somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফানপোস্টঃ ব্লগাদের নিকের পেছনের আসল রহস্য ;) (দ্বিতীয় পর্ব)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমাদের সামুতে অনেকেই নিজের আসল নামে না লিখে অন্য নামে লিখে ! ঠিক কি কারনে কিংবা কিসের উপর ভিত্তি করে তারা তাদের সেই নামটি নির্বাচন করে তা আজও রহস্যই রয়ে গেছে ! বেশ কয়েকদিন আগেএরকরম কয়েকটা রহস্য বের করেছিলাম । যারা যারা পড়েন নাই, এখানে গুতা দিলেই জেনে যাবেন সেই রহস্য ! ঠিক সেই রকম আরও কিছু অজানা রহস্য নিয়ে আজকের পোস্ট ! সেই সকল নিক ধারনের পেছনে লুকিয়ে আছে কি করুন ইতিহাস ! আসুন আজ দেখে নিই নিকের পেছনের তেমন কিছু হাহাকার সমৃদ্ধ ইতিহাস !




০১
দুর দেশে বসবাস করতো এক পরী ! তার সেই পরী রাজ্যের ছোট সবাইকে সে খুব আদর করতো ! সেই রাজ্যের সবাই তাকে পছন্দ করতো । ছোট বাচ্চাদের অবিবাহিত আঙ্কেলরা একটু আধটু লাইনও মারার চেষ্টা করতো ! এভাবেই হেসে খেলে সবাই সাথে গল্প করে তার দিন চলে যেত । তারপর একদিন সেই পরীটার মনে হল নতুন করা দরকার । নতুন ভাবে নতুন দেশের মানুষের সাথে মেশা দরকার । যেই ভাবা সেই কাজ ! সে বেরিয়ে পড়লো । দেশে দেশে আপন মনে ঘুরতে লাগলো আর নিজের ভালবাসার ঝুলি থেকে বের করতে লাগলো নানান জাদুর খেলা ! এভাবেই সেই পরী সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো । কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়ালো যে একই সাথে সব জায়গায় থাকতে পারতো না । এক দেশে থাকার সময় তার অন্য দেশের প্রিয় মানুষের কথা তার মনে পড়তো । তখন তার মন খারাপ হত । কিভাবে সবার পাশে পাশে থাকা যায় সেই বুদ্ধি বের করতে লাগলো । তখন সেই পরীটা ব্লগে একটা একাউন্ট খুলে ফেলল । এর থেকে সহজ উপায় আর জানা ছিল না তার সেই পরীটাই এখন সামুতে ব্লগ লিখে অপ্‌সরা নামে !


০২
ছেলেটি কোকোলা চকলেট জেমস খেতে খুব পছন্দ করতো । সারাদিন মুখের এই জেমস চকলেট থাকতোই । তার আব্বা যদি একদিন এই চকলেট না আনতো তাহলে কেঁদে কেটে অস্থির হয়ে যেত । একদিন তার আব্বা অনেক বাজারের সাথে প্যাকেটে করে জেমস চকলেট আনলো । দোকানী সবকিছুর সাথে চকলেট টা ভাল করে বেঁধে দিল । এখন বাসায় এসে ছেলেটির বাবা প্যাকেট রেখেই গোসলে ঢুকে পড়ল । এদিকে ছেলেটি কিছুতেই অন্যান্য জিনিস পত্রের সাথে বাঁধা জেমস চকলেটের প্যাকেট টা আর খুলতে পারে না । কত চেষ্টা করল কিন্তু পারলো না । তার পছন্দের জেমস চকলেট বাঁধা (বন্ড) ছিল এই মনের দুঃখে ছেলেটি সামু ব্লগে একাউন্ট খুলল "জেমস বন্ড" নামে ।



০৩
সে কবিতা আবৃতি খুব পছন্দ করতো । বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন কবিতা মুখস্ত করতো আর কবিতা আবৃতি করতো । একবার তার গুরু মশাই তাকে কবি নজরুলের "বিদ্রোহী" কবিতাটা মুখস্ত করতে দিল ! তারপর বলল ভাল করে মুখস্ত করতে । সামনে আবৃতি অনুষ্ঠানে তাকে এটা আবৃতি করতে হবে । সে লেগে গেল আপন মনে মুখস্ত করার জন্য । সেই সাথে চলল আবৃতি চর্চা ! দেখতে দেখতে চলে এল অনুষ্ঠান । সে শুরু করলো আবৃতি ।

বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
.....

বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি .....।
আমি আমি.....


সে আটকে গেল ! আর কিছুতেই মনে করতে পারলো ঠিক এর পরেই কোন শব্দ টা আছে ।

স্টেজ থেকে নেমে গেল । পুরষ্কার হাত ছাড়া হয়ে গেল । বাসায় এসে দেখলো সেই পরের শব্দ টা কি । শব্দটা ছিল "আমি বিদ্রোহী ভৃগু"
আর কোন দিন যাতে সে এই শব্দ দুটো না ভোলে তাই সে সামুতে নিজের নিক খুলল "বিদ্রোহী ভৃগু" নামে !


০৪
ছেলেটি এবং তার বন্ধুটি তাদের ক্লাসের একটা মেয়েকে খুব পছন্দ করতো । তাদের ভিতর কথা ছিল যে, মেয়েটি যাকে পছন্দ করবে ওপর জন খুশি খুশি মনে সেইটা মেনে নিবে । দুজনেই লাজুক প্রকৃতির ছিল তাই মেয়েটিকে কিছু বলতে পারতো না । তবে মেয়ে জানতো যে দুজনই তাকে পছন্দ করে । এভাবে দিন যায়, মাস যায়, এমন কি বছর চলে যায় কিন্তু কেউ আর কিছু বলতে পারে না !
এই দিকে ছেলেটি কলেজের পড়ার পাঠ চুকিয়ে বুয়েটে চাণ্স পেয়ে গেল । একদিনের কথা । ছেলেটি বুয়েটে পড়তে চলে যাওয়ার আগের দিন । মাঠে বসে আছে চুপচাপ । এমন সময় সেই মেয়েটি এসে হাজির । মেয়েটির হাতে একটা খাতা আর কলম ।
মেয়েটি ছেলেটির সামনে বসে বলল
-এই বলতো "আমরা" কে ভাঙ্গলে কি হয় ? এই খাতায় লিখো তো ।
ছেলেটি বাংলা গ্রামার ভাল পারতো !
ছেলেটি খাতায় লিখলো
"আমি তুমি সে"
মেয়েটি তখন ছেলেটির হাত থেকে কলম টা নিয়ে নিয়ে "সে" টা কেটে দিল ! তারপর একটু লাজুক হাসি দিয়ে বলল
-"আমি" "তুমি" মিলে "আমরা" হতে চাই । "সে" বাদ ! ঠিক আছে ?
ছেলেতো মহা খুশি ! "সে" বাদ মানে তার বন্ধুকে মেয়েটিকে পছন্দ করে নি । তাকে পছন্দ করেছে ।
বুয়েটে তার দিন ভালই কাটতে লাগলো ! পড়ালেখা আর মেয়েটি । একদিন ছেলেটি বুয়েট নিয়ে একটা লেখার লিংক ধরে সামু ব্লগের খোজ পেল ! কিছু ব্লগ পড়েই মনে হল এখানে একটা নিক খুলে ফেলা যায় ! কিন্তু কি নাম দিবে প্রথমে খুজে পেল না ! ঠিক তখনই মেয়েটার ফোন এসে হাজির !
সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটির মাথায় নামটি চলে এল "আমি তুমি আমরা"


