নিশির বাবার কথায় আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে তিনি তার মেয়ের সাথে আমার মেলামেশা মোটেই পছন্দ করছেন না । নিশির জন্যই হয়তো সরাসরি কিছু বলতে পারছেন না । কিন্তু কথা ঘুরিয়ে ঠিকই আমাকে বুঝিয়ে দিলেন যে এখন আমার দুরে চলে যাওয়া উচিৎ, আমি যেন তার মেয়ের সাথে না মিশি ।
অবশ্য তাকেও দোষ দিতে পারি না । আমার মত ছেলের সাথে তার মেয়ে মিশুক এমনটা কোন বাবাই চাইবে না । আমি বাবা হলে হয়তো আমার মনভাবও তেমনই হত । আর ব্যাপারটা এমনটা না যে নিশির সাথে আমার খুব প্রেম ভালবাসা চলছে । ওর সাথে আমার একটা ছোট ঘটনার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে । তারপর প্রায়ই আমার কথা হয়, এক সাথে কফি খাওয়া হয় । আমার কাছে আমাদের সম্পর্কটা এর থেকে বেশি কিছু না । একদিন নিশি ঠিক করলো আমরা ওর বাবার সাথে কফি খাবো । আমার কথা নাকি ও পরিবারের কাছে বলেছে ।
আমি হাজির হতেই নিশির বাবা আমার ইন্টারভিউ নিতে শুরু করলেন । আমি কি করি কোথায় থাকি, আমার জীবনে আর কে কে আছে এই সব । আমি চুপচাপ সব প্রশ্নের জবাব দিতে লাগলাম । আর এটাও বুঝতে পারলাম যে আমার কোন উত্তরই তার পছন্দ হচ্ছে না । নিশি অন্য ঘরে যেতেই এবার আসল কথা শুরু হল ।
নিশিকে বিয়ের জন্য এক আমেরিকান প্রবাসী ছেলে ঠিক করে রাখা আছে । দুই মাসের মধ্যে নিশি স্কলারশীপ নিয়ে সেখানে যাবে । তারপর সেখানেই তাদের বিয়ে হবে । এমনই তার ইচ্ছে । তিনি সারা জীবন নিশির জন্য সব সময় সেরাটাই চেয়ে এসেছে । সে চায় না নিশি জীবনে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিক । ভুল সিদ্ধান্তটা যে আমি সেটা সরাসরি না বললেও আমার বুঝতে কষ্ট হল না ।
আমি জানি নিশি এসব কথার কিছুই জানবে না কোন দিন । ও যে স্কলারশীপ পেয়েছে, এটা ও আমাকে নিজেই বলেছে। তবে নিশি আমাকে এও বলেছে যে সে এখনও নিশ্চিত না । একবার মনে হচ্ছে চলে যায় আরেকবার মনে হচ্ছে না যায় ।
রাতে খাওয়ার পরে নিশি আমাকে ডেকে নিয়ে গেল ছাদে । ওদের ছাদটা নাকি অনেক চমৎকার । রাতে অন্ধকারে এখানে বসে থাকতে অনেক ভাল লাগে । আমি আস্তে আস্তে ওর পেছন পেছন উঠে এলাম । রেলিংয়ের পাশে পেতে রাখা বেঞ্চে বসে রইলাম বেশ কিছুটা সময় । কিছু সময় কেটে গেল একেবারে চুপচাপ ।
একটা সময় আমি হঠাৎ লক্ষ্য করলাম যে নিশি আমার হাত ধরেছে । আমি খানিকটা অবাক হলাম । আমার পরিচয়টা সত্যিই বলতে কি এখনও হাত ধরার মত হয় নি । ওর সাথে পরিচয়টাও হয়েছিলো বেশ অদ্ভুদ ভাবে ।
মাস ছয়েক আগের কথা । আমি বাইক নিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম । আমার বাসাটা বসিলা ব্রিজ পার হয়ে আরেকটু দুরে । উচু দেওয়া ঘেরা একটা এক তলা বাসাতে আমি থাকি । ঢাকাতে এই ছোট বাসা ছাড়াও কলা বাগামে আমার নামে আরেকটা বাড়ি আছে । মূলত সেখান থেকে আসা ভাড়ার টাকা দিয়েই আমার দিন চলে যায় । আমি শান্তিতে থাকি এখানে । ঢাকার এতো কাছে হয়েও জায়গাটার ভেতরে তখনও কেমন গ্রাম গ্রাম একটা ভাব আছে । আর বাইক থাকায় আমার যাতায়াতে খুব একটা কষ্টও হয় না ।
