somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিতু আর ছেলেটির গল্প

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিক্সাটা যখন পান্থপথ সিগনালে থামলো তখনই মিতুর চোখ গেল রাস্তার ওপাশের থেমে থাকা গাড়ি গুলোর দিকে । একজনের উপর চোখ পড়তেই মিতুর মনটা বিরক্তিতে ভরে উঠলো । এতো সময় সে একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত ছিল আর এখন সেটা বাদ দিয়ে সেখানে বিরক্ত এসে জমা হচ্ছে । আনুপ পাশে বসে আছে । ওর দিকে তাকাতেই আনুপ বলল
-কি ব্যাপার কি হল ? তুমি এখনও টেনশন করছো ? দেখো তুমি না চাইলে করতে হবে না ।

মিতু মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল
-আরে ওটা না । প্রথমবার তো একটা কেমন যেন মনে হচ্ছে । আর মেজাজটা অন্য কারনে খারাপ !
-কি কারনে ?
মিতু বলল
-ওপাশে সিগনালে একটা বাইক দাড়িয়ে রয়েছে । কালো রংয়ের ! একবারে তাকিয়ো না । স্বাভাবিক ভাবে তাকাও !

মিতুর কথা মতই আনুপ তাকালো সেদিকে । মিতু বলল
-ঐ যে কালো রংয়ের বাইকের সামনে যে বসে আছে, কালো সানগ্লাস পরা । ওর নাম রাজিব । আমাদের এলাকার কমিশনারের ছোট ভাই ।
আনুপ সেদিকে তাকিয়েই বলল
-তোমাকে কি ডিস্টার্ব করে ?
-অনেক টা । যদিও সরাসরি কিছু বলে নি তবে ওর সাঙপাঙ্গরা আমাকে ভাবি বলে ডাকে । এমন বিরক্ত লাগে !
-আমি কিছু করবো ?
-তুমি কি করবা শুনি ? ওর বাবা আবার সরকার পক্ষের নেতা । তুমি কিছুই করতে পারবে না । ঝামেলার দরকার নেই । বাবাকে বলেছি এলাকা ছেড়ে দিতে । দেখা যাক কি হয় !
-আচ্ছা ঠিক আছে । এখন ওর কথা ভাবতে হবে না । আমাদের কথা ভাব ।

মিতু তাকিয়ে দেখলো ওপাশের সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে । রাজিব তার বাইক নিয়ে চলে গেল ভুস করে । রাজিব একবারও ওদের দিকে তাকায় নি তবে মিতুর কেন জানি মনে সে ঠিকই ওদেরকে দেখেছে । ওকে হয়তো কিছু করবে না কিন্তু যদি আনুপকে কিছু করে ফেলে ! ঐ ছেলের কোন ভরশা নেই ! কিন্তু রাজিবের বাইকটা চোখের আড়াল চলে যেতেই মিতুর মনে আবার সেই ভাবনা টা চলে এল । যে কাজটা আজকে করতে যাচ্ছে সেটা কি ঠিক হচ্ছে ? আনুপ অনেক দিন থেকে পেছনে লেগে আছে । মিতুর নিম রাজি হয়েছে । কিন্তু এখন আবার কেমন যেন করছে । বারবার মনে হচ্ছে কাজটা করা হয়তো ঠিক হচ্ছে না !

ওদের সিগনাল ছেড়ে দিল । রিক্সা চলতে শুরু করলো আবারও । মিতু চুপচাপ সংকিত মন নিয়ে বসে রইলো রিক্সার পড়ে । ওর মনে আসলেই চিন্তা হচ্ছে এখন !


দুই
কেউ যেন ব্যাথায় কাতরাচ্ছে । আওয়াজটা আসছে আসে পাশ থেকে । মিতু ঠিক বুঝতে পারছে না কে করছে আওয়াজটা । এমন কি দেখতে পাচ্ছে না ! মিতুকে চেহারের উপর বসিয়ে রাখা হয়েছে অনেকটা সময় । পেছন দিকে হাত বাঁধা । পা দুটোও এক সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে । মুখে একটা মেডিক্যালে টেপ লাগানো আর চোখ বাঁধা একটা কালো কাপড় দিয়ে ।
ওর সাথে হয়তো আজকে খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে । গতদিন রাজিবের সাথে রাস্তার উপর ও খুব খারাপ ব্যবহার করেছে । একটা চড় বসিয়ে দিয়েছে রাজিবের গালে । তার ফল স্বরূপ আজকে ওকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে ।
কিন্তু মিতুর মনে যতখানি চিন্তা হওয়ার কথা ততখানি হচ্ছে না । সপ্তাহ খানেক আগেই ওর জীবনে খুব বড় ধরনের একটা ঝড় বয়ে গেছে । এই একটা সপ্তাহ যে ও কি নিয়ে বেঁচে আছে সেটা ও নিজেও জানে না । কয়েকবার নিজের জীবন নেওয়ার কথা ভেবেছে কিন্তু বাবা মায়ের কথা চিন্তা করেই কাজটা করতে পারে নি । কিন্তু যখন তারা সত্যটা জানতে পারবে তখন তারা যে তাকে কি চোখে দেখবে সেটা মিতু ভাবতেও পারছে না ।

