somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি গতানুগতিক প্রেমের গল্প

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মিতুদের এপার্টমেন্ট বিল্ডিংটার সামনেই একটা খোলা মাঠ আছে। বিকেল হলেই চারিদিক থেকে মানুষ জন এখানে এসে জড় হতে থাকে। ছোট বড় সবাই এসে এখানে সময় কাটায় । বাচ্চারা খেলাধুলা করে আর বড়রা গল্প গুজব করে। অনেক অস্থায়ী খাবারের দোকানও এসে জমা হয় তখন । জমজমাট থাকে এলাকাটা সেই রাত পর্যন্ত !

মিতু প্রায় বিকেল হলে এখানে আসে। ওর ছোট ভাই প্রতিদিনই আসে এখানে। তবে আজকে ছোট ভাইয়ের চোখে অন্য রকম আনন্দ দেখতে পাচ্ছে। নতুন সাইকেলটা মনের আনন্দে চালিয়ে বেড়াচ্ছে। ছোট ভাইয়ের মুখে এমন আনন্দ দেখে মিতুর বেশ ভাল লাগছে। মনের ভেতর একটা আলাদা আনন্দবোধ হচ্ছে। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওদের জীবনে খুব কমই আনন্দের ঘটনা ঘটে। ওর মা সারাটা দিনই প্রায়ই অফিসে কাটায়। বাসায় যখন আসে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে থাকে কিছু সময়। তারপর আবার রান্না করতে হয়। মিতু কলেজ শেষ করে যতটা পারে মাকে সাহায্য করে।
বাবা যখন বেঁচে ছিল তখন ওদের জীবনটা কত সহজ ছিল। কিন্তু যখনই সে মারা গেল তখন আসলে বুঝতে পারলো জীবন কাকে বলে। তবুও ভাগ্য ভাল যে মিতুর বাবা মারা যাওয়ার আগে থাকার জন্য একটা ফ্ল্যাট কিনে রেখে গিয়েছিল। নয়তো ওদের অবস্থা কি হত সেটা মিতু ভাবতেও পারে না।

তবে কেবল আর বাসা থাকলেই চলে না। খাওয়া আছে, বাচ্চাদের স্কুল আছে, সেগুলোর খরচ। মিতুর মা চোখে মুখে অন্ধকার দেখছিল। ছোট একটা চাকরি করতো সে তাতে এতো কিছু সামলাতে পারছিলো না। তখনই একজন পরামর্শ দিলো যে একটা রুম পেইং গেস্ট এর কাছে ভাড়া দিয়ে দিতে। প্রথমে ভেবেছিল মানুষজন কি বলবে তারপর মনে হল মানুষ জনের কথায় তো পেট চলবে না। পেইং গেস্ট রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।

কিন্তু তেমন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। প্রথমে ভেবেছিল কেবল মেয়েদেরই রাখবে কিন্তু ওরা যতটা ভাড়া চাইছিল এতো টাকা দিয়ে কেউই থাকতে রাজি হচ্ছিলো না। তখনই অপু এসে হাজির হল। ছেলে বলে প্রথমে একটু না রাজি ছিল তবে ছেলেটার কথা বার্তা শুনে এবং ভাব ভঙ্গি দেখে রাজি হয়ে গেল ওরা। মিতুরও কেন জানি প্রথম দেখাতেই অপুকে ভালই মনে হল।

সেই কথাটাই ভাবছিল এমন সময় অপু এসে ওর পাশে বসল। তারপর মিতুর দিকে তাকিয়ে বলল
-মাহিম তো খুব ভাল সাইকেল চালাতে পারে দেখছি। আমিও তো এতো ভাল পারি না।
মিতু বলল
-আগে ওর একটা ছোট সাইকেল ছিল। চুরি হয়ে গিয়েছিল।
-ও!
মিতু বলল
-আপনি এতো গুলো টাকা নষ্ট না করলেও পারতেন।

