কথা ছিল সজিব আর লিপির পরীক্ষা শেষে আমরা টিএসসিতে দেখা করবো । অনেক দিন এক সাথে দেখা সাক্ষাত হয় না, তার উপর সজিবের অফিসের ছুটিও থাকে না সব সময় । সময় ভালই কাটবে মনে হল যদিও নিজের প্রিয় ঘুমকে বিষর্জন দিতে হবে সেই জন্য । সব কিছুই ভালই চলছিল কিন্তু যখন সজিব বলল যে আজকে বলাকাতে মুভি দেখবে আমাদের সাথে তখনও ঠিক বুঝতে পারি নি কোন জিনিসের ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছি, আর কি মুভিই না দেখতে যাচ্ছি ! মুভি দেখা শুরুর পর থেকেই যা যা আশা করেছিলাম সব কিছু কেমন ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয়ে গেল !
আচ্ছা যা হওয়ার হয়ে গেছে । সেই সব কথা আমরা না হয় নাই বলি । শুরু করি আরেকবার হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখার একটা অভিজ্ঞতার কথা । মিম আমার পছন্দের একজন অভিনেত্রী হওয়ায় তার ফেসবুক প্রোফাইলের দিকে আমার চোখ সব সময় থাকে । আসলে দুনিয়ার তামাম সুন্দরীর প্রোফাইলই আমার ফলোয়িং লিস্টে আছে ।
সেখান থেকেই মোটামুটি ব্ল্যাক সিনেমার টার কথা জানতে পারি । আমার প্রথমে মনে হয়েছিল যে যেহেতু কোলকাতার বানিজ্যিক মালাসা মুভি তাই নিশ্চয়ই কোন সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির রেপ্লিকা হবে । অন্তত আমি যতগুলো এই টাইপের মুভি দেখেছি তার সব গুলোতে তেমনই হয়েছে । সেই প্রস্তুতি নিয়েই হলে প্রবেশ করেছিলাম । কিন্তু পরিচালর সাহেব সম্ভবত বাংলা সিনেমার অতি ভক্ত । কিংবা বাংলাদেশ ভারত মিলে মুভিটা বানাচ্ছে এর অর্থ ভদ্রলোক সম্ভবত ঠিক মত বুঝতে পারে নি । পরিচালনা টেকনিশিয়ান আর কাস্টিং ক্রুতে দুই দেশের মানুষের সমন্বয়ের সাথে সাথে কাহিনীও দুই দেশের একটা ছোঁয়া থাকবে, এটাই ভেবেছিলাম । তবে আগেই বলেছি যে ভদ্রলোক সম্ভবত বাংলা সিনেমার খুব বেশি ভক্ত । তাই কাহিনী দেখে আমার কেবলই মনে হয়েছে যে আমি সেই ছোটবেলার কোন বাংলা সিনেমাই দেখছি বিটিভিতে । কেবল বড় পর্দা আর অধিক শব্দওয়ালার সাউন্ড সিস্টেমের সাথে । মুভি ট্রেইলার টা দেখে তো ভালই মনে হয়েছিল ! এই জন্য গুরু বলেছেন এভ্রি থিংক সিমস টু বি নরমাল আনলেস ইউ গেট টু নো দেম !
কাহিনী শুরুই হয় একটা জনসভা দিয়ে । সেখানে বিপ্লবী নেতা এলাকার সন্ত্রাসীর রিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিবাদী করার চেষ্টা করে । কিন্তু বিপ্লবী নেতার কপাল খারাপ । সেই দাড়িওয়ালা সন্ত্রাসী বাদশা স্বয়ং, যে কিনা আরও বড় ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসী সম্রাট সরকারের ছোট ভাই, সেখানে হাজির হয়ে যায় । চাপাতির কোপে নেতা শেষ । চাপাতি দিয়ে মানুষ কুপিয়েছে এর মানে এই ভেবে বসবেন না যে ব্যাটা নিশ্চয়ই আবার জঙ্গী । যাই হোক এই দাড়িওয়ালার কপালও আবার খারাপ ! এক মহিলা সাংবাদিক সেটা দেখে ফেলে এবং খুন করাটা ভিডিও করে করে পালিয়ে যায় । কিন্তু তার মানে এই ভাববেন না যে এই মহিলা সাংবাদিকের কপালা খুব ভাল । এর কপালও খারাপ । সেই দারিওয়ালা সন্ত্রসী যার নাম বাদশা তাকে ধরে ফেলে । তারপর তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এমএমএস বানিয়ে ছেড়ে দেয় ! আসলেই মেয়েটার কপাল খারাপ !
