নিশির বাবা সম্ভবত প্রথমে বুঝতে পারলো না আমার কথাটা । আমার বাবার দিকেও তাকিয়ে দেখি তিনিও খানিকটা বিভ্রান্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন । কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছেন না । নিশির বাবা বলল
-কিন্তু তা কিভাবে হয় ?
আমি বললাম
-কেন নিশি আপনাকে কিছু বলে নি ? দেখুন আঙ্কেল আমি এই জিনিসটা একদম অপছন্দ করি । এটা আমার দ্বারা হবে না ।
নিশির বাবা ততক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়েছেন । প্রথমে আমার দিকে তারপর বাবার দিকে তাকালো । আমাদের দুজনের মনভাব বোঝার চেষ্টা করছে যেন । তারপর বলল
-কিন্তু তাই বলে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে না ? এটা কেমন কথা ?
আমার নিজের বাবাও নিশির বাবার সাথে সুর মেলালো
-তাই তো বিয়ের অনুষ্ঠান হবে না ?
-বাবা আমি তো বলছি না যে অনুষ্ঠান করবেন না । অনুষ্ঠান হোক মানুষজন দাওয়াত দেওয়া হোক তাতে তো আমার আপত্তি নাই । আমার আপত্তি হচ্ছে আমি গতানুগতিক নিয়মের মত বর সেজে আসতে পারবো না । এরকম হাস্যকর কাজ আমার দ্বারা করা সম্ভব না !
-হাস্যকর !
বাবা আর নিশির বাবা এক সাথে বলে উঠলো । প্রথমে বিশ্ময় তারপর বিরক্তি নিয়ে তাকালো আমার দিকে ।
নিশির সাথে আমার সম্পর্কটা বেশ অনেক দিনের । সেই ক্যাম্পাস থেকে । তবুও বিয়ের কথাটা সব সময় মেয়েরাই আগে বলে । ছেলে আরও একটু সময় যেন বেশি অবিবাহিত থাকতে পারলে বাঁচে । আমিও সেই দলের ব্যতীক্রম না । কিন্তু আর কত দিন বিয়ে না করে থাকা যাবে । তাই রাজি হয়ে গেলাম ! কিন্তু সব বিয়েতেই তো কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে । আমার বিয়েও একে বারে ঝামেলা ছাড়া হয়ে যাবে তা তো হয় না !
আসলে ছোট বেলা থেকে আমাদের আত্মীয় স্বজন দের বিয়ের দাওয়াতে যেতে যেতে আমি একটা অদ্ভুদ বিষয় লক্ষ্য করতাম । বর কিভাবে কনের বাড়িতে আসে সেখানে এসে কি প্রকার কান্ড কারখানা হয় ! আমার কেন জানি এই সব ভাল লাগতো না ! এই সব দেখতে দেখতে আমার মনে এই সব বর কনের ব্যপারে একটা বিরক্তি চলে এসেছে । তখনই সিদ্ধান্ত নেই বিয়ে করবো ঠিক আছে কিন্তু এই টাইপের কাজ করবো না !
নিশিকে আগে থেকেই এই ব্যাপার টা বলে আসতাম আমি । ও কিছু বলতো না । হাসতো ! কিন্তু এবার যখন সত্যি সত্যি বিয়ের সময় এল আর আমিও রাজি হয়ে গেলাম তখন ওকে এই কথা বলতেই ও যেন আকাশ থেকে পড়লো । বলতে লাগলো যে তাই হয় নাকি !
কিন্তু যখন দেখলো আমি আসলেই সিরিয়াস তখন শুরু করলো প্যান প্যানানী !
সত্যি বলতে কি মোটামুটি ওর সব কথাই আমি মেনেই নিয়ে এতো দিন চলেছি । ও ঠিক যে যে জিনিস গুলো পছন্দ করতো না সেগুলো বদলেছি ! ওর পছন্দের মত করে চলার চেষ্টা করেছি ! আসলে মেয়েটা কে ভাল তো বাসি ! আর মেয়েটাও তো আমাকে ভালবাসে ! একটু না বদলালাম ওর জন্য ! কিন্তু এই কাজ টা যেটা আমি একে বারে ছোট থেকেই অপছন্দ করি সেটা কিছুতেই করতে মন চাইলো না !
একদিন কানের কাছে এসে সেই একই গিত শুরু করে দিল ! সারা দিন অফিস থেকে এসে এমনিতেও একটু ক্লান্ত ছিলাম ! মেজাজ গরম হয়ে গেল । বললাম
-শুনো প্যান প্যান করবা না ! যা বলেছি এর নড়চড় হবে না ! যদি বিয়ে করতে হয় তাহলে এটা তোমাকে মেনে নিতেই হবে !