অপু অবাক হয়ে বলল
-আরে নষ্ট কেন হবে? আমি তো নিজের কাজেই কিনেছি। মাঝে মাঝে দেখো না বাস বন্ধ থাকে। তখন টিউশনি তে যেতে সমস্যা হবে না।
মিতুর রাগ গেল হঠাৎ করেই । কেন উঠলো ও নিজেই বলতে পারবে না । অপুর দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল
-শুনুন আমি জানি আপনি কেন সাইকেল টা কিনেছেন। আমাকে ভূগোল বুঝাবেন না। আমি আপনার স্টুডেন্ট না
একটানা কথা গুলো কথা বলেই মিতুর মনে হল কাজটা ঠিক হল না । এখনই ওর সরি বলা উচিৎ । কিন্তু সেটাও বলতে পারলো না ! অপু একটু হাসলো তারপর বলল
-তাকিয়ে দেখ মাহিম কত আনন্দিত !
-মাহিনের বোঝা উচিৎ যে ও এখন জেদ ধরার অবস্থায় নেই । আমাদের পরিস্থিতি জেদ ধরার মত না !
-বাচ্চা মানুষ । আরেকটু বড় হোক বুঝে যাবে ! তুমি যেমন বোঝ ! আর আমি কিন্তু সত্যি নিজের জন্যই সাইকেলটা কিনেছি । সত্যি বলছি !

মিতু আর বসলো না । উঠে হাটা দিল ঘরের দিকে । হঠাৎ করেই এমন রাগ উঠে গেল কেন কে জানে ! সেদিনও উঠে গিয়েছিলো যেদিন অপু ওদের জন্য বাজার করে এনেছিলো । সেই মাসে ওর পরীক্ষার ফিসের জন্য একটু বেশি টাকাই চলে গিয়েছিলো । বাসায় বাজার করার মত অবস্থা ছিল । এদিক দিয়ে দেখলো অপু বিশাল বাজার করে নিয়ে এসেছে । সেদিন খুব রাগ হয়েছিল অপুর উপর । বারবার মনে হচ্ছিলো যেন অপু ওদের উপর করুণা করছে । একটা পরিবার বিপদে পড়েছে এখন উপকারের নামে সুযোগ নিবে সে !


কিন্তু সেই সুযোগ সে কোন দিনই নেয় নি । নেওয়ার চেষ্টাও করে নি । কোন দিন করবেও না এটা মিতু খুব ভাল করেই জানতো । সেই শুরুর দিন থেকে অপুকে তার ভালই লাগতো । কেবল মাঝে মাঝে এমন রাগ হতো তার উপর । অন্য দিনে ওর মায়ের এবং মাহিমের সাথে অপুর খুব ভাব । মিতুর মা তো ওকে নিজের ছেলের মতই দেখে । শুরুতে বাইরে আলাদা খাওয়া দাওয়া করলেও একটা সময় ওদের সাথেই অপু খাওয়া দাওয়া শুরু করে । একেবারে যেন পরিবারের সদস্যই হয়ে গিয়েছিল । মাহিত যত সময় বাসায় থাকে তত সময় অপুর ঘরেই থাকে । অপুর পিসিতে গেম খেলে সময় কাটায় ।

মিতু অনেক ভেবেছে অপুকে নিয়ে । ওর বাবার মারা যাওয়ার পরে মিতুর স্বভাবটা অনেক বদলে গেছে । অন্য কারো সাথে মিতু কখন রাগ দেখায় না । কিন্তু অপুর সাথেই কেন এমন করে সেটা ও নিজেই বুঝতে পারে না । যখন প্রথম অপুর সাথে একটা মেয়েকে দেখেছিলো সেদিনও মিতুর খুব রাগ হয়েছিলো । কেন হয়েছিলো সেটার ব্যাখ্যা ওর কাছে ঠিক পরিস্কার না । মেয়েটা সম্ভবত অপুর প্রেমিকা ছিল । বেশ কয়েকবারই দেখেছে দুজনকে এক সাথে । প্রেমিকাই মনে হয়েছে মিতুর কাছে ।