মেয়েটা ছাড়া পেয়ে এরপর চলে যায় এলাকায় আরেক ডনের কাছে । টাকা নিয়ে বেটা শায়েস্তা করবে । এই বাদশা নামের বদমাইশকে মারার জন্য টাকা দেয় সেই ডন কে ।
এখানেই নায়কের এন্ট্রি ! বাইক যদিও রাস্তায় চলে, নায়ক বুলেট সেটা হওয়ায় চালিয়ে হাজির হয়ে সেই কপাল খারাপ দাড়িওয়ালার ভিলেন বদশায় আড্ডায় । সেখানে তারা ইংরেজি গানের নাচানাচি করছিল কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি ! নায়ক সেখানে গিয়ে সেই লেভেলের প্যাঁদানি দিয়ে হাসপাতালে পাঠায় ।
ব্যস কাহিনী শুরু ।
নায়ক মেরেছে ছোট ভিলেনকে যে কি না বড় ভিলেন সম্রাট সরকারের ছোট ভাই । বড় ভিলেন এবার তো প্রতিশোধ নিবেই ।
যাক এবার কাহিনী অন্য দিনে নেওয়া যাক । নায়িকা এবার হাজির হয় স্কুটিতে করে । শপিং করে কিন্তু বিল দিতে গিয়ে এবং কত টাকা বিল হয়েছে সেই হিসাব করার আগেই বিল পেমেন্ট হয়ে যায় ! আজিব কারবার ! বিল না হয় একজন দিয়েই দিল কিন্তু অন্তত একবার হিসাব তো করা উচিৎ যে কত টাকা খরচ হল । না খরচ করেই বিল কে দিল আর কিভাবে দিল ?
বাইরে নায়িকা টিনা দেখতে পায় যে সেই রহস্যময় বিল দাতা আর কেউ নয় নয়ক বুলেট স্বয়ং ! এমন কাজ কারবার কেবল অবশ্য নায়কের দ্বারাই সম্ভব !
সত্যি বলতে কি, পুরো সিনেমায় যদিও নায়িকা টিনা (মিম) কে কেবল মাত্রই একটা শো হিসাবে রাখা হয়েছে, তবুও এই নায়িকাকে আমার সব থেকে ভাল লেগেছে । বিশেষ করে দুইটা গান দেখেই মনে হয়েছে টাকাটা বৃথা যায় নাই । আসেন একটা গানের লিংক এইখানেই দিয়ে যাই
এই তো হলে ছবির প্রথম গান ! যাই হোক আবার কাহিনীতে ফিরে আসা যাক । আবারও সেই বড় ভিলেন সম্রাটের এক কাজে নাক গলিয়ে নায়ক বুলেট চলে যায় জেলে । নায়িকা আর নায়কের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাকে সেখানে ফিরিয়ে এনেই শুরু করে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল । কেন সে এই সব কাজ ছেড়ে দেয় না । সে তো স্বার্থপর ! নায়কেরও আর সহ্য হয় না । নায়িকাকে এক থাপ্পড় মেরে বলে সে কিছুই জানে না তার জীবন সম্পর্কে ! জানে না তার জীবনের ট্রাজেডি সম্পর্কে !
তখন নায়কের জীবনের আসলে ট্রাজেডি জানা যায় !
কি ছিলো সেই ট্রাজেডি গেস করুন তো ?
আমি নিশ্চিত যে, আপনি যে দুই দিনটা অনুমান করেছেন তার একটা মিলে যাবেই যাবে । বলেই রেখেছি বাংলা সিনেমার বিরাট ভক্ত এই পরিচাক সাহেব !
ট্রাজেডি হচ্ছে নায়কের বাবা ছিল একজন সৎ পুলিশ অফিসার । কিন্তু এই বড় ভিলেন সম্রাট সরকার আর বড় এক পুলিশ অফিসার মিলে তাকে ফাঁসিয়ে দেয় নকল টাকার মামলায় । পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় । সংবাদপত্রে ছবি ছাপা হয়, ব্যাস ! যা হবার তাই । এই লজ্জা সহ্য করতে না পেরে সে নিজের পা-জামা খুলে গলায় পেচিয়ে ঝুলে পরে সৎ পুলিশ অফিসার ইনেস্পেক্টর কল্লোল । সেই দিন থেকে নায়ক বুলেট খুজে বেড়াচ্ছে সেই বড় পুলিশকে, যে কি না সেই একই শহরের ডিআইজি হিসবা কর্মরত ছিলেন পুরোটা সময় ! যতদিন না সে নিজের বাবার হত্যার প্রতিশোধ না নিবে ততদিন নায়ক বুলেট কিছুতেই এই পথ থেকে সরে দাড়াবে না !