-তুমি যদি সত্যি সত্যি আমাকে ভালবাসো তাহলে এসব করতে না ! আসলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও ......
মেয়ে গুলো আর কিছু পারুক না পারুক ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল ঠিকই করতে পারে ! ওর কথাটা শেষ করতে দিলাম না ! আবারও কঠিন একটা ধমক দিলাম ! ধমক শুনে একটু যেন কেঁপে উঠলো ! বললাম
-কি বললে তুমি ? কি বললে ?
এতো চিৎকার করেই কথাটা বললাম যে পাশের টেবিল থেকে কয়েকজন আমাদের দিকে ফিরে তাকালো ! আমি সেদিকে লক্ষ্য না করে বললাম
-তোমাকে ভালবাসি না ? বাসি না ?
নিশি কোন কথা বলল না ।
-তোমার জন্য কি করি নি বল ? বল কি করি নি ? তুমি যে যে কথা গুলো বলেছো আমাকে যেমন করে বদলাতে চেয়েছো সেগুলো করি নি ? সিগারেট ছাড়ি নি ? আড্ডা দেওয়া বন্ধ করি নি ! এমন কি তোমার জন্য কেবল তোমার জন্য আমার পছন্দের চাকরী ছেড়ে এই বোরিং জবে এসেছি ! আর তুমি বলছো সত্যি সত্যি ভালবাসি না !!
-তাহলে এটা কেন শুনছো না !
-এটা শুনবো না ! বুঝেছো তুমি ? এটা শুনবো না !
-আসলে তুমি আমাকে বিয়েই করতে চাও না !
আবারও মেজাজ টা গরম হয়ে গেল ! ইচ্ছে হল ঠাস করে এক টা চড় মারি ওর গালে ! খুব কষ্টে নিজের রাগ টা দমন করলাম ! বললাম
-চল এক্ষুনি তোমাকে বিয়ে করবো ! এক্ষুনি !
এই বলে আমি নিশির হাত চেপে ধরলাম । একটু জোরেই মনে হয় ! ও উঠলো না ! এক জায়গায়ই বসে রইলো !
নিশি পরে ভেবেছিল আমি যদি ওর বাবার সাথে কথা বলি তাহলে হয়তো আমার মত বদলাবে । সপ্তাহ খানেক আমার সাথে নিশির যোগাযোগ বন্ধ থাকে । আজ সকালে ফোন করে ওদের বাসায় আসতে বলে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ! আমি ধরে নিয়েছিলাম হয়তো ও আমার প্রস্তাব মেনে নিয়েই আমাকে আসতে বলেছে । কিন্তু এখন দেখছি ঘটনা অন্য !
নিশির বাবা আর আমার বাবা আরও কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর নিশির বাবা বলল
-আমার এক মাত্র মেয়ে ! তুমি কিভাবে ভাবছো যে অনুষ্ঠান করবো না ?
-আঙ্কেল আমি কিন্তু একবারও বলি নি যে বিয়ের অনুষ্ঠান আপনি করবেন না ! কিন্তু আমি ঐ কাজ গুলো করতে পারবো না ! আমাদের বিয়ে যদি হয় তাহলে হয় কাজি অফিসে হবে নয়তো ঘরোয়া পরিবেশে কাজী ডেকে ! এর বেশি কিছু না !
-না না তা হয় না !
-আঙ্কেল আপনাকে বেছে নিতে হবে যে আপনার কাছে কোন টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ? মেয়ের বিয়ে দেওয়া নাকি বিয়ের অনুষ্ঠান করা ! আপনি ঠিক করেন ! আমার কিছু বলার নেই !
আমি আর কিছু বলি না ! বাবাকে নিয়ে উঠে চলে আসি ! আসলেই বাপ মেয়ের এই প্যান প্যান আমার আর ভাল লাগছে না !
নিশি মনে হয় পাশের ঘরেই ছিল ! আমি বেরিয়ে যেতেই আমার সামনে চলে এল । বাবা আমাদের কে রেখে সামনে চলে গেলেন ! নিশি আমার দিকে তাকিে বলল
-তুমি এই কাজ টা করতে পারলে ?
-আমি আমার কথা পরিস্কার ভাবেই বলেছি ! আগেও বলেছি এখনও বলছি !
-তুমি আসলে আমাকে বিয়েই করতে চাও না !
-আবারও সেই একই কথা !
-হ্যা এটাই সত্যি ! এটাই সত্যি !
