রাশিনের গলায় মাছের কাঁটা ফুটেছে এই খবর আমার কাছে ঠিক একদিন পরে পৌছালো ! গতকাল দুপুরে ভাত খেতে গিয়ে নাকি গলায় ইলিশ কাঁটা বিধেছে । প্রথমে কেউ আমলে না নিলেও রাতের বেলা দেখা গেল রাশিন কিছুই খেতে পারছে না ! গলা একটু ফুলেও উঠেছে । কিছু খেতে গেলেই ব্যাথা করে ওঠে ! সেই রাতে হাসপাতালে যাওয়া হল কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না !
রাত পার হল ! সকাল হল, এখন দুপুর !
রাশিন না খেয়ে আছে । এমন কি পানি পর্যন্তও নাকি খেতে পারছে না !
সকাল এগারোটার দিকে বাড়ির দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার বশির এসে আমাকে খবরটা জানিয়ে গেল । বশিরের আবার সিগারেট খাওয়ার বিরাট নেশা ! তাও আবার যেন তেন সিগারেট না ! দামী সিগারেট ছাড়া নাকি ভাল লাগে না ! আমি নিজে সিগারেট না খেলেও এই দারোয়ানকে কিনে দিতে হয় রাশিনের খোজ খবর পাওয়া জন্য !
গলায় কাঁটা ফুটার খবর আমার কাছে খুব বেশি চমকপ্রদ মনে হল না ! এটা কোন সমস্যা নয় ! কিন্তু কি মনে হল দুপুরের দিকে রাশিনের বাসায় উকি দিলাম ! বাড়িওয়ালা আন্টি দরজা খুলে দিল ! অন্য সময় হলে আমাকে দেখেই তার চেহারায় একটা বিরক্তিভাব দেখা যেত ! বিরক্ত নিয়ে আমার দিকে তাকাতো কিন্তু আজকের পরিস্থিত অন্য রকম ! আন্টির চেহারায় একটা বিষাদ দেখতে পেলাম ! আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কোন দরকার ছিল বাবা ?
আহা ! কি মধুর কথা !
আমি একটু ভরশা দেওয়ার মত হেসে বললাম
-শুনলাম রাশিনের নাকি গলায় কাঁটা ফুটেছে !
আমার কথা শুনতেই আন্টির মুকখটা আরও করুন হয়ে গেল ! যেন খব বড় রকমের কোন দুঃসংবাদের কথা আমি তাকে মনে করিয়ে দিলাম !
-আর বল না বাবা ! আমার মেয়েটা কেমন হয়ে গেছে । কাল থেকে কিচ্ছু খায় নি ! মেয়েটা খাচ্ছে না দেখে ওর বাবাও কিচ্ছু খাচ্ছে না ! ঘরে যে কি চলছে ! ডাক্তার কবিরাজে কিচ্ছু কাজ হয় নি ! ওর বাবা কোন এক পীর বাবার কাছে গেছে !
-আরে এটা কোন সমস্যা ? আপনি ওকে ডাক দিন ! আমি দেখছি !
-তুমি পারবে ?
-আরে পারবো মানে ? আমাকে আপনি গলায় কাঁটা তুলার ব্যাপারে একজন এক্সপার্ট বলতে পারেন ! আমাদের এলাকায় কারো গলায় কাঁটা ফুটলেই আমার কাছে নিয়ে আসতো !
অথৈ নদীতে পরার পর মানুষ যেমন খড় খুটা দিয়ে ধরেও বাঁচতে চায় ঠিক তেমনই আন্টির চোখে একটা ভরশার পাওয়ার আশা দেখতে পেলাম ! উনি বলতে গেলে এক প্রকার দৌড়ে চলে গেল রাশিনের ঘরের দিকে ! একটু বাদেরই রাশিনকে নিয়ে ফিরে এল ! রাশিনের মুখ শুকনো ! আর সেখানে এক রাশ বিরক্তি ! মনে হয় শুয়ে ছিল ! আমার জন্য এখানে ডেকে এনেছে !
