somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগঃ কমদামী ক্যামেরাতে তোলা ছবি ও ছবির পেছনে গল্প ২

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন আগে যে ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতা গেল সেখানে আমার কম দামী মোবাইল ক্যামেরাতে তোলা কয়েকটা ছবি পোস্ট করেছিলাম । কেবলই সেটা অংশ গ্রহন ছিল । আর কিছুই নয় । কয়েকটা ছবি পোস্ট মনে হল আরও কিছু ছবি তো পোস্ট করাই যায় । সাথে সাথে সেই ছবির পেছনের গল্প গুলো টুকটাক লেখা যায় । আজকে কয়েকটা ছবি আর ছবির পেছনের গল্প নিয়ে আবার হাজির হলাম ।

প্রথম ছবিটা যতদুর মনে হচ্ছে আমার ক্যামেরাতে তোলা না । আবার আমার তোলাও হতে পারে । আসলে ট্যুরে গেলে যা হয় । সবার ছবি একটা হোয়াটসগ্রুপে শেয়ার করা হয় । সেটা গিয়ে জমা হয় গ্যালারিতে । সেখান থেকেই এই ছবি এসে হাজির হয়েছে । আমার মনে আছে একই লোকেশন থেকে আমিও ছবি তুলেছিলাম বেশ কয়েকটা । এখন এটাই সেই ছবি কিনা কে জানে ।



এই ছবিটা তোলা হয়েছে নৌকা থেকে । আমরা তখন যাচ্ছিলাম রেমাক্রির দিকে । বিকেল পার হতে শুরু করেছে । আমাদের চিন্তা তখন সন্ধ্যা নামার আগেই রেমাক্রিতে পৌছাতে হবে। সেখান থেকে আরও তিন ঘন্টা হাটাস পথ । এমন সময় এই তিনটা পাহাড় দেখতে পেলাম । দুই পাশে দুইটা সেই সাথে সামনের দিকে আরও একটা ।



নিচের এই গাছটার নাম আসলে যে কি সেটা জানি না । কোন এক অচেনা পাহাড়ের অচেনা পথের পাশে দাড়িয়ে ছিল সে । মনে হল সাথে করে এই স্মৃতি টুকু নিয়ে যাওয়া যাক । কোন দিন মনে হবে এখানে আমি এসেছিলাম ।



লম্বা এই রাস্তাটা আমার স্কুল আর কলেজ জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ন স্থান । এটা আমার বাসা এবং স্কুল থেকে অনেকটাই দুরে । রাস্তার শেষ মাথায় জেলা আবহাওয়া অফিস । এখানে আমি আর আমার কাছের কয়েকজন বন্ধুরা আসতাম প্রায়ই সাইকেল চালিয়ে । বিকেল থেকে সন্ধ্যা পার হত এখানে বসে গল্প করে । অনেক স্বপ্ন ছিল যে একদিন আমার প্রেমিকাকে নিয়ে এখানে আসবো । তবে সেই সুযোগ আর হয়ে ওঠে নি । বিয়ের পর বউ নিয়ে যাওয়া যায় কিনা দেখা যাক !



এটা জেলা বিএডিসি ফার্ম । নতুন ভাবে বিল্ডিং তোলার পরে দেখতে অনেকটা বিদেশ বিদেশ ভাব চলে এসেছে । বিকেলে এখানে অনেক মানুষ আসে । আমরাও বন্ধুদের নিয়ে আসতাম মাঝে মধ্যে । তবে এখানে ভীড় বেশি হয় ।



আমার হাই স্কুল । এখানে ৫টা বছর কেমন করে কেটে গেছে তা এখনও ভাবি । কী চমৎকার সময় কেটেছে । এখানকার কিছূ কিছু স্মৃতি কোন ভাবেই ভোলার নয় !



