অফিসের রিসিপশন থেকে আমার কাছে খুব একটা ফোন আসে না । এই শহরে কেবল আমি একাই থাকি । যে বন্ধু বান্ধব আছে তারা আসলে আমাকে আগে ফোন দিয়েই আসে । তাদের অফিস পর্যন্ত আসা লাগে না । আমিই বের হয়ে যাই । তাদের নিয়ে ক্যান্টিনে বসি । কিন্তু আজকে যখন ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে আমার কাছে ফোন এল যে আমার কাছে একজন গেস্ট এসেছেন আমি খানিকটা অবাক না হয়ে পারলাম না । এই সময়ে কে এল আবার ?
আমি বললাম
-নাম বলেছে ?
-জি না স্যার । কেবল বলেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায় ?
আমি আরও খানিকটা চিন্তা করার চেষ্টা করলাম । কিন্তু মনে করতে পারলাম না । তারপর বললাম
-আচ্ছা পাঠিয়ে দাও ।
ফোনটা রেখে আমি আরও খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম । এখনও ঠিক বুঝতে পারছি না আমার কাছে কে আসতে পারে ? গ্রামের বাসায় কি কোন সমস্যা হল ? ফোনে হয়তো পায় নি এই জন্য সরাসরি এখানেই চলে এসেছে । খানিকটা চিন্তাই হল ।
কিন্তু আমার চিন্তাকে ভুল প্রমানিত করে দিয়ে একজন লোক এসে হাজির হল আমার ডেস্কের সামনে । লোক না বলে একজন সুদর্শন যুবক বললেই সম্ভবত ভাল হবে । বয়স আমার মতই হবে । আমি এই যুবককে আগে দেখেছি বলে আমার ঠিক মনে পড়লো না । আমার দিকে হাসি মুখেই এগিয়ে এল । তারপর নিজ থেকে হাত বাড়িয়ে দিল । আমিও খানিকটা হাসার চেষ্টা করলাম কিন্তু মুখে আমার অস্বস্তির ছাপ টা রয়েই গেল । আমি আসলেই যুবককে চিনতে পারছি না ।
যুবককে আমি বসতে বললাম । সে বসতে বসতে বলল
-আমাকে নিশ্চয়ই আপনি চিনতে পারছেন না ?
-আমার কি চেনার কথা ?
-জি না । আপনি আমাকে কোন দিন দেখেন নি । তবে হয়তো আমার ব্যাপারে শুনে থাকবেন কারো কাছ থেকে ?
আমি তবুও কিছু মনে করতে পারলাম না । যুবক বলল
-আসলে আপনার সাথে কিছু কথা বলতে বলতে পারলে ভাল হত । এখন কি একটু সময় দেওয়া যাবে ?
আমি খানিকটা ইতস্তত করে বললাম
-আসলে এখন অফিস থেকে বের হওয়া মুসকিল হয়ে যাবে ! বোঝেনই তো !
যুবক আবারও হাসলো । তারপর বলল
-আপনার ম্যানেজার সাহেবের কাছ থেকে যদি অনুমূতি আনি তাহলে কি সম্ভব হবে ?
আমি এবার খানিকটা অবাক হলাম । আমি এই যুবককে চিনতেই পারছি না । কিন্তু এই যুবক আমার সাথে কি এমন কথা বলতে চাইতে পারে যে ম্যানেজারের কাছ থেকে অনুমুতি নিয়ে আসবে ! আমি কি বলব ঠিক বুঝতে পারলাম না । আমার নিরবতাকে সম্মতি ভেবে যুবক উঠে গেল । তারপর বলল
-আপনারদের ম্যানেজার কেবিন টা কোন দিনে ?
-ডান দিকে সোজা !
-আচ্ছা আমি বলছি তাকে ।
যুবক চলে গেল । আমি বসে রইলাম বোকার মত । বারবার মনে করার চেষ্টা করলাম আসলে এই যুবক টা কে ? কিন্তু কিছুতেই চিনতে পারলাম না । পাঁচ মিনিটের মাথায় ম্যানেজারের কেবিনে আমার ডাক এল । আমি সেখানে যেতে না যেতেই ম্যানেজার সাহেব আমাকে বলে উঠলো
-আরে অপু ! তুমি দেখি মানুষ সুবিধার না !
-কেন স্যার ?
