-কফি খাবা ?
আমি বই থেকে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি তৃষা দরজার সামনে দাড়িয়ে । সবে মাত্র গোসল করেছে । ভেজা চুল এখনও এক পাশে এনে রাখা। কি অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে ওকে । মানুষ যে বলে গোসলের পরেই মেয়েদের সব থেকে বেশি সুন্দর আর স্নিগ্ধ লাগে সেটা মোটেই মিথ্যে নয় । আমি কিছুটা সময় কেবল ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, এক ভাবেই । তৃষা আবার বলল
-কি হল ? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ?
-তোমাকে দেখছি ।
-বুড়ো বয়সে আবার এতো দেখাদেখি কিসের ?
কথাটা বলেই তৃষা হাসলো । আমি বললাম
-তাই ? তুমি বুড়ি, কে বলল ?
তৃষা আবারও হেসে বলল
-আমি আমার বুড়ি হওয়ার কথা বলি নি । তোমার কথা বলেছি ।
-ইস ! আমি মোটেই বুড়ো না মোটেই । বুঝলে ! প্রমাণ চাও ?
লাইন টা বলেই ওর দিকে দুষ্টুমীর চোখে চাইলাম । তৃষা কিছু বলল না । আমি ওকে বললাম
-এতো রাতে গোসল করলে ? ঠান্ডা লাগলে ?
-ভাল লাগছিলো না ।
-কেন ? কিছু হয়েছে ?
আমি এই বলেই বিছানা থেকে উঠে পড়তে চাইলাম । ওকে আমাকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিল । তারপর বলল
-না । তুমি এমন কর কেন শুনি ? মানুষের কি এমনিতেই কিছু হতে পারে না ? এমনি এমন হয়েছে । আর আজকে অফিসে চাপ ছিল বেশ।
-ও ! আচ্ছা আচ্ছা। তাহলে আর কফি বানাতে হবে না । তুমি বরং শুয়ে পড় । কাল অফিস আছে না ?
তৃষা কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে গেল । দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে চাইলো আমার দিকে । তারপর বলল
-তুমিও বেশি রাত জেগো না । কাল তো তোমারও অফিস আছে, নাকি ?
-আচ্ছা !
তৃষাকে দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে দেখলাম । আমি আবারও পড়ায় মন দিলাম । তবে ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে মনে হল যে ও কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত । অথবা কিছু নিয়ে ভাবছে । মন খারাপ হলে ও লম্বা সময় ধরে বাথটাবে বসে থাকে । আজকেও কি এমন কিছু হল ?
তৃষার সাথে আমার বিয়েটা খুব স্বাভাবিক ভাবে হয় নি । ও আমাকে পছন্দ করেছে, আমি ওকে পছন্দ করেছি তারপর আমাদের বিয়ে হয়েছে, এমন কিছুই আমাদের সাথে হয় নি । এমন কি আমাদের বেলাতে পছন্দের ব্যাপার গুলোও ছিল না । তৃষা হয়তো কোন দিন আমাকে ভালও বাসে নি । অথবা কোন দিন বাসবেও না । হয়তো পুরো সময় ও আমাকে একজন বন্ধুই ভেবে এসেছে আগের মতই । অবশ্য আমার এতে খুব একটা আপত্তি নেই । কিন্তু মাঝে মাঝে যখন ওকে এমন বিষণ্ণ দেখি তখন একটা অদ্ভুদ কষ্ট এসে আমার উপর ভর করে।
বইটা শেষ করে যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখন অনেক রাত হয়ে গেছে । এতো রাত হয়ে যাবে ভাবতে পারি নি । এ ঘরের লাইট বন্ধ করে আমি শোবার ঘরের দিকে হাটা দিলাম । ঘরে ঢুকে দেখি শোবার ঘরের আলো জ্বলছে । ভেবেছিলাম হয়তো তৃষাও জেগে থাকবে । কিন্তু তৃষা চোখ বন্ধ করেই আছে । পুরো বিছানা জুড়ে চুল ছড়ানো । ভেজা চুল শুকানোর জন্য এমনটা করে রেখেছে ।
শরীরের উপরে একটা বই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে । বইটা পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়েছে নিশ্চয়ই । আমি কিছুটা সময় ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলাম । আমি মাঝে মাঝেই কাজটা করি । ও যখন ঘুমিয়ে পড়ে কিংবা যখন আমি ওর আগে ঘুম থেকে জেগে উঠি তখন ওর ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকি । কি এক আশ্চর্য শান্তি যে তখন অনুভূত হয় আমি বলতে পারবো না । কেবল মনে হয় পুরোটা জীবনই আমি এভাবে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবো ।
আস্তে করে ওর হাত থেকে বইটা সরিয়ে নিলাম । তারপর খুব সাবধানে চুল গুলো গুছিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখলাম । তারপর আলো বন্ধ করে ওর পাশেই শুয়ে পড়লাম । ওর হাতের উপর হাত পড়তেই মনে হল ওর হাতটা কেঁপে উঠলো । তারপর অনুভব করলাম ওর হাত দিয়ে আমার হাতটা আলতো করে ধরেছে । আমি ওর দিকে পাশ ফিরে বললাম
-ঘুমাও নি ?