০৫
আপন মনেই খেয়ালী ছেলেটা । আর ছিল খুব লাজুক ! মনে মনে ক্লাসের শতাব্দী রায় নামের একটা মেয়েকে খুব পছন্দ করতো । কিন্তু কিছুতেই বলতে পারতো না । খুব লজ্জা পেত । এদিকে তার কথা না ভেবে সে কিছুতেই শান্তি পেত না । পাছে লোকজন জেনে ফেলে সমস্যা করে তাই সেই মেয়েটির নাম কিঞ্চিত বদলে সে রাখলো "শতদ্রু" নিজের মনেই শতদ্রুকে নিয়ে কত কথা বলতো কবিতা লিখতো ! গল্প লিখতো । সবাইকে সেটা পড়িয়ে শুনাতো ! কেউ বুঝতে পারতো না ! সবাই মনে করতো শতদ্রু মানে হবে হয়তো কোন কিছু । কিন্তু সেই মেয়েটি ঠিকই বুঝতে পারতো । মেয়েটিও কিছু বলতো না !
একদিন তার বন্ধুরা তাকে চেপে ধরলো । আজ তাকে বলতেই হবে কি এই শতদ্রু আর কে এই শতদ্রু ! ছেলেটি কিছুতেই বলবে না ! তার বন্ধুরা তাকে ছাড়বেও না, না বলা পর্যন্ত । তখনই ছেলেটির চোখ গেল মেয়েটির দিকে । মেয়েটি তাকে হাতের ইশারায় কিছু একটা বলতে বলছে । প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে বুঝলো সে মেয়েটি তাকে নদী বলার চেষ্টা করছে তখনই ছেলেটি বলল আচ্ছা বলছি এর মানে কি !
বন্ধুরা বলল কি
সে বলল
-একটি নদী !
বন্ধুরা বলল
-কি ?
সে আবার বলল
-একটি নদী !
-কি !
-শতদ্রু একটি নদী ...। আমার নিজের নদী ।
তারপর মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি মিষ্টি মিষ্টি হাসছে !

এইভাবেই জন্ম হল, শতদ্রু একটি নদী..." নামের নিকের !


০৬
ছেলেটি ডোরেমোন দেখতে খুব ভালবাসতো । সারাদিন কেবল ডোরেমোন আর ডোরেমোন ! তার ডোরেমোন দেখার জ্বালায় পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে যেত । ছেলে এতো বড় হয়ে গেল অথচ এখনও ডোরেমোন দেখে, এটা বাইরে জানাজানি হয়ে গেলে সবাই লজ্জায় পড়ে যাবে । তাই সবাই কিছু বলতো না । চুপচাপ দেখতে দিত । তবে কথা গোপন রইলো না । তার এই ডোরেমোন প্রীতির জন্য লোকে তাকে রিয়েল ডোরেমোন ফ্যান উপাধীতে ভূষিত করলো ।
কিন্তু একদিন ছেলেটা পড়ালেখা করার জন্য ফ্রান্সে চলে গেল । সেখানে গিয়ে তার বাংলাদেশের কথা মনে পড়তো খুব । বাংলাদেশের মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ করার জন্যই সে সামু ব্লগে একটা নিক খুলতে চাইলো । এখানে অনেক বাংলা ভাষাভাষি লোকেরা ব্লগিং করে ।
এখন কি নামে খুলবে এই নিয়ে খানিকক্ষন চিন্তা করলো সে । সে যেহেতু ডোরেমোনের ফ্যান এবং দেশে থাকতে লোকে তাকে রিয়েল ডোরেমোন ফ্যান উাপধী দিয়েছে তাই সে এই নামেই সামু ব্লগে একটা নিক খুলতে চাইলো । কিন্তু দুঃখের বিষয় বেখালে রিয়েল ডোরেমোন লিখতে গিয়ে ছেলেটি বানান ভুল করে লিখলো "রিয়েল ডেমোন" । সামুতে নাম বদলানো যায় না বিধায় সেই রিয়েল ডোরেমোনের ফ্যান ছেলেটির নাম এখনও "রিয়েল ডেমোন" ই রয়ে গেছে ।