মিতু কারো পায়ের আওয়াজ পেল । বুঝতে পারলো ওর দিকে কেউ এগিয়ে আসছে । আওয়াজটা একদম ওর কাছে চলে এল । তারপর চোখের কালো কাপড়টা খুলে দিতেই মিতুর চোখে তীব্র একটা আলো ঝলকানী লাগলো । খানিকটা চোখ বন্ধ করে খুলল । তারপর বার কয়েক চোখটা খুলে বন্ধ করে বাইরের আলোর সাথে নিজের চোখকে মানিয়ে নিল । সামনে তাকিয়ে দেখলো সেখানে রাজিব দাড়িয়ে আছে । ওর দিকে গম্ভীর চোখে ।
রাজিব বলল
-আমি মুখ খুলে দিচ্ছি । যদি চিৎকার করতে চাও করতে পারো তবে কোন লাভ হবে না । তোমার আওয়াজ শোনার মত নেই এখানে ! ঠিক আছে ?

এগিয়ে এসে মিতুর মুখের টেপটা খুলে দিলো । মিতুর চিৎকার দিল না । তার বদলে বলল
-আপনাকে আমি পুলিশে দেব !
খুব যেন মজা পেয়েছে এমন একটা ভাব করে রাজিব বলল
-আচ্ছা দিও । সমস্যা নেই । কিছু খাবে ?
-আমাকে এখানে এখানে খাওয়াতে নিয়ে এসছেন ? যা করতে নিয়ে এসেছেন করে ফেলেন ! একাই রেপ করবেন নাকি সবাই মিলে !!

মিতু রাগে হিস হিস করে একবারে কথা গুলো বলে হাঁপাতে লাগলো । রাজিব কোন প্রতিক্রিয়া দেখালো না । চুপচাপ ওর দিকে তাকিয়ে রইলো । মিতুর তখনই চোখ গেল আশে পাশে । ওকে বেশ বড় একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছে । এটা কোন থাকার ঘর না । সম্ভবত কোন গোডাউন হবে । ছাদটা অনেক উচু । একটু আগে যে কাতরানোর আওয়াজটা পাচ্ছিলো সেটা খুজতে লাগলো । এদিক ওদিক তাকাতেই খুজে পেল সেটা । ওদের থেকে বেশ দুরে একে বারে দরজার কাছে একজন পড়ে আছে । সম্পূর্ন মুখটা কালো কাপড় দিয়ে বাধা । হাতটাও ওর মত করেই পেছন দিক দিয়ে বাঁধা ।
রাজিব বলল
-আর কিছু বলবা ?

মিতু কিছু বলল না । কেবল তাকিয়ে রইলো রাজিবের দিকে । রাজিব ওর চোখের তাকিয়ে থেকে একটা হাতে তালি দিলো । মিতু দেখলো বাইরে থেকে দুজন ছেলে ঘরের ভেতরে ঢুকলো । তারপর একটা চেয়ার নিয়ে এসে রাখলো ওদের থেকে একটু দুরে । এরপর তারা সেই পড়ে থাকা ছেলেটাকে ধরে বসালো সেখানে । কালো কাপড় থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়তেছে । মিতু কিছুটা সময় অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলো । রাজিব বলল
-দেখতে চাও না এই ছেলেটাকে ?

মিতু কোন কথা বলল না । কারন সে চিনতে পেরেছে ছেলেটা কে ! আনুপ ! মিতুর বুকের ভেতরটা কেমন লাফাতে লাগলো ! রাজিব নিজে হাতেই আনুপের মুখের কাপড় সরালো । চেহারা দেখে মিতু বুঝতে পারলো ওর উপর খুব বড় রকমের ঝড় বয়ে গেছে । মিতু কোন কথা না বলে কেবল তাকিয়েই রইলো । তারপর হঠাৎ করেই মিতুর মনে হল রাজিব সব কিছু জানে !

ওর কথা সত্যি করে দিতেই যেন রাজিব পকেট থেকে একটা মোবাইল বের করলো । আনুপের ফোন ! তারপর সেটা আনুপের দিকে ধরে বলল
-ভিডিওটা এই ফোন ছাড়া কোথাও আছে ?

