-এই নাও ! তোমার জন্য !
আমি আরিশার দিকে তাকালাম । আমি জানি কেবল আমি তাকাই নি আমার সাথে পুরো ক্লাসই আরিশার দিকে তাকিয়েছে । আরিশা আমাকে একটা বই দিচ্ছে এটা তো অবশ্যই একটা বৈশিষ্টপূর্ণ ঘটনার ভেতরে পড়ে । আমি বইটার দিকে তাকিয়ে দেখি বইটা জেমস রোলিংসের স্যান্ডস্ট্রোম ! সিগমা সিরিজের প্রথম বই ।
গতকালকেই আমি ওর সাথে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম । ম্যাপ অব বোনসটা পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছে এটা বলার পরেই ও জানতে চায় আমি আর কি কি বই পড়েছি । আমি বলি যে এই সিরিজের আর কোন বই আমার পড়া হয় নি । আজকে যে ও বইটা নিয়ে আসবে আমি ভাবি নি । আরিশা আমার দিকে তাকিয়ে আবারও একটু হাসলো । তারপর বলল
-এটা পড় । এটাও ভাল লাগবে ?
-তুমি পড়েছো ?
-হুম !
বইটা হাতে নিতে নিতে ওর হাতের দিকে তাকালাম । সেখানে টাটকা মেহেদী দেওয়া । কাল রাতে কিংবা আজ সকালে দেওয়া হয়েছে । বইটা নিতে নিতে ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম আবারও । আরিশাও লক্ষ্য করলো যে আমি ওর হাতের মেহেদীর দিকে তাকিয়েছি । আমার মনে কেন জানি ক্ষীন একটা সন্দেহ জাগলো এই ভেবে যে আরিশা আমার জন্যই এই মেহেদী দিয়েছে !
নাহ, এটা ভাবা বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে । নিজের মনকে সামাল দিলাম ।
বইটা দিয়ে আরিশা নিজের সিটের দিকে যেতেই আমি লক্ষ্য করলাম ক্লাসের সবাই মোটামুটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে । অবশ্য তাকিয়ে থাকারই কথা । আরিশা আমাকে বই দিয়েছে, গল্পের বই এটা তো সজিব রাফি, আবীর কিংবা হিমেল কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না । মেনে নিতে পারবেই বা কিভাবে !
আমি মনে মনে হাসি । আর আমাদের সরকারকে ধন্যবাদ দেই । যদি সরকার ফেসবুক বন্ধ না করতো তাহলে হয়তো আজকে আরিশা আমাকে আজকে এই বই দিতোই না । আমার সাথে হয়তো আজকে ওর এই কথাও হত না । আমিও হয়তো ওর মনযোগ আকর্ষন করতেও সক্ষম হতাম না ।
ঘটনা খুব বেশি জটিল না । আরিশা যেমন ক্লাসে জনপ্রিয় ঠিক তেমনি ফেসবুকেও জনপ্রিয় । আরও ভাল করে বলতে গেলে ফেসবুকে ও যেন আরও বেশি জনপ্রিয় । হাজার হাজার ফলোয়ার । একেক টা পোস্ট কিংবা ছবি দেওয়ার সাথে সাথে শয়ে শয়ে লাইক আর কমেন্ট এসে হাজির । তবে কমেন্ট অপশন সবার জন্য খোলা নয় । আমি ওর ক্লাসমেট হওয়ার সুবাধে সেই লিস্টে আমার ঠিক ঠিক জায়গা হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু এতো এতো মানুষের ভীড়ে আমাকে ঠিক যেন চিনতেই পারতো না । আমিও ঠিক কমেন্ট দিতাম না ।
কিন্তু সরকার যখনই ফেসবুক বন্ধ করে দিল তখনই ঝামেলা বেঁধে গেল । আম-পাবলিক এখনও ঠিক ভিপিএন কিংবা প্রোক্সি জিনিসটার সাথে খুব একটা অভ্যস্ত নয় তাই আশংকাজনক ভাবে লাইক আর কমেন্টের সংখ্যা কমে গেল । আমার কেন জানি মনে হল এইতো সুযোগ । আমি ওর পোস্টে ঠিক ঠিক কমেন্ট করতে লাগলাম । একদিনেই বেশ কিছু কমেন্ট করলাম । জানতাম এটা ওর ঠিক ঠিক নজরে পড়বে । তার উপরে লোকজন কম থাকায় আমার নিজের পোস্টও ওর নজের আসবে এটাও জানতাম । পুরানো কিছু পোস্ট আবার হাজির করলাম । কিছু সময় লক্ষ্য করলাম যে আরিশা আমার পোস্ট লাইক দিতেছে । এর মানে আমার ওয়ালে এসে গিয়েছে সে ।
ঐদিন রাতেই ও আমাকে নক দিলো ।
-তুমি বেশ মজার কমেন্ট কর !
