somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট গল্পঃ আদিবার কাজিন

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট বেলা থেকেই মানুষের ভীড় আমার পছন্দ না । যেখানে মানুষ বেশি সেখানে আমি নেই । এই জন্যই বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠানে আমি একদমই যেতাম না । নিজের বড় ভাইয়ের বিয়েতেও আমার যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু আব্বার ভয়ে যেতে হয়েছিলো । আর আজকেও আসতে হয়েছে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে !

আমি অফিসার্স ক্লাবের গেটের কাছে এসে আরেকবার ভাবলাম ভেতরে ঢুকবো কি না ! এখন থেকে ফিরে গেলে খুব বেশি কিছু হবে না । আন্টি একটু রাগ করতে পারে । তবে সেটা বড় কিছু নয় । কিন্তু আজকের পর হয়তো আর কোন দিন তাকে দেখতেই পাবো না । আদিবা বলছিলো তার কাজিন নাকি বিয়ের পরই আমেরিকা চলে যাবে । আর কোন দিন হয়তো দেখতেই পাবো না !

কি অদ্ভুদ মানুষের মন ! তার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না । এমন কি তার নামও জানি না । কেবল জানি সে আদিবার কাজিন । ওদের উপরতলাতে থাকে । সম্ভবত আমাদের ইউনিভার্সিটিতেই পড়ে । কিন্তু কিসে পড়ে কোন ইয়ার সেটাও আমার অজানা অথচ তাকে ভেবে রাতের পর রাত কেটে যাচ্ছে ! এখনও মনে হয় সেদিনের সেই দেখা টা না হলেই সম্ভত ভাল হত । আমি নিজের জীবন নিয়ে সুখে থাকতাম । অন্তত এই মানষিক যন্ত্রনার ভেতরে দিয়ে তো যেতে হত না !

তাকে আমি প্রথম দেখি আদিবাকে পড়ানো শুরুর পরপরই । খুব বেশি দিন হয় নি । একদিন পড়াতে গেছি । কলিংবেল চেপে দাড়িয়ে আছি দরজা খোলার অপেক্ষাতে । বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেও কেউ দরজা খুলল না । আরেকবার বেল চাপতে যাবো তখনই দরজা খুলে গেল । তাকিয়ে দেখি একটা অচেনা মেয়ে দাড়িয়ে আছে । এই মেয়েটাকে আমি আগে এই বাসাতে দেখি নি । আমাকেও সম্ভবত সে দেখে নি । তবে সম্ভবত আন্দাজ করতে পেরেছে আমি কে ।
আমি তখনও তার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছি । সাধারনত আমি মেয়েদের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকি না । কিন্তু তার ভেতরে এমন কিছু ছিল যে আমি তাকিয়ে না থেকে পারলাম না ।
মেয়েটা সাদা রংয়ের একটা সেলোয়ার পরে ছিলো । চুল খোলা ছিল । মেয়েটির হাতে মেহেদির গাঢ় রং তখনও পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে গভীর দুই চোখে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল । আমিও ঠিক একই ভাবে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম । কতটা সময় এমন ভাবে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমি জানি না ।

একটা সময় সে নিজে সরে গিয়ে আমাকে ভেতরে যাওয়ার রাস্তা করে দিলো । আমি ভেতরে চলে এলাম কিন্তু আমার চোখের সামনে সেই চেহারাটা লেগেই থাকলো । নিজের ভেতরে একটা যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা বুঝতে আমার মোটেই কষ্ট হল না ।

তারপর থেকেই শুরু । তার চেহারা আমার চোখের সামনে থেকে কিছুতেই সরে না । যেখানেই যাই আর যাই করি সব স্থানে তার মনে পড়ে । বুঝতে পারলাম আমি তার প্রেমে পড়েছি । কিন্তু প্রেমে পড়লেও কিছু করার ছিল না । তার ব্যাপারে কোন খোজ খবর আমি নিতে পারলাম না । নিজের লজ্জার কারনে আদিবাকে একটা কথাও জিজ্ঞেস করতে পারলাম না । আদিবার মা কিংবা বাবার কাছে তো জানতে চাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না ।

তবে আদিবার কথা শুনে এই টুকু জানতে পারলাম যে মেয়েটা আদিবার কাজিন । বড় মামার মেয়ে । থাকে উপর তলাতেই । মাঝে মাঝে এই বাসায় আসে ।


