নিজের পছন্দের মানুষটিকে অন্য কেউ বিয়ে করে নিচ্ছে, এবং তুমি কিছু করতে পারছো না, কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছো, এটা থেকে কষ্টের ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না । এমন একটা দৃশ্য আমি দেখতেও চাইতাম না কোন ভাবেই । নিতু বিয়ে করছে করুক । আমি বরং দুরে থাকি । আমার ইচ্ছে ছিল আমি নিতুর বিয়েতে আসবো না, কোন ভাবেই আসবো না । রফিক ভাই আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে এসেছে । কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে যদি আমি নিতুর বিয়েতে না আসতাম তাহলে জীবনের সব থেকে বড় ভুলটা করতাম !
নিতু আমার অফিসের চাকরি করে । আমার অফিস বলতে আমি বস নই, নিতুর মত আমিও সেখানে চাকরি করি । আমরা সহকর্মী । তবে নিতুর সাথে আমার কখনও ঠিক মত কথা হয়েছে কি না আমার মনেও নেই । কেবল কাজের কথাই মাঝে মাঝে হত । কোন দরকারে সে আমার কাছে আসতো কিংবা আমি কোন কাজে তার কাছে যেতাম । আমাদের মাঝে কেবল এই সম্পর্ক ছিল ।
তবে আমি মনে মনে তাকে অনেক বেশি পছন্দ করতাম ! মনে মনে স্বপ্ন দেখতাম কাজের পরেও আমাদের মাঝে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে । আমরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি । কফিসপে গিয়ে কফি খাচ্ছি । কতবার ইচ্ছে হয়েছে ওকে কফি খাওয়ার একটা দাওয়াত দিই। কোন দিন বলতে পারি নি । বলতে্ পারার কোন কারণও অবশ্য নেই । সারা জীবনই আমি বরাবরই নিশ্চুপ ধরনের মানুষ । মানুষের সাথে ঠিকমত মিশতে পারি না । সব থেকে দুরে দুরে থাকি । দুরে দুরে থেকেই সব কিছু হারিয়ে ফেলি ।
নিতুকে পছন্দ করার এই ব্যাপারটা আমি কাউকে কোন দিন বলি নি । কেবল অফিসের রফিক ভাই জানতো । রফিক ভাই আর আমার ডেস্ক পাশাপাশি । একটু আগে যে বললাম যে নিতু মাঝে মাঝে আমার কাছে আসতো অফিসের কাজে । আসলে নিতু আসতো রফিক ভাইয়ের কাছে । রফিক ভাই কাজের ছুঁতো দেখিয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতো । অবশ্য এই জন্য আমার কাছ থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিতে ভুল করতো না । অবশ্য ঐ সময় টুকু নিতুর সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি আরও অনেক কিছুই দিতে প্রস্তুত ছিলাম !
এমন ভাবেই দিন চলে যাচ্ছি । এর মধ্যেই দুঃসংবাদটা শুনতে পেলাম ।
নিতু বিয়ে ঠিক হয়েছে । পাত্রও আমাদের পরিচিত !
কদিন আগে আমাদের রকলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সাথে যৌথ প্রযোজনায় একটা প্রোজেক্টে কাজ করেছে । সেটার দায়িত্বে ছিল রুয়াদ নামের একটা ছেলে । বুয়েট থেকে পাশ ইঞ্জিনিয়ার। দেখতে শুনতে বেশ । সব থেকে বড় কথা সবার পছন্দ হওয়ার মতই একটা ছেলে । চমৎকার হাসি খুশি ! আমাদের অফিস থেকে নিতু সব কিছু সামলাচ্ছিলো । এই হিসাবে এই দুজনের দেখা সাক্ষাত হতে থাকলো বেশ । সেখানেই সব কিছু শুরু সম্ভবত । প্রথমে বন্ধুত্ব আর পরে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে ।
আমার এখানে কিছুই করার ছিল না কেবল মন করে বসে থাকা ছাড়া । আমি তাই মন খারাপ করেই বসে ছিলাম । সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নিতুর বিয়েতে মোটেই আসবো না । কিন্তু রফিক ভাই আমাকে জোর করেই নিয়ে এসেছে । হাসতে হাসতে বলেছে, আরে ভাই ভালবাসা না দিক মুরগির রোস্ট আর কাচ্চি তো দিয়েছে । সেটাই খাও । শুনো পেট ভরে খাওয়ার থেকে বড় কিছু পৃথিবীতে আর কিছু নেই ।
কথা অবশ্য একেবারে মিথ্যে না । পেট ভরে পছন্দের খাওয়ার মত আনন্দের ব্যাপার আর নেই কিছু !
