সরকারিভাবে তাজিংডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত। । কেউক্রাডং হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় ! কিন্তু বাংলাদেশের সব থেকে উচু পাহাড় গুলোর তালিকাতে তাজিংডং এর অবস্থান ৫ নম্বরে । কেউক্রাডংয়ের অবস্থান ছয় নম্বরে। এর থেকেও আরও চারটা উচুর পর্বত শৃঙ্গ রয়েছে । তাদেরই একটা জ্যোতলং পর্বতশৃঙ্গ । এটি বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত । উচ্চতা হিসাবে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় উচ্চ পর্বত । আর ওঠার পথ বিবেচনা করলে এর থেকে ভয়ংকর কিছু আর সম্ভবত হতে পারে না !
যাত্রার শুরুটাই আমাদের খারাপ ভাবে হয়েছিলো । প্রথমে তো বাস এসেছিলো ঘন্টাখানেক দেরীতে । এরপর কুমিল্লা হোটেলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রওয়ানা দিতেই বাস নষ্ট হয়ে গেল । মোট চার ঘন্টা বসে থাকতে হল রাস্তার উপরে । যখন বান্দরবান পৌছালাম তখন সকাল সাড়ে নয়টা । হোটেল থেকে সকালের নাস্তা করে চাঁদের গাড়ি দিয়ে থানচির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে দিতে সাড়ে দশটা বেজে গেল ।
বান্দরবান শহর থেকে থানচি কিংবা রুমার যাওয়ার এই পথটা আমার বেশ পছন্দ । আঁকা বাঁকা পাঁকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলে, এক পাশে উচু পাহাড় অন্য দিকে নিচু খাদ তারপর দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় । যত তাকিয়ে থাকি ততই যেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে । থানচি পৌছাতে তিন সাড়ে তিন ঘন্টা লাগে । বলিপারা আর্মিক্যাম্পে এন্ট্রি করাতে একটু সময় লাগে । টুরিস্ট বেশি হলে এখানে অনেক সিরিয়াল দিতে হয় !
থানচি পৌছে, দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সব রকম এন্ট্রি করিয়ে আমরা এবার উঠলাম ট্রলারে। চিকন ট্রলার । এক সাথে চার পাঁচজন উঠতে পারে । থানচি থেকে আমরা পৌছাবো রেমাক্রিতে । এই ট্রলার জার্নিটাও বেশ চমৎকার । এখন যেহেতু শীতকালের শেষ খালে পানির পরিমান একদম কম । কোথাও কোথাও হাটু পানি, কোথাও পাথর বের হয়ে আছে । তার মধ্য দিয়ে ট্রলার এগিয়ে চলছে । মাঝের একটা স্থানে বিশাল বিশাল সব পাথর । রাজা পাথর, রানী পাথর নামে পরিচিত । সেই পাথরর ভেতরে একে বেঁকে এগিয়ে চলছে আমাদের ট্রলার । স্রোতের বিপরীতে । মাঝে মাঝে পানি এতোই কম যে আমাদের ট্রলার থেকে নেমে পড়তে হয়েছে । এই ট্রলার জার্নিটা আমার অনেক দিন মনে থাকবে । বিশেষ করে সূর্য ডুবতে বসেছে । আমরা সেই বিকেলের অল্প আলোতে পানির উপর দিয়ে ছুটে চলেছি । মাঝে মধ্যে পানির নিচে তাকাচ্ছি, স্বচ্ছো পাথর দেখা যাচ্ছে । সব মিলিয়ে অতূলনীয় এক অভিজ্ঞতা ।
রেমাক্রিতে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল । রেমাক্রি ফলসটা অবশ্য এখন প্রাণহীন । শীতকালে এখানে পানি থাকে না বললেই চলে তাই এই সময়ে গেলে রেমাক্রির আসল সৌন্দর্য্য দেখা যাবে না । আমরা অবশ্য সেই সৌন্দর্য্য দেখার জন্য যাইও নি । অনেকে রাতে এখানেই থাকে । সকাল বেলা রওয়ানা দেয় নাফাকুমের উদ্দেশ্যে । আমাদের অবশ্য এখানে থাকার উপায় নেই । আমার যেতে হবে দালিয়ান পাড়াতে । রাতে ওখানে থাকতে হবে । খুব ভোরে আমার ট্রেকিং শুরু হবে ।
সন্ধ্যার সময়েই আমরা রেমাক্রি থেকে রওয়ানা দিলাম দালিয়ান পাড়ার উদ্দেশ্য । ততক্ষনে অন্ধকার নেমে এসেছে । আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে চলছি অন্ধকারে । এর আগেও আমি অন্ধকারে পথ চলেছি পাহাড়ে । তাই এই পথ চলা নতুন কিছু ছিল না । দালিয়ান পাড়া পর্য্ত ট্রেকিং টা খুব বেশি কঠিনও ছিল না । কেবল উচুতে ওঠো এবং নামো নিচে । এই ভাবে এগিয়ে চলছিলাম সামনে । ভয় লাগছিলো না । কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তি এসে ভর করেছিলো শরীরে । মনে হচ্ছিলো যেন আর চলতে পারবো না । মাঝে দুইবার বিরতি নিয়ে অবেশেষে পৌছালাম দালিয়ান পাড়াতে । তখন রাত সাড়ে নয়টা । দেখলাম পুরো পাড়া ঘুমিয়ে পড়েছে । ঢাকাতে রাত সাড়ে নয়টা কোন রাত হল !