-তাই ?
-হুম ! এর আগে কোন দিন আমার পোস্টে তোমাকে কমেন্ট করতে দেখি নি তো
-আসলে এতো মানুষের ভীড়ে আমার কমেন্ট হয়তো দেখতেই না ।
-এটা মোটেই ঠিক না ।
-এটাই ঠিক ! আর সুন্দরী মেয়েরা আমার মত ছেলেদের কমেন্ট দেখে না ।
-তাই বুঝি ?
এভাবেই কথা শুরু হয়ে গেল । এক সময় লক্ষ্য করলাম আমাদের কথা বলতে বলতে প্রায় রাত তিনটা বেজে গেছে । যখন সময়টা বললাম ওকে ও নিজেও খানিকটা অবাক হল । আসলে কথা বলতে গিয়ে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যে আমাদের কথার টপিক, আগ্রহের বিষয় অনেকটাই মিল খায় ! তাই কথার পিঠে কথা বলতে খুব একটা সমস্যা হয় নি ।
পরদিন ক্যাম্পাসে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকবার চোখাচোখী হল । তবে কথা হল না । সেই দিনই শুনতে পেলাম প্রক্সি দিয়ে ফেসবুক চালাতে গিয়ে নাকি আমাদের ক্লাসের কয়েক জনের আইডি লক হয়ে গেছে । মনে মনে আরও কদিন আরিশাকে একা পাওয়া যাবে জেনে নিশ্চিন্ত হলাম ।
এর পরপর দুই দিন আমাদের মাঝে আবারও কথা হল অনেক । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । এমন কোন কথা নেই যে আমরা বললাম না । পিসির কিবোর্ডে একটার পর একটা লাইন টাইপ করেই গেলাম ও নিজেও ঠিক সেটার জবার দিয়ে গেল । আবার ও আমাকে কত কিছু জিজ্ঞেস করলো আমি সেগুলোর জবাব দিয়ে গেলাম । আরও কত কথা । আমার কেন জানি মনে হচ্ছিলো ও কারো সাথে কথা বলার জন্য মরে যাচ্ছিলো । আমাকে পেয়ে সেটা পুরন করলো !
কথায় জানতে পারলাম ফেসবুকটা চালু থাকলে এতো সময় ওর ইনবক্সে কয়েক ডজন ডজন মেসেজ এসে হাজির হয়ে যেত । আমি বললাম
-সব গুলোর জবাব কেন দেও ?
ও একটা রাগের ইমো দিয়ে বলল
-আর বল বা না এমন সব মানুষ যে মেসেজ পাঠায় যে জবাব না দিয়ে পারিও না । আমাদের সিনিয়র ভাইয়ের কয়েকজন মেসেজ দেয় । জবাব না দিয়ে পারি না । তার উপর একজন স্যারও আমাকে মেসেজ দেয় !
আমি অবাক হওয়ার ইমো দিয়ে বললাম
-কে দেয় ?
-গেস কর !
-আমীর স্যার ?
ও জবাব না দিয়ে কেবল রাগের ইমো দিল । আমাদের ডিপার্টমেন্টের আমীর স্যারের চরিত্র নিয়ে সবারই জানা আছে ।
আরিশা বলল
-এই যে এখন তোমার সাথে একেবারে একা একা কথা বলছি কত ভাল লাগছে ।
আমি মনে মনে খুশি হই । ভিপিএন দিয়ে কত কথাই না বললাম । এভাবে দিন ভালই কাটতে লাগলো । দুই সপ্তাহ পার হয়ে এল এভাবে ।
অবশ্য ফেসবুক বন্ধ হয়ে আরেকটা ব্যাপার হয়েছে এই কদিনে । ফেসবুকের প্রতি যে আকর্ষন ছিল সেটা অনেকটাই কমে এল । আগে যে মিনিটে মিনিটে ফেসবুকটা চেক না করলে ভাল লাগতো সেটা চলে গেল একেবারে । আরিশার সাথেও বেশ খাতির হয়ে গেল । এবার আরিশা সাথে সত্যি সত্যি কথা বলা শুরু করলাম । এমন কি কদিন পরে ওর সাথে ক্যাম্পাসের বাইরেও দেখা করলাম । ততদিনে অবশ্য আমাদের ক্লাসের কয়েকজন ফেসবুকে ঢুকে পড়েছে । আমরা এক সাথের ছবি যে বাইরে দিলাম সেটা ক্লাসের মোটামুটি সবাই জেনে গেল । সবাই কি রকম ঈর্শার চোখে আমার দিকে তাকাতে লাগলো । এমন একটা ভাব করলো যেন আমার মত শত্রু আর কেউ নেই ।
আমি যতদির জানতাম রাফি আর সজিব আরিশাকে খুব পছন্দ করতো । যদিও আরিশা ওদের খুব একটা পাত্তা দিতো না তবে দুজনের ভেতরেই অনলাইনে আরিশাকে ইম্প্রেস করার একটা চেষ্টা চলতো । আসলে ওদের মাঝে ক্লাস রুমে কথাও হত গত দিনের ফেসবুকে কি করলো না করলো সে কোথায় লাইক দিলো এসব নিয়েই । আমি দেখতাম আরিশাও এসব আড্ডায় যোগ দিত । এখন যেহেতু সেই ফেসবুক আর নেই তাই নেই সেই টপিকও । তাই এই ক্লাস রুমেও ওরা আরিশার কাছে ঠিক পাত্তা পেত না ! এদিকে ভিপিএনের যুগে আমি বাজি মেরে নেওয়ায় ওদের সব কিছু মাঠে মারা গেল । তাই আমি হয়ে গেলাম ওদের জাত শত্রু !