আনুপ মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগলো ! রাজিব আবার বলল
-একটা প্রশ্ন করেছি আমি ? আছে আর কোথাও ?
-না ! নেই ।
কোন মনে বলতে পারলো কথাটা ! মিতু দেখলো বাইরে থেকে আরেকজন ভেতরে এল । হাতে একটা ল্যাপটপ ! সেটা রাখলো ওদের সামনে !
মিতু ল্যাপটপ চিনতে পারলো । ওটা আনুপের ল্যাপটপ ! রাজিব বলল
-এর ভেতরে নেই তো ?
-না । বিশ্বাস করেন ভাই নেই । আর কোথাও নেই ।
-যদি আমি জানতে পারি এই ভিডিও আর কোথাও আছে তাহলে সেদিনই তোমার জীবন শেষ । তুই পৃথিবীর যেখানেই থাকিস না কেন সেদিন তোর শেষ দিন ! বুঝেছিস ?

মিতুর কেবল মনে হল ও যেন স্বপ্ন দেখছে । এই কদিন যে দুস্বপ্নের ভেতরে ছিল সেটা যেন শেষ হতে চলেছে । যে মানষিক কষ্টের ভেতরে ছিল সেটা যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে ! রাজিব বলল
-বুদ্ধিটা কার ছিল ? তোর নাকি তোর ঐ বন্ধুর ?

কোন কথা বলল না আনুপ । চুপ করে মাথা নিচু করে রইলো । রাজিব তখনই আনুপের গালে জোরে একটা চড় মারলো । চড়টা এতোই জোড়ে ছিলো যে আনুপ ছিটকে গিয়ে নিচে পড়লো । সেখান থেকেই চিৎকার করে বলল
-আমার ছিল ভাই । আমার ছিল । আমাকে মাফ করে দেন । আমাকে মাফ করে দেন ।
ছেলে দুটো আবারও আনুপকে চেয়ারের উপর তুলল । রাজিব আনুপের মাথার চুল ধরে বলল
-আমার কাছে না মিতুর কাছে ক্ষমা চা !

মিতুর থাকে চোখে চোখ পড়ার সাথে সাথে আনুপ সরিয়ে নিল । মিতু তীব্র একটা ঘৃণা নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলো । ওর এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো এমন একটা জানোয়ারকে ও ভালবেসেছিলো ।

-ভাই ডাক্তার চলে এসেছে !
রাজিব বলল
-যা একে নিয়ে যা ! কাজ যেন ভাল মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবি !

আবারও সেই দুটো ছেলে আনুপকে ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেল । আনুপ তখনও চিৎকার করে যাচ্ছে । ওকে মাফ করে দিতে বলছে ।

মিতুর সামনেই রাজিব ল্যাপটপটা পিটিয়ে নষ্ট করে দিল । তারপর ফোনটাও । দুটোট উপর প্রেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল । তারপর মিতুর দিকে তাকিয়ে বলল
-যা হয়ে গেছে ভুলে যাও । তোমার ঐ ভুলটা আর কোন দিন কেউ জানতে পারবে না ।
মিতু খানিকটা সময় চুপ করে থেকে বলল
-আপনি তো জানেন !
-তোমার কি মনে হয় যে আমি তোমার ঐ বয়ফ্রেন্ডের মত ? এখনও কি মনে হয় ? আমি বখাটে হতে পারি কিন্তু আমি আমার পছন্দের মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করি না । যাকে পছন্দ করি তার সম্মান রক্ষার জন্য সব করতে পারি !
মিতু বলল
-আমি বলতে চাচ্ছি আপনি তো জানেন এখন নিশ্চয়ই আমাকে আর আগের মত পছন্দ করবেন না ?
এই কথার জবাব না দিয়ে কেবল মিতুর দিকে তাকালো । মিতুর মনে হল ও যেন ওর জবাব পেয়ে গেছে ।

রাজিব ওর মিতুর হাত পায়ের বাধন খুলে দিতে দিতে বলল
-চল তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি ! ভয় পেও না আমি তোমাকে কিছু করার জন্য এখানে আনি নি । কেবল তোমার সামনে যেন জানোয়ারটাকে শায়েস্তা করতে পারি সেটার জন্য এনেছি । মুখ দিয়ে বলল তো আর আসতে না ! তাই !

মিতু হাটা শুরু করলো । ওর এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । এক সপ্তাহে আগে মিতু জানতে পারে আনুপ ওদের কিছু একান্ত মুহুর্ত ভিডিও করে রেখেছে । এবং সেটা সে বাইরে ছেড়ে দিবে যদি তাকে ৫০ হাজার টাকা না দেওয়া হয় । অথবা ও কয়েকটা বড়লোক বন্ধু আছে ওদের সাথেও একই কাজ করতে হবে তাহলে সে ভিডিওটা ডিলিট করে দিবে । নয়তো নেটে ছেতে দিবে ! মিতু প্রথমে কিছু বুঝতেই পারছিলো না । ওর কেবলই মনে হচ্ছিলো ও দুঃস্বপ্ন দেখছে । কি পরিমান মানষিক কষ্টে সে ছিলো সেটা কেউ জানে ! আর আজকে এতো সব ঘটে গেল !