০৭
গ্রামের মাঠে ছেলেটি প্রতিদিন খেলতে যেত । তার ছিল সব খেলার সামগ্রী ! ব্যাট, ক্রিকেট বল, ফুটবল, ভলিবল ইত্যাদি ! গ্রামে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের খেলা হত । সবাই মিলে নানান খেলা করতো । কোন দিন ফুটবল কোন কাবাডি আবার কোন দিন ক্রিকেট ! বিকেলে খেলার আগের প্রতিদিন আলোচনা হত আজকে কি খেলা হবে । সেই মোতাবেক সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসতো ! কিন্তু মাঝখানে ঝামেলা করতো ছেলেটি ! যেদিন সবাই মিলে ঠিক করতো যে বিকেলে ফুটবল খেলা হবে সেদিন ছেলে ঠিক অন্য খেলার সামগ্রী নিয়ে হাজির হত ! যেই দিন যে খেলার কথা ঠিক হত সে নিয়ে হাজির হত অন্য খেলার জিনিস পত্র । যেহেতু সব খেলার জিনিস তার নিজের ছিল তাই তাকে কিছু বলার সাহস করতো না ! এই ভাবে প্রতিদিন নির্ধারিত খেলা বদলে দেওয়ার জন্য ছেলেটির নাম হয়ে গেল "গেম চেঞ্জার"


০৮
চাঁদের বুড়ির আসলে একটা নাতি ছিল । সারা দিন বুড়ি চরকা কাটতো আর তার নাতি এদিক ওদিক খেলা ধুলা করতো ! কিন্তু বুড়ি চিন্তা করে দেখলো এভাবে করে কেবল খেলা করতে থাকলে তো তার নাতি কিছুতেই বড় হতে পারবে না, মানুষের মত মানুষ হতে পারবে না । বড় হয়ে তাকেও তার মত সুতা কাটতে হবে । তাই ঠিক করলো তার নাতিকে সে পৃথিবীতে পাঠাবে । মানুষের মত মানুষ করবে । লম্বা একটা মই বানিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিল পৃথিবী তে । সেই নাতি পৃথিবীতে এসে শুরু করলো পড়া লেখা । মন দিয়ে পড়া লেখা করতো আর সারা দিন চাঁদের দিকের তাকিয়ে দাদীকে মনে করতো । একদিন তার মনে হল কেবল পড়া লেখা করলেই হবে দেশ ও সমাজ নিয়েও ভাবতে হবে । নিজের চিন্তা ভাবনা সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে ! তাই সে ঠিক করলো ব্লগে একাউন্ট খুলবে । কিন্তু ব্লগের নাম কি দেব । তখনই তার উপরে দাদীর কথা মনে হল । তাই সে চাঁদের বুড়ি দাদীর কথা চিন্তা করে, তাকে মনে রাখার জন্য নিকের নাম দিল "ডি মুন"


০৯
একটি ছোট নদী ছিল । বাংলাদেশের খুলনায় নদী অবস্থিত । একটা ছেলে সেই নদীর পাড়ে বসে থাকতো সারা দিন । কি যেন খুজতো ! কিংবা কাকে যেন খুজতো কেউ বলতে পারে না । সারাদিন নদীতে কত ট্রলার চলতো, কত লঞ্চ চলতো । ছেলেটি সেগুলো "নির্লিপ্ত" ভাবে দেখতো ! কিন্তু কিছু বলতো না !
এভাবে দিন কেটে যাচ্ছিল । একদিন হঠাৎ ছেলেটি দেখলো একদল মেয়ে লঞ্চে করে সেই নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে । মেয়েগুলোর ভেতরে একটি মেয়েকে দেখে ছেলেটির মনের ভিতর একটু আনন্দের সঞ্চালন হল ! শুরু হল এক অচেনা তোলপাড় ! তারপর থেকে ছেলেটি সারাদিন কি এক "স্বপ্ন" এর ভিতর ডুবে থাকতো কেউ বলতে পারে না । দিন নাই রাত নাই সারা দিন কেবল স্বপ্ন দেখতো ! কেউ না জানলেও ছেলেটি জানতো যে সে কিসের স্বপ্ন দেখতো !
কিন্তু একদিন তো সব কিছু ওলট পাটল হয়ে গেল । ছেলেটি নির্লিপ্ত ভাবে নদীর পাড়ে বসে সেই মেয়েটির স্বপ্ন দেখছিল, এমন সময় ঝড় উঠলো নদীতে । ঠিক সেই গাছের নিচের বসে ছিল ছেলেটি সেই গাছের উপরই "বাজ" পড়লো হঠাৎ করেই । আরেকটু হলেই ছেলেটি মারা পড়তো । কিন্তু সেই যাত্রায় ছেলেটি বেঁচে গেল ! কিন্তু তার পছন্দের গাছটি মারা পড়লো । তারপর থেকে ছেলেটি আর কোন দিন সেই নদীর পাড়ে যায় নি !
সেই নদীটির নাম ছিল আড়িয়াল খাঁ ! আর ছেলেটির নাম ?
আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে নির্লিপ্ত ভাবে বসে বসে স্বপ্ন দেখার সময় আকাশ থেকে বাজ পড়ার কারনে সেই ছেলেটি নিজের ব্লগীয় নাম রাখলো "নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ" । এখানে উল্লেখ্য তার ফেইসবুকীও নাম আড়িয়াল খাঁ ।



