somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বিবাহ এবং বিবাহ পরবর্তি ঘটনা সমূহ (নুসাবা পর্ব) :D

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক

-আজকে বাসায় আসো !
-এখন ?

ঘুম থেকে আমার উঠতে বরাবরই দেরি হয়। অবশ্য কোন কাজ না থাকলে যা হয় আর কি ! আমি অনেক কষ্টে চোখ মেলে ঘড়ির দিকে তাকালাম ! সবে মাত্র দশটার মত বাজে ! আমার জন্য এটা তো ভোর বেলা ! এই সময় কারো ফোন পেলে আমি বড় বিরক্ত হই ! কিন্তু নুসাবার ফোনকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই । নিজের সংসারেকে সেধে যুদ্ধক্ষেত্র বানাতে চায় বলেন !

আমি ঘুম যথাসম্ভব কাটানোর চেষ্টা করে বললাম
-এখন ? তুমি বাসায় কেন ? অফিসে যাবা না ?
-নাহ ! আজকে ঠিক করেছি যাবো না !
-সে কি ! শরীর খারাপ নাকি ?
-ঐ রকমই কিছু মনে কর ! যাই হোক ! আমি বুঝতে পারছি তোমার ঘুম আসছে কিন্তু কিছু করার নেই । এখনই ঘুম কাটিয়ে ওঠ ! গোসল করে তৈরি হও ! তারপর বাসায় আসো !

আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না ! নুসাবার মতিগতি আমি তেমন কিছুই বুঝলাম না ! অবশ্য মেয়েটাকে আমি কোন ভাবেই বুঝতে পারি না ! পারার কথাও নয় ! কখন যে কি করে তার কোন ধারনা নেই !
আমি বললাম
-তোমার বাবা বাসায় নেই ?
-এই বদ ছেলে ! তোমার বাবা কি কথা ? আমার বাবা তোমার কি হয় শুনি ?

আমি মনে মনে হাসি ! মেয়েটা প্রত্যেকবার এই একই কথা বলে ! কিন্তু আমি যেমন জানি নুসাবার বাবা কিছুতেই আমাকে তার মেয়ের জামাই হিসাবে মেনে নিতে পারে নি আমিও কেন জানি ঠিক মত তাকে শ্বশুর মশাই বলে মেনে নিতে পারি নি । যাই হোক সেই দিকে না যাই ! আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-শ্বশুর মশাই বাসায় নেই ?
-আছে !
-তাহলে ? তবুও আসবো ?
-মানে কি ? তুমি এমন ভাবে বলছো যেন তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড ! বাবা বাসায় নেই এই জন্য তোমাকে চুপিচুপি আসতে বলছি ?

শেষের লাইন গুলো শুনেই মনে হল নুসাবা যেন খুব মজা পাচ্ছে ! আমি বললাম
-চিন্তা নেই ম্যাডাম ! আমি এক্ষুনি হাজির হচ্ছি !
-এক্ষুনি আসতে হতে হবে না ! আগে ভাল করে গোসল করবে ! আর একটু ভাল পোষাক পরে এস প্লিজ ! কেমন !
-ওকে ম্যাডাম ! যা বলবেন তাই হবে !

আমি কিছু বুঝতে পারলাম না ! নুসাবা হঠাৎ করেই ওদের বাসায় আমাকে কেন যেতে বলছে ! আমাদের মাঝে কথা ছিল যে যতদিন আমি ঠিকঠাক মত একটা কিছু না করবো ততদিন ওদের বাসায় আমি যাবো না ! মানে আমিও বলেছিলাম ওকে । ও সেটা মেনেও নিয়েছিল । তবুও মাঝে মধ্যেই ওদের বাসায় আমাকে যেতে হত ! কিন্তু সেগুলো বিশেষ প্রয়োজনে ! আর অন্য সময়ে ও নিজের বাইরে আসতো ! আমরা বাইরেই দেখা করতাম বেশি !

আমি ফেসবুক ওপেন করলাম ! নিজের একাউণ্ট থেকে নুসাবার একাউণ্টে গিয়ে দেখি গতরাতের পর আর কোন স্টাটাস নেই ! তারপর আমার আমার একটা গোপন একাউন্ট থেকে নুসাবার একাউন্টে যেতেই স্টাটাস টা চোখে পড়লো ! রাত তিনটার দিকে দেওয়া ! মনে মনে হাসি ! মেয়েটার এই স্বভাবটা এখনও গেল না ! আমাকে নেওয়া স্টাটাস গুলো সব সময়ই আমাকে হাউড করেই দেয় !

