-তুমি কি জহির ফকিরকে চিনো ?
ক্লাসে মিতু সব সময় শেষের দিকেই বসে। যখন সিডিউল ক্লাস অফ থাকে কিংবা স্যার আসতে দেরি করে তখন মিতু অন্যান্য স্টুডেন্টের মত গল্প গুজব করে সময় কাটায় না । তখন হয় সে গল্পের বই নিয়ে বসে নয়তো নতুন কোন গল্প নিয়ে ভাবে, মাঝে মাঝে মোবাইল বের খানিকটা লিখেও রাখে । আজকেও সে তেমন ভাবেই একটা বই পড়ছিলো তখনই ওর ক্লাসের একটা ছেলে মিতুকে এই প্রশ্নটা করলো ।
মিতু মুখ তুলে তাকালো ছেলেটার দিকে । ক্লাসে খুবই পরিচিত মুখ সে । তারপরেও নামটা বেশ খানকটা সময় চিন্তা করার পরে তারপর মনে করতে পারলো । ছেলেটার নাম শামস । ছেলেটা বেশ ছটফটে স্বভাবের । ক্লাসের সবাই ওকে চেনে ! সবে মাত্র ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে তাই অনেকেই সে চিনে । অনেকের মুখ চেনে কিন্তু নাম জানে না। আর বেশির ভাগ ছেলের সাথেই মিতুর কোন কথা হয় না । এমন কি মেয়েদের সাথেও খুব একটা কথা হয় না । মিতু সব সময় নিজের মাঝেই থাকতে পছন্দ করে । মানুষের সঙ্গ থেকে বইয়ের সঙ্গ ওর বেশি পছন্দ ।
শামস আবারও প্রশ্নটা করলো
-জহির ফকিরকে তুমি চিনো ?
মিতু প্রশ্নটা বুঝতে পারলাম না । ওর কি কোন ভাবে জ হির ফকির নামে কাউকে চেনার কথা ? মিতু ঠিক বুঝতে না পেরে বলল
-কোন জহির ফকির ?
-আরে আজিব ! তুমি ঐদিন একটা গল্প লিখলে না ? মনে নেই ?
ক্লাসের মানুষজনকে মিতু না চিনলেও অনেকেই তাকে চিনে। তাকে চেনে তার গল্পের কারনে । তারা মিতু লেখা গল্প প্রায়ই পড়ে । কেবল তারাই না, অনেকেই ওর গল্প পড়ে । লেখালেখির হাত সেই ছোট বেলা থেকেই ছিল । কিন্তু সেটা ছিল কেবলই মিতুর নোট বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ । কাউকে দেখাতে পারে নি লজ্জার কারনে । কিন্তু ঢাকায় এসে অন্তর্জলের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে সেটা আর কেবল নোট বইয়ের মধ্যে সীমা বদ্ধ থাকে নি । লেখা গল্প গুলো খুব সহজেই বাইরের মানুষের কাছে পৌছে গেছে । এবং নিজের ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা নেহত কম নয় ওর । পার্সোনাল ব্লগে ভিজিটের সংখ্যাটাও বেশ বড় । ইদানিং কয়েকটা গল্প পত্রিকাতেও বের হয়েছে । মিতুর ইচ্ছে আছে সামনের বই মেলাতে একটা বই সে বের করবে ।
মিতু ঠিক বুঝতে পারলো না শাসম ওকে এই প্রশ্ন কেন করছে । শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-এই প্রশ্ন কেন করছো ?
শামস বলল
-কেন তুমি সত্যি চেন না জহির ফকির কে ?
-সে কেবলই একটা গল্পের চরিত্র !
-তুমি মিথ্যা বলছো ।
-আমার কি লাভ মিথ্যা বলে শুনি ? আমি যদি তাকে চিনি তাতেই বা কি যায় আসে !
-তুমি গত মাসে যে গল্প টা পোস্ট করেছো জহির ফকিরকে নিয়ে ! ঐ যে বজ্রপাতে সে মারা যায় তারপর আবার ফিরে আসে ! সেই গল্পটা !
-হ্যা ! কি সমস্যা তাতে ?