১০
এলাকায় তখন খুবই ভুতের ভয় । সন্ধ্যা হলেই মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত । সন্ধ্যা হলেই সবাই দরজা জানালা বন্ধ করে বসে থাকতো ঘরের ভেতরে । কেউ বাইরে যেত না । কিন্তু একদিন একটা সমস্যা হয়ে গেল । হঠাৎ করেই এক পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে গেল । তার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কিছু ঔষধ দরকার কিন্তু সেটা ছিল শহরের অপর প্রান্তে । এই রাতের বেলা কে যাবে ?
কেউ সাহস পেল না ! বাড়িতে কান্নার রোল উঠলো । পাশের বাড়ি থেকে একজন শুনতে পেল সেই কান্না । যদিও তার নিজেরও বেশ ভয় করছিল সে বেড়িয়ে এল বাসা থেকে । সব শুনে তার সাইকেল নিয়ে সেই রাতের বেলা রওনা দিল ঔষধ নিয়ে আসার জন্য । পুরো রাস্তা সে চলল এক টানা ! তারপর ঔষধ নিয়ে আবারও ফিরে এল । বেঁচে সেই মানুষটার প্রান !

সকাল বেলা এই ঘটনা পুরো এলাকা ছড়ি গেল । তার সাহসের কাজের জন্য সবাই তাকে খুব প্রসংসা করতে লাগলো । পাড়ার মেয়েরা তার জন্য পাগল হতে শুরু করলো । যখন সে পাড়ার রাস্তা দিয়ে হেটে যেত তখনই সবাই তার নামে হেইল করতে শুরু করলো ! সেই থেকে তার নাম হয়ে গেল পাড়ার সাহসী সন্তান !


১১
এক দেশে এক রাজা ছিল । তার ছিল একটা ছেলে । সেই রাজ পুত্রের ঘোড় সাওয়ারের খুব সখ ছিল । সারা দিন সে ঘোড়ায় করে ঘুরে বেড়াতো ! এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেত । রাজ পুত্র বলে কথা । রাজ্যের সকল মেয়ে সেই রাজপুত্রের জন্য লাগল ছিল কিন্তু সেই রাজপুত্র কাউকে পাত্তা দিতো না ।
একদিন রাজপুত্র ঘোড়ার করে বনের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । হঠাৎই তার সামনে একটা মেয়ে এসে হাজির । সেই মেয়ের রূপ দেখে রাজপুত্রের তো মাথা খারাপ ! বারবার ভাবতে লাগলো এতো সুন্দর মেয়েও আছে । সে এক ভাবে তাকিয়েই রইলো । আসলেই সেই মেয়ে কোন মেয়ে ছিল না । সে ছিল বনের এক পেত্নী । সে চোখের যাদুতেই রাজপুত্রের মাথা খারাপ করিয়ে দিল । তারপর সেই রাজপুত্র বনে বনে ঘুরতে লাগলো ! কোন ভাবেই আর বনের ভেতর থেকে বের হতে পারলো না ! কোন দিক দিয়ে বের হয়ে বাড়ির দিকে সেটার কোন দিশে পেল না ! তাই তার নাম হয়ে গেল দিশেহারা রাজপুত্র