নুসাবা লিখেছে
"আমার স্বামীদেব বড় অদ্ভুদ একজন মানুষ ! না ঠিক অদ্ভুদ না, এই শব্দটা ওর সাথে যাচ্ছে না ! কেমন যে আমি ঠিক বলতে পারবো না ! মাঝে মাঝেই আমার আচরনে সে কষ্ট পায় ! খুব ছোট ছোট বিষয় গুলো নিয়ে । সেটা সে নিজের ভেতরেই রেখে দেয় ! আমাকে বলে পর্যন্ত না যে আমার কারনে সে কষ্ট পেয়েছে ! বরং এমন আচরন করে যেন সে খুব খুশি ! এমন কি আমার কোন আচরনে যদি সে খুব আনন্দিতও হয় সেটাও সে প্রকাশ করে না ! নিজের ভেতরেই লুকিয়ে রাখে ! তবে তার একটা ব্লগ আছে । বেশ গোপন, ছদ্য নামে । আমার কাছ থেকে লুকানো ! যদিও লুকানো আমি ঠিকই খুজে বের করে ফেলেছি ! সেখানে সে কেবল আমার কথা লেখে, গল্পাকারে ! যে যেদিন কষ্ট পায় সেদিন কষ্টের কথা লেখে যেদিন আনন্দিত হয় সেদিন আনন্দের কথা লেখে ! আমি মাঝে রাতে পড়ি আমার চোখের পানি ফেলি ! বারবার মনে হয় সরাসরি আমাকে কেন বলতে পারে না মানুষটা !
গতকাল কে ওকে অজান্তেই আবারও কষ্ট দিয়েছি ! সেটা সে লিখেছেও ! পড়ার পর থেকে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না ! কিভাবে যে ওকে সরি বলবো খুজে পাচ্ছি না"

স্টাটাস টা আমার কাছ থেকে লুকানো আমি যেন পড়তে না পারি ! আমি মনে মনে হাসলাম ! আরও কিছুক্ষন চিৎ হয়ে শুয়ে রইলাম সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে ! এতোদিনেও আমি মেয়েটাকে কিছুতেই বুঝতে পারি নি । কোন দিন বুঝতে পারবো কিনা আমি জানিও না । এই মেয়েটার সাথে কিভাবে পরিচয় হয়ে গেল । আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হয় না !

সেদিনটার কথা আমার এখনও মনে আছে । টিউশনী থেকে বের হয়ে বাসার দিকে যা্ছিলাম ! কেবল মাত্র থানার কাছে এসেছি এমন সময় একটা গাড়ি এসে আমার সামনে থামলো ! আমি তাকাতাম না কিন্তু তাকালাম কারন গাড়িটির চালক একজন মেয়ে ! আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো ! হাসিটা কেমন যেন পরিচিত মনে হল ! কোথায় দেখেছি মেয়েটাকে !
-অনীক সাহেব !
আমি দ্বিধা নিয়ে বললাম
-জি !
-আরে কেমন আছেন ?
-ভাল !
তখনও মনে করার চেষ্টা করছি কোথায় মেয়েটাকে দেখেছি ! ইদানিং ফেসবুকে এতো মেয়েদের ছবিতে লাইক দেই যে মনে হয় সব মেয়েই মনে হয় আমার ফেসবুকে পরিচিত ! কিন্তু এই মেয়েটাকে কি ফেসবুকে দেখেছি ?
মনে করতে পারলাম না !

-আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না তাই না ?
এই কথাটা বলে মেয়েটা হাসলো ! আর আমি তখনই মেয়েটাকে চিনে ফেললাম । মেয়েটা আমার ফেসবুকে পরিচিত নয় ! বাস্তব জীবনের পরিচিত !
-আপনি নীলার কাজিন ?
-এই তো চিনেছেন ! তবে কাজিন না ! নীলার বাবা আমার বাবার বন্ধু !
-ও !
-কোথায় যাচ্ছেন ?
-বাসায় !
-কোন দিকে বাসা ?
-মোহাম্মাদপুর !!
-আরে আমিও তো ঐদিকেই যাচ্ছি ! আসুন ! আপনাকে নামিয়ে দেই !