আমি ভেবেছিলাম ফেসবুক টা আরও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে । এই সরকারের আমলে আসলে বাস্তবে কোন প্রতিবাদ করার পরিস্থিতি কারো কিংবা কোন দলের নেই । সরকারকে নিয়ে যা কথা এই ফেসবুকেই হয় বেশি । এটা বন্ধ করতে পারলেই সরকার সেই আবার হীরক রাজার দেখে চলে যাবে । তাই আমার কেন জানি মনে হল এবার হয়তো ফেসবুক টা আর চালুই হবে না । আমিও অবশ্য সেটাই চাচ্ছিলাম । অন্তত মাস দুয়েক না হোক । এর ভেতরে আমি আরিশা কে ঠিক ঠিক প্রোপোজ করে ফেলবো ! কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে ফেসবুক টা ২২ দিনের মাথায় চালু হয়ে গেল । আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলাম আরিশার পোস্টে আবারও সেই মানুষ জনের আনাগোনা শুরু হয়ে গেল ।
ওকে ম্যাসেজ দিলাম ফেসবুকে । ভেবেছিলাম সাথে সাথেই জবাব আসবে । কিন্তু এল না । এমন কি ঘন্টা দুয়েকের ভেতরেও কোন রিপ্লাই এল না । বুঝলাম আমি সেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছি । আমি আবারও ওর কাছে অ-গুরুত্বপূর্ন একজন হয়ে গেছি । কল দিলাম ধরলো না । জানতাম ধরবে না । ওর বাসায় সব সময় ও ফোন ধরতে পারে না ওর বাবা মায়ের জন্য, এই জন্য ও ফোনটা কাছেও রাখে না সব সময় যখন বাসায় থাকে । নিজের ল্যাপটপ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে । তবুও ফোন দিয়েছিলাম । যখন জবাব এলো না মনের দুঃখে মোবাইল বন্ধ করে বসে রইলাম, বন্ধ করলাম ফেসবুকটাও ।
দুইদিন ক্যাম্পাসেও গেলাম না । তিন দিনের দিন যখন ক্যাম্পাসে গিয়ে হাজির দেখি আরিশা ক্লাসের রাফি আর হিমেলের সাথে হেসে হেসে কি যেন কথা বলছে, ফেসবুক ফিরে এসেছে সেই সাথে এদের কথা বলার টপিকও ফিরে এসেছে । এখন আর আমাকে কি দরকার !!
আমি ক্লাস রুম ছেড়ে চলে এলাম । ক্যান্টিনের পাশেই একটা ফাকা জায়গা আছে সেখানে বসে রইলাম চুপ করে । মনে মনে নিজেকেই দোষ দিতে লাগলাম । আসলেই আমি একটু বেশিই আশা করে ফেলেছিলাম ।
কিন্তু একটু পরেই দেখলাম আরিশা আমার পাশে এসে বসলো । হাতে একটা প্লেট । সেখানে ক্যান্টিনের সিঙ্গারা রাখা । ভিপিএনের যুগে আমরা এখানে প্রায়ই বসে বসে সিঙ্গারা খেতাম ।
-রাগ করেছো ?
-আমি ? নাহ ! রাগ করবো কেন ?
-তাহলে ফোন বন্ধ কেন ?
-নষ্ট হয়ে গেছে ।
-কবে হল ? আমাকে মেসেজ পাঠানোর পরেই ?