-উহু ! ঘুম আসছে না ।
-কেন ?
তৃষা কিছু সময় কোন কথা বলল না । আমার ঠোঁটের কাছে ওর ঠোঁট টা এনে আলতো করে একটা চুমু খেল । তারপর বলল
-সরি ।
-সরি কেন ?
-তোমাকে মিথ্যে বলেছি ।
-কি মিথ্যা বলেছো ?
তৃষা সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আমাকে বলল
-তুমি বুঝতে পারো, তাই না ? আমার কিছু হলে ? কি কারনে মন খারাপ ! তাই না ?
তৃষা উত্তর জানার জন্য প্রশ্নটা করে নি । আমি তাই সে প্রশ্নের জবাব দিলাম না । বললাম
-নাদিম ফোন দিয়েছিলো আজ ?
-হুম ।
-তুমি কেন এমন আপসেট হয়ে যাও ? ও এক সময় তোমার বন্ধু ছিল । আমার এখনও বন্ধু আছে !
-তুমি এখনও ওর পক্ষ নিচ্ছো ?
-না । আমি আমাদের পক্ষ নিচ্ছি । তোমার আমার আমাদের ! দেখো তোমাদের মাঝে একটা কিছু ছিল । আমি জানি । কিন্তু ভাগ্যের কারনে সেটা সফল হয় নি । তাই না ?
তৃষা কোন কথা বলল না । আমার কেন যেন মনে এই ব্যাপারটা নিয়ে আর কথা বলা ঠিক হবে না । কিন্তু তৃষা কথা এড়িয়ে যেতে দিল না । বলল
-কিন্তু আমার খারাপ লাগে । মনে হয় যে আমি তোমাকে ঠাকাচ্ছি । তোমাকে তোমার প্রাপ্য ভালবাসা টুকু দিচ্ছি না । আমি কি করবো বল?
ঘরটা পুরোপুরি অন্ধকার হয় নি । চাঁদটাও এখনও পুরোপুরি মেঘের আড়াল হয়ে যায় নি । সেই আলোতে আমি ওর চেহরার দিকে তাকিয়ে রইলাম বেশ কিছুটা সময় । তারপর ওর কপালে আবারও আলতো করে চুমু খেয়ে বললাম
-তুমি চাইলেও কোন দিন এ কাজটা করতে পারবা না । বুঝছো ?
আমি জানি না ওর মনের ভেতরে কি চলছে তবে এই আবছায়া অন্ধকারেই ওর চেহারা দেখে আমার মনে হল ওর যেন আমার কথায় খুশি হল । বলল
-কফি খাবে ?
-এখন ? সকালে অফিস আছে না ? এখন কফি খেলে আর ঘুম আসবে ?
-আসতে হবে না । আর একদিন অফিসে না গেলে কিছু হবে না ।
-মানে কি ?
-কোন মানে নেই । আজকে অফিসে যেতে হবে না । তুমিও না, আমিও না ।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তৃষা উঠে পড়লো । তারপর লাইট জ্বাললো । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-বারান্দায় গিয়ে বস । আজকে আমরা এক সাথে সূর্য ওঠা দেখবো । তারপর সকালে হাটতে বের হব । কেমন ?
