আমি সিড়িতে ওঠার সময় মিশুর হাতটা ধরলাম ! মিশু আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো একটু ! আসলে ও মনে করেছে আমি ওকে সাহস দেওয়ার জন্য ওর হাত ধরেছি ! অবশ্য এমন টা মনে হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয় ! প্রথম বারের মত কোন মেয়েকে যদি কোন ছেলে তার বাসায় নিয়ে যায় মেয়েটার মনে একটু ভয় কাজ করতেই পারে কিংবা মেয়েটা একটু নার্ভাস হতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক । তার উপর ছেলে মেয়ে যদি সবার অজান্তে বিয়ে করে ফেলে তাহলে তো কথাই নেই । এই সময়ে ছেলেটির উচিৎ মেয়েটিকে সাহস দেওয়া ! মিশুও মনে করেছে আমি ঠিক এই কারনেই ওর হাত ধরেছি ! কিন্তু আসল ঘটনা যদি ও জানতো !
মিশুর ব্যাগ টা আমার অন্য হাতে ! ছোট একটা ব্যাগ নিয়েই ও চলে এসেছে । মেয়েরা সামান্য এক দিনের ট্যুরে কোথাও গেলেও হাজার টা জিনিস পত্র নিয়ে যায় ! আর সারা জীবনের জন্য মিশু আমার হাত ধরে চলে এসেছে অথচ এতো ছোট ব্যাগ নিয়ে !
সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতেই মিশু বলল
-আমি মোটেই ভয় পাচ্ছি না ! তুমি আছো না আমার সাথে ! যা হবে এক সাথে মিলে দেখা যাবে !
এই কথা বলে ও আবার হাসলো ! ওর হাসি দেখে আমি মনে মনে হাসলাম ! এখন বাংলা নাটকের ডায়ালগ দেওয়ার সময় নয় ! এই মেয়েটাকে কিভাবে বুঝবো ! আসলে এখন বলতে গেলে কোন সমস্যাই নেই তবুও আমি টেনশনে মরে যাচ্ছি !
এখন ভাইয়া বাসা থাকে না ! কেবল ভাবি থাকবে বাসায় ! আর ভাবিকে ম্যানেজ করে খুব একটা সমস্যা হবে না ! আর একবার ভাবিকে ম্যানেজ করলে বলতে গেলে ভাইয়াও ম্যানেজ হয়ে যাবে ! কিন্তু ......
আমি আর ভাবতে চাইলাম না ! যা হওয়ার হবে ! এতো বেশি চিন্তা করলে হয়তো কিছুই হবে না ! মিশুর হাত ধরেই আমি দরজার কাছে দাড়িয়ে আরেকবার চিন্তা করলাম, কলিংবেল বাজাবো কি বাজাবো না !! অবশ্য না বাজিয়ে কোন উপায়ও নেই !
আবারও মনে মনে নিজেকে বোঝাতে লাগলাম যে এখন বাসায় ভাবি ছাড়া আর কেউ নাই সুতরাং কোন সমস্যা হবে না ! আপাতত কোন সমস্যা নাই । পরের সমস্যা পরে দেখা যাবে ! মিশুকে একবার বাসায় ভেতরে ঢুকাতে পারলেই হল ! তারপর মোটামুটি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা যাবে কি করতে হবে আর কিভাবে করতে হবে !
আল্লাহর নাম নিয়ে আমি কলিংবেলে চাপ দিলাম !
আমি জানি এখনই ভাবি দরজা খুলে দিবে ! তারপর আমার আর মিশুর দিকে তাকিয়ে থাকবে অবাক হয়ে । প্রথমে বিশ্বাস হবে না এমন একটা ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকবে । তারপর কিছু সময় বকাঝকা করে মিশুকে ঘরে নিয়ে যাবে ! আর একবার ঘরের ভেতরে ঢুকলেই মোটামুটি সমস্যা কেটে যাওয়ার কথা !
আরেকবার কলিংবেল বাজাতে যাবো ঠিক তখনই দরজা খুলে গেল !
বুকের ভেতরে প্রথম ধাক্কাটা লাগলো তখনই ! দেখি ভাইয়া অফিসের শার্ট প্যান্ট পরে দাড়িয়ে আছে । যখন সিড়ি দিয়ে উপরে উঠছিলাম তখন প্রায় ১২ বেজে গেছে । এই সময়ে তো ভাইয়ার বাসায় থাকার কোন কারনই নেই !
এই লোক এখানে কি করে ! তখনই মনে হল কিছু একটা সমস্যা হয়েছে । যেমন টা ভেবেছিলাম তেমন টার কিছুই হবে না !