আমি রাশিনকে বললাম
-সাদা ভাত খেয়েছে !
-না !
-কেন ?
-ভাত খেতে পারলে তো আর কোন সমস্যা ছিল না ! তাই না ! গলায় ব্যাথা করছে । কিছু নামছে না !
এরপর আন্টি আরও বলে গেল কি কি করা হয়েছে গলায় কাটা তোলা রজন্য ! ওরা এখন গলায় সার্জারি করার কথা ভাবছে ! যদি পীর কিছু না করতে পারে তাহলে তারা নাকি তাই করবে !
আমি বিজ্ঞের মত করে বললাম
-এসব কিছু লাগবে না ! কেবল বিড়ালের পা ধরলেই চলবে !
রাশিন কর্কশ গলায় বলল
-বিড়ালে পা ধরা মানে ?
-মানে হচ্ছে, মাছে কাঁটা হচ্ছে বিড়ালের খাবার । তুমি সেই খাবার খেয়ে বিড়ালের প্রতি অন্যায় করেছো ! এখন তোমার কি উচিৎ না তার কাছে ক্ষমা চাওয়া !
-শুনুন, ফালতু কথা বলবেন না !
তখনই আন্টি বলল
-আরে হ্যা ! আমিও এই রকম একটা কথা শুনেছি ! আমাদের গ্রামে ছোট বেলায় এমন করা হত !
-মা ! আমি মরে গেলেও বিড়ালের পা ধরবো না !
-দেখ গলায় ছুরি চলার থেকে যদি বিড়ালে পা ধরে কাজ হয় তাহলে তাই কি ভাল নয় !
রাশিন আমার দিকে কিছুক্ষন অগ্নি চোখে তাকিয়ে থেকে ঘরের ভেতরে চলে গেল ! আমি আন্টিকে বললাম
-দেখুন ওকে রাজি করাতে পারে ন কি না ! কাটাবনে বেশ কিছু দোকান আছে আমার পরিচিত ! সেখানে বিড়ালের ব্যবস্থা করা যাবে ! রাস্তা থেকে বিড়াল ধরতে গেলে আমার আচড় দিয়ে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হবে তখন ! আর ঐ বেড়াল গুলোতে ভ্যাক্সিন দেওয়া থাকে, সমস্যা হবে না !
এই বলে আমি উঠে চলে এলাম ! যদিও আমার মনে ধারনা ছিল যে এতে কাজ হবে না ! আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে ! যদি কোন ভাবে রাশিনের গলার কাটা তোলার একটা ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে ! দেখি নেটে এই ব্যাপারে কিছু আছে নাকি ! আমি তো প্রথমে এই ব্যাপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেই নি কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছিলো দেওয়া দরকার ছিল ! এখানে আসার আগেই আরও পড়াশুনা করে আসার দরকার ছিল !
যাক এখনও সময় আছে মনে হচ্ছে । আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম !
আমি ঘরে যাওয়ার ১৫ মিনিট পরে আমাদের বাসায় কলিংবেল বেড়ে উঠলো । দরজা খুলে দেখি রাশিন দাড়িয়ে ! বাইরের যাওয়ার পোষাক পরে আছে ! কালো রাংয়ের জিন্স আর নীল কুর্তা ! সাদা ওড়না ! আমার দিকে তকািয়ে বলল
-আম্মু কাটাবনে যেতে বলেছে !
-এক মিনিট লাগবে আমার ! তুমি ভেতরে এসে বস !
-জি না ! আমি আপনার ঘরে ঢুকবো না ! ব্যাচেলরদের ঘর কেমন হয় আমার জানা আছে ! আপনি তৈরী হয়ে আসেন !
আমি অপমান টুকু গায়ে মাখলাম না ! প্রায় দৌড়ে চলে গেলাম ঘরের ভেতরে !
যখন রাশিনের পাশাপাশি বসে আছি রিক্সাতে তখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না আসলেই আমি ওর সাথে সাথে যাচ্ছি কি না ! একবার মনে হল আমি স্বপ্ন দেখছি । নিশ্চয়ই স্বপ্নে দেখছি !