আমি ঠিক মত বুঝলাম না ! এই মেয়ে আমার উপর এতো ইন্টারেস্ট কেন দেখাচ্ছে ? কোন কারন তো নেই ! একদিন মাত্র মেয়েটাকে আমি দেখেছি । আর এর ব্যাকগ্রাউন্ড যা শুনেছি তাতে আমার দিকে আগ্রহ দেখানোর কোন কারনই নেই ! আমি অবশ্য কিছু মনে করলাম না ! পথের মাঝে দেখা হয়েছে হয়তো ! আমি উঠে পড়লাম ! একটু অসস্তি যে লাগছিলো না তা কিন্তু না ! বিশেষ করে একটা মেয়ে যখন ড্রাইভ করছে । এমন দৃশ্য আমাদের দেশে খুব বেশি স্বাভাবিক না !

নুসাবা ঐদিন একেবারে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল ! আমার বাসাও চিনে গেল ! ঠিক তার দুদিন পরেও আবারও একই ঘটনা ঘটলো ! এবার আমাকে একটু নড়ে চড় বসতে হল ! মনে হল কিছু না কিছু সমস্যা আছে ! কিংবা কিছু ঠিক হচ্ছে না । এই মেয়ে আমার দিকে এতো আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন ? কোন যুক্তিযুক্ত কারন আমি দেখাতে পারলাম না !

নীলাকে দিয়ে নুসাবা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টেও ঢুকে গেল ! টুকটাক কথাও হতে লাগলো ইনবক্সে ! কিন্তু আসল ধাক্কাটা আমি নীলার মায়ের কাছ থেকে শুনলান !
নীলাকে পড়ানোর পরে যখন বের হতে যাবো সেদিন বের হতে যাবো তখনই নীলার মা আমাকে বসতে বলল ! সাধারনত বেতন দেওয়ার সময় আর নীলার পরীক্ষার খাতা দিলেই নীলার মা আমাকে একটু বসে যেতে বসে ! নয়তো এরকম আলাদা ভাবে বসতে বলার কোন কারন অবশ্য আমার জানা ছিল না !
-তুমি নুসাবাকে চিনো ?
-ঐ যে দিন এসেছিল আপনাদের বাসায় ?
-হ্যা ! এর বাইরে ?

আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না ! একবার বললাম বলি যে দেখা হয় নাই । কিন্তু পরে মনে হল মিথ্যা বলে লাভ কি ! নীলার মা আবারও বলল
-মানে এর বাইরে ওর সাথে তোমার কবার দেখা হয়েছে ?
আমি এবার সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম ! মনে হল যে আমার টিউশনীটা গেল মনে হয় !
-দেখা হয়েছে দুই দিন । ঐদিন বাসায় যাওয়ার সময় আমাকে লিফট দিয়েছিল । তারপর আরেক দিন !
নীলার মায়ের মুখ কেমন অন্ধকার হয়ে গেল ! আমি আসলেই এবার ভয় পেতে শুরু করলাম ! এই মেয়ের আমাকে কি শেষ পর্যন্ত কি করে কে জানে ! কোন জায়গা থেকে কোথায় নিয়ে যায় কে জানে !
তারপর নীলার মা যা বলল তার জন্য মনে হয় আমি কোনদিন প্রস্তুত ছিলাম না ! কোন দিন প্রস্তুত হবও না ! এখনও আমার কাছে ঠিক মত বিশ্বাস হয় না !

যখন ওদের বাসা থেকে বের হলাম তখনও মাথার ভেতরে কেবল একটা কথাই ঘুর পাক খাচ্ছিলো ! এই মেয়েটার মাথায় সিরিয়াসলি সমস্যা আছে ! থাকতে বাধ্য !

জানতাম আজকেও ওর গাড়ি অপেক্ষা করবে । একটু দুরে যেতেই লালা রংয়ের গাড়িটা চোখে পড়লো ! আমি কিছু না বলে গাড়িতে উঠে বসলাম !
-কোন দিক যাবো ?
-যেদিক ইচ্ছা ! মানে আমার মনে হচ্ছে যে এই এলাকায় আমার আর আসা হবে না !
-কেন ?
-আপনি যা করেছেন তাতে কি মনে হয় আমি আবার নীলাদের বাসায় আসতে পারবো ?
-কিছু হবে না !

তা তো হবেই না ! কিন্তু আমার জন্য অনেক কিছুই হবে ! এই মেয়ে গুলা কেন ঠিক মত কিছু বুঝতে পারে না ! মনে যা আসে তাই করতে পারলেও আমরা কিংবা আমি তাই করতে পারি না !