শামস কিছুটা সময় চুপ করে তাকিয়ে রইলো মিতুর দিকে । পকেট থেকে নিজের মোবাইলে কি যেন টেপাটেপি করতে লাগলো । তারপর মোবাইলের স্ক্রিনটা মিতুর দিকে এগিয়ে দিল ।
মিতু মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলো তাকিয়ে একটা পেপার কাটিংয়ের ছবি । সেখানে হেডলাইন লেখা "বজ্রপাতে মৃত্যুর পর ফিরে এল জহির ফকির"
মিতু আস্তে আস্তে সংবাদটা পড়তে লাগল । কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভুতি হতে লাগলো ওর ! ওর গল্পের সাথে আসলেই মিলে যাচ্ছে । পড়ার পরে মোবাইলটা শামসকে ফেরৎ দিতে দিতেই শামস বলল
-আমি গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম আমার গ্রামের বাড়ি । আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একটা অদ্ভুদ ঘটনা আমার কানে এল । আমাদের গ্রাম থেকে কয়েক গ্রাম দুরেই এই জহির ফকিরের বাসা ! সেই নাকি কদিন আগেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলো তারপর ঠিক তাকে করবে নেওয়ার আগেই সে জেগে ওঠে । আমি খুবই কৌতুহল বোধ করি । সেটা সপ্তাহ তিনেক আগের কথা । এই ঘটনা এখন পুরো এলাকার মুখে মুখে । আমি কৌতুহল জাগছিল কারন আমি তোমার গল্পটা পড়েছিলাম । এবং বিশ্বাস করবে না যে যখন আমি জহির ফকিরকে দেখলাম তখন আমার মনে হল এই চেহারা আমি আগে থেকেই চিনি । তার বাসায় যখন গেলাম তখন আমার কেবল মনে হল আমি এই বাসায় কোথায় কি আছে সেটা আমি জানি !
মিতু চোখ বড় বড় করে কিছুটা সময় শামসের দিকে তাকিয়ে রইলো । ছেলেটা কি বলছে সেটা ঠিক ওর মাথায় আসছে না ।
-আমার গল্পের সাথে একদম মিলে যায় ?
-পুরোপুরি ! বাসার পাশে বড় একটা আমগাছ সেটা থেকে একটা দোলনা ঝুলছে, সব !
মিতুর মাথাটা কেমন করে উঠলো । মিতুর একবার মনে হল এই ছেলেটা মিতুর সাথে মশকরা করছে । এমন কিছু হতেই পারে না । মিতু গত চার পাঁচ বছরে ঢাকার বাইরে যাই নি একবারও । ওর নিজের ঘর ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না । বাস্তব জগত থেকে বইয়ের জগতেই হারিয়ে যেতেই মিতুর পছন্দ বেশি । শামস বলল
-তবে সব থেকে শকিং ব্যাপারটা কি জানো ?
-কি ?
-আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে হয়তো এই জহির ফকিরের ঘটনাটা আগে ঘটেছে আর তুমি সেটা কোন ভাবে পরে জানতে পেরেছো । সেটা নিয়ে গল্প লিখেছো । খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম হয় নি ।
মিতুর কেন জানি মনে হল শামস এর পর কি বলবে সেটা সে আগে থেকেই জানে । শামস বলল
-আমি খুব ভাল করে খোজ নিয়ে দেখেছি । কোন ভাবেই সেটা ভুল হওয়ার কথা না । তুমি যেদিন গল্প লিখে পোস্ট করেছো তার পরে জহির ফকিরের উপরে বজ্রপাত হয়েছে । এর মানে তুমি বুঝছো ?
মিতু খুব ভাল করেই জানে শামস কি বুঝাতে চাইছে । কিন্তু মিতু সেটা মোটেই বুঝতে চাচ্ছে না । এমনটা কোন ভাবেই হতে পারে না । সে বলল
-এটা কাকতালীয় ব্যাপার । এমনটা হতেই পারে না । কখনই না !
শামস এতোটা সময় মিতুর সামনে দাড়িয়ে কথা বলছিলো । এবার সে মিতুর পাশে এসে বসলো । তারপর বলল
-দেখো, আমি জানি না সত্যি কি কিংবা কি হয়েছে ! কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটার ভেতরে কোন রহস্য আছে । চল আমরা একটু খোজ নিয়ে দেখি !
মিতু বলল
-কি খোজ নিবা ?
-কালকের গল্পটার কথা মনে আছে তোমার ? মানে কালকে যেটা পোস্ট করেছো ?
মিতুর বুকটা কেঁপে উঠলো । গতকালকে ও একটা গল্প পোস্ট করেছে । পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া একটা কাহিনী । সেখানে একটা ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে । ছেলেটা একটা মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরি খেয়েছিলো । শামস বলল
-চল আজকে আমরা পুরান ঢাকাতে যাই ! খোজ নিয়ে দেখি ।
মিতু কি বলবো খুজে পেল না । এসব কিছুই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না ওর । কিন্তু যদিন সত্যি হয়ে যায় তাহলে ?