এই মেয়েকে কতবার নিজের রিক্সায় তোলার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ে কানেই নেয় নি ! আমার অফিস আর ওর ক্যাম্পাস বলতে গেলে প্রায় একই রাস্তায় । আমাদের যাওয়ার সময়টাও একই সময় ! প্রায়ই দেখা হত ওর সাথে সকাল বেলা ! দেখতাম ও রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছে কিংবা হাটছে রাস্তা দিয়ে ! আমি একটু পেছন গিয়ে রিক্সা নিতাম ! তাই রিক্সা পেতে কষ্ট হত না ! কতবার ওকে বলেছি এসো নামিয়ে দেই কিন্তু সে কানেই নেয় নি ! আর আজকে নিজের ইচ্ছায় আমার পাশে এসে বসেছে !
সেই মাছটার কাটা ফুটেছে সেই মাছ কে হাজার হাজার ধন্যবাদ ! সেই জেলে আর সেই মাছওয়ালাকেও ধন্যবাদ ! আহা এরকম প্রতিদিন যদি ওর গলায় কাটা ফুটতো তাহলে কত ভাল হত ! ওকে প্রতিদিন কাটাবনে নিয়ে যেতে পারতাম !
কাটাবনে এসে অনেক বিড়াল দেখলাম । তারপর পছন্দের একটা বিড়াল কিনে নিয়ে এলাম ! রাশিন আমার দিকে বিরক্ত হয়ে বলল
-বিড়াল কিনে কি করবো ?
-তোমার জন্য । গিফট !
-আমি চেয়েছি গিফট ! আপনি কাটা বের করবেন কখন ?
-আরে আমি বের করব কিভাবে ? তুমি এই বিড়াল টার পা ধরে ক্ষমা চাইবে ! তারপর বিড়ালের যদি মনে হয় তোমাকে ক্ষমা করেছে তাহলে কাটা বের হয়ে যাবে ।
-আর যদি না করে ?
-তাহলে আর কি !
রাশিন আমার দিকে ক্রুদ্ধ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তারপর বেড়ালের পা ধরে বলল
-সরি !
-আরে আরেকটু যত্ন করে বল ! পশুপাখি কিন্তু মানুষের অনুভুতি খুব ভাল করে বোঝে !
বিড়ালটা তখনই বলল
-মিঁয়্যাও !
-দেখলে তো !
রাশিন এবার বিড়ালটা কোলে তুলে নিয়ে একটু আদর করলো ! তারপর সরি বলল ।
বিড়াল আদর পেয়ে কিছু সময় চোখ বন্ধ করে থেকে বলল
-মিয়্যাও !
-কি হয়েছে ?
রাশিনের দিকে তাকিয়ে একটু দ্বিধায় পরে গেলাম ! মেয়েটা এখনও আমার দিকে রাগত চোখে তাকিয়ে আছে ! আমি বললাম
-কি জানি ! তোমার গলার কাটা গেছে ?
-না !
-ও !
-এখন ?
-চল বাসায় যাওয়া যাক ! আরেকটা পদ্ধতি আছে অবশ্য !
-কি !
-রিক্সায় উঠো বলছি !
-এখানে বললে সমস্যা কি ?
-সমস্যা তো একটু আছেই !
রিক্সা নিয়ে আবার যখন বাসার দিকে যাচ্ছিলাম তখন আমি রাশিনকে বললাম
-যদি বিড়ালের পা ধরেও যদি কাজ না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে সেই মানুষটি, তাকে পছন্দ করে এমন একজনের সাথে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিয়ে চলেছে ! তখনও সেই ছেলেটির কিংবা মেয়েটিকে এমন কাউকে চুম খেতে হয় যে তাকে পছন্দ করে, বুঝাতে হয় যে তার......।
রাশিন আমার কথা শেষ করতে দিল না ! আসলে আমি আর কিছু বলতে সাহস পেলাম না ! রাশিন আমার দিকে আরও ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় ! আমি ওর দিকে না তাকিয়ে বিড়াল কে আদর করতে লাগলাম !