আমি তাই রফিক ভাইয়ের সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম । এখনও খাওয়া দাওয়া দেওয়ার নাম নেই । আগে নাকি বিয়ে সম্পন্ন হবে তারপর খাওয়া দাওয়া দিবে ! এখন সাধারন বিয়ের অনুষ্ঠানে আগে থেকেই বিয়ে হয়ে যায় বাসায় । অনুষ্ঠানে কেবল বর বউ বসে থাকে । ছবি তোলে, মানুষের সাথে হাসি মুখ কথা বলে । কিন্তু নিতুর বিয়েতে এসবের কিছু হচ্ছিলো না । এখানেই বিয়ে হবে, এখানেই সব কিছু হবে !
বর চলে এসেছে অনেক সময় আগেই । কাজী সাহেবকেও চলে আসতে দেখখাল । তখনই আমার মনে হল যেন কিছু একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ঘটতে চলেছে । একটু সময় পরেই লক্ষ্য করলাম নিতুকে এগিয়ে আসছে ভীড়ের মাঝে । নিতু এগিয়ে যাচ্ছে বরের স্টেজের দিকে। বিয়ের পরে বর বউ এক সাথেই স্টেজে উঠবে । কিন্তু নিতুর হাটার মাঝেই আমি খানিকটা অস্বাভাবিকত্ব দেখতে পাচ্ছিলাম ! এর পেছনে আরও একটা করণ অবশ্য আছে । বিয়ের পর যখন কনেকে স্টেজের দিকে নিয়ে আসা হয় তখন কনে হাটে বেশ ধীরে । তাকে তখন অনেকে ঘিরে রাখে । অনেক মানুষ তার আশে পাশে থাকে ! কিন্তু এখানে নিতুকে দেখা যাচ্ছে একা একাই এগিয়ে আসছে । এবং সে বেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে । যেন রেগে আছে এমন একটা ভাব । আর নিতুর পেছনে এক ভদ্রমহিলাকে কেবল দৌড়ে আসতে দেখছিলাম । ভদ্রমহিলা সম্ভবত নিতুর মা । সে নিতুকে সামনে যেতে মানা করছে ।
নিতু কারো কথা না শুনে সোজা স্টেজের দিকেই হাটা দিল । আমি আর রফিক ভাই একটু এগিয়ে গেলা। আমাদের মত দেখলাম অনেকেই দেখলাম এগিয়ে এসেছে । নিতু সরাসরি রুয়াদের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমার বাবা নাকি আমার বাবার কাছে ফ্ল্যাট আর গাড়ি দাবী করেছে ?
কথাটা নিতু বেশ জোড়েই বলল । আমরা সবাই শুনতে পেলাম !
খাইছে আমারে ! নিতু যে এমন একটা ব্যাপার নিয়ে এখানে কথা বলবে সেটা আমি ভাবতেও পারি নি । রুয়াদ সাহেবও সম্ভবত ভাবতে পারে নি । মুখটা মুহুর্তেই কালো হয়ে গেল । তবে হাসিটা আবার ফিরে এল মুহুর্তেই ! সে উঠে দাড়িয়ে নিতুকে খানিকটা বোঝানোর চেষ্টার ভঙ্গিতে বলল, এসব কথা আলোচনা হবে ! আগে বিয়েটা হয়ে যাক ! কাজী সাহেব চলে এসেছে ।
নিতুর মাও পেছনেই ছিল । সে নিতুর কাধ ধরে পেছনে টানতে গেল । নিতু সেদিকে বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে রুয়াদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমার এতে সম্মতি আছে ?
রুয়াদ আবারও মুখে হাসি নিয়েই বলল, এসব নিয়ে পরে কথা বলি ! এখানে নয় !
-না এখানেই কথা বল। বিয়ের আগেই । তোমার এতে সম্মতি রয়েছে ! তাই না ? এই যৌতুক তুমি সাপোর্ট করছো ?
এবার দেখলাম রুয়াদের মুখের হাসি মুছে গেল । সেটা আর ফিরে এল না । রুয়াদ বলল, এটা যৌতুক কেন বলছো ? উপহার বল । আর এটা তো তোমার আর আমার জন্যই তো ! অন্য কারো জন্য না তো !
নিতু বলল, আচ্ছা উপহার ! উপহার এইভাবে চেয়ে নিতে হয় জানতাম না তো ! তা উপহার কেন কেবল পেয়ে পক্ষই দেবে তোমার বাবা আমাদের কি দিবে ?