আমরা যে ঘরে থাকবো তারাও ঘুমিয়ে পড়েছিলো । তবে আমাদের গাইড যে ছিল মূলত তার বউয়ের বাড়িতেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে । একটা ব্যাপার জেনে বেশ অবাক হয়েছিলাম । এই পাড়াতে স্বামী আর স্ত্রীর আলাদা আলাদা বাড়ি । বিয়ের পরেও তাদের দুইজনের আলাদা আলাদা বাড়ি রয়েছে । আমাদের গাইডডের নাম ছিল বাহাদুর । তার স্ত্রীর বাসায় আমরা ছিলাম !
দেখলাম পাড়ার সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও ঢাকা থেকে আরেকটা গ্রুপ সেখানে আমাদের আগে গিয়েছিলো । তাদের বেশ কয়েকজন পাশের উঠানে বসে গল্প করছে । যাই হোক আমরা ঘরে উঠলাম । কলপাড়ে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে এলাম । কয়েকজন আবার গোসল করলো । তখনই বাহাদুর সাহেব তাদের খোয়াড় থেকে মুরগি বের করে করলেন । মুরগি আলু ভর্তা ডাল আর ভাত দিয়ে রাতের খাবার বেশ ভাল হল । একটাই সমস্যা সেটা হচ্ছে খাবারে ঝাল হয়েছিলো প্রচুর ! খাওয়া শেষে দ্রুত শুয়ে পড়লাম । পরদিন আবার আমাদের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে !
পরদিন সকাল উঠে ভাত ডিম ডাল আর আলু ভর্তা খেয়ে যখন রওয়ানা দিলাম তখন সকাল সাড়ে ছয়টা । সময়টা একটু দেরি হয়ে গেল । আর ঘন্টা খানেক আগে রওয়ানা দেওয়া দরকার ছিল । ভুলটা তখন বুঝতে না পারলেও ফেরার পথে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম । যাইহোক আমাদের পথ হাটা শুরু হল । আজকে সারা দিনে আর আমরা ফিরে আসতে পারবো না । পুরোটা সময় আমাদের পাহাড়েই কাটাতে হবে । সাথে করে পানি আর শুকনো খাবার নিয়ে নিলাম । তারপর হাটা শুরু করলাম । সকালের দিকে একটু শীত শীত করছিলো । রাতেরও বেস শীত পড়েছিলো । তবে ঘন্টা খানেক হাটার পরেই সেই শীত শীত ভাবটা চলে গেল । কিন্তু তাই বলে গরম অনুভব হচ্ছিলো না । কারণ সূর্য উঠে গেলেও আমার কাছে সূর্যের আলো পৌছানোর কোন পথ ছিল না ।
এরপর আমরা কেবল হাটতেই থাকলাম । এই যে হাটার অভিজ্ঞতা, এটা কোন ভাবেই লিখে প্রকাশ করার উপায় নেই, এমন কি ছবি দেখে কিংবা ভিডিও দেখেই এই অভিজ্ঞতা বুঝানোর কোন উপায় নেই । এটা কেবল যে এই পাহাড়ে সামিট করেছে কেবল সেই বুঝতে পারবে । সব কষ্ট শেষ করে আমরা যখন জ্যোতলংয়ের চুড়ায় উঠলাম তখন একটা বাজে । আমি একটু আগে আগেই উঠে পড়েছিলাম । আমার টিমের লোকজন একটু পিছিয়ে ছিল । আধা ঘন্টা আমি একদম একা ছিলাম চুড়ায় । এতো নির্জন আর নিস্তব্ধতা আমি এর আগে কোন দিন অনুভব করি নি । মাঝে মধ্যে কোন নাম জানা পাঠির ডাক ভেসে আসছে ব্যাস এই হচ্ছে শব্দ !