মিতু বলল
-না আমি যাবো না ।
শামস একটু জোর দিয়ে বলল
-আরে চল না । প্লিজ চল ! আরে চল ! দেখাই যাক না ।
-আমি যাবো না ।
মিতুর সত্যি সত্যিই ভয় ভয় লাগতে শুরু করলো । সত্যিই যদি এমন কিছু হয়ে থাকে । মিতু নিজের মনকে বারবার বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করে গেল । বারবার বুঝাতে চাইলো যে এমনটা কোন ভাবেই হতে পারে না । কেউ একটা গল্প লিখলো আর অমনি সেটা সত্যি হয়ে যাবে ? এমন কোন হয় নাকি ?
অবশ্য শামসের কথা মিতু ফেলেও দিতে পারছে না । মিতু জহির ফকির কে নিয়ে যে গল্পটা লিখেছিল সেটা কি কোন ভাবে সত্যি হয়ে গেছে ? এমনটা অবশ্য হতেই পারে । মানুষ বজ্রপাতের পরেও আবার বেঁচে যেতে পারে কিন্তু সেটার সাথে ওর গল্পের কোন সম্পর্ক নেই ।
শামস বলল
-দেখো আমি সত্যিই জানি না আমি যা বললাম তার সাথে এটার কোন সম্পর্ক আছে কি না তবে যদি এমন কিছু থেকেই থাকে তাহলে সেটা পরীক্ষা করতে দোষ কোথায় বল ? আছে কি ?
খানিকটা মাথা নাড়িয়ে মিতু ভাবতে লাগলো । সত্যিই এমন যদি কোন অলৌকিক ব্যাপার থেকেই থাকে তাহলে সেটা খুজে বের করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই । তবে বললাম
-আচ্ছা । কখন যাবো ?
-ক্লাস শেষেই বের হই ! ঠিক আছে ?
-হুম ।
পরের ক্লাস গুলোতে মিতু স্যারের লেকচারের কোন মনযোগই দিতে পারলো না । বারবার কেবল সেই একটা ব্যাপারই মনে হতে লাগলো । পেপার কাটিংয়ের ছবিটা না থাকলে হয়তো মনে হত শামস ওর সাথে ইয়ার্কি করছে কিন্তু ওরই বা মিতুর সাথে ইয়ার্কি করেকি লাভ !
গল্পের বর্ণনা অনুযায়ী এলাকাতেই ওরা গিয়ে হাজির হল । ওরা যখন পুরান ঢাকার পৌছালো তখন আসরের আযান দিচ্ছে । মিতু ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত হয়ে উঠছে কিন্তু সেটা প্রকাশ করছে না । শামস সেই শুরু থেকে মিতুর সাথে নানা বিষয় নিয়ে গল্প করে যাচ্ছে । কিন্তু মিতুর সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই । ক্ষণে ক্ষনে শামসের একটা দুইটা কথা কানে যাচ্ছে আর সে মাথা ঝাকাচ্ছে । ব্যাস আর কিছু না ।
ঠিক এমন সময় মিতু আর শামস দুজনেই চমকে গেল । কারন আযান থেমে গেছে । আযানের পরেই একটা ঘোষনা এল মাইক থেকে । সুমন নামের একজনের নামাজে যানাজা পড়ানো হবে নামাজের পড়েই । সকল কে নামাজে থাকার আহবান জানানো হল ।
শামস আর মিতুর দুজনের চেহারা বদলে গেল মুহুর্তেই । বিশেষ করে মিতুর বুক ধকধক করতে লাগলো । কারন গতকালকে লেখা গল্পে ছেলেটার নাম সুমন । সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেছে ।
মিতু কাঁদো কাঁদো শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-এটা কি হচ্ছে ? সত্যিই কি হচ্ছে ?
শামস ততক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়েছে । ও নিজেও খানিকটা চমকে গিয়েছিলো মাইকের এই ঘোষণা শুনে । সত্যিই কি মিতুর মধ্যে কি এমন কোন অলৌকিক ক্ষমতা আছে যে সে যাই লিখবে তাই সত্য হয়ে যাবে ? এই যুগে এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন ।
শামস বলল
-আচ্ছা আমরা আরও একটু খোজ খবর নেই । কেমন ! তুমি এখনই এমন কেন করছো ?
-কিন্তু নাম টা ! কিভাবে মিলে গেলো ?