নায়িকা এই গল্প শুনে তো সেই আবেগী হয়ে যায় । নায়ক বুলেটকে জড়িয়ে ধরে টরে বলে বুকের কষ্ট এর পর থেকে আর তাকে একা একা বইতে হবে না ! সে সব কিছু ভাগ করে নিবে । বুঝতেই পারছেন এই আবেগী কথা বার্তার পরে একটা গান না হলে চলেই না !
শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় গান
তারপর আবার আগের কাহিনীতে ফিরে আসি ! মনে আছে নায়ক গল্পের শুরুতে বড় ভিলেনের ছোট ভাই (মুখে দাড়িওয়ালা, নাম বাদশা) কে মেরে হাত পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল । সে বিদেশ থেকে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিয়ে দেশে ফিরে আসে । এবং এবারও এসে আবারও নায়কের কাছে মাইর খেতে শুরু করে । আমার কেবল মনে হয় যে পুরো মুভির ভেতরে এই বড় ভিলেনের ছোট ভাই ছোট ভিলেনের উপস্থিতি কেবলই বুলেটের হাতে মাইর খাওয়ার জন্যই হয়েছে ।
এমন সময় সেখানে হাজির হয় সেই বড় পুলিশ !
কোন পুলিশ ?
আরে যে কি না নায়কের বাবাকে জাল টাকার মিথ্যা অপরাধে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল । যাকে মারার জন্য বুলেট সেই ছোট বেলা থেকে প্রতিজ্ঞা করে আছে, সেই বড় পুলিশ ! যাকে সে সেই ছোট বেলা থেকেই খুজে বেড়াচ্ছে সেই বড় পুলিশ ! এর আগে সে এই পুলিশকে খুজেই পায় নি অথচ সেই ভদ্রলোক কিনা সেই শহরের ডিআইজি হিসাবেই দায়িত্ব পালন করতে ততদিন । আই মীন, একটু মাথা খাটালেই কিন্তু সেটা বের করা সম্ভব ছিল । নায়ক মাথা খাটান নি কারন পরিচালক চান নি হয়তো !
যাক বাবার খুনিকে দেশে নায়কের তো মাথা খারাপ । কিভাবে তাকে হত্যা করা যায় সেই ফন্দি করতে থাকে । এবং সারা শহরে বোমা সেট করার ভয় দেখিয়ে ডিআইজিকে নির্জন রাস্তায় নিয়ে এসে হাজির হয় । তারপর যা হওয়ার তাই । নায়কের হাতে মারা পড়ে পুলিশ । তার আগে সব কিছু স্বীকারোক্তি নিয়ে একটা কাগজে !
স্মার্ট পুলা ! তার স্মার্ট ফোন দিয়ে একটা ফটোও তুলে নেয় !
কাহিনী হয়তো এখানেই শেষ । কিন্তু না, নতুন আইজি এসে হাজির হয় । বুলেটকে ধরার জন্য নিয়োগ করে বুলেট প্রুফ পুলিশ অফিসারকে ! এই বুলেট প্রুফ অফিসারের পেছনেও আবার বিশাল কাহিনী আছে । যাক ইনি আবার বাংলা মদ খেতে খুব পছন্দ করেন । ১২ বছর সাসপেন্ডেড ছিলেন ! নিচের এই গানেই তার এন্ট্রি হয় ! ময়না ছলাৎ ছলাৎ করে আজ কাছে এসেছে
এবার নায়িকার দিকে একটু লক্ষ্য দেওয়া যাক । নায়িকা এবার চাকরীর ইন্টার ভিউ দিতে যাবে । এগেইন গেস হোয়াস ? কার কোম্পানীতে ?
ঠিক ধরেছেন । সেই বড় ভিলেন সম্রাটের অফিসে । চাকরী হয়েও যায় তার । হওয়ার কথা । চাকরীর প্রথম দিনেই ৬ টায় জায়গায় তাকে ৮ পর্যন্ত থাকতে বলা হয় । এদিকে বুলেট প্রুফ অফিসার বুলেট কে ধরার জন্য উঠে পড়ে লাগে । বুলেট গা ঢাকা দেয় ! যেখানে গা ঢাকা দেয় সেখানে থেকেই দেখতে পারে তার গার্লফ্রেন্ড আই মিন নায়িকাকে টিনার সাথে সেই বড় ভিলেনের ছোট ভাই কিছু করার চেষ্টা করছে । ব্যস আর যায় কোথায় । পাশেই দড়ি পরে ছিল (কে রেখেছিল সেটা বড় প্রশ্ন নয়), সেই দড়ি নিয়ে লাফ দিয়ে অফিসের কাঁচ ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে আবারও সেই ছোট ভিলেন বাদশাকে সেই মাইর দেয় । সাথে বড় ভিলেনকেও দু চার ঘা লাগিয়ে দেয় !