যাই হোক ব্রিজ হতেই লক্ষ্য করলাম একটা মেয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে । মাঝে মাঝে একটা ইজিবাইককে দাড় করালো, কিছু বলল কিন্তু ইজিবাইকটা তাকে না নিয়ে চলে গেল । আমি খানিকটা অবাক হলাম । এই রাস্তায় ইজিবাইক ওয়ালারা সাধারনত প্যাসেঞ্জারকে মানা করে না ।
আরেকটু কাছে যেতেই আমি দেখতে পেলাম যে মেয়েটার পাশেই একটা কুকুর পড়ে রয়েছে । মুখের এক দিকে খানিকটা রক্ত লেগে আছে । সম্ভবত দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছে । মেয়েটা তাকে বাঁচাতে চাইছে । কিন্তু এই কুকুরকে কোন যান বাহন নিতে রাজি হচ্ছে না । আমি বাইক থামালাম মেয়েটার সামনে । মেয়েটা আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার রাস্তার দিকে তাকালো । আমি বললাম
-কোন যানবাহন এই কুকুরকে তুলবে না ।
মেয়েটা আমার দিকে তাকালো আবার । তারপর বলল
-ট্যাক্সি পর্যন্ত ডেকেছিলাম । নিতে রাজি হল না ।
আমি বললাম
-কোলে নিয়ে বসতে পারবেন পেছনে ?
মেয়েটা সম্ভবত প্রথমে আমার কথা ঠিক বুঝতে পারলো না । যখন বুঝতে পারলো তখন প্রথমে ঠিক বিশ্বাস করতে পারলো না । বলল
-সত্যি ? আমি নিয়ে যাবেন ?
-হ্যা ! আসুন !
মেয়েটা নিজের ওড়না পেঁচিয়ে কুকুরটাকে কোলে তুলে নিল । তারপর আমার পেছনে উঠে বসলো । এই ঢাকা শহরে মানুষ মরে পড়ে থাকলেও মানুষ না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যায় আর এই মেয়েটা সামান্য একটা কুকুরকে বাঁচানোর জন্য কত সময় ধরে রাস্তায় ধারে দাড়িয়ে আছে । সেটাকে নিজের কোলেও তুলে নিতে একটুও দ্বিধা বোধ করলো না । পশু পাখির প্রতি আমার ছোট বেলা থেকেই একটা আলাদা টান আছে । এই জন্য মেয়েটাকে সাহায্য করতে মন চাইলো ।
কুকুরটাকে নিয়ে গেলাম কাজী আলাউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালে । মেয়েটা আমাকে অনেক ধন্যবাদ দিল সাহায্য করার জন্য ।
ঐটাই ছিল নিশির সাথে আমার প্রথম দেখা । নিশি কুকুরটাকে নিয়ে দ্রুত ভেতরে চলে গেল । আমি তার নামটা পর্যন্ত জিজ্ঞেস করতে পারলাম না । ভেবেছিলাম এই এতো বড় শহরে আর হয়তো নিশির সাথে দেখা হবে না । তবে হয়ে গেল আবারও । এবার দেখা হওয়ার পেছনে ছিল একটা বেড়ালের বাচ্চা ।
কুকুর আমার খুব একটা পছন্দ না হলেও বেড়ালের বাচ্চা আমার বেশ প্রিয় । যদি রাস্তার ধরা আমি একদম ছোট বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখি মা বেড়াল ছাড়া তাহলে ওটা আমি বাসায় নিয়ে আসি । কদিন পুষে বড় করে তারপর ছেড়ে দিই যাতে একা একাই থাকতে পারে । সেদিনও রাস্তার পাশে এমন একটা বিড়ালের বাচ্চা দেখেই আমি নিচে সেটার পাশে থেমে কিছু সময় এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম । খুজতে লাগলাম আশে পাশে বাচ্চাটার মা বিড়ালটা আছে কি না । যখন মনে হল বাচ্চাটা হারিয়ে গেছে তখন মনে হল এটাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাক ।
বাচ্চাটা হাতে নিয়েই বাইকে উঠতে যাবো এমন সময় পেছন থেকে একটা কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম ।
-এই কাজ কি প্রায়ই করেন ?
তাকিয়ে দেখি সেদিনের সেই মেয়েটা হাসি মুখে এগিয়ে আসছে । আমি হাসলাম । তারপর বললাম
-নাহ সব সময় না । তবে মাঝে মাঝে ।
আমার হাত থেকে বাচ্চাটা নিয়ে বেশ খানিকটা সময় আদর করলো । তারপর বলল
-এটাকে কোথায় নিয়ে যাবেন ?
