ে বসলাম আরাম করে । মুলত আশ্রমে আরাম করে বই পড়ার জন্যই আমি এসেছিলাম । কত সময় ধরে আমি আলো জ্বালিয়ে বই পড়েছি সেটা আমার মনে নেই । তবে এক সময়ে খেয়াল করলাম যে সোলার আলোর পরিমান একেবারে কমে গেছে । এই আলোতে আর বই পড়া যাবে না । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় বারোটা বেজে গেছে । এতো লম্বা সময় ধরে আমি বই পড়েছি সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি ।
মনে হল এবার শুয়ে পড়া যাক । কাল সকালে উঠে বাকি বই পড়া যাবে । আমি আস্তে আস্তে সব গুলো ঝাপ বন্ধ করে দিলাম । কেবল একটা ঝাপ যখন বাকি তখন আমার চোখ গেল সামনের পানির দিকে । সামনে অন্ধকার । তবে সেই অন্ধকার যদিও খুব বেশি গাঢ় নয় । চারিদিকে চাঁদের আলো থইথই করছে । আমি সেদিকে তাকিয়েই প্রথম দেখতে পেলাম । পানির মাঝে একটা আলো নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে । আবার নিজের ঘড়ির দিকে তাকালাম । এতো রাতে এই পানির ভেতরে আসলে কে আলো নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ! আমি আরও একটু ভাল করে দেখার চেষ্টা করলাম । মনে হল কেউ নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে । বিকেলে মাছ ধরা নৌকা গুলোর কেউ হবে হয়তো ! রাতের বেলা মাছ ধরার অনেক গল্প শুনেছি ! আমি আরও কিছু সময় সেদিকে তাকিয়ে রইলাম । তারপর ঝাপটা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম !
দুই
সকালে বেশ বেলা করেই ঘুম ভাঙ্গলো । ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতেই দেখলাম রহমান খিচুড়ি নিয়ে এল । সেটা দিয়ে নাস্তা শেষ করে আমি আবারও বই নিয়ে বসলাম । রহমান জানালো যে দুপুরে মুরগির সাথে আরও কিছু খেতে চাই কিনা । তাহলে সে এখনই বাজার থেকে নিয়ে আসবে । আমি তাকে জানিয়ে দিলাম যে কোন কিছুই দরজার নেই । কেবল মুরগি আর ডাল হলেই চলবে । আর তাছাড়া জলদস্যু ভাই আমাকে জানিয়েছিলো যে আশ্রম ছেড়ে রহমানকে বাইরে যেন না পাঠানো হয় । তাহলে আশ্রমটা একেবারে ফাঁকা হয়ে যাবে । এটা ভাল হবে না !
সময় কাটতে লাগলো অলস ভাবে । ঠিক যেমন সময় আমার কাটাতে ভালো লাগে । তবে এই ছুটির পরিমান বেশি হলে আবার সহ্য হয় না । আজকের দিন কাটিয়ে আবারও ফিরে যাবো যান্ত্রিক জীবনে । হয়তো আবারও দুই তিন মাস পরে আবার আসা যাবে ।
পুরো সময় আমি সত্যি সত্যি বই পড়েই কাটিয়ে দিলাম । একই ভাবে বিকেল নামলো সেই সন্ধ্যা । তবে আজকে একটু ব্যতিক্রম ছিল । বিকেলের দিকে আকাশে মেঘ জমেছিলো । যদিও বৃষ্টি হয় নি । আসলে আমি খুব চাচ্ছিলাম যেন বৃষ্টি হোক । বৃষ্টির ভেতরে এখানে কেমন সময় কাটে সেটা দেখার খুব ইচ্ছে ছিল । কিন্তু এবার যেন বৃষ্টি হবেই না বলে পণ করেছে ।
তবে একটা ব্যাপার যেটা হল তা হচ্ছে আকাশ মেঘলা থাকার কারনে পরিবেশটা খানিকটা গুমট হয়ে রইলো । গতদিনের মত বাতাসও হচ্ছিলো না । তখনই খানিকটা বিরক্ত লাগলো । কাল কত চমৎকারই লাগছিলো । আজকে পরিবেশটা কেমন হয়ে গেছে ।
রাত আটটার দিকে রহমান মুল ঘর থেকে দ্রুত ছুটে এল । ওর চেহারা দেখেই মনে হল কোন একটা ঝামেলা হয়েছে । আমি বললাম কী হয়েছে ?
-ভাইয়া আমার মায়ের শরীলদা হঠাৎ খারাপ হইছে । আমি একটু বাড়িত যাইতে চাই ।
আমি বললাম, হ্যা হ্যা সমস্যা নেই । যাও ।
-ভাইজান রে কইবেন না । কেমন ! আপনার কোন সমস্যা হইবে না। রান্না করা শেষ । একটু কষ্ট কইরা নিয়া নিবেন । কেমন ?
-আচ্ছা আচ্ছা কোন সমস্যা নেই । তুমি যাও ।
-আমি সকালের আগেই চইলা আসুম !
-আচ্ছা কোন টেনশন নিও না ।
রহমান চলে যাওয়ার পরেই আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হল । মনে হল পুরো এলাকাতে আমি একদম একা । একা মনে একদম একা । ভাই বলেছিলো আশে পাশে কোন মানুষ জন নেই । সব চেয়ে কাছের মানুষজনের কাছে যেতে আধা ঘন্টা লাগবে !
এখন যদি কোন ডাকাত আসে?