আমি তৃষাকে দরজা খুলে বের হতে দেখলাম । এখন আর কিছু করার নেই । ও যখন বলেছে যে অফিসে যাবে না তখন আজকে আর যাওয়া হবে না । বসের একটা কঠিন দৃষ্টি স হ্য করতে হবে । কিছু করার নেই অবশ্য । তবে আমার কেন জানি চিন্তিত লাগছে না । চিন্তা লাগার কথাও না । এখন তৃষা ছাড়া অবশ্য আমার কাছে আর কিছুই এখন খুব একটা জরূরী নয় । ওকে খুশি করতে সবাই অখুশি করতে আমার কোন সমস্যা নেই ।
ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই তৃষাকে আমি দেখেছিলাম । কি চমৎকার ভাবেই না ও সবার সাথে হেসে কথা বলছিলো । আমার খুব ইচ্ছে করছিলো ও যেন আমার সাথেও ঠিক একই ভাবেই কথা বলে কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে নি । তারপর একটা সময় আমি কিভাবে জানি ওদের গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে গেলাম । তখন তৃষা আর নাদিমের যুটি ক্যাম্পাসে বিখ্যাত হয়ে গেছে । বুকের ভেতরে একটা চিনচিনে ব্যাথা করতো কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার । কিন্তু উপরওয়ালা হয়তো আমাদের ভাগ্য অন্য ভাবেই লিখে রেখেছিলো ।
ক্যাম্পাস শেষ করেও তৃষা নাদিমের সাথে আমার বেশ ভাল যোগাযোগই ছিল । বলতে গেলে কেবল ওদের সাথেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখতাম । একটা সময় আমি লক্ষ্য করা শুরু করলাম যে আমরা তিনজন এখন আর আগের মত এক সাথে হচ্ছি না । তার বদলে তৃষা আমার সাথে কিংবা নাদিম একা আমার সাথে দেখা করছে । ব্যাপারটা ধরতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিলো আমার । শেষ যখন নাদিমের বিয়ের কার্ড আমি হাতে পেলাম সেই সময় একটা প্রবল বিস্ময় তাকিয়ে রইলাম সেদিকে । কনের নামের শেষে তৃষার নাম নেই ।
তারপরই আমার সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেল কেন ওরা আলাদা আলাদা আমার সাথে দেখা করছিলো । মিথ্যা বলবো না সেদিন আমার সত্যিই মনের ভেতরে একটা সুপ্ত আনন্দবোধ হচ্ছিলো । আমার কেবল যেন মনে হল উপরওয়ালা আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছে ।
আমি নাদিমের বিয়েতে গেলাম না । তারবদলে তৃষাকে নিয়ে বেড়াতে গেলাম গাজিপুর । ওর মন বিষণ্ণ ছিল, সর্বাত্তক চেষ্টা করলাম যেন ওর ভাল হয় । অফিস থেকে ছুটি নিয়েই ওর সাথে সময় কাটাতে লাগলো । নাদিম আমাকে ফোন করে কিছু কারন বলেছিলো পরে । এবং আমি যে ওর সাথে আছি এটা জেনেও খুশি হল ও ।
তারপর আস্তে আস্তে তৃষা বুঝতে পারলো যে আমি কিছুতেই ওকে ছেড়ে কোথাও যাবো না । নাদিমের বিয়ের বছর দেড়েক আমাদের বিয়ে হয়ে গেল । আমি ভয়ে ভয়ে কথাটা ওকে বলেছিলাম । ভেবেছিলাম হয়তো ও মানা করে দিবে । কিন্তু দিলো না । আমার স্বপ্নের জীবনটা সেখান থেকেই শুরু হল ।
আমি উঠে গিয়ে বারান্দায় পাতা মাদুরের উপরের গিয়ে বসলাম । আমাদের বাসাটা একেবারে এগারো তলার উপরে । এই ফ্ল্যাটের উপরে আর একটা ফ্লোর আছে মাত্র । গরম কালে একটু কষ্ট গরম বেশি লাগে তবে আর সব দিকেই এই বাসাটা আমাদের জন্য একেবারে পার্ফেক্ট । শোবার ঘরের বারান্দাটা পূবমুখী । বিছানা থেকেই প্রতিদিন সুর্যোদয়টা চমৎকার দেখা । মনে হয় যেন হাজার ইট কাঠের বিল্ডিং ভেদ করে সূর্যটা উপরে চলে আসে ।