হাটতে হাটতে হঠাৎ মিতু বলল
-ডাক্তার এসেছে বলল ছেলেটা । কি চিকিৎসা দেবেন ?
এই কথার জবাবে রাজিব হাসলো । তারপর বলল
-হুমায়ুন আহমেদের লিলুয়া বাতাস পড়েছো ?
-কেন ?

ওরা তখন হাটতে হাটতে খোলা জায়গাতে চলে এসেছে । একটা বাংলো বাড়ির মত মনে হচ্ছে । পাশের ছিল গোডাউন ! গেটও দেখা যাচ্ছে । ওরা সেদিকেই যাচ্ছে ! মিতু আবারও বলল
-কেন বলুন তো !
-আজকে ঐ লিলুয়া বাতাসের মত আনুপকে খাসি করানো হবে !
মিতু অবাক হয়ে বলল
-মানে কি ?
-মানে হচ্ছে ওকে পুরুষত্বহীন বানানো হবে । আজকের পর থেকে যেন ও আর কোন মেয়ের সাথে এমন কাজ করতে না পারে, আর কোন মেয়েকে ব্লাক মেইল করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে !

মিতু কয়েক মুহুর্ত কোন কথা বলতে পারলো না । গাড়ির ওঠার পরে চুপ করে বসে রইলো। ভেবেছিলো রাজিব ওর সাথেই যাবে । কিন্তু গেল না । যখন গাড়িটা ছেড়ে দিবে তখনই মিতুর মনের ভেতরে কেমন করে উঠলো যেন । কিছু যেন বলতে চাইলো রাজিবকে । মিতু বলল
-আপনার কোন দিন মনে হবে না আমি একটা খারাপ মেয়ে ! ধরেন কোন দিন আমার উপর খুব রাগ হল তখন কি এই কথা বলে আমাকে খোটা দিবেন না ?
রাজিব হাসলো কিছুটা । তারপর বলল
-আমি তোমার এই চোখকে ভালবেসেছি যেদিন তোমাকে প্রথম দেখি, তোমার ঐ হাসিকে ভালবেসে এসেছি । ঐ দিনের পর থেকে কেবল মাত্র এই অপেক্ষা করে এসেছি যে তোমার চোখে একদিন আমার জন্য ভালবাসা দেখবো । কেবল এটা দেখার জন্য আমি এখনও অপেক্ষা করে আছি । আমার মুখ থেকে কোন দিন ঐ কথা বের হবে না ।

কয়েক মুহুর্ত কেউ কোন কথা বলল না । রাজিব বলল
-এখন না বের হয়ে বাসায় পৌছাতে পৌছাতে দেরি হয়ে যাবে ! এই বলে মাইক্রোর দরজা বন্ধ করে দিল । গাড়িটা যেন এই সিগনালের জন্যই অপেক্ষা করছিলো । আস্তে আস্তে চলতে শুরু করলো ।

মিতু কেবল এক ভাবে তাকিয়ে রইলো মাইক্রোর জানালা দিয়ে । যাকে যে মন প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিল, বিশ্বাস করে সব কিছু দিয়েছিলো সে তার সব কিছু বাজারে তুলতে যাচ্ছিলো আর যে ছেলেটাকে কেবল ঘৃণা করে এসেছে কোন কারন ছাড়া সেই ছেলেটা ওর জন্য কি না করলো !

-ড্রাইভার সাহেব !
-জে আফা !
-গাড়ি থামান !
-জে ?
-বললাম গাড়ি থামান !
-কিন্তু ভাইজান !
-রাখেন আপনার ভাইজান । গাড়ি থামাতে বলছি থামান !

ড্রাইভার গাড়ি থামালো । গাড়ির দরজা খুলে মিতুর যখন পেছন ফিরে তাকালো দেখলো রাজিব তখনও গেটের কাছে দাড়িয়ে আছে । গাড়ি থামতে দেখে খানিকটা অবাক হয়েছে । মিতু আস্তে আস্তে হাটা থেকে দৌড়াতে শুরু করলো । ওর কেবল মনে হতে লাগলো সামনের ঐ ছেলেটাকে অনেক ঘৃণা করেছে সে যেটা ওর প্রাপ্য না । যে কোন মূল্য ছেলেটার কাছে তার পৌছাতেই হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×