আধা ঘন্টা পরে টিমের বাকি সদস্যরা উঠে এল । ছবি তোলা হল, নাম লিখে সামিট বক্সে রাখা হল । তারপর আবারও ফেরার পথ ধরতে হল ! ভয় হচ্ছিলো যে যে পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি এখন সেই পথেই ফেরৎ যেতে হবে ।
বেলা দুইটার সময় ফিরতি পথ ধরলাম । যারা পাহাড়ে উঠেন, তারা জানেন যে পাথুড়ে আর খাড়া পাহাড়ে ওঠার চেয়ে নামাটা আরও কঠিন । আমরাও সেটা টের পাচ্ছিলাম হাড়ে হাড়ে । একটা সময়ে আমাদের সাথে আনা সব পানি শেষ হয়ে গেল । নিচে অনেক টা দুরে ছোট একটা ঝর্নাতে রয়েছে পানি । সেখানে যেতে কত সময় লাগবে সেটা আমরা কেউ জানি না । নামতেছি তো নামতেই । এদিকে পানির জন্য কেমন যেন করছে ।
এই ব্যাপারটা আপনাদের সাথে হয় কিনা জানি না তবে আমার সাথে হয় । দিনে আমি পানি কম খাই । পানির পিপাসাতে খুব বেশি কাতর হই না । আর যে পথে আমরা যাচ্ছি/নামছি সেখানে গরম খুব বেশি নেই । কিন্তু এই যে পানি শেষ, পানি নেই এই একটা অনুভূতি এটাতেই আমাকে খানিকটা কাবু করে দিচ্ছিলো । বারবার কেবল মনে হচ্ছিলো যে পানি কখন খাবো কখন ! কয়েকবার এমন স্থানে এসে হাজির হলাম যেখান থেকে পানি পড়ছে ঠিকই তবে পানি নেওয়ার কোন উপায় নেই । সেটা মনের হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিলো !
যাক এক সময়ে সেই ঝর্নার কাছে এলাম । সেখানে দাড়িয়েই এক লিটার পানি খেয়ে ফেললাম । মনে হচ্ছিলো যেন এমন স্বাদের পানি আমি আর কোন দিন খাই নি।
আবারও আমাদের পাথর বেয়ে নামা শুরু হল । মাঝ পথেই অন্ধকার নেমে এল । হাটার গতি কমে এল আরও । কিভাবে যে পুরো অন্ধকারের ভেতরে আমরা আবার পাড়াতে ফিরে এলাম সেটা কেবল আমরাই জানি । এই বর্ণনা দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভবত না ।
এর আগে আমি বেশ কয়েকটা পাহাড়ে উঠেছিলো । কোন পাহাড়েই এই অভিজ্ঞতা আমার হয় নি । বান্দরবানের সব পাহাড়ই কষ্টের । তবে এর থেকে কঠিন আর ভয়ংকর পথ বুঝি আর একটাও নেই । পথ যেন আর শেষ হয় না । তবে আশার কথা যে আমাদের টিমের কেউই বড় রকমের আহত হয় নি, টুকটাক কেটেকুটে গিয়েছিলো ঠিকই তবে বড় রকমের কিছু হয় নি । আমি অবশ্য একবার পথ থেকে ছিটকে খাদের দিকে পড়ে গিয়েছিলাম । তবে ভাগ্য ভাল যে সেখানে বাঁশের ঝাড় ছিল । সেখানে আটকে গিয়েছিলাম । নয়তো এই পোস্ট হয়তো আর লেখা হত না ! আমরা ক্লান্তির সর্ব শেষ পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলাম সবাই । মনে হচ্ছিলো যেন আমাদের পা আর চলবে না । যদি এমন একটা উপায় থাকতো যে না হেটে আমরা পাহাড়ে থাকতে পারবো তাহলে বুঝি আমাদের কেউই আর হাটতো না । কিন্তু জায়গাটা এমনই একটা জায়গা যে এখানে না হেটে কোন উপায় নেই । একবার সেখানে গেলে আপনাকে হেটেই ফিরে আসতেই হবে ।
পাড়াতে পৌছাতে পৌছাতে রাত এগারোটা । যেখানে আমাদের আটটা সাড়ে আটটার ভেতরেই চলে আসার কথা । ঐ রাতের বেলা গোসল করলাম । খেয়ে দ্রুত শুয়ে পড়লাম । শরীর এতোই ক্লান্ত ছিল যে অন্য কোন দিকে আর কোন হুস রইলো না ।
পরের দিন আমার যোগি হাফং যাওয়ার একটা সিডিউল ছিল । কিন্তু আমরা সবাই বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের শরীরের যে অবস্থা তাতে কারো পক্ষেই আবারও সারা দিন হেটে ঐরকম আরেকটা পাহাড়ে ওঠা সম্ভব না । তাই সেই পরিকল্পনা আমরা বাতিল করলাম । এইবার কেবল জ্যোতলং সামিট পর্যন্তই থাকুক । পরের বার আমরা জোগি হাফংয়ে উঠবো ।