রুয়াদের মুখে এবার খানিকটা রাগের চিহ্ন দেখলাম । তবে নিতু সেদিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল দিল না । রুয়াদ বলল, দেখো নিতু এসব কিন্তু ভাল হচ্ছে না । একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে । সিন ক্রিয়েট করো না । প্লিজ !
-সিন ক্রিয়েট মাই ফুট ! এখনই বের হয়ে যাও । তোমাকে আমি বিয়ে করবো না । যৌতুক লোভী কোন ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না !
আমি লক্ষ্য করলাম একটু আগে যে গুঞ্জন চলছিল অতিথিদের মাঝে সেসব থেমে গেছে । সবাই এখন একদম চুপ করে সামনের স্টেজের দিকে তাকিয়ে আছে । কেউ কোন কথা বলছে না !
রুয়াদের পাশ থেকে এক ভদ্রলোক এগিয়ে আসতে গেল রুয়াদ তখন তাকে থামিয়ে দিল । তারপর বলল, বাবা আমি দেখছি !
এরপর নিতুর দিকে তাকিয়ে বলল, নিতু অনেক হয়েছে ! আমরা কিন্তু চলে যাবো এখান থেকে !
-চলে যাও ! এখনই চলে যাও ! প্লিজ ! তোমাদের থাকতে বলছি না । তোমাকে আমি বিয়ে করবো না ! বুঝতে পারছো তুমি !
রুয়াদ কিছু সময় চুপ করে রইলো । আমি রুয়াদের চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারছিলাম ও নিজের রাগকে সামলানোর চেষ্টা করছে । সে খানিকটা উদ্ধত কন্ঠে বলল
-ও কি ভাবছো তুমি নিজেকে ? আমি যদি এখান থেকে চলে যাই তোমার আর ভাল বিয়ে হবে ভেবেছো ? কে বিয়ে করবে তোমাকে শুনি?
পুরো হল রুমের মানুষ গুলো তখন তাকিয়ে আছে স্টেজের দিকে । কেউ কোন কথা বলছে না । নিতু রুয়াদের এই কথার জবাব দিতে যাবে, তখনই সব থেকে বড় আশ্চর্যের ঘটনাটা ঘটলো ! পাশ থেকে আমি শুনতে পেলাম কে যেন বলল, অপু করবে !
সবার মুখ আওয়াজ লক্ষ্য করে ঘুরে গেল । আমিও ঘুরে তাকালাম রফিক ভাইয়ের দিকে । কারন কথাটা বলেছে রফিক ভাই । রফিক ভাই আবারও কথাটা বলল । এবার আরও একটু জোরে ।
-অপু করবে বিয়ে । এবং অপুর কোন যৌতুক নিবে না । এক টাকাও না !
আমি চোখ বড় বড় করে কেবল রফিক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম । একটু পরেই লক্ষ্য করলাম যে সবাই আমার দিকেই তাকিয়ে আছে । এমন কি, স্বয়ং নিতুও তাকিয়ে আছে আমার দিকে । নিতুর কন্ঠ স্বর শুনতে পেলাম আবার । সে রুয়াদকে বলল, তুমি তোমার বাবামা কে নিয়ে চলে যাও এখনই । এখনই !
রুয়াদ এবার হিংস্র কন্ঠে বলল, নিতু ব্যাপারটা ভাল হবে না বলে দিচ্ছে । আমাদের এভাবে ডেকে নিয়ে এসে অপমান করতে পারো না । তোমাদের নামে কেস করবো ?
-কেস ! করে দেখাও । তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি তার মানে এই নামে তুমি কেস করবা আর আমি চুপচাপ বসে থাকতো । এই দেখো ভিডিও ক্যামেরা চালু আছে । তুমি যা বলেছো সব রেকর্ড আছে । তোমার নামে যৌতুক চাওয়ার মামলা করবো । এখনই দুর হও এখান থেকে নয়তো গার্ড দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব !
এর ভেতরে দেখলাম আরেক ভদ্রলোক এগিয়ে এল । নিতুর বাবাই মনে হল আমার । সে এতো সময় কোথায় ছিল কে জানে ! স্টেজে সে আসতেই রুয়াদ তার কাছে এগিয়ে গেল । তারপর বলল, আঙ্কেল দেখুন নিতু কি বলছে !
আঙ্কেল কোন কথা না বলে নিতুর দিকে তাকালো । তারপর বলল, আরেকবার কি ভেবে দেখবি তুই ?