-আপনি আমার সাথে ফাজলামো করছেন ?
-না মোটেই ! আমাদের গ্রামে এমন হয় ! আমি বলেছি না আমি এই ব্যাপারে একজন এক্সপার্ট !
-মিস্টার অপু হাসান ! আপনার সত্যি সত্যি খবর আছে ! আজকেই আমি বাবাকে আপনার নামে রিপোর্ট করবো ! আমি দেখবো আপনি কিভাবে আমাদের বাসায় থাকেন !
-আরে ট্রাই না করেই তুমি কিভাবে বলছো আমি মিথ্যা বলছি ! এট লিস্ট ট্রাই কর !
-ইউ বেটার রেডি ! যদি সত্যি সত্যি কাজ না হয় তাহলে ?
-আমরা সামনের মাসেরই বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যাব ! ঠিক আছে ! তোমার সামনে আর আসবো না !
আমি জানি রাশিন এই কাজ করবে না ! অবশ্য এই কাজে কাটা বের হওয়ার কোন সম্ভবনাও নেই ! এমনি কথার কথা বললাম আমি ! যে পদ্ধতি মানুষ কোন দিন ট্রাই করে নি সেই পদ্ধতি ঠিক নাকি ভুল সেটা কেউ বলতে পারবে না ! তাই না !
যখন বাসার থেকে আরেকটু দুরে আছি তখন হঠাৎই রাশিন কাজ টা করে ফেলল আমাকে অবাক করে দিয়ে ! রাস্তাটা একটু নির্জন থাকে সব সময় ! বলতে গেলে আমার ঠোটে খুব জোড়েই চুম খেল ! যখন নিজের ঠোট সরালো তখন রিক্সা বাসার সামনে চলে এসেছে । রাশিন আমার হাত থেকে বিড়াল টা নিয়ে কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা গেট দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢকে হগেল ! আমি তখনও ঘোরের ভেতরে রয়েছি ! কি হল এটা !
কেমন করে হল !
রাশিন সত্যি-সত্যিই আমাকে চুম খেয়ে ফেলবে আমি ভাবি নি ! আসলেই ভাবি নি !
কিন্তু যখন বাসার ভেতরে ঢুকলাম তখনই ঘোর কেটে গেল ! মনে পড়লো যে আমি বলেছিলা বাড়ি ছাড়ার কথা ! কাজ তো হবে না নিশ্চিত ! কাটা বের হবে না ! আর সামনের মাসেই বাসা ছেড়ে দিতে হবে !
ও মাই গড !
একটু ভয়ে ভয়ে রইলাম ! যদি সত্যি বাসা ছেড়ে দিতে হয় তাহলে বিপদে পরে যাবো ! এমনিতে আমি মেস কিংবা হোস্টেলে থাকতে পারি না ! আর ব্যাচেলরদের কে কেউ ভাড়া দিতে চায় না ! তখন উপায় আছে ! অবশ্য রাশিনের ঠোটে একটা চুম খাওয়ার জন্য এরকম হাজার টা বাসা ছেড়ে দেওয়া যায় !
রাতের বেলা দারোয়ান বশির এসে হাজির ! আমাকে বলল
-স্যার আপনাকে ডাকছে !
বুঝলাম আমার খবরের সময় চলে এসেছে ! এখনই হয়তো বলবে আমাকে সামনের মাসে বাসা ছেড়ে দিতে হবে ! এখন সমস্যা হচ্ছে আমি জানি না রাশিন ওর বাবার কাছে ঠিক কি কি বলেছে । ও নিশ্চয়ই বলেনি যে ও আমাকে চুম খেয়েছে ! কিংবা আমি ওকে চুমু খেতে বলেছি ! না বলারই কথা !
কিন্তু যদি বলে ?
তাহলে ?
আমার তাহলে খবরই আছে !