আমি কথার জবাব না দিয়ে চুপকরে রইলাম । আরিশা আমার মুখ টা স্পর্শ করে ওর দিকে মুখোমুখি করলো । তারপর বলল
-ঐকথা কেন লিখছো ?
-লিখবো না ? আমি তো এখন তোমার কাছে অগুরুত্বপূর্ন !
-তাই ?
-হ্যা ! তাই সত্যি !
-তুমি কি জানো ফেসবুক চালু হওয়ার পর আমার ইনবক্সে কত গুলো মেসেজ এসে হাজির হয়েছে ? দুইশয়ের উপরে । এখন তুমি আমাকে বল এতো মেসেজের ভেতরে তোমার খুজে পেতে কি আমার সময় লাগবে না ? আর উনি কি করলেন ? রিপ্লাই দিতে দেরি দেখে সব কিছু বন্ধ করে বসে রইলো । এতো অবুঝ হলে চলে ?
আমি তবুও চুপ করে রইলাম ! আরিশা বলল
-এতো বোকা কেন তুমি ?
-জানি না ! যখনই দেখলাম তুমি মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছো না তখন .....
-তা আমার মোবাইলে কল করতে পারো নি ?
-করেছিলাম ?
-কয়বার শুনি ? মাত্র একবার ? তুমি জানতে আমি তখন কোথায় ছিলাম, জানতে না ?
-হুম
-একটু দেরি হতে পারে না ?
আমি জবাব না দিয়ে বসে রইলাম চুপ করে । তারপর বললাম
-ঐ ভিপিএনের ঐদিন গুলোতে মেসেজ পাঠানোর সাথে সাথে রিপ্লাই পেয়ে এমন একটা অভ্যাস হয়েছে যে একটু দেরি হলে ভাল লাগে না । মনে মনে হয় যে......
-কি মনে হয় ? আমি হারিয়ে যাচ্ছি ? তুমি এই কদিনে বুঝতে পারো নি যে আমি হারিয়ে যাওয়ার জন্য আসি নি !
আমি তবুও চুপ করে রইলাম ! আরিশা আবার বলল
-তোমার সাথে এই কদিন আমি এতো কথা বলেছি কিন্তু তবুও যেন আমার কথা শেষ হয় নি । একটার পর একটা চলেই এসেছে । মনে হয়েছে তুমি একদম আমার মত একজন ! বুঝেছো ? আর ঐদিন আমি তোমার জনউ হাতে মেহেদী দিয়ে এসেছিলাম । তুমি এটা দেখে যখন খুশি হলে আমিও খুব খুশি হয়েছি জানো !
তারপর আবারও আরিশা চুপ করলো কিছু সময় । আবার বলল
-আর উনি খুব কাজের কাজ করেছে ! এখন আবার রাগ করা হচ্ছে । ফেসবুক অন কর ! কর বলছি !
ওর কথা মতই ওর সামনেই ফোন অন করে ফেসবুকটা অন করলাম । বেশ কিছু নোটিফিকেশন এল । দেখলাম ও নিজেও কি যেন করছে । সব নোটিফিকেশন চেক করার পরে সবার শেষে একটা নোটিফিকেশন এসে হাজির !
প্রথমে মনে হল আমি যেন ভুল দেখছি । সাথে সাথেই আরিশার দিকে তাকালাম । ও মিটমিট করে হাসছে । আরিশা আমাকে ইন এ রিলেশনশীপের রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে !
-কই ! এলাউ কর !
-সত্যি !
-হুম !
এই বলে আরিশা আমার গালে ছোট্ট করে একটা চুম খেল । তারপর কানে কানে বলল
-এটা কেবল ডেমো হল । পরে ফুল ভার্শন পাবা !
আমার তখনই ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না । আমি সেটা এলাউ করে টাইম লাইনে দিয়ে দিলাম ! আর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম । ভিপিএনের দিন গুলো তাহলে বৃথা গেল না । সরকারকে আরেকবার ধন্যবাদ দিতে মন চাইলো । মনে মনে ঠিক করলাম সামনের বার ভোট এই সরকারকেই দেব !
ঠিক তখনই আমাদের ক্লাস থেকে হইচইয়ের আওয়াজ পেলাম । দুজনে ক্লাসে গিয়ে শুনি রাফি নাকি জ্ঞান হারিয়ে পরে গেছে । কেন পরে গেছে সেটা বুঝতে আমার কিংবা আরিশার কারোই দেরি হল না । দুজনের হাসি আটকে রাখতে বেশ বেগ পেতে হল । আমাদের ক্লাসের একজন অজ্ঞান হয়ে গেছে এই সময়ে হাসা মোটেই ঠিক হবে না !
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২