-তুমি রায়হান সাহেবকে চেন আমাকে বলই নি । তুমি কি জানো ওনার বাবা এই ব্যাংকের কত বড় একজন কন্ট্রিবিউটার ।
আমি সামনে বসা রায়হান সাহেবের দিকে তাকালাম । তাহলে এই যুবকের নাম রায়হান । কিন্তু আমি তবুও একে চিনতে পারলাম না । একটু কেবল হাসার চেষ্টা করলাম । ম্যানেজার সাহেব আবারও রায়হান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি করেই বলি তোমাকে যেহেতু তুমি অপুর বন্ধু ।
-জি আঙ্কেল কোন সমস্যা নেই ।
-সলিম সাহেব কে আমার সালাম জানিও । আর আশা করবো তোমার বাবা যেমন আমাদের ব্যাংকের উপর ভরশা রেখেছেন সামনেও রাখবেন !
রায়হান নামের যুবক হাসলো । তারপর বলল
-তা তো অবশ্যই । আমি কি অপুকে নিয়ে যেতে পারি ?
-হ্যা হ্যা অবশ্যই । আজকে সারাদিন ওর ছুটি !
আমার মুখ থেকে ততক্ষণে হাসি মুছে গেছে । কারন আমি সামনে বসা যুবক টিকে চিনতে পেরেছি । সলিম আহমেদ হচ্ছে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী । তার ছেলে হচ্ছে এই রায়হান । অর্থ্যাৎ এই রায়হান হচ্ছে নিতুর স্বামী ! যে মেয়েটিকে আমি প্রাণ দিয়ে ভাল বাসতাম তার সাথেই এই মানুষটার বিয়ে হয়েছে ।
নিতুকে আমি চিনি ইউনিভার্সিটির সময় থেকে । ওদের বাসায় টিউশনীটা ছিল । ওকে পড়ানোর সুযোগ হয় নি তবে ওর ছোট ভাইকে পড়াতাম আমি । নম্র ভদ্র আর আর চাপা স্বভাবের ছিল । আমার থকে দু বছরের ছোট ছিল । যখন ওকে পড়াতে যেতাম তখনই ওর সাথে দেখা হত । প্রায় প্রতিদিনও ও দরজা খুলে দিত । সেই সময়টা ওর সাথে আমার চোখাচোখি হত । কিছুটা সময়ে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে নিতু সরে গিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দিত । আমি রোবটের মত হেটে হেরে ওর ছোট ভাইয়ের রুমে ঢুকতাম ।
কিন্তু অনেকটা সময় নিজেকে সুস্থির করতে পারতাম না । মেয়েটার চোখে কি যে এক নেশা ছিল আমি সেটা কোন দিন বুঝতে পারি নি । শেষে একদিন আবিস্কার করলাম যে আমি মেয়েটার প্রেমে পড়েছি । এবং সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছ নিতুও আমার প্রেমে পড়ে গেল । আমাকে কিছু বলতে হল না । তবুও কেমন করে যেন ও আমার প্রেমিকা হয়ে গেল ।
ওর আর আমার ক্যাম্পাস একই ছিল । মাঝে মাঝেই ও আমার ডিপার্টমেন্টের সামনে আসতো । তারপর আমরা অনেক টা সময় চুপচাপ বসে থাকতাম । চুপ থেকে কত কথা আমরা বলতাম কে জানে ।
একটা সময় ওর ভাই কলেজ শেষ করলো । আমারও ওদের বাসায় যাওয়া বন্ধ হল তবে নিতুর সাথে দেখা সাক্ষাত ঠিকই হত । পরিকল্পনা ছিল যে চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো ।
পড়াশুনে শেষ করে চাকরি পেয়েও গেলাম । তারপর বাসায় কথা বলে ওদের বাসাতে বিয়ের কথা বার্তা বলার জন্য আব্বাকে পাঠালাম । আর তখনই ধাক্কাটা খেলাম । নিতুর আব্বা জানালো যে ছেলে হিসাবে আমাকে তাদের তাদের অপছন্দ নয় কিন্তু মাত্র গত সপ্তাহেই নাকি নিতুর বিয়ের জন্য তিনি অন্য একজন কে কথা দিয়ে ফেলেছেন । এখন নিতু এসবের কিছু জানে না । আর সেই ছেলে নাকি অনেক বেশি ভাল । এই ছেলে তারা কিছুতেই হাত ছাড়া করতে পারবে না !