পরের দিন তাই একটু বেলা করেই উঠলাম । যতবার পাহাড়ে আমরা উঠেছি আমাদের সব সময় টাইট সিডিউল থাকে । আজকে ঐখানে যেতে হবে, এখান থেকে ওখানে পৌছাতেই হবে... এমন একটা চাপ থাকেই । কিন্তু পরের দিনটা আমাদের আসলে কোন কাজ ছিল না । আমরা পাড়া ঘুরতে থাকলাম, আড্ডা দিলাম, মাফিয়া খেললাম, পাড়ার গাছ থেকে কুল পেড়ে নিয়ে এলাম, সেটা আবার ভর্তা করে খেলাম সবাই । নিজেরাই রান্না করলাম দুপুর এবং রাতের । সন্ধ্যার সময় ক্যাম্প ফায়ার করলাম । সাথে গান । সব মিলিয়ে চমৎকার একটা দিন ।
পরদিন আবার সকাল বেলা ওঠা । ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার দালিয়ান পাড়া থেকে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া । আসার দিন এই পথ টুকু আমরা অন্ধকারের ভেতরে এসেছি বলে কিছুই দেখতে পারি নি । তবে আজকে সকালে রওয়ানা দিলাম বলে চারিদিকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে এগোতে থাকলাম । আসার দিন একটা স্থানে থেমে আমরা কফি বানিয়ে খেয়েছিলাম। সেই জায়গাতেও থামলাম বেশ কিছু সময় । মাঝে একটা দোকান পড়লো । সেখানে আবার রং চা পাওয়া যায় । সবাই মিলে চাও খেলাম সেখানে ।
রেমাক্রিতে বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেল । আমাদের জন্য যে নৌকা ঠিক করা ছিল সেই বেটার কোন খোজ ছিল না । প্রায় দুই ঘন্টা সেখানেই কেটে গেল । একটা সময়ে অবশ্য তারা এল । আমরা একই খাল ধরে ফিরে এলাম থানচি । এবার অবশ্য আমরা যাচ্ছিলাম স্রোতের অনুকুলে । তাই নামতে হল না আগের বারের মত ।
থানচি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে তারপর চাঁদের গাড়িতে করে বান্দরবান শহরে । সেখান থেকে ঢাকা !
চোখের পলকে কেমন করে চারটা দিন পার হয়ে গেল সেটা বলে বোঝানো যাবে না । ঢাকাতে এসেও যেন বারবার মনে হচ্ছিলো সেই পাহাড়েই পড়ে আছি । পাহাড়ের মায়া বড় কঠিন মায়া । একবার আটকা পড়লে কিছুতেই সেখান থেকে বের হওয়া যায় না । নিচে কয়েকটা ছবি যুক্ত করে দিলাম । যদিও কেবল ছবি দেখে একশ ভাগের এক ভাগও উপলব্ধি করা যায় না !
এটা হচ্ছে থানচি ব্রিজ ।
আমাদের টিমের একাংশ চিকন ট্রলারে উঠছে । আমাদের ট্রলার ছেড়ে দিয়েছে ।
ট্রলার এগিয়ে চলছে । চারপাশের ছবি
এটা বর্তমান রেমাক্রিফলসের ছবি । বর্ষাকেল গেলে এই খালের অন্য রূপ দেখা যায় ।
আমাদের গাইড পানি গরম করায় ব্যস্ত । এখানে আমরা কফি বানিয়ে খেয়েছিলাম রাতের বেলা ।
পরদিন সকালে আমরা জ্যোতলং পথে। এরপরের সব ছবিও যাবার পথে
এগুলো সব যাওয়ার পথে তোলা । অবশ্য আর শ দুয়েক ছবি রয়েছে । এতো ছবি তো পোস্ট করা সম্ভব না ! কয়েকটা দিলাম কেবল।
ফেরার পথে মনে হচ্ছিলো এই পথে কিভাবে উঠেছিলাম আমি !
পরদিনের দালিয়ান পাড়ায় । খুব চমৎকার সাজানো গোছানো আর পরিস্কার একটা পাড়া ।
দালিয়ান পাড়া থেকে রেমাক্রির দিকে ফিরে যাচ্ছি ।
যেই দোকানে চা খেয়েছিলাম
সব শেষে আমাদের জ্যোতলংয়ের চুড়ায় আমাদের সবার ছবি
আপাতত এই হচ্ছে জ্যোতলং ট্যুরের গল্প । আবার কবে যাঅ পাহাড়ে কে জানে !
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৫