কিন্তু মাস ছয়েক আগে জানতে পারে মেয়েটার নাকি অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে গেছে । সেই সময় অপুর মন একটু খারাপ থাকতো । মিতু বেশ বুঝতে পারতো । তবে মনের কোথায় যেন একটা আনন্দবোধ করতো । বারবার মনে হত, বিয়ে হয়েছে ভালই হয়েছে । নিজের এমন চিন্তাতে নিজেকেই কেমন স্বার্থপর মনে হত । তবে হাসিও পেত । কেন পেত সেটা মিতুর জানা নেই ।


মাস ঘুরতে না ঘরতেই মিতুর জীবনে নতুন একটা মোড় চলে এল । মিতুর জন্য বিয়ে এসে হাজির । ছেলে নাকি খুবই ভাল এবং তাদের কোন চাহিদা নেই কোন ডিমান্ড নেই । কেবল মিতুকেই চায় তারা । বিয়ের কথা বার্তা যখন চলছিলো তখন একদিন খাবার টেবিলে অপু নিজেই বলল যে ওর কদিন এই বাড়ির বাইরে থাকা উচিৎ । বিশেষ করে মিতুকে যখন ওরা দেখতে আসবে !

মিতু কদিন থেকেই অপুকে পর্যবেক্ষন করছিলো যে ওর বিয়ের কথা শুনে তার প্রতিক্রিয়া কি হয় কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া নেই দেখে খানিকটা হতাশ হল । নিজেই জিজ্ঞেস করলো
-কেন আপনাকে অন্য কোথাও থাকতে হবে কেন ?
অপু একটু হেসে বলল
-আমি বাইরের একজন । তোমাদের সাথে পেয়িং গেস্ট থাকি । এটা অনেকে ভাল চোখে নাও দেখতে পারে !
-আপনি তো আর ফ্রি ফ্রি থাকেন না । জোর করেও থাকেন না । আর মানুষ কি ভাবলো তাতে কি যায় আসে !
-তা ঠিক । তার পরেও বিয়ের ব্যাপার বলে কথা ।

মেয়ের কথা বলার ভঙ্গি দেখে মিতুর মা খানিকটা অবাক হল । নিজের মেয়েকে সে মাঝে মাঝে ঠিক বুঝতে পারেন না । আর অপুর প্রতি ওর মনভাবও রাবেয়ার কাছে কেমন যেন ঘোলাতে লাগে । সে বলল
-আহ ! ঝগড়া করতে হবে না । অপু কোন সমস্যা নেই । তুমি চাইলেই থাকতে পারো । আসলে মিতু যা বলছে সেটা তো মিথ্যা না ।
-না আন্টি আমি আসলে সেটা মিন করি নি ।
-আমি বুঝতে পারছি । তুমি যে আমাদের ভাল চাও সেটা আমরা ভাল আর কেউ জানে । তুমি যা ভাল বুঝো তাই কর ঠিক আছে ?


সপ্তাহ খানেক পরেই মিতুকে দেখতে বর পক্ষ এল । ছেলে ভাল চাকরি করে । সবে মাত্র জয়েন করেছে । দেখতে শুনতেও ভাল । মেয়ে ওদের খুব পছন্দ হল । ওরা পাকা কথা দিয়ে যেতে চায় । কথা বার্তা যখনই শুরু হতে যাবে তখনই মিতু একটা কান্ড করে ফেলল । সবার সামনে দাড়িয়ে বলল
-আমি এই বিয়ে করতে চাই না ।

কয়েক মুহুর্ত কেউ কোন কথা বলতে পারলো না । মিতুর মা মনের ভেতরে ছিলই মিতু এমন কিছু করতে পারে । তার পরেও সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো মেয়ের দিকে । ছেলে নিজেও খানিকটা অবাক হয়ে গেছে । বিয়ের বাজারে তার দর সবার উপর । সবাই একেবারে বিয়ের জন্য তৈরি হয়ে আছে । আর নিজ থেকে এই মেয়েকে বিয়ে করতে এসে অথচ এই মেয়ে বলছে বিয়ে করবে না । ছেলের মা খানিকটা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
-কেন মা ? আমার ছেলেকে কি তোমার পছন্দ হয় নি ?
মিতু বলল
-সেটা না । অন্য কারনে আমি বিয়ে করতে চাই না ।
-কি কারন সেটা কি বলা যাবে আমাদের ?