-আপাতত বাসায় । ওখানে একটু পড় হলে তারপর ছেড়ে দিবো !
-আপনার বাসা কোথায় ?
-ঐ যে ঐদিন যেখানে দেখা হল তার একটু সামনে !
-তাই নাকি ? তা আপনার বাসায় আরও প্রাণী আছে ?
-বিড়াল আছে বেশ কিছু । কয়েকটা পোষা পাখি আছে তবে তারা মাঝে মাঝে কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায় । আবার সময় হলে ফিরে আসে !
-সেদিন আপনাকে ঠিক মত ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি । আজকে চলুন আপনাকে চা খাওয়াই ।
-এখন ?
-হ্যা সমস্যা কি ?
-বাচ্চাটা রেখে আসি আগে ! অন্য কোন দিন না হয় হবে !
তারপর মেয়েটা যা বলল তাতে আমি বেশ অবাকই হলাম । মেয়েটা বলল
-তাহলে চলুন আগে আপনার বাসায় গিয়ে বাচ্চাটা রেখে আসি । সেই সাথে সব বিড়ালকে দেখেও আসবো নে । তারপর চা খাওয়াবো আপনাকে !
আমি খানিকটা খুশিই হলাম । বলল
-আমাকে আপনি চেনেন পর্যন্ত না, আমার সাথে বাড়ি পর্যন্ত চলে যাবেন ! এতো বিশ্বাস কিন্তু ভাল না ।
মেয়েটা বলল
-যে মানুষ পশু পাখি পছন্দ করে সে মোটেই খারাপ হতে পারে না !
তারপর আর কথা না বলে বিড়ালটা কোলের ভেতরে নিয়ে আমার বাইকের পেছনে চড়ে বসলো ।
সেই থেকেই আমাদের প্রায়ই দেখা হয় । কথা হয় । নিশির মুখেই আমি শুনি যে আমার সাথে মেশার পর থেকেই ওর নিজের ভেতরেই নাকি পরিবর্তন এসেছে । আগে একটা নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতো । এখন সেটা আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে । এবং এটা সে মোটেই অখুশি নয় ! আজকেও আমার হাত ধরাতে আমার সেটাই মনে হল । কিন্তু ওর বাবা মনভাব তো অন্য রকম ।
নিশিদের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওর বাবা আবারও আমাকে সেই আগের কথাই বললেন । আমাকে বললেন যে আমাকে তিনি যা বলেছেন সেটা যেন আমি মনে রাখি । আমি খানিকটা মন খারাপ নিয়েই বের হয়ে এলাম ওদের বাসা থেকে ।
তারপর থেকেই নিশির সাথে খানিকটা মেলামেশা কমিয়ে দিলাম । ও হয়তো বুঝতে পারলো ব্যাপারটা । আমার আচরনে কষ্টও পেল বেশ । তবে মুখ ফুটে কিছু বলল না । একদিন আমাকে ফোন করে জানালো যে ও আমেরিকার স্কলারশীপটা কনফার্ম হয়ে গেছে । সেখানে মাস্টার্সের পরে হয়তো পিএইচিডিটাও করে আসবে । সামনের রবিবার তার ফ্লাইট । বুঝলাম নিশি তাহলে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে ।
একবার মনে হল ওর বাবার কথাটা ওকে বলে দেই । নিশিকে বলি যে আমি তাকে মোটে এড়িয়ে চলতে চাই নি । তারপর মনে হল দরকার নেই । নিশির বাবা তো নিশির ভালর জন্যই সেটা বলেছে ।
তারপর কেটে গেছে তিনটা মাস । অনেক আগেই ফেসবুক থেকে বিদায় নিয়েছি । মোবাইলটা বেশির ভাগ সময়েই বন্ধ করে রাখি । কারো সাথে কথা বলতে ভাল লাগে । মানুষের সাথে মিশতেও ভাল লাগে না আর আগের মত । বাইক চালানোও কমিয়ে দিয়েছি । এর থেকে বাসায় থাকা পশু পাখি গুলোর সাথেই বেশি সময় কাটে । আগে কেবল বিড়াল থাকলেও কয়েক দিন থেকে কয়েকটা কুকুর এসে হাজির হয়েছে । খাবার দিচ্ছি তাদের নিয়মিত । তাই তারা সারাটা সময় আসে পাশেই থাকে । আমি হাটতে বের হলে আমার পেছন পেছন ঘুরে বেড়ায় ।