কিছুটা সময় চুপ করে থেকে বললাম
-আচ্ছা আপনি কি ভেবে আমাকে বিয়ে করতে চাইলেন বলেন তো ? লজিক টা কি ?
নুসাবা চুপচাপ গাড়ি চালালো কিছুটা সময় ! তারপর রমনা পার্কের পাশে গাড়িটা পার্ক করে আমার দিকে তাকালো ! তারপর বলল
-আমি জানি না !
আমি চুপচাপ তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে । এই মেয়ের সমস্যা টা আমি এখনও ধরতে পারছি না !

-আমার বাবা মা বেশ চিন্তায় ছিল আমার বিয়ে নিয়ে ! পড়া অবস্থায় তারা আমাকে বিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছিল ! কিন্তু আমার কাউকে মনে ধরে নি !
-আমাকে ধরেছে ?
-হুম !
-কেন ?
-জানি না ! ধরেছে কেবল এই জানি !
-রাত হয়ে যাচ্ছে ! বাসায় যাওয়া দরকার !

নুসাবা আমার দিকে তাকিয়ে থেকে কি যেন ভাবলো ! তারপর গাড়ি স্টার্ট দিল !

ঐ দিন রাতে কত কিছু ভাবলাম ! কোন উত্তর খুজে পেলাম না ! কেবল মনে হল এই মেয়ে কদিনের জন্য আমার জন্য হৈই উঠেছে কদিন পরে কেটে যাবে ! কিন্তু মাস খানেকের মধ্যেও কাটলো না ! আমি আটকে গেলাম ! কঠিন ভাবেই আটকে গেলাম !


দুই

একটা সময়ে মনে হত জেদের বসে অনিককে বিয়ে করে হয়তো আমি অনেক বড় ভুল করেছি ! এমন একটা মানুষের সাথে কি আসলেই সারা জীবন পার করতে পারবো ? কিন্তু মানুষের মাথায় যখন জেদ কাজ করে তখন অন্য কিছু আসে না ! লজিক তখন কাজ করে না ! যখন নীলাদের বাসায় প্রথম অনিককে দেখলাম তখনই আমার মনে হল এর থেকে পার্ফেক্ট আর কেউ হতেই পারে না !

বাবার প্রতি রাগটা আমার সেই ছোট বেলা থেকেই ছিল ! ছোট বেলা থেকে আমি কেবল বাবা মায়ের হাতের পুতুল হয়ে থেকেছি । ছোট বেলা থেকেই আমার স্কুল থেকে শুরু করে চুলের বেনী কয়টা হবে সেইটা পর্যন্ত আমার বাবা ঠিক করে দিত ! আমি কার সাথে মিশবো কে আমার বন্ধু হবে সেটা আমার উপর নির্ভর করতো না ! নির্ভর করতো বাবার উপর ! স্কুল কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত বাবা ঠিক করে দিতো আমি কোথায় পড়বো ! কোন বিষয় নিয়ে পড়বো !

বাইরে যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না আমার কোন দিন ! দেশের ভেতরে থেকেই পড়া শুনা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার ইচ্ছা যদি কোন দাম থাকতো আমার বাবার কাছে ! সেদিন দেশ ছেড়ে বাইরে গেলাম সেদিনই কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । হয়তো বাইরে থেকেই বিয়েটা করে ফেলতে পারতাম কিন্তু সেটা করলাম না কারন তাতে আমার মনের রাগ টা কমতো না ! আমার কেবল মনে হয়েছিল বিয়েটা আমি করবো বাবার অমতে এবং বাবার সামনেই ! থাকবোও বাবার সামনে ! তিনি চোখের সামনে আমাকে দেখবে কিন্তু করতে পারবে না !

দেশের এসে চাকরিতে জয়েন করার পরপরই বাবা আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করলাম । সেই বারই প্রথম বারের মত অবাধ্য হলাম ! পরিস্কার ভাবেই বাবাকে বলে দিলাম তার পছন্দের ছেলে আমার পছন্দ নয় ! যদি সে জোর করে তাহলে আমি বাসা ছেড়ে চলে যাবো ! বাবা এতো অবাক হয়েছিল প্রথমে কিছুটা সময় কোন কথাই বলতে পারলো না ! কিন্তু তার তখন কিছু করারও ছিল না ! তার বোঝার দরকার যে আমি আর সেই ছোট্ট নুসাবা নেই !