হলও তাই তারা কিছুতেই আর আমার ব্যাপারে রাজি হলেন না । পরে অবশ্য কারনটা আমি নিজেও বুঝতে পেরেছিলাম । নিতু সাথে বিয়ের জন্য যে ছেলেকে ঠিক করা হয়েছে সে হচ্ছে মন্ত্রীর ছেলে । কেবল মন্ত্রীর ছেলে হলেও একটা কথা ছিল ছেলে বাইরে থেকে পড়া শুনা করে এসেছে । দেশে এসে এখন নিজের ব্যবসা দাড় করিয়েছে । ছেলে দেখতেও খুবই সুদর্শন । সেই ছেলে নাকি নিতুকে পছন্দ করেছে ।
আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । আমার কিছু বলার ছিল না । তবে নিতু গো ধরেই রইলো যে আমাকেই বিয়ে করবে । আমরা প্লান করেই ফেললাম যে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলো । কিন্তু পালাতে পারলাম না । কিভাবে যেন ওর বাবা জেনে গেল । নিতুকে আটকে দিল । সেই সাথে আমি যেখানে নিতুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেখানে কিছু গুন্ডা টাইপের ছেলে এসে আমাকে বেদম মেরে রেখে চলে গেল । আমার বুঝতে কষ্ট হল না যে আমাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চয়ই কোন ভাবে নিতুর বাবা জানতে পেরেছে । হয়তো সেই এই ব্যবস্থা করেছে নয়তো মন্ত্রীর ঐ ছেলে এই ব্যাবস্থা করেছে ।
আমার আসলে আর কিছু করার ছিল না । আমি যখন হাসপাতলে তখনই খবর পেয়েছিলাম যে নিতুর বিয়ে হয়ে গেছে ঐ ছেলের সাথে । তারপর নিতু একটা দিন আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো হাসপাতালে । সারা সময় কেবল চেয়ে রইলো আমার দিকে । তারপর উঠে চলে গেল । যাওয়ার আগে কেবল একটা কথা বলে গেল যে আমি যেন আর ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা না করি । এটা নাকি ওর আর আমার দুজনের জন্যই ভাল হবে ।
ব্যাস তারপরই আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি নিতুর কাছ থেকে । আর কোন দিন ওর সামনে যাই নি । ওর সাথে যোগাযোগ হয়ে যেতে পারে এমন সব মানুষকেও আমি এড়িয়ে চলেছি এতো দিন । তাহলে আজকে কি এমন হয়ে গেল যে নিতুর সেই স্বামী নিজে আমার সাথে দেখা করতে এল ?
নিতু ঠিক আছে তো ?
অফিসের পাশেই একটা রেস্টুরেন্টে আমরা বসেছি । লাঞ্চের তখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি ছিল । তাই সেটা ফাঁকাই বলা চলে । আমি কোন কথা বলছি না । আসলে আমার কোন কিছু বলার নেই তো । আমার সাথে যেহেতু রায়হান সাহেব নিয়েই দেখা করতে এসেছে তাই যা বলার উনারই বলা উচিৎ । অন্তত কথাতো উনারই শুরু করা উচিৎ । অনেক সময় চুপ থাকার পরে রায়হান বলল
-আপনি কি আমার উপর রাগ করে আছেন ?
-নাহ ! রাগ কেন করবো ?
-রাগ করার কারন কি নেই ?
-ছিল । কিন্তু সেটা আমি ভাগ্য বলেই মেনে নিয়েছি । আমার দিক থেকে আমি চেষ্টা করেছি । কিন্তু ভাগ্য আমার সহায় ছিল না ।
-আপনি কি জানেন নিতু অনেক জেদি একটা মেয়ে ?
আমি হাসলাম । বললাম
-হ্যা জানি । ওকে আমি খুব ভাল করেই চিনি ।
-আপনার মনে হয় নি ও কেন ও বিয়েতে রাজি হয়ে গেল ?
-হ্যা আমি জানি ও কেন রাজি হয়েছিল । ওকে হয়তো কেউ ভয় দেখিয়েছিল যে বিয়ে না করলে আমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ।
রায়হান আবারও হাসলো । বলল
-হ্যা । কাজটা আমিই করেছিলাম । কি বোকাই না ছিলাম আমি !