নাহ ! সেটার সম্ভবনাও নেই। সেটাও আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
আমি অন্য সব চিন্তা এক পাশে সরিয়ে রেখে আবারও বই পড়াতে মন দিলাম । তবে আগেই বলেছি মেঘ থাকার কারণে আজকের পরিবেশটা কেমন একটু গুমট ভাব রয়েছে । তাই ঠিক শান্তি পাচ্ছি না ।
রাতের খাবার খেয়ে সব কিছু গোছগাছ করতে করতে রাত দশটা বেজে গেল । আজকে আর বই পড়লাম না । রাতে শুয়ে পড়লাম জলদি । তবে আজকে সব ঝাপ বন্ধ করলাম না । কারণ পরিবেশ এতোই গুমট ছিল যে সব ঝাপ বন্ধ করে দিলে কিছুতেই ঘুমানো যাবে না । কত সময় শুয়ে আছি মনে নেই তবে এক সময় ঘুম চলে এল । এবং একটা সময়ে ঘুম ভেঙ্গেও গেল । চোখ খুলে প্রথমে কিছু সময় বোঝার চেষ্টা করলাম যে আমি আসলে কোথায় আছি । খানিকটা অবাক হওয়ার মত ব্যাপার কারণ আমি যেখানে শুয়ে আছি সেই অংশটুকু বেশ আলোকিত হয়ে আছে ।
পুরো রাত কি পার হয়ে গেল ?
সকাল হয়ে গেছে ?
অভ্যাস বসত হাতের ব্যান্ডটা চোখের সামনে ধরলাম । সময়টা জ্বলে উঠলো । খানিকটা অবাক হয়েই দেখলাম সেখানে দুটো পয়ত্রিশ বাজে । তাহলে আলো কোথা থেকে আসছে ?
আমার মনে হঠাৎ একটা ভয়ের স্রোত বয়ে গেল । আলো কোথা থেকে আসছে ?
আমার মনে হতে লাগলো যে খোলা ঝাপটার কাছে আমি যেন না যাই । সেখানে গেলে আমি ভয়ংকর কিছু দেখতে পাবো । ভয়ংকর কোন দৃশ্য আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
কিন্তু তবুও আমি আমার কৌতুহল মোটেও দমন করতে পারলাম না । ধীর পায়ে আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে । এক অদম্য টান যেন আমাকে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছে । ঝাপের জানলা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখতে পেলাম সেটা কে !
কিভাবে সেটার বর্ণনা দিবো আমি ঠিক বুঝতে পারছি না । একটা ১৭/১৮ বছরের মেয়ের আকৃতির । সে পানি থেকে অন্তত এক দুই ফুট উচুতে ভাসছে । আর সব থেকে অবাক করে দেওয়ার ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটার শরীর থেকে আলো বিচ্ছুত হচ্ছে । ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে । সাথে সাথেই আমার গতকালকের আলোর কথা মনে হল । আমার মনে হল যে গতকাল দুর থেকে আমি একেই দেখেছিলাম । অনেক দুরে ছিল বিধায় আমার অন্য কিছু মনে হয়েছে । আমি একেবারে কাঠ হয়ে গেলাম । ভয়ে আমার সারা শরীর কেঁপে উঠলো কেবল । আমি একেবারে নড়তে ভুলে গেলাম ! একভাবে কেবল সেটার দিকে তাকিয়ে রইলাম ।
সেই আলোর অয়োবয়টা আমার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । তবে সেটা কাছে এল না । এই ভাবে কত সময় আমরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই । কেবল মনে হল যেন অনন্তকাল এভাবেই আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি । তারপর আর আমার কিছু মনে নেই ।
সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গলো রহমানের ডাকাডাকিতে । আজও দেখলাম সে রান্না সেরে ফেলেছে । আমি কিছুটা সময় কেবল গুম হয়ে বসে রইলাম । মাথার ভেতরে সব কিছু প্রোসেস করতে সময় লাগলো । মনে হল যে গতরাতে আমি যা দেখেছি সব ভুল ছিল । একা ছিলাম বিধায় মস্তিস্ক খানিকটা উত্তেজিত ছিল । সেই সব কিছু দেখিয়েছে আমাকে । নাকি সত্যিই আমি সব কিছু সত্যি সত্যি দেখেছি ।
একটু স্থির হয়ে রহমান কে বললাম, তোমার মা কেমন আছে ?
-এখন ভাল আছে ভাইয়া !
-আচ্ছা ঠিক আছে । শোন আজকে দুপুরে আর কিছু রান্না করতে হবে না । আমি একটু পরেই চলে যাবো ।
-আজই যাইবেন ?
-হুম । ছুটি শেষ ।
যখন আশ্রম ছেড়ে চলে আসছি তখনও মনের ভেতরে একটা চাপা অস্বস্তি কাজ করছে । সত্যই কি আমি রাতে স্বপ্নের ভেতরে আলোটা দেখেছি নাকি সে সত্যিই এসেছিলো ? এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভব কোন দিন জানা হবে না !
মরুভূমির জলদস্যু ভাই তো শুরু থেকেই টের পেয়েছেন, বুদ্ধিমান পাঠকই এরই ভেতরে টের পেয়ে গেছেন যে ইহা কোন সত্য ঘটনা নয় । এটা একটা বানানো গল্প ! তবে একদিন সত্যি সত্যিই আশ্রমে গিয়ে হাজির হবই । বলা যায় না সেই দিন হয়তো সত্যি সত্যি কোন রূপসী অশরীরি এসে হাজির হতে পারে !
আশ্রমের সকল তথ্য জলদস্যু ভাইয়ের ব্লগ পোস্ট ও ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৪