অনিক প্রথম দেখেই মনে হল এই ছেলেটা একটা পার্ফেক্ট পানিশমেন্ট হবে আমার বাবার জন্য ! আমি যখন বাবার কাছে নিজের পছন্দের কথা বললাম বাবাকে যেন আকাশ থেকে পরলো ! খুব চিৎকার চেঁচামিচি করলো ! পরিস্কার বলে দিল ঐ ছেলেকে বিয়ে করলে আমি এই বাসায় থাকতে পারবো না !
এই হুমকিতে আগে ভয় পেলেও এখন আমি কেন ভয় পাব ! সেদিনই ব্যাগ নিয়ে বাসায় থেকে বের হয়ে গেলাম ! ঠিক সপ্তাহ পরে বাবা নিজেই আবার আমাকে বাসায় নিয়ে এল ! এবং অনিকের সাথেও বিয়েতে আর আপত্তি করলো না !

অনিক আমাদের সাথে থাকতো না ! তার কথা ছিল যে আগে সে নিজে চাকরি-বাকরি কিছু পাক তখন আমাদের সংসার শুরু হবে ! এই শর্তেই সে বিয়েতে রাজি হয়েছি ! যদিও বেচারা তখনও খানিকটা কনফিউজ যে আমি কেন তাকেই বিয়ে করতে চাইছি ! আমি অমত করলাম না ! আমার আসল উদ্দেশ্য তখনও ওর সাথে সংসার পাতা নয় বরং বাবার চোখের সামনে ওকে নিয়ে চলা ! চাল চুলো হীন একটা ছেলের সাথে তার মেয়ে বিয়ে করেছে এটা জানতে পেরে বাবার মনে ভাব আমি কল্পনা চেষ্টা করলাম ! তিনি ব্যাপার টা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারবে কিন্তু তার কিছু করারও থাকবে না !

এর মাঝে মাঝে অনিকের সাথে আমার সম্পর্ক যে খারাপ ছিল সেটা বলবো না ! তবে সে একে বারে ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না সেটা ছিল না ! কিন্তু ভুলটা ভাঙ্গলো কদিন পরে ! বিয়ের মাস দুয়েক পরের কথা ! আমার শরীর হঠাৎ করেই একদিন খারাপ হল ! আমার ছোট বেলা থেকেই একটু ঠান্ডার সমস্যা ছিল ! বেশি ঠান্ডা লাগলো নিঃস্বাস বন্ধ হয়ে যেত ! হাসপাতালে ভর্তি হলাম ! পরদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে আমার চোখ অনিকের উপর পড়লো ! এর আগেও আমি হাসপাতলে ভর্তি হয়েছি ! মা থাকতো স্বাধারনত আমার সাথে ! চোখ মেলে দেখি অনিক আমার বিছানার কাছে একটা চেয়ারে নিয়ে সেখানে বসে আছে । চোখটা বন্ধ ! ঘুমাচ্ছে !
তখনও খুব সকাল হয় নি ! কেবল ভোর হয়েছে । ভোরের আলো অনিকের মুখে এসে পড়েছে !
কি বলবো নিজের ভেতরে কেমন একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম ! ছেলেটার জন্য কেমন একটা মায়া লাগলো ! একটা ছেলে আমার জন্য রাতে জেগে বসে আছে ! এটা ভাবতেই আমার মনে অনিকের ব্যাপারে আগের অনুভুতি গুলো খুহব দ্রুত পরিবর্তন হতে লাগলো ! আমি একটু নড়াচড়া করতেই দেখি অনিকের চোখ খুলে গেল ! আমার কাছে এসে ব্যস্ত হয়ে বলল
-কি হয়েছে ? কিছু লাগবে ?
আমি হাসলাম একটু ! বললাম
-তুমি কখন এসেছো ?
-রাতেই ! তোমার মা ফোন দিলেন !
-এই, আমার মা তোমার কি হয় ?
অনিক হাসলো !
আমি অনিকের হাসির দিকে তাকিয়ে নিজেকে খানিকটা হারিয়ে ফেললাম ! তখনই মনে হল ছেলেটা এই অল্প কদিনেই আমাকে অসম্ভব ভালবেসে ফেলেছে ! অনিক আবার বলল
-কিছু লাগবে ?
-হুম!
-কি ?
-তুমি চেয়ার ছেড়ে এসে আমার পাশে এসে শোও !
-কি !
-এতো কি কি করতে হবে না ! এখন আমি ভাল আছি ! যা বলছি কর ! এসো !