গতবছর যখন প্রথম লক ডাউন দিল এটা সেই সময়ে তোলা ছবি । তখন এলাকা একেবারে ভুতুড়ে হয়ে থাকতো । মানুষজন একদম বের হত না । এখন অবশ্য সে সবের বালাই নেই ।



ঢাকা মেডিকেলের নতুন বিল্ডিং থেকে তোলা ঢাকা শহরের ছবি । আব্বা তখন এখানে ভর্তি ছিল । তখন সারাদিন হাসপাতালে কাটতো । বুঝতে পেরেছিলাম যে হাসপাতাল থেকে কোন দৃশ্যই মনমুদ্ধকর হয় না ।



এই ভাবে পাহাড়ের দিকের তাকিয়ে থাকা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা । কোন ক্লান্তি আসে না । প্রতি পলক ফেলতেই মনে হয় যেন নতুন কোন দৃশ্য দেখছি । ছবিটা যদিও আমার তোলার না । আমার বান্ধবী তুলে দিয়েছে।



গাছটা প্রথম দেখেছিলাম রাতের বেলা । একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো তাই অন্ধকার নেমে এসেছিলো পাহাড়ে । দুর থেকে দেখে মনে হয়েছিলো বুঝি কোন দৈত দাড়িয়ে রয়েছে । পরে ফেরার পথে ভাল করে ছবিটা তোলা হয়েছে ।



এতো বড় ঘাসফড়িং আমি এর আগে দেখি নি । তবে এটা মোটেই ফালাচ্ছিলো না । অতি ধীর গতিতে হেটে যাচ্ছিলো । কেউক্রাডংয়ের চুড়ায় ইনার সাথে দেখা হয়েছিলো !



কত মানুষ এই পথ দিয়ে হেটে গেল প্রতিনিয়ত অথচ পথের আপন হল না কেউ । অনেকটা আমার নিজের জীবনের মত । কত মানুষের সাথে পরিচয় । দরকার কিংবা অদরকারে, অথচ নিজের বলার মত কেউ পাশে রইলো না কখনো ।



সেই একই পাহাড় অথচ প্রতিবারই কত আলাদা কত সুন্দর !



আকাশ নদী আর মেঘের মাঝে এই নৌকাটাকে কতই না ছোট আর একলা অসহায় মনে হচ্ছে । আমার অবস্থাও কেন জানি এই একা পড়ে থাকা নৌকার মতই । অসহায় !

এটা আমার কমদামী মোবাইল ক্যামেরাতে তোলা এখনও পর্যন্ত সব থেকে সুন্দর ছবি । এর থেকে সুন্দর ছবি আমি তুলতে পারি নি । বগালেক সেদিন যেন আপন মহিমাতে ফুটে উঠেছিলো !



আজকের ছবি আর ছবির পেছনের গল্প এখানেই সমাপ্ট । সামনে আবারও হাজির হবে আরও ছবি নিয়ে !




সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৭
৪৫৬ বার পঠিত
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাই সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন: নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার

লিখেছেন বিদ্রোহী ভৃগু, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

ভূমিকাঃ

ছাত্র-জনতার সফল জুলাই বিপ্লবের পর আজ বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন ও প্রকৃত উন্নয়নের এক নতুন পথে যাত্র শুরু করেছে। নোবেল লরিয়েট ড। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=শোকর গুজার প্রভুর তরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪



প্রভু তোমার দয়ার কথা, বলে হয় না শেষ তো
কত রিযিক আহার দিয়ে, রাখছো মোদের বেশ তো!
তোমার সৃষ্টির কেরামতি, নেই কো বুঝার সাধ্য
তোমার বান্দা তোমার গোলাম, শুধু তোমার বাধ্য!

গাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুপার সানডে : সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের পথে বাংলাদেশ!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭


আজকের দিনটি বাংলাদেশের সচেতন মানুষের দীর্ঘদিন মনে থাকবে। এত সংঘর্ষ ও মারামারি অনেকদিন পর ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করলো। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মানুষ আগে থেকেই উদ্বিগ্ন তার উপর বিভিন্ন অবরোধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপে সংস্কার শেষে ভোটের পক্ষে রায় দিয়েছে ৬৫.৯ % মানুষ

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


পাগল ও নিজের ভালো বুঝে ,কখনো শুনেছেন পাগল পানিতে ডুবে মারা গেছে কিংবা আগুনে পুড়ে মারা গেছে ? মানসিক ভারসাম্য না থাকলেও মানুষের অবচেতন মন ঠিকই বুঝে আগুন ও পানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনূস সরকার নিজেই নিজের চাপ তৈরি করছে

লিখেছেন রাকু হাসান, ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩


ইউনূস সরকার সব সংস্কার কিংবা কাজ করতে পারবে না ,সেটা নিয়মিতর নিয়ম মেনে নিতে হবে । রাজনৈতিক দলগুলো , যে কালচার তৈরি করে গেছে সেটা এই সরকার আমূলে বদলে দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×