মিতু কিছুটা সময় চুপ করে রইলো । যেন নিজের কাছেই গুছিয়ে নিচ্ছে সব কিছু তারপর বলল
-আপনারা আমাদের পরিস্থিতি ভাল করেই জানেন । এখন আমার বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে নিজের ভালর জন্য মাকে আর ভাইকে মাঝ পথে পেছনে ফেলে চলে যাওয়া । আপনাদের ঘরে গেলে আমি ভাল থাকবো সেটা আমি জানি । এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু আমার মা আর ভাইয়ের কি হবে ?
-তখন উনারাও আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে যাবে । তাই না ?
-হবে হয়তো । কিন্তু সেটা আপনাদের অনুগ্রহ হবে । এটা আমি কিংবা আমার পরিবার নিতে চাই না । আমি এখন কোন ভাবেই বিয়ে করতে চাই না । কোন ভাবেই না ।

আর কিছু না বলে মিতু দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল ।



#####

-আপনি কোথায় ?
অপু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত প্রায় এগারোটা বাজে । এক বন্ধুর মেস বাসায় এসেছিলো থাকার জন্য । এমন সময় মিতুর ফোন এসে হাজির । কন্ঠ শুনে অপু খানিকটা সংঙ্কিত বোধ করলো । বলল
-এই এক বন্ধুর মেসে !
-আপনি এখনই বাসায় আসুন !
-কাল আসি । এখন তো রাত হয়ে গেছে !
-আপনি যদি এখন না আসেন তাহলে আমি কিন্তু হাতের রগ কেটে ফেলবো । কাটার নিয়ে বসে আছি ।

অপু অবাক হয়ে গেল কথা শুনে । মিতুর কাছ থেকে এমন কিছু শুনবে সে কোন ভাবেও নি । তবে ওর মনে ভয় আছে যে মেয়েটা এমন কিছু সত্যি সত্যিই করে ফেলতে পারে ।

যখন মিতুদের বাসায় পৌছালো তখন বারোটা পার হয়ে গেছে । মিতুর মা নিজে দরজা খুলে দিল । ডায়েনিং রুমে এসে দেখে সেখানে মিতু বসে আছে । ওর জন্যই সম্ভত অপেক্ষা করছিলো । মিতুর মা রাবেয়া মিতুর দিকে তাকিয়ে বলল
-এবার বল । বলেছিলে অপু আসলে বলবে । এখন বল ! যদি বিয়েতে রাজিই না থাকবে তখন শুধু ওদের ডাকতে কেন গেল । যখন বিয়ের কথা বললাম তখন তো কিছু বললে না ? এসবের মানে কি ?
মিতু মৃদ্যু কন্ঠে বলল
-তখন বুঝতে পারি নি ।
-কি বুঝতে পারি নি ।
মিতু কোন জবাব দিল না । ওর মা আবারও বলল
-কি বুঝতে পারো নি ?
-বুঝতে পারি নি যে, আমি ওকে ভালবাসি !

অপু অবাক হয়ে মিতুর দিকে তাকিয়ে আছে । তবে মিতুর মা আগে থেকেই এমন কিছু বুঝতে পেরেছিলো । আঁচও করতে পেরেছিলো খানিকটা ! অপু বলল
-তুমি কি বলছো এসব ?
-কেন ? আপনি বুঝতে পারেন নি ?
-না । আমি ....
-না পারলে নাই । এখন তো জানলেন ! এখন ? এখন কি করবেন ?