১২
ছোট বেলা থেকেই ছেলেটির খুব পড়ার সখ ছিল । ক্লাসের বই বাদ দিয়েও সে আরও অনেক ধরনের বউ পড়তো ! পাড়ার লিখিল বাবু পাঠক সঙ্ঘের সে ছিল একজন নিয়মিত পাঠক । কিন্তু কেবল তো বই পড়লেই চলবে না জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আরও অনেক কিছু করা লাগবে । কাজের সন্ধানে সে চলে গেল বিদেশ । কিন্তু তবুও সেখানে গিয়েও তার বই পড়ার অভ্যাস টা গেল না কিছুতেই । প্রবাসে বসে বই পাঠের অভ্যাস টা তার যেন আরও গাঢ় হল । সেই ছেলেটাই আজকে সামুতে পোস্ট লেখে প্রবাসী পাঠক নামে !



১৩
সেই মানুষটি আগে থাকতো গ্রামে । একদিন চলে এল ঢাকা শহরে । ঢাকাতে এসেই তার ঢাকা শহরটা খুব পছন্দ করে ফেলল । সেখানেই যেত সব জায়গায় সে ঢাকায় থাকা মানুষদের কে খুব পছন্দ করতো ! তাদেরকে আলাদা খাতির করতো ! দেশের বাইরে গেলেও চেষ্টা করতো এমন জায়গা থাকার যেখানে ঢাকায় থাকতো এমন লোকজনের আশেপাশে থাকতে । সেই মানুষটির নামই "ঢাকাবাসী"



১৪
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরণ্যক বইটা সেই রাখাল ছেলেটির খুব পছন্দের ছিল ! যেখানেই যেত সাথে করে সেই বইটি নিয়ে যেন । যখন মাঠে যেত কাজ করার জন্য তখনই বইটা তার সাথেই থাকতো ! সব সময় আরণ্যক বইটা সাথে থাকার জন্য সেই ছেলেটিকে সবাই ডাকতো আরণ্যক রাখাল


১৫
একজন ছিল খুবই সচেতন । সকল বিষয়েই তার ব্যাপক সচেতনতা । এবং সেই সচেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতো চাইতো । এভাবেই হ্যাপি বোধ করতো । তাই তো তার নাম হয়ে গেল সচেতনহ্যাপী