-আচ্ছা চল এখনই চল ! তোমাদের বাসার পাশে একটা কাজী অফিস আছে না ! ঐ খানে চল ! এখনই বিয়ে করছি !
-আমি তোমাকে বিয়ে করবো না ! বুঝেছো তুমি ! যাও তোমাকে মুক্তি দিলাম ! ঝামেলা থেকে মুক্তি দিলাম !
কিছুটা সময় নিশির দিকে তাকিয়ে থেকে চলে এলাম ! আসার সময় কেবল বলে এলাম
-তুমি সব সময় তোমার মনমত সব কিছু পাবে না ! মনে রেখো !
চলে আসর পরে একটু মন খারাপ হল ! একবার মনে হল নিজের ইচ্ছেটা ছেড়ে দেই কিন্তু পরক্ষনেই কেবল মনে কেন কেবল আমি নিজের ইচ্ছে ছাড়বো ? কেন ?
কেন ও নিজের ই জেদ টা ছাড়তে পারছে না !
প্রত্যেক মানুষের কিছু নিজের ব্যাপার থাকে । কিছু অপছন্দের ব্যাপার থাকে । দুরের মানুষ গুলো না হোক অন্তত কাছের মানুষ গুলোর তো সেগুলোর বিষয়ে একটু লক্ষ্য রাখা উচিৎ ! যাক !
ও যদি আমার সাথে না থেকে অন্য কারো সাথে গিয়ে থাকতে পারে তাহলে যাক ! সুখি হোক !
সপ্তাহ খানেক পরেই খবর পেলাম ওকে দেখতে নাকি ছেলে পক্ষ আসছে । খারাপ যে লাগলো না সে কথা বলবো না কিন্তু একটা জেদ চেপে গেল নিজের ভেতরে ! যাক বিয়ে করবে অন্যের সাথে ?
করুগ গে !
দেখতে দেখতে সেই দিন চলে এল । আমি স্বাভাবিক রইলাম । ওকে ফোন দিলাম না ! কোন খোজ খকবর নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করলাম না ! যাক সে যদি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না ? কোন সমস্যা আছে ?
ঐ দিন বিকেল বেলা ওর নিজের ছোট ভাই আমার বাসায় এসে হাজির !
আমার কাছে একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দিল ।
-এটা কি ?
-আপু আপনাকে দিতে বলেছে ?
-কি আছে এতে ?
-আমি জানি না ! আপনাকে কেবল দিতে বলেছে !
নিশির ছোট ভাই আর দাড়ালো না ! প্যাকেট দিয়েই চলে গেল ! আমার কিছু সমসয় ভাবতে লাগলাম কি দিতে পারে । ওকে যত গিফট দিয়েছিলাম সেই গুলো নাকি ?
হতে পরে ! আবার নাও পারে !
খুলে দেখি ওরকম কিছুই না ! একটা চমৎকার পাঞ্জাবী রয়েছে । উপরে একটা ছোট নোট !
নিশির হাতের লেখা !
নিচে ঠিকানা লেখা আছে । কাল বিকেলে এখানে আসবে ! আমি অপেক্ষা করবো !
আমি ঠিকানা টা পড়লাম !
কি রে ভাই এতো ভনিতা করার কি দরকার ! আর এই পাঞ্জাবী পাঠানোর মানে কি ? আর ফোন করে এই ভাবে চিঠি দিয়ে ডাক দেওয়াও ঠিক মাথায় ঢুকলো না ! মেয়েটার মাথায় আবার নতুন কি মতলব আছে কে জানে ?
একবার ভাবলাম ওকে ফোন দিয়ে জনাতে চাই কাহিনী কি ! কিন্তু পরে মনে হল কি দরকার !
পরদিন পাঞ্জাবী পরে হাজির হলাম ! গিয়ে দেখি এখনও সে আসে নাই সেখানে ! চারিপাশে বেশ চমৎকার পরিবেশ ! কাশ বনের মাঝে লম্বা রাস্তা ! আমি এদিক ওদিক হাটতে লাগলাম ! বেশি অপেক্ষা করতে হল না । মিনিট দশেক পরেই নিশি এসে হাজির !
যখন ও গাড়ি থেকে নামলো আমি অবাক হয়ে কেবল ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম !
নিশি একেবারে বউ সেজে এসেছে । আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো ! আমি এগিয়ে যেতেই দেখলাম ওর সাথে ক্যামেরা হাতে আরও একজন বেরিয়ে এল ।
নিশি আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল
-হাই !
-এসবের মানে কি ?
-কোন সবের মানে কি ?