তৃষা ফিরে এল কিছু সময় পরেই । ওর হাতে বিশাল বড় সাইজের একটা মগ । আমি মনে মনে হাসি । এটা আমার যৌথ কফি খাওয়ার মগ । প্রায়ই দিনই তৃষা এই মগে করে কফি কিংবা চা বানিয়ে নিয়ে আসে । বিশেষ করে যখন ওর গল্প করার মুড থাকে । আমার শরীরের উপর হেলান দিয়ে তখন গল্প শুরু করে । মগে একটা চুমুক দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দেয় । আমিও ঠিক একই কাজ করি । ওর কাজ কর্ম দেখে মনে হয় যেন আমরা সেই ফার্স্ট ইয়ারেই পড়ছি এখনও । আমাদের প্রেমটাও সেই সময়ের ।
তৃষার আমার গায়ের উপরেই খানিকটা উঠে বসলো যেন । আমি দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে আছি । ওর আমার শরীরের এক পাশটাতে হেলান দিল । তারপর কফিতে একটা চুমুক দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল ।
-আমি কোন দিন ভাবি নি আমার জীবন টা এমন হবে ।
বললাম
-অনেক কিছুই আমরা ভাবি না । কিন্তু এমন তো হয়ে যায় । এটাই হয়তো জীবন ।
-হুম ।
তৃষা অল্প অল্প করে মগে চুমুক দিচ্ছে । ওর সামনের চেহারাটা দেখা না গেলেও একটা পাশ আমি খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছি । আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত সেদিকেই তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । তারপর হঠাৎই আমার কেন জানি মনে হল কেবল নাদিমের ফোন দেওয়ার জন্যই নয় আজকে অন্য কিছু একটা ঘটেছে । যে কারনে তৃষা কিছুটা অস্থির ।
কি সেই কারন ?
আমার এমনটা মনে হওয়ার কোন কারন নেই । কিন্তু তবুও আমার মনে হল কিছু যেন স্বাভাবিক নয় । তৃষার কাছ থেকে মগ নিতে নিতে বলল
-আজকে আর কিছু হয়েছে ?
-কি হবে ?
-না, আমার কেন মনে হচ্ছে ! বল হয়েছে ?
তৃষা কিছু বলল না । কেবল হাসলো একটু । আমার দিকে আরও একটু হেলান দিল । তারপর বলল
-আজকে নাদিমের সাথে কথা বলার পর খানিকটা সময় মন খারাপ ছিল ।
-তারপর ?
-তারপর এমন কিছু ঘটেছে যে আমি বুঝতে পারলাম যে আমার জীবনে এখন আরও অনেক বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে । এখন আর পেছনে তাকানোর কোন মানে নেই ।
-কখন জেনেছো ? কি হয়েছে ?
-তুমি বই পড়ছিলে, তখন !
-কি হয়েছে ?
-বলব না ।
-আরে বাবা বল !
-না না না ।
-প্লিজ .....
আমি জানি তৃষা একবার যদি বলে যে বলবে না তাহলে তাহলে তাকে দিয়ে সেই কথা বলানো অসম্ভব । আমি আর চেষ্টা করলাম না । তৃষা তখন তাকিয়ে আছে সামনের দিকে । আমি ওর দৃষ্টি লক্ষ্য করে সামনের দিকে তাকালাম । দেখি পূর্ব আকাশে তখন প্রথম সূর্যয়ের কিরন দেখা যাচ্ছে । তৃষা সেদিকে একভাবে তাকিয়ে আছে । তারপর হঠাৎ করেই তৃষা বলল
-দেখো কি চমৎকার সূর্য উঠছে । প্রতিদিন এই সূর্য ওঠা মানেই হচ্ছে সকল কালো আধার মিলিয়ে গিয়ে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয় । তাই না?
-হুম ।
-আমার ভেতরেও এরমন একটা প্রাণের সৃষ্টি হচ্ছে ! সব কালো আধার সেই প্রাণের আলোতে বিলিন হয়ে যাবে !
আমার মনে হল আমি মনে হয় ভুল শুনলাম । তৃষা কি বলল ?
সত্যি ! আমি কেবল অনুভব করলাম আমার বুকের ভেতরে একটা তীব্র আনন্দ হচ্ছে ।
আমি কিছুটা সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তৃষার দিকে । যদিও তৃষার চোখ দেখা যাচ্ছে না তবুও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তৃষা কাঁদছে । আমার নিজের চোখের পানি জমতে শুরু করেছে ।
আমি আরও একটু শক্ত করে তৃষাকে জড়িয়ে ধরলাম । জীবনের সব থেকে আনন্দের সংবাদটা তৃষা আজকে আমাকে দিয়েছে । নতুন সূর্যের সাথের আমাদের জীবনেই একটা নতুন সূর্য উঠতে শুরু করেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