তবে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করা শুরু করলাম যে সেদিনের পর থেকে আদিবার কাজিন যেন এই বাসা আসতে শুরু করলো । আমি ওকে যখন পড়াতাম সে টিভির ঘরে বসে থাকতো । টিভি দেখতো, মাঝে সাঝে আন্টির সাথে গল্প করতো । কিন্তু দুঃখের ব্যাপার যে তার নাম যে কি সেটা উদ্ধার করতে পারলাম না । লজ্জার কারনে জিজ্ঞেসও করা হল না পাছে ওরা কি না কি মনে করে । কেবল যাওয়া আর আসার সময় দেখা হত । চোখাচোখী হত ।

তবে আমার কেবল একটা ব্যাপার মনে হল যে আমি যেমন মেয়েটা আলাদা ভাবে লক্ষ্য করছি মেয়েটাও হয়তো আমাকে আলাদা ভাবে লক্ষ্য করছে । এটা অবশ্য আমার মনের ভুল হতে পারে ।

এভাবেই দিন চলে যাচ্ছিলো । আদিবাকে পড়াতে যেতাম । প্রায়ই দেখা হত তার সাথে । চোখাচোখী হত কয়েক মুহুর্তের জন্য । আমার জন্য সেটাও অনেক বড় কিছু ছিল । তাকে কল্পনা করে কত কিছু ভাবতাম । নিজের মন জগতেই ঘুরে বেড়াতাম । নতুন প্রেমে পড়লে মানুষ যেমন সুখে থাকে আমিও ছিলাম সেরকম সুখে !

কিন্তু সুখের দিন বেশি দিন টিকলো না । একদিন পড়াতে গিয়ে শুনলাম তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে । সেদিন আদিবা একটু বাইরে গিয়েছিলো । আমি বসে ছিলাম ওর জন্য । ফিরে এসে আদিবা নিজ থেকেই বলল যে ও গিয়েছিলো আপুর বিয়ের শপিংয়ের জন্য ! আপু বলতে সে কাকে বুঝিয়েছে সেটা আমার বুঝতে কষ্ট হল না । বুকের মাঝে কি যে একটা কষ্ট বিধে রইলো আমি ঠিক বুঝাতে পারবো না !

হঠাৎ করেই নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । পাত্র খুব ভাল । আমেরিকাতে থাকে । ডাক্তার !
ছেলে একে তো ডাক্তার তার উপর আমেরিকাতে থাকে । এর থেকে ভাল পাত্র আর কি হবে ? আর আমি এখন তার নাম পর্যন্ত জানি না ।

কদিন কিছুতেই মন বসলো না । ঠিক মত খাওয়া দাওয়া বাদ গেল । কয়েকদিন টিউশনীও কামাই করে ফেললাম । কিছুই যেন ভাল লাগছিলো না । নিজের কাছেই কেমন যেন অস হায় লাগছিলো । বারবার কেবল মনে হচ্ছিলো একটা বার যদি মেয়েটার সাথে কথা বলতে পারতাম । যদি নিজের মনের কথাটা বলতে পারতাম তাকে !
হয়তো কিছুই হতো না কিন্তু নিজের কাছে একটা শান্তি লাগতো ঠিকই !

আন্টি যখন বিয়ের দাওয়াত দিল তখনও আমার কোন ইচ্ছে ছিল না বিয়েতে আসার । বিয়ের কার্ড অবশ্য দেই নি । সেটা দিলে হয়তো কন্যার নামটা জানতে পারতাম । মুখেই বলল আর বলল যেন আমি অবশ্যই আসি !


তাই তো এখানে এসে হাজির । ভেতরে ঢুকতেই আদিবাকে দেখতে পেলাম গেটের মুখে দাড়িয়ে আছে । আমাকে দেখেই হাত নাড়লো । আমি খানিকটা হেসে ওর সামনে গিয়ে দাড়ালাম । আমার দিকে তাকিয়ে আদিবা বলল
-স্যার আপনি এতো দেরি করে কেন আসলেন ?
আমি হাসলাম আবারও ।

আদিবার সাথেই ভেতরে গেলাম । স্টেজটা তখনই বেশ দুরে । আমি দেখতে পাচ্ছি স্টেজে বর বউ বসে আছে । বরের চেহারাটা বোঝা গেলেও বউয়ের চেহারাটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না । সে পাশ ফিরে কার সাথে যেন কথা বলছে ।

আমার তখনই মনে এখানে আসা আমার একদম উচিৎ হয় নি । আমি এখানে এসেছিলো মেয়েটাকে একবার শেষ দেখার জন্য । হয়তো আর কোন দিন দেখা হবে না । কিন্তু এখানে এসে বুঝতে পারলাম যে মেয়েটার সাথে অন্য কাউকে আমি কোন ভাবেই দেখতে পাবো না । আমার এখানে থেকেই চলে যাওয়াই ভাল !