পুলিশের উপর চাপ আসতে থাকে । ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয় বুলেট প্রুফ অফিসারকে বুলেট কে ধরার জন্য । এদিকে বড় ভিলেন থানার ওসিকে ঘুষ দিয়ে কিনে ফেলে । বলে যে যখন বুলেট প্রুফ অফিসার বুলেটকে আটক করে থানায় রাখবে তখন সেই রাতেই তাকে মেরে ফেলতে হবে । এতে করে বুলেট প্রুফ অফিসার ফেঁসে যাবে । কিন্তু এই বড় ভিলেনের সাথে আবার বুলেট প্রুফ অফিসারের কি ঝামেলা যে তাকেও ফাসাতে চায় !
কাহিনীতো আছে । এই ফাঁসানোর খবর চলে যায় আবার সেই লোকাল ডনের হাত ধরে মিমের কাছে । কারন ততক্ষনে বুলেট বাড়ি ছাড়া । নায়িকা টিনা ঠিক করে যে তিনি বুলেট প্রুফ অফিসারকে বোঝাবে । সেখানে গিয়েই আসল রহস্য প্রকাশ পায় । আসলে ১২ বছর আগে তিনি কাউকে হত্যা করে সাসপেন্ডেড হন নি । তিনি এক অস্ত্রের চোরাচালানী ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়েছিলেন মারার জন্য । সেই তিন নাম্বার ভিলেন নিজের এক লোককে আগুনে পুড়িয়ে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখে সাথে নিজের ঘড়ি, চেইন, বালা পরিয়ে দেয় । সবাই মনে করে বুলেট প্রুফ অফিসারই নিশ্চয়ই সেই চোরাচালানী অর্থাৎ তিন নাম্বার ভিলেন কে মেরেছে । এবং এই তিন নাম্বারই ভিলেনই ঐ পুলিশের বউ এবং মেয়েকে মেরে ফেলে বাসায় গিয়ে ।
এই তিন নাম্বার ভিলেন আর কেউ নয়, সে এক নাম্বার বড় ভিলেন সম্রাট সরকারের শালা । ব্যস । বুলেট প্রুফ পুলিশ গলে যায় । এবার নায়কের সাথে হাত মিলিয়ে মেরে ফেলে তিন নাম্বার ভিলেনকে !
নায়ক খুশি, নায়িকাও খুশি ! নায়ক তার প্রতিশোধ নিয়েছে পুলিশও নিয়েছে । কিন্তু সেই বুলেট প্রুফ অফিসার জানায় যে কেবল ঐ বড় পুলিশই ছিল না নায়কের বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী । বড় ভিলেন সম্রাট সরকার ছিল সব নাটের গুরু !
এবার তো প্রতিশোধ নিতে হবেই । কিন্তু তার আগে আরেকটা গান হয়ে যাক
এবার নায়কের বিয়ের আসরে মাইর খাওয়ার জন্য নিজেই হাজির হয় বড় ভিলেন সম্রাট সরকার এবং তার ছোট ভাই বাদশা ! এবং আগেই বলেই এই বাদশাকে ছবিতে নেওয়াই হয়েছে বুলেটের হাতে মাইর খাওয়ার জন্য । যথারীতি মাইর ধোর খেয়ে মারা পরে সবাই !
এই হচ্ছে পুরো ব্ল্যাক মুভির কাহিনী !
তবে আগেই বলেছি শো টাইপ চরিত্র হলেও এই মুভিতে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ছিল এই মিমই । মিমের পোষাক আষাক অভিনয় যুৎসই ছিল বেশ তবে সোহমের পোষাক দেখে বারবার মনে হয়েছে যে পরিচালক সম্ভবত মিমের পোষাক কিনতে গিয়েই সব টাকা খচর করে ফেলেছে তাই সোহমের জন্য কিছু কিনতে পারে নাই ! বড় ভিলেন সম্রাট সরকার ওরফে রনিদাকে নেগেটিভ চরিত্রটাতে মানিয়েছিল বেশ । অন্য কাউকে ঠিক যুত সই মনে হয় নাই ! কিছু কিছু ডায়ালগ ভাল ছিল । ছুড়ছুড়ি দিয়ে হাসানোর চেষ্টাটা আমার কাছে বৃথাই মনে হয়েছে কেবল !
অনেক দিন আগে স্যার অনন্ত জললীলের মুভি দেখতে গিয়েছিলাম । তখনই কানে ধরেছিলাম আর ও মুখো হব না । ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যদিও যায় এই ক্ষেত্রে আমি আবারও গিয়ে হাজির হয়েছি ! আর না !
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