১৬
অনেক দিন আগের কথা । সুন্দরবনের গহীনে এক ইয়া অতিকায় স্পেশশীপ এসে থামলো ! অনেক ভিন গ্রহ থেকে কিছু প্রানী, আমরা যাকে এলিয়েন বলি, সেই এলিয়েন এসে নিচে নামলো । তাদের প্রধান লক্ষ্য এই এলাকা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে আদের প্লানেট হেড এর কাছে রিপোর্ট করা । সবাই সবার কাছে লেগে গেল । তাদের ছিল অত্যাধিনুক ট্রান্সলেটর যার সাহায্যে তারা সব কিছু সাথে কথা বলতে পারছিল ! তাছাড়া সেই ভিন গ্রহয়ের জাতির নাম ছিল স্বর্ন্ । তাদের একটা আলাদা ক্ষমতা ছিল যে তারা সামনে যা দেখতে পেত সেই জিনিসের আকৃতি ধারন করতে পারতো ! কিন্তু সমস্যা ছিল যে যদি একজন স্বর্ণ ৫ মিনিটের বেশি সেই রূপ ধরে থাকে তাহলে সে আর আসল রুপে ফিরতে পারে না ! এই ভাবে তারা বনের ভিতর যা দেখে তারই রূপ ধারন করে ফেলছিল মজা করার জন্য । এভাবে তথ্য সংখ্যা করতে করতে একজন স্বর্ণ্ চলে গেলো কাছে একটা গ্রামে । গ্রামের ভিতর গিয়েই সে অদ্ভুদ আকৃতির এক প্রানী(মানুষ) দেখলো । কিন্তু কাল বিলম্ব না করে সেই এলিয়েন মানুষের আকৃতি ধারন করে ফেলল ! তার এই নতুন রূপ সে নিজেই খুব পছন্দ করে ফেলল । কিন্তু এই রূপে তো আর সারা জীবন থাকা যাবে না তাই সে যেই অন্য রূপে বদলাতে যাবে তখন গ্রামের এক ছোট্ট শিশু কে দেখলো তার দিকে এগিয়ে আসতে । এগিয়ে এসে তার দিকে তাকিয়ে বাচ্চাটি ভ্যা করে কেঁদে দিল ! সেই স্বর্ণ্ টি ভয় পেয়ে গেল ! এখন কি করবে সে বুঝতে পারলো না ! এগিয়ে গিয়ে ছেলেটির কান্না থামানোর চেষ্টা করলো ! কান্না শুনে গ্রামের ভিতর থেকে বাচ্চার মা এগিয়ে এসে দেখে এক সুন্দরী মেয়ে তার বাচ্চার কান্না থামানোর চেষ্টা করছে । মা টি কাছে গিয়ে বলল
-আফা ! ঐ এমতেই কান্দে ! আপনে আপনের হাত নষ্ট কইরেন না !
তারপর সেই স্বর্ণ্ কে নিয়ে গেল গ্রামের ভিতরে । তারা সবাই সেই স্বর্ণ্ কে দেখে খুব খুশি ! এখানে বাইরে থেকে কোন মানুষ আসে না ! আর এই মানুষ রূপী স্বর্ণ্ এর বেশ ভুশাও অন্য রকম ! বেশ ভাল ! সেই স্বর্ণ্ও খুব খুশি এদের আতিথিয়তা দেখে ।
এদিকে ৫ মিনিটের বেশি কখন যে পার হয়ে গেছে সেই ভীন গ্রহের স্বর্ণ্ টেরই পায় নি । যখন টের পেল তখন আর কিছু করার ছিল না ! তাকে এখন সারা জীবন এই রূপেই থাকতে হবে ! সে এখনও এই পৃথিবীতে আছে । তাকে ছেড়ে তার স্পেস শীপ চলে গেছে কিন্তু সে থেকে গেছে এই পৃথিবীতে

সেই স্বর্ণ্ই এখন সামুতে ব্লগিং করে স্বর্ণা নামে ! Extraterrestrial স্বর্ণা ! এক্সট্রাটেরিস্টায়াল স্বর্ণা

(Extraterrestrial মানে হল a hypothetical or fictional being from outer space, especially an intelligent one)



নিতান্তই ফান পোস্ট এটা । এর আগেও এরকম একটা পোস্ট দিয়েছিলাম সামুতে অনেক দিন আগে । সেই সময়ে সবাই পোস্ট টা সবাই পছন্দ করেছিল । আশা করি এবারও পছন্দই করবে । আর যাদের নিয়ে লিখলাম তাদের সবাইকে কাছের মানুষ মনে করেই লিখেছি ! টারা নিয়মিত আমার পোস্ট পরে আমি নিজেও তাদের পোস্ট পড়ি । তারপরেও যদি কারো মনে হয় যে এই পোস্টে তার নাম টা রেখে আমি ঠিক করি নি সে যেন নির্ধিধায় আমাকে বলে ফেলে । আমি সাথে সাথেই পোস্ট এডিট করে ফেলবো ! ধন্যবাদ সবাই কে !



বিঃ দ্রঃ আরও কেউ নিজের নামের রহস্য জানতে আগ্রহী হলে পরবর্তি পোস্টে তার নামের রহস্যও বের করা হবে !
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
৫৭টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×