আমি চলে যেতে পা বাড়াতে যাবো তখনই বউ এদিকে ঘুরলো । আমি বিশ্মিত চোখে তাকিয়ে রইলাম !



আমি কেবল লক্ষ্য করলাম আমার হৃদপিন্ডটা যেন আরও দ্রুত লাফাতে শুরু করেছে । আমি কেবল অবাক হয়ে বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছি । স্টেকে যে বউ বেসে বসে আছে সেই মেয়েটি অন্য কেউ । মানে আমি যাকে দেখেছি, যাকে ভালবেসেছি এই মেয়েটি সেই মেয়েটি নয় ! একবার ভাবলাম হয়তো ইদানিং মেয়েরা বিয়েতে যে পরিমান মেকাপ দেয় হয়তো এই জন্যই মেয়েটাকে চিনতে পারছি না কিন্তু আরও ভাল করে দেখলাম সেই মেয়েটির সাথে এই মেয়েটির কোন মিলই নেই । একদম অন্য রকম ! আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে আদিবাকে বললাম
-স্টেজে এই মেয়েটি কে ?
আদিবা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-স্যার আপনি এমন কথা বলেন না ! কে আবার ! আমার কাজিন । যার বিয়ে হচ্ছে !
আমার তখনও বুঝতে খানিকটা সময় লাগছে । আদিবা আবার বলল
-স্যার, আপনি স্টেজে আসবেন নাকি আমি যাবো ?
কোন মতে বললাম
-তুমি যাও আমি আসছি !

আমি তখনও কিছু বুঝতে পারছি না । সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে । এমন সময় কেউ আমার পাশে এসে দাড়ালো । হাতে একটা শরবতের গ্লাস ! আমার দিকে সেটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-মাস্টার সাহেব, এই শরবতটা খান । মাথা ঠান্ডা হবে !

আমি তাকিয়ে দেখি যে আমার দিকে গ্লাসটা এগিয়ে দিয়েছে সে আর কেউ নয় সেই মেয়েটি ! আমার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে । আমি কোন মতে গ্লাসটা হাতে নিলাম । সে বলল
-কি খুশী হন নি যাকে স্টেজে দেখার কথা তাকে না দেখে !

আমি কোন কথা বলতে পারলাম না । আমি এখনও ঠিক বুঝতে পারছি না ! মেয়েটি বলল
-ও আমার বড় বোন ! ওরই বিয়ে হচ্ছে ।
আমি তখনও বোকার মত তার দিকে তাকিয়েই আছি । কিছু বলতে পারছি না । মেয়েটি বলল
-আমার এতো জলদি বিয়ে করার কোন ইচ্ছে নেই । আর এরেঞ্জ বিয়েতো নয়ই । আমি তাকেই বিয়ে করবো যাকে আমার পছন্দ !

কোন মতে বললাম
-আপ-আপনার কাকে পছন্দ ?
যেন খুব মজার কথা বলেছি এমন একটা ভাব করে মেয়েটা হেসে ফেলল । তারপর বলল
-জানতে চান কাকে পছন্দ ?
-হুম !
-দেখি আপনার মোবাইল টা ?

আমি যন্ত্রের মত মোবাইলটা বের করে দিলাম । সে মোবাইলে কিছু টেপাটেপি করলো । তারপর আমার দিকে মোবাইলের স্ক্রিনটা দেখিয়ে বলল
-এই নাম্বারটা দেখছেন না ? কাল বিকেল ঠিক পাঁচটার সময় ২৭ নাম্বরের আলফ্রেসকোতে আসবেন । এসে এই নাম্বারে ফোন দিবেন । মনে থাকবে তো । তখনই জানতে পারবেন সেই নাম !

মেয়েটি আমাকে মোবাইলটা ফেরৎ দিল । তারপর বলল
-এখন যাই । বোনের বিয়ে অনেক কাজ ! কাল দেখা হবে !
মেয়েটি পা বাড়াতে গেলে আমি বললাম
-আপনার নামটা আমি এখনও জানি না !
-কালই শুনবেন !

তারপর আরও একটু হাসি দিয়ে স্টেজের দিকে পা বাড়ালো ! আমি এক হাতে মোবাইল আর আরেক হাতে শরবতের গ্লাস নিয়ে দাড়িয়েই রইলাম । কি পরিমান খুশি লাগছিলো সেটা আর কাউকে বোঝাতে পারবো না ! মনে হচ্ছিলো আমি এখন পৃথিবীর সব থেকে আনন্দিত মানুষ !



(অনুপ্রাণীত খানিকটা)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×