আমি ততদিনে নিশির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম । কিন্তু ভাগ্যে হয়তো অন্য কিছু লেখা ছিল । অনেক দিন পর ছুটির দিনে বাইক নিয়ে বের হয়েছি । বহুদিন কোন পরিশ্রম না করার কারনে আমার শরীর স্বাস্থ্য বেশ ফুলে গিয়েছে । একটু মোটামোটা লাগছে নিজের কাছেই । মনে হল আবার নিজের শরীর ঠিক করার সময় এসেছে । বাইক নিয়ে আবারও আগের মত ঘুরাঘুরি শুরু করে দিলাম । সেদিনও আপন মনে এদিক ওদিক যাচ্ছি । ছুটির দিন বলে রাস্তা বেশ ফাঁকা ছিল । জোরেই চালাচ্ছিলাম । তখনই আমি হঠাৎ করে সামনে একটা বিড়ালের বাচ্চা চলে গেল । এসে একেবারে ফ্রিজ হয়ে গেল যেন । আমি যখন ব্রেক চেপে আমার বাইকটা থামিয়েছি আমার মনে হল সর্বনাশ হয়ে গেছে । বাচ্চাটা আমার বাইকের চাকার নিচে চলে পড়েছে ।
তখনই পাশ একটা একটা আওয়াজ শুনতে পেয়েই আমি একেবারে জমে গেলাম ।
নিশি চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসছে । আমার মাথায় হেলমেট থাকায় তখনও আমাকে ও ঠিক চিনতে পারে নি । সোজা সুজি এসে আমার চাকার নিচ থেকে বাচ্চাটা উদ্ধার করলো । আশার কথা হচ্ছে বাচ্চাটার কোন ক্ষতি হয় নি । নিশি বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আমাকে বকেই যাচ্ছে ।
আমার তখনও সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে । নিশির তো এখন এখানে থাকার কথা না । তাহলে ?
আমি আমার হেলমেট টা খুলতেই নিশির বকাবকি বন্ধ হয়ে গেল । আমার দিকে কিছুটা সময় কেবল এক ভাবে তাকিয়ে রইলো । আমি বললাম
-তুমি যাও নি ?
নিশি নিজেকে সামলে নিলো মুহুর্তেই । অভিমান ভরা কন্ঠে বলল
-আমি গেলেই কি আর না গেলেই কি ! তোমার তাতে কি !
এই বলে নিশি আবার ঘুরে হাটা দিল । আমি খানিকটা সময় বোকার মত তাকিয়ে রইলাম সেদিকে । কি করবো বুঝতে কিছু সময় লাগলো । তারপর আর দেরি করলাম না । সোজা নিশির সামনে গিয়ে হাজির হলাম । তারপর বললাম
-আমাকে কিছু বলার সুযোগ দাও প্লিজ ! একটা বার মাত্র !
তাকিয়ে দেখি নিশির চোখ দিয়ে ততক্ষনে পানি পড়ছে । আমি একটু এগিয়ে গিয়ে ওর একটা হাত ধরলাম । তারপর বললাম
-একটা বার মাত্র শোন !
নিশিকে নিয়ে আবারও আমার বাসায় গিয়ে এলাম । তারপর আমার এই রকম আচরনের কারনটা ওকে খুলে বললাম । ঐদিন নিশির বাবা আমাকে কি বলেছিলো সে সবই বললাম সব । নিশি বলল
-আমেরিকাতে যাওয়ার আগের দিনই বাবা মারা যায় হঠাৎ করেই । মাকে একা ছেড়ে তাই আর যাওয়া হয় নি ।
-আমাকে একবার ফোন দিতে পারতে !
-তোমার মোবাইল খোলা ছিল ?
আমি কিছু বলতে পারলাম না । নিশি বলল
-খুব অভিমান হয়েছিলো তোমার উপর ! এখন রাগ হচ্ছে । আমাকে একটাবার বলা যেত না এই সব !
-আসলে ....।
নিশি তখন বাসার সকল প্রাণী গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে কুকুর বেড়াল কয়েকটা খরগোস আর গিনিপিগ ! পাখিও আছে বেশ কয়েকটা । নিশি সেদিকে তাকিয়ে বলল
-বাসা দেখি একেবারে চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছো !
-হুম । খুব একা একা লাগতো !
নিশি এবার আমার দিকে তাকালো । ওর চোখের দিকেই তাকিয়ে আমার মনে হল এখন থেকে আর আমার একা একা লাগবে না । এইবার নিশি আর আমাকে ছেড়ে যাবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