অনিকের সাথেই বেডের উপর উঠে এল ! ওর বুকে মাথা রেখে নিজের কাছেই কেমন শান্তি শান্তি লাগছিল আমি বলতে পারবো না ! জেদ থেকে যে সম্পর্কের শুরু কিভাবে সত্যি সত্যি প্রেম হয়ে গেল !


তিন

দরজার সামনে দাড়িয়ে রয়েছি । বেল বাজাবো কি বাজাবো না ভাবছি ! আমি এখন দরজা খুললেই সামনেই আমার অপ্রিয় শ্বশুর মশাইকে দেখতে পাবো । তবুও বেল বাজাতে হল ! দরজা খুলে দিনেন আমার শ্বশুর মশাই নিজে ! এবং বলাই বাহুল্য আমাকে দেখে তিনি খুব বেশি খুশি হলেন না ! কি আর করা ! আমি একটু হেসে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলাম !
সম্মান প্রদর্শন !
তিনিও বললেন
-বেঁচে থাকো
কিন্তু তার কন্ঠ স্বর শুনে আমার মনে হল তিনি বলতে চাইছেন আমার মেয়ের জীবন থেকে দুরে যাও !

আর কিছু বললেনও না । ড্রয়িং রুমে টিভ চলছিল । সেদিকে পা বাড়ালেন ! পেছনেই নুসাবাকে দেখতে পেলাম ! একটু আগে সম্ভবত গোসল করেছে । চুল গুলো এখনও ভেজা মনে হচ্ছে ! সাধারনত ও শাড়ি পরে না তবে আজকে শাড়িই পরেছে । কপালে ছোট্ট একটা টিপ ! আমাকে দেখে হাসলো !
আমিও হাসলাম ! শ্বশুর মশাই হাসলো না ! তিনি আবারও টিভির দিকে মনযোগ দিলেন ! আমি অসময়ে এসে পরা কোন অতিথি ! অবশ্য শ্বশুর মশাইয়ের কাছে আমি সব সময়ই এমন !
আমি কোন দিকে যাবো ঠিক বুঝতে পারলাম না ! সরাসরি কি নুসাবার ঘরের দিকে যাবো নাকি একটু বসে শ্বশুর মশাইয়ের সাথে দু একটা কথা বলে যাবো ! আমার তো আরও কিছু জানতে চাওয়া উচিৎ ! আমার ইতস্তর দেখে নুসাবা ঠিকই বুঝতে পারলো ! নিজেই আমাকে হাত ধরে ওর ঘরের দিকে নিয়ে গেল !
বসতে বসতে বললাম
-কি ব্যাপার এতো জরুরী তলব ?
-কেন ? ডাকতে পারি না ?
-না পারো ! তা পারবে না কেন ? কিন্তু কোন কারন তো আছেই নাকি !
-হুম ! তা আছে !
আমি মোটামুটি গম্ভীর কিছু শোনার জন্য প্রস্তুত হলাম ! নুসাবা টেবিলের উপর থেকে একটা খাম বের করে আমার দিকে দিল !
-কি এটা ?
-তোমার এপোয়েন্টমেন্ট লেটার !
-কি !
-হুম ! বাবা ব্যবস্থা করে দিয়েছে !
-তাই নাকি ! আমার তো মনে হয়েছে উনি আমাকে ঠিক পছন্দ করে না !
নুসাবা হাসলো । তারপর বলল
-তবে ! আমি চাই তুমি চাকরীটা না কর !
আমি অর্থপূর্ন দৃষ্টিতে তাকালাম ওর দিকে !
-আমি শুনতে চাইনা আমার স্বামী আমার বাবার সাহায্য নিয়ে বড় হয়েছে ! আমি জানি তুমি ঠিক ঠিক কিছু করে ফেলবে ! একটু সময় লাগবে হয়তো তবে ঠিক পারবে । পারবে না ?

আমি খামটা এক পাশে সরিয়ে রেখে ওকে কাছে ডাকলাম ! ওকে পাশে বসিয়ে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম ! অনেক কিছু বলতে চাইলাম কিন্তু বলতে পারলাম না ! মনে মনে বললাম কেবল তুমি সাথে থাকলে অবশ্যই পারবো ! জানো ছোট বেলা থেকেই আমি এমন কাউকে সারা জীবন খুজে এসেছি ! আমার আর কিচ্ছু দরকার নেই ! কিচ্ছু না !