আমি রায়হানের দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । আকজে এতো দিন পরে এই কথা বলার জন্যই সে এখানে এসেছে ? রায়হান আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
-জানেন অপু সাহেব আমি জীবনে কোন দিন হারি নি । পড়াশুনা থেকে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে আমি কেবল জিতেই এসেছি । আমি কোন দিন মানতেই পারতাম না যে কোন মেয়ে আমাকে না করতে পারে ? আপনি নিশ্চয়ই আমার পারিবারিক প্রতিপত্তির কথা জানেন সেটা বাদ দিলেও পড়াশুনাতেও আামি বেশ ভাল । আর চেহাটা তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন । নিজের ভেতরে একটা অহংকার আমার ছিল । কিন্তু যখন নিতু আমাকে পাত্তা দিল না আমার মাথায় যেন আগুন ধরে গেল । খোজ নিয়ে যখন আপনার ব্যাপারটা জানতে পারলাম তখন আরও বেশি রাগ হল । আপনার জন্য ও আমাকে বাদ দিচ্ছে ? এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছিলাম না ।
আমি চুপচাপ শুনতে লাগলাম । রায়হান আবারও বলল
-তারপরেই উঠে পড়ে লাগলাম । আমি খুব ভাল করেই জানতাম যে নিতু বাদ দিলেই ওর ফ্যামিলি আমাকে গ্রহন করবেই । করলোও তাই । কিন্তু তবুও যেন নিতু আমার হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছিলো । তারপরের ঘটনা আপনি জানেন !
আমি বললাম
-আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আপনি আমাকে এসব কেন বলছেন ? ঐদিনের পর তো আপনি নিতুকে পেয়েই গেছেন । তাই না ?
আমি রায়হান সাহেবের চোখে আবারও একটা হতাশা দেখতে পেলাম । সে বলল
-আমিও সেটাই ভেবেছিলাম । ওকে যখন বিয়ে করলাম তখনই মনে হল আমি জিতে গেছি । আমি পেয়ে গেছি নিতুকে ! কিন্তু ...
আমি চুপ করে রইলাম । রায়হান বলল
-বিয়ে করা তার শরীরের উপর কর্তৃত্ব ঠিকই পেয়েছি কিন্তু আমি কোন দিন নিতুর মনের উপর বিন্দু মাত্র স্পর্শ করতে পারি নি। আজও সে আপনাকে ভালবাসে । সেই তীব্র ভাবেই । প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম সব মেয়েই এমন করে সময় যাওয়ার সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে । আমি কি এমন কি করিনি ওর মন পাওয়ার জন্য পারি নি । কিন্তু এই পাঁচ বছর ....
আমি বললাম
-পাঁচ বছর সাত মাস আর এগারো দিন .....।
রায়হান হাসলো । বলল
-আই গেস আপনিও তাকে সেই একই ভাবে ভালবাসেন । তাই না ?
আমি আবারও চুপ করেই রইলাম । রায়হান সাহেব বললেন
-আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি । এখন কেবল মনে হয় সেই সময়ের সেই জেদ না ধরলে আজকে তিনটা জীবন অন্য রকম হত । আমি সত্যিই আপনার কাছে পরাজিত হয়ে গেছি ।
তারপর রায়হান নিজের কোর্টের পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে আমার সামনে রাখলো । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-যদিও দেরি হয়ে গেছে তবুও এখনও অতোটা দেরি হয় নি ।
-মানে ?
রায়হান কাগজটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এটা আমাদের ডিভোর্স লেটার । গত কালকেই সব কাজ শেষ হয়েছে । জানেন এই ৫ বছর বছরের কেবল গত কালকেই আমি নিতুর চোখে আমার জন্য ঘৃণা দেখতে পাই নি আমার জন্য । এটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু ছিল । এতো দিন পরে আমার মনে হল যে আমি একটা সঠিক কাজ করলাম
আমার তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । এখনই মনে হচ্ছে রায়হান আমাকে বললাম যে সে এতো সময় মজা করছিলো । রায়হান বলল
-আপনি এখানেই অপেক্ষা করুন । আর কিছু সময় পরেই নিতু এখানে আসবেন ।
আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । আসলে আমি তখনও ঠিক ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারছি না । সত্যিই সত্যিই আমি এসব দেখছি তো নাকি স্বপ্ন দেখছি ।
রায়হান উঠে পড়লো । তারপর আর কোন কথা না বলেই দরজার দিকে হাটা দিল । আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম অবাক হয়ে । ওর হাটার ভঙ্গিটা আসলেই একজন পরাজিত মানুষের মতই মনে হল । ওর সব ক্ষমতা দিয়েই ও নিতুকে পাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তবুও নিতুর ভালবাসার কাছে ও পরাজিতই হয়েছে ।
আমি দরজার দিকেই তাকিয়ে রইলাম । এই দরজা দিয়েই একটু পরে নিতু ঢুকবে ...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৪