অপু কি বলবে খুজে পেল না । মিতু বলল
-আমি আপনাকেই বিয়ে করবো ! অন্য কাউকে না । আপনি যদি রাজি না হোন তাহলে এই যে এন্টি কাটার দেখছেন এটা নিয়ে নিজের হাতের রগ কেটে ফেলবো !
মিতুর মা বলল
-মিতু এসব কি হচ্ছে ? তুমি এমন নির্লজ্জ কবে হলে !
-হয়েছি ! কি হয়েছে তাতে !
তারপর অপুর দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি কিন্তু সত্যি বলছি !


মিতু আর কিছু না আবার নিজের ঘরের দিকে চলে গেল । মিতুর মায়ের সামনে অপু অপ্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে রইলো কিছুটা সময় ! মিতুর মা বলল
-তুমি কিছু মনে কর না বাবা । আসলে মেয়েটা যে কেমন হয়ে গেছে । ওর বাবা যখন বেঁচে ছিল তখন ও খুব জেদ করতো । কিন্তু ওর বাবা মারা যাওয়ার পরে মেয়েটা একদম কেমন যেন হয়ে গেছে । আজকে অনেক দিন পরে ওকে আবার সেই জেদ করতে দেখলাম । কি যে করি !
-আপনি চিন্তা করবেন না, আমি দেখছি ! আর ....
-আর ?
-আমি যদি সত্যি ওকে বিয়ে করি আপনার কি কোন আপত্তি আছে ? আমার পড়াশুনা এই বছরেই শেষ হয়ে যাবে । আর আশা করি কিছু একটাতে ঢুকেও পড়তে পারবো আমি ।




পরিশিষ্টঃ

হাতের কাটারটা শক্ত করেই ধরে বসে ছিলো মিতু । এমন সময় অপু এসে ওর পাশে বসলো । তারপর বলল
-দেখি কাটারটা আমাকে দেও !
-না দিব না ।
-দাও বলছি !
-বললাম না দিব না ।
-সেদিন কি বলেছিলে আমাকে শুনি ?
-কি বলেছিলাম ?
-বলেছিলাম যে মাহিমের জেদ ধরাটা ঠিক হচ্ছে না । তা এখন তুমি কি করছো শুনি ?
-আমি ধরবো জেদ । এবং আপনাকে সেটা শুনতে হবে !
-শুনতেই হবে ?

যখন ওর জীবনে বাবা ছিল তখন মিতু আসলেই খুব বেশি জেদ করতো । কারন ও জানতো ওর বাবা ঠিক ঠিক ওর জেদটা পুরন করবে । যা চাইবে তাই এনে দিবে । তার চলে যাওয়ার পরে মিতু যেন জেদ করার ছেড়েই দিয়েছিলো । বারবার মনে হত ও রাগ করলে কিংবা জেদ করলে অন্যেরা কেন সেটা পূরন করবে ? কেউ করবে না ।
কিন্তু এখন কেবলই মনে হয় যে আবারও সেই জেদ করার মানুষ তার জীবনে ফিরে এসেছে । হয়তো অন্য ভাবে তবে এসেছে ! মিতু বলল
-হ্যা ! শুনতেই । আমি সারা জীবন আপনাকে জ্বালাবো । আপনাকে সেটা স হ্য করতে হবে !
-আচ্ছা সেটা না হয় করা যাবে । এখন কাটার টা আমার হাতে দাও দেখি লক্ষি মেয়ের মত !
-আমি লক্ষ্যি মেয়ে না । মোটেই না ।

এমন ভাবে কথা বলতে বলতে কখন যে প অপুকে জড়িয়ে ধরেছে সে নিজের বলতে পারবে না । একটা অশ্রুর স্রোত ওর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো । তবে অনেক দিন পরে মিতু কাঁদতে পেরে শান্তি অনুভব করলো ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×