চার

আমি যদিও জানতাম বাবার দেওয়া চাকরিটা ও করবে না ! তবুও নিজের ইচ্ছের কথাটা বলতেই ওর মুখের ভাবটা বদলে গেল ! সেখানে আমার জন্য অন্য রকম কিছু একটা ছিল ! আমাকে কাছে ডেকে আমার হাত ধরে রইলো কিছু সময় !

আমি জানতাম ও এখন কি বলবে কিংবা কি ভাবছে ! ওর আগে একটা প্রেমিকা ছিল ! আমার সাথে পরিচয় হওয়ার মাস ছয়েক আগে মেয়েটার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ! আরও ভাল করে বললে হয় মেয়েটাই করেছিল ! মেয়েটা নাকি ওকে বলেছিল যে তার সাথে অনিশ্চয়তার জীবন সে শুরু করতে পারবে না ! এমন কি অপেক্ষাও না ! কবে চাকরি হবে তার কোন ঠিক আছে !
এটা নিয়ে অনিক বেশ কষ্ট ছিল ! কেবল নিশ্চয়তার জন্যই মানুষ মানুষের কাছে আসে ! যদি আমার খারাপ সময়ে আমার হাতই তুমি না ধরতে পারলে তাহলে তুমি আমাকে কি রকম ভালোবাসো !

ওকে কোন দিন বলি নি ওকে আমি কেন বিয়ে করেছি ! বলতে পারি নি ! তবে সেটা কি বলার কি কোন দরকার আছে । অনিক এখন আমার কাছে বেশি জরুরী ! কিভাবে ওর সাথে পরিচয় হয়েছে কিংবা কেন ওকে বিয়ে করেছিলাম তার থেকেও বড় কথা ও যেমন আমাকে ভালবাসে আমি নিজেও ওকে ভালবাসি ! নিজের সব কিছুর মত অনিক আমার কাছে খুব প্রয়োজনীয় একটা কিছু ! আরও ভাল করে বলতে গেলে অপরিহার্য একটা অংশ !

অনিক আমাকে জড়িয়ে ধরলো ! আমার সাথে দেখা হওয়ার পরে ওযখ আবার আমরা যে যার দিকে চলে যাই তখন প্রতিবারই আমাকে জড়িয়ে ধরে ! মাঝে মাঝে রাস্তার ভেতরেও ! এটা নাকি ওকে শান্তি দেয় । ওকে বলা হয় নি ওর জড়িয়ে ধরাটা আমার মনেও অদ্ভুদ একটা প্রশান্তি নিয়ে আসে ! জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বললাম
-আই এম সরি !
-কেন ? সরি কেন ?
-তোমাকে কষ্ট দিয়েছি !
ও আমাকে ছেড়ে দিয়ে খাননিকটা অবাক হয়ে বলল
-কই ? কিভাবে কষ্ট দিলে ?
আমি ওর কপালে একটা চুম খেলাম ! তারপর ওর নাকের সাথে নাকটা একটু ঘষে আবারও ওকে জড়িয়ে ধরলাম ! তারপর বললাম
-তুমি কালকের ছবি গুলো দেখে কষ্ট পেয়েছো তাই না ?