শামস সেটা নিজেও বুঝতে পারছে না । সত্যি বলতে কি জহির ফকিরের ঘটনাটার খোজ খবর নেওয়ার সময় ও একটু অবাকই হয়ছিল । এমনটা কি আসলেই হতে পারে ? একটা কৌতুহল ছিল ওর নিজের মাঝেও । তাই পরবর্তি গল্পটা পোস্ট করার সাথে সাথেই ওর নিজেরও মনে হল যে এবার এইটার সত্যতা যাচাই করা যায় । যদি সত্যিই এমন কিছু থেকে থাকে মেয়েটার ভেতরে তাহলে এই গল্পেই সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে । কিন্তু এখানে এসে সত্যি সত্যিই যে সুমন নামের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাবে সেটা ও ভাবতেও পারে নি ।
শামস মিতুকে গাড়িতে রেখেই শামস বেরিয়ে গেল । যাওয়ার আগে বলে গেল যে ও খোজ খবর নিয়ে আসছে । আর মিতুকে চিন্তা করতে মানা করে গেল । কিন্তু মিতু এদিকে ঘামতে লাগলো । কোন লজিক কাজছে ওর । যদি সুস্থ্য মস্তিস্কে চিন্তা করে দেখা যায় তাহলে ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর শোনাবে । কিন্তু মিতু এখন সেদিন দিয়ে চিন্তা করতে পারছে না । ভাবতে পারছে না যে মেয়ে এমন কিছু আসলেই সম্ভব না কোন ভাবেই । বারবার কেবল একটা কথাই মনে হচ্ছে যে যদি এমন কিছু হয় তাহলে ও নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারবে না । তখন ওর কেবল মনে হবে যে ওর লেখার ফলেই ঐ মানুষটা মারা গেছে !
শামসের আসতে আরও আধা ঘন্টা সময় লাগলো । যখন গড়িতে উঠে বসলো তখন শামসের সে কি হাসি !
মিতু না থাকতে পেরে বলল
-হাসছো কেন ? কি হয়েছে ?
-আরে কি আর হবে ! আমিও যেমন গাধা তুমিও ! এমন কি হয় কোন দিন !
-সত্যিই হয় নি তো !
-আরে না । তোমার সিরিয়াসনেস আমি নিজেও কনফিউজড হয়ে গেছিলাম । আগের ঐ জহির ফকিরের ঘটনা আসলেই কাকতালীয় ব্যাপার হবে । ভাগ্য গুনে মিলে গেছে । তবে এইটা মিলে মিলে নাই !
-কিন্তু নাম যে একই ।
-আরে ওরা সুমন আলী নামের এক ভ্যান চালক মারা গেছে । দুর্ঘটনাতে । তাও দুইদিন আগে । আজকেই হাসপাতাল থেকে লাশ রিলিজ দিয়েছে । বুঝেছো ?
মিতুর মাথা থেকে যেন একটা বড় পাথর নেমে গেল । শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-তার মানে গল্পের সাথে কোন মিল নেই ।
-আরে না বাবা !
-কি যে শান্তি লাগছে তোমাকে কিভাবে বোঝাবো !
-যাক চল এবার আরেকটা কাজ করা । যখন চলেই এলাম এতো দুর, নান্নার বিরিয়ানী খাওয়া যাক !
মিতু নিজেও হেসে উঠলো । ওর এখন সব কিছু ভাল লাগছে । একটু আগেও ও যতখানি চিন্তিত ছিল এখন সেটার ছিটে ফোটাও নেই ওর চেহারাতে । মিতু বলল
-চল আজকে আমি তোমাকে বিরিয়ানী খাওয়াচ্ছি !
পরিশিষ্টিঃ
ওদের সময়টা বেশ ভাল কাটলো । বিরিয়ানী খাওয়ার পর ওর লালবাগ কেল্লাতে ঘুরতে গেল । যখন আবার বাসার ফিরতি পথ ধরলো তখনই সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে ।
গল্পের সেই রাস্তাতেও তখন সন্ধ্যা নেমেছে । স্ট্রিট লাইট একটাও নেই এখানে । হঠাৎ একটা চলন্ত রিক্সাকে থামালো কয়েকটা যুবক । যুবক গুলোর চোখে খুনের নেশা । তারপর ঘটতে লাগলো সেই গল্পের প্লট অনুযায়ী ঘটনা ! যারা যারা গল্পটা পড়েছে গতকাল রাতে তারা জানে এখনই সাইকেলে চড়ে একজন সুন্দর ফর্সা মত ছেলে যাবে এই পথ দিয়ে । ছেলেটির নাম সুমন !
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২২