-এই যে বউ সেজে এসেছো ? আমাকে পাঞ্জাবী পাঠিয়েছো ?
নিশির মুখটা একটু অভিমানে ভরে উঠলো ! অভিমান নিয়েই বলল
-তুমি তো আর আমার কথা শুনবা না ।
-তো ?
-তুমি বুঝবে না ! আজকাল মেয়েদের বিয়ে হয়েছে আর বিয়ের ছবি তুলবে না এটা তো অসম্ভব একটা ব্যাপার !
-আচ্ছা ! বিয়ের থেকে বিয়ের ফটো সেশন বেশি জরুরী ?
-তুমি বুঝবে না ! এবার চুপ করে দাড়াও !
আমাকে দাড় করিয়ে রেখে নিশি ফটোগ্রাফারকে কি যেন বলল । ফটোগ্রাফার আমার বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি নিতে লাগলো ! এরপরে নিশির বেলাতেও ঠিক সেই রকম কাজ ! মাই গড !
এতো অঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি তুলতে লাগলো ! এর পরে আমার সাথে ছবি তুলতে লাগলো ! এতোদিন ফেসবুকে মেয়েদের যত বিয়ের ছবি যত ভঙ্গিতে তুলতে দেখেছি নিশি সব গুলো ক্রস করে গেল ! প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলল ছবি তোলা ! যখন ও শেষ করলো ছবি তোলা তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে !
-এবার !
-বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে ?
-কার সাথে ?
-ঠিক জানি না ! ছেলে টরেন্টোতে থাকে !
-ভাল তো !
-ভালতো মানে ?
-না মানে ভাল না ? বিয়ে হবে, বিয়ের অনুষ্ঠানও হবে ! তুমি খুশ তোমার বাবারও খুশ !
নিশি আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি অন্য কোন ভাষাতে কথা বলছি । আমি বললাম
-বিয়ে করবা ওকে ?
-হ্যা আমি তাকে বিয়ে করার জন্যই তো তোমার সাথে বিয়ের ছবি তুললাম ! শুনো আমি বাসা থেকে বেরিয়ে চলে এসেছি !
-কেন ?
-কেন মানে ? দেখো ফালতু কথা বলবা না ?
-আরে তুমি না বললে যে আমাকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছো তাহলে আবার আটকাতে চাচ্ছো কেন ?
-তাহলে আমার সাথে ছবি তুললে কেন ?
-সেটা আমি কিভাবে বলব ! তুমি ছবি তুলতে চাইলে তাই তুললাম ! এতো দিন ধরে চিনি ! আর তুমি তো জানোই যে আমার ফটো ফেস খুব একটা ভাল না ! তাই ডিএসএলআর ছাড়া ছবি ভাল আসে না ! তা ভাবলাম কয়েকটা প্রোফাইল পিকচার তুলেই নেই ফ্রিতে !
নিশি আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমাকে চিবিয়ে খাবে !
-ঠিক আছে যাও আমাকে বিয়ে করতে হবে না ! আমি ফিরে যাচ্ছি আর ঐ টরেন্টোতে থাকা ছেলের সাথেই বিয়ে করবো ! তখন বুঝবা !
এই বলে নিশি চলে যেতে উঠলো ! ও ভেবেছিল যে আমি ওকে থামাবো ! কিন্তু আমি সেদিকে গেলাম না ! বসে রইলাম !
এটা দেখে নিশি আরও রেগে গেল ! কিছু দুর গিয়ে আবারও ফিরে এল ! এসে আমার কলার চেপে ধরে বলল
-তুমি আমাকে আটকালে না কেন ?
-কেন আটকাবো ?
-কেন আটকাবা ? তোমাকে আমি ছাড়বো না ! কি ভেবেছো এতো সহজে আমার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবা তুমি ! তোমাকেই বিয়ে করবো আমি ! তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না ! আর যদি ...।
বলতে বলতে আটকে গেল !
-আর কি ?
-কিছু না !
আমি মনে মনে হাসি ! যাক এতো দিন পরে এই মেয়েকে বাগে আনা গেছে । তবে নিশিকে আমার জন্য ওর বিয়ে ছেড়ে চলে এসেছে এটা বেশ ভাল লাগলো ! মেয়েটা এতো করে শখ যেন করছে দেখা যাক সামনে হয়তো ওর জন্য বিয়ের একটা ছোট খাটো অনুষ্ঠান করাও যেতে পারে !
কিন্তু সেই বিয়েতে আপনাদের কাউকে দাওয়াত দিমু না কইলাম !
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১১