-না বাবা ! কোন ভাবা ভাবি নেই । তুমি যদি আমাকে আগেই এই দাবীর কথা বলতে আমি কোন দিন বিয়েতে রাজি হতাম না । উপহারের নামে যৌতুক দাবী এই সব জানোয়ারদের সাথে কোন সম্পর্ক গড়বো না আমি ! তুমি বললেও না !
নিতুর বাবা তখন রুয়াকে বলল, তোমরা বরং চলে যাও !
-কিন্তু আঙ্কেল !
-কোন কিন্তু না ! আমি মেয়ের দিকে তাকিয়ে তোমার বাবার কথার উপরে কোন কথা বলি নি । ভেবেছি নিতুর যখন পছন্দ তখন একটু কষ্ট হলেও মেনে নিই । কিন্তু আমার মেয়েকে আমি চিনতে ভুল করেছিলাম ।
-এভাবে আপনি আমাদের অপমান করতে পারেন না ।
-অপমান ! যখন আমাদের কাছে ওসব চেয়েছিলো তখনই তোমাদের মান বলতে আর কিছু ছিল না । এখন চলে যাও দয়া করে !
আমি দেখলাম রুয়াদ তার ফ্যামিলিকে নিয়ে স্টেজ থেকে নেমে গেল । নিতু ওর বাবাকে খানিকটা জড়িয়ে ধরলো । নিতুর বাবা তারপর স্টেজ থেকে গেস্ট দের উদ্দেশ্য করে বলল, সবাই খেয়ে যাবেন । বিয়ে না হোক আপনারা অবশ্যই খেয়ে যাবেন !
বিয়ের কথা শুনতেই দেখলাম নিতু আমার দিকে তাকালো । তারপর আমাকে অবাক করে দিয়েই আমার দিকে এগিয়ে এল । আমার সামনে দাড়ালো । সবার সামনেই আমাকে বলল, রফিক ভাই যা বলল সেটা কি সত্যি ?
আমার বুকের ভেতরে কেমন ঢিপঢিপ করলো । কি বলবো খুজেই পেলাম না প্রথমে । তারপর নিজেকেই বোঝালাম যে এমন সুযোগ আর আসবে না কোন দিন । আমি বুকে বড় দম নিয়ে বললাম, হ্যা আমি এক টাকাও যৌতুক নিবো না । কোন উপহারও চাই না !
নিতু হেসে ফেলল । তারপর বলল আমি এটার কথা জানতে চাই নি !
নিতুর হাসি দেখে খানিকটা সাহস বেড়ে গেল । বললাম, হ্যা ! আমি তোমাকে অবশ্যই বিয়ে করতে চাই ।
-এখনই ?
-হ্যা এখনই !
পরিশিষ্টঃ
আমাদের বিয়ে হয়েছিলো সেই দিনই । আমার কাছে কেবল মনে হচ্ছিলো যেন আমি একটা স্বপ্নের মাঝেই রয়েছে । বাসর রাতে যখন আমি ওর হাত ধরলাম প্রথম বারের মত তখন মনে হয়েছে যে না সত্যিই আমি ওকে পেয়ে গেছি ।
তবে সব চেয়ে মজার ব্যাপার টা হয়েছিলো রুয়াদ সাহেব কে নিয়ে । ঘটনাটা কিভাবে জানি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলো । গেস্টদের ভেতরে কয়েকজন ভিডিও করে নেটে ছেড়ে দিয়েছিলো ।
আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকীতে একজনের কাছ থেক খবর পেলাম যে রুয়াদ সাহেবের তখনই নাকি বিয়ে হয় নি ! মানে বিয়ে করতে পারে নি সে । যৌতুক লোভী হিসাবে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো ! কোন ভাল পরিবারই তার কাছে মেয়ে দিতে রাজি হচ্ছিলো না !
দুদিন আগে একটা চমৎকার ভিডিও দেখলাম ফেসবুকে, এ টাইনি মোমেন্ট অব কারেজ । কিভাবে উপহারের নামে কিছু জানোয়ারেরা কনে পক্ষের উপর চুষে খায় । ভিডিওতে এই রকম একজন সাহসী মেয়ে সেই বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ! স্টেজ থেকে উঠে চলে আসে । যদি সব মেয়ে গুলোই এমন সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারতো ! এই সমস্ত জানোয়ার গুলোকে লাথি মেরে বিয়ের আসর থেকে দুর করতে পারতো !! সেই ভিডিও থেকেই এই গল্পের সুত্রপাত ! ভিডিওর লিংক নিচে দিয়ে দিলাম !
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৪