পাঁচ

আমার নিজের একটা ছোট্ট দুর্বলতা আছে । অনেক আগে থেকেই । বলতে গেলে অনেক আগে থেকেই । আমি কিছুতেই কাছের মানুষটার সাথে অন্য কোন ছেলেকে সহ্য করতে পারি না ! তা সে বন্ধু হোক কিংবা কাজিন কিংবা পরিচিত যে কেউ ! এটা কেন জানি আমার মাথায় রক্ত তুলে দেয় ! রিয়ার সাথে আমার কোন দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে কোন কথা কাটাকাটি বাঁধে নাই কেবল এই বিষয়টা ছাড়া ! মাঝে মাঝে ও ওর বন্ধুদের সাথে মিলে ছবি তুলতো ঘোরাঘুরি করতো আমার চোখের সামনে সেগুলো বাধতো আমি রাগে অন্ধ হয়ে যেতাম ! রিয়া নিজেও বুঝতে চাইতো না ! ওকে বলার চেষ্টা করেছি বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কাজ হয় নি !
নুসাবার সাথেও ঠিক একই ব্যাপার !
ব্যাপার টা আমি কিছুতেই মানতে পারি না ! জানি এসব স্বাভাবি ব্যাপার । এখন সবারই বন্ধুবান্ধব থাকবে ! কলিক থাকবে তাদের সাথে হ্যাঙ্গ আউট হবে । এমন না যে সারা সময় সে কেবল আমার সাথেই ঘুরবে ! তবুও আমার এটা মানতে কষ্ট হয় ! কষ্ট লাগে ! অবশ্য এই বিষয়টা নিয়ে আমি এখনও নুসাবা কে কিছু বলি নি ! নিজের কষ্ট টা নিজের ভেতরেই রেখেছি ! কত দিন রাখতে পারবো কে জানে !
কিন্তু নুসাবা দেখি আমার বলার আগেই জেনে গেছে ! নিশ্চয়ই আমার ব্লগ থেকে ! আমি যেমন গোপনে ওর প্রফাইলের দিকে লক্ষ্য রাখি !
আমি বললাম
-এটা জন্য তোমার সরি হওয়ার কিছু নেই ! দুর্বলতাটা আমার ! দোষ টা আমার
ও বলল
-জানি ! আমরা কেউ একে বারে নিখুত মানুষ না ! তাই না ?
-হুম !
-তাহলে আমি যদি তোমার ঐ ব্যাপার টা নিজের করে নাই নিতে পারলাম তাহলে পাশের বাসার ঐ মেয়ের সাথে আমার পার্থক্য কি রইলো ?
ওর কথা শুনে কেন জানি আবারও খুব বেশি ভাল লাগলো !
বললাম
-তোমাদের পাশের বাসায় মেয়ে আছে নাকি ? কই বল নাই তো ?
-এই ! খবরদার !


ছয়

এবার ও আরেকবার আমাকে জড়িয়ে ধরলো । তখনই তাকিয়ে দেখি আমার ঘরের দরজা খোলা ! যে কোন সময় মা কিংবা কাজের মেয়েটা চলে আসতে পারে ! বাবা যদিও আসবে না ! আমি বললাম
-আমি এর পর থেকে লক্ষ্য রাখবো ব্যাপার টা ! কেমন ?
-হুম !
-আর কষ্ট পাবা না ! ঠিক আছে ?
-হুম !
-আর আমার কি আচরন তোমার ভাল লাগে না সেটা প্লিজ সরাসরি আমাকে বলবা ! মনে থাকবে তো ? তুমি একা একা কষ্ট পাও আমার কাছে খারাপ লাগে ব্যাপার ! আমার কাছে না বললে আমি কিভাবে বুঝবো বল ?
-হুম মনে থাকবে ! কিন্তু তার আগে তুমি কথা দাও যে আমাকে হাইড করে তুমিও কোন স্টাটাস দিবানা !
-মানে ?
ওর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম
-তুমি আমার উপর স্পাই গিরি কর, তাই না ? বদ পুলা কোথাকার !
-নিজের বউ বলে কথা ! হাহাহাহা !
-কোন একাউন্টে আছো বল তো ?
-নাহ ! বলা যাবে না !
-তাই না ? আজকেই সব অপরিচিত মানুষ কে রিমুভ করে দিব ! তারপর দেখি, তুমি কিভাবে আমার খোজ পাও !!
-না না ! প্লিজ ! এটা কর না ! প্লিজ ! লুকিয়ে তোমার স্টাটাস পড়তে খুব ভাল লাগে ! তুমি যেমন আমার ব্লগ পড় ! পড় না ?
-হুম ! হয়েছে !

আরও কিছু বলতে যাবো ঠিক তখন মা ঘরে ঢুকলেন ! খাবার খেতে ডাকলেন ! আরও কিছু বলার ছিল, থাক, পুরো বিকেল পড়ে আছে । তখন বলা যাবে ! আপাতত ওকে কষ্ট দেওয়ার ব্যাপার টা সমাধান হয়েছে এটাই অনেক !
-চল যাওয়া যাক !
-তোমার বাবার সামনে বসে ঠিক মত খেতে পারি না !
-চল তো ! ফালতু কথা বলবা ! আসো !

ওর হাত ধরেই খাবার ঘরের দিকে রওনা দিলাম ! কেবল বাবার অনিককে অপছন্দ করার বিষয়টা বাদ দিলে আমি কিন্তু বেশ ভাল রয়েছি ! বেশ অনেক ভাল আছি !
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×