ভয়ে ভয়ে বাড়িওয়ালার ঘরে কলিং বেল বাজালাম ! দরজা খুলে দিল স্বয়ং আংকেল ! আমি ভেবেছিলাম গম্ভীর মুখ দেখবো ! কিন্তু আমাকে দেখে
-আরে এসো এসো ! তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম !
একটু পরে আন্টিো বের হয়ে এল ! তার মুখেও হাসি ! তাহলে কি সত্যি সত্যিই কাজ হয়েছে ?
মাই গড !
আংকেল আর আন্টি কথা শুনে যা বুঝলাম তার অর্থ হল রাশিনের গলার কাটা আসলেই নাকি বের হয়ে এসেছে । দুপুরেই নাকি ভাত খেতে পেরেছে ! রাতে তাই এই বিশেষ আয়োজন ! আর যেহেতু আমার কারনেই এমনটা হয়েছে সেহেতু আমি স্পেশাল গেস্ট !
টেবিলে খেতে বসলাম ! একটু পরেই দেখলাম রাশিন এসে হাজির ! মেয়েটা জিন্স পরেনি । সেখানে পরেছে সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ ! আমার মনে আছে এই বাড়িতে যেদিন প্রথম আসি সেদিনও ওকে এই পোষাকে দেখেছিলাম ! এবার বলেছিলাও ওকে এই কথাটা ! ও আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল আর কোন দিন সে এই পোষাক পরবে না
সেদিনের পরে আর কোন দিন ওকে এই পোষাকে দেখনি ! হঠাৎ আজকে !
আমি রাশিনের দিকে তাকিয়ে বললাম
-তোমার গলার কাটা গেছে ?
যদিও মুখ দিয়ে এই কথা বললাম তবে আমার চোখ বলছিল মেয়ে তোমাকে চমৎকার লাগছে ।
রাশিন আমার চোখের ভাষা ঠিকই বুঝলো ! কিছু বলল না ! কেবল হাসলো একটু !
-এরপর থেকে কাটা ফুটলেই ঐ পদ্ধতি এপ্লাই করবে । কেমন ?
রাশিনের মা বলল
-হুম ! বিড়ালের পা ধরে আসলেই কাজ হয়েছে ! আমরা ঠিক করেছি বিড়াল টা রেখেই দিবো ! এবার থেকে সব মাছের কাটা এই বিড়াল টাই খাবে !
রাশিন হেসে ফেলল ! আমি কোন পদ্ধতির কথা বলেছি সেটা কেবল আমি আর ও জানে !
পরিশিষ্টঃ
এক মাস পরে !
-আফা মনি আপনেকে ছাদে যেতে বলেছে ।
দারোয়ান বলার পরপরই ছাদে গিয়ে হাজির হলাম !
রাশিন চুপ করে দাড়িয়ে আছে । ওর কোলে বিড়াল ! আদর করছে ! আমি পাশে দাড়াতেই বলল
-আমার একটা বন্ধু আছে ! ওর গলায় গত কালকে কাটা ফুটেছে !
-তাই ! ভাল তো ! এই বিড়াল নাও !
-বিড়াল দিয়ে হবে না !
-তাহলে ?
-গল্পের ছলে আমি ওকে বলেছিলাম
-কি বলেছিলে ?
-ঐ যে ঐদিন রিক্সার ভেতরে.....।
-তারপর ?
-ও এখন বলছে ঐ পদ্ধতি......
-তাই নাকি ? ভাল তো ! দেখতে কেমন ?
-দেখতে কেমন মানে ?
-না মানে যদি অন্য কেউ না থাকে তাহলে আমাকে ..... মানে বুঝছো তো ! তা দেখতে কেমন শুনি ?
রাশিন আমার দিকে আবার কঠিন চোখে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় ! তারপর বলল
-যদি ওকে চুম খাওয়ার কথা আর একবার বলেন তাহলে আপনার খবর আছে ! বলেন কেন বলছি যদি আর একবার চিন্তা করেন তাহলে একদম খুন করে ফেলবো !
আমি কোন কথা না বলে কেবল হাসতে লাগলাম !
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