ভাইয়ার হাতে চায়ের কাপ ! আমার দিকে একবার তাকায় একবার তাকায় মিশুর দিকে ! আরেকবার আমার হাতে ধরা মিশুর কালো ব্যাগের ব্যাগের দিকে ! ভাইয়ার বুঝতে বাকি রইলো না আমি কি কাজ করেছি ! কিছু সময় কোন কথা বলতে পারলো না ! কেবল আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ! অথবা বলা চলে আমার কর্মকান্ড তাকে খানিকটা বাক্য হারা করে দিয়েছে !
ঠিক তখনই ভাবীর গলার আওয়াজ পাওয়া গেল !
-আরে এতো সময় দরজায় দাড়িয়ে আছো কেন ? কে এসে.....
এই লাইন টুকু বলতে বলতে ভাবি দরজা দিয়ে বেরিয়ে এল । আমার আর মিশুর দিকে তাকিয়ে বাকি বাক্যটুকু আর বলতে পারলো না !
আমরা চারজন কেবল দরজার সামনে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছু টা সময় ! কেউ কোন কথা বলছে না ! ভাবি একবার তাকায় আমার দিকে আরেকবার তাকায় মিশুর দিকে তারপর ভাইওয়ার দিকে !
ভাবী তারপর বলল
-এসব কি !
-ভাবী কোন উপায় ছিল না !
-তাই বলে আজকেই ? আর দিন পেলে না ?
এই বলে ভাইয়ার দিকে তাকালো ! আমি আর কোন দিন পেলে না এই লাইন টার অর্থ খুজে পেলাম না ! তার মানে অন্য কোন দিন বিয়ে করলে ঠিক ছিল ! আজকে বিয়ে করে আমি ঠিক করি নি ! আজকে কি বিশেষ কোন দিন ? বিয়ে করা নিষেধ ?
আমি বললাম
-আজকেই মানে নি ! আজকে বিশেষ কোন দিন ! বিয়ে করা নিষেধ আজকে ?
ভাবী আর ভাইয়া চট করে একে অন্যের দিকে তাকালো ! আমার মনে তখনই কথাটা এল ! তবে কি ....?
না না না ! এটা হতে পারে না !
আমি এই বাড়িতে ঢুকবো না ! এখনই পালিয়ে যাবো !
আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার রক্তহিম করা গলার আওয়াজ টা পেলাম !
-কে এসেছে বউমা ?
আব্বা !
আব্বা এই বাসায় কি করে !
তার না গ্রামের বাসায় থাকার কথা !
না না !
আব্বা যদি জানতে পারে আমি একা একা বিয়ে করেছি তাহলে আমার স্রেফ চিপিয়ে খেয়ে ফেলবে ! একবার ঢেকুরও তুলবে না !
-কি রে শফিক কে এসেছে ?
ভাইয়া বলল
-আব্বা অপু এসেছে !
-বাইরে দাড়িয়ে কেন ? আর এই সময় না ওর ক্লাসে থাকার কথা । বাসায় কি ?
-ইয়ে মানে আব্বা রিনুর এক দুঃসম্পর্কের বোনকে নিতে গিয়েছিল !
-বাইরে দাড়িয়ে আসিস কেন ?
আমরা চারজন লাইন ধরে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়লাম ! আমাদের সবার মুখ গম্ভীর দেখে মিশুর মুখ টা দেখলাম একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে ! আসলে আমার মত ও নিজেও আব্বাকে এখানে আশা করে নি ! আমার সাথে থাকতে থাকতে মিশু খুব ভাল করেই জানে আমার আব্বা কেমন মানুষ আর আমরা দুই ভাই আব্বা কেমন ভয় পাই !
আমি সামনে গিয়ে আব্বার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বললাম
-আপনার শরীর ভাল ?
-হ্যা !
আমি আর কিছু না বলে এক পাশে সরে এলাম । মিশু তখনও ভাবীর পেছনে দাড়িয়ে ! আমার পাশে দাড়ানো থেকে ভাবীর ভাসে দাড়ানোটাই তার কাছে বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে ! কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না ! আমি দরজার দিকেই দাড়িয়ে আছি । কোন সমস্যা হলেই কোন কথা না বলে সোজা দরজা দিয়ে দৌড় দিব ! মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছি !
আব্বা মিশুকে ডাক দিলেন !
-কি নাম তোমার ?
-জি, আনিকা আবেদ মিশু !
-রুনুর বোন হও ? কি রকম বোন ? আমি তো আগে কোন দিন শুনি নি !
-আসলে রুনুর আপু আম্মা আর আমার আমার আম্মু চাচাতো বোন হয় ! একটু দুরের তো তাই হয়তো শুনেন নি !
-আচ্ছা ! বিশ্রাম নাও ! তোমার সাথে পরে কথা বলবো !
-জি আচ্ছা !
এই বলে মিশু একটা কাজ করে বসলো ! আব্বার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো ! আব্বার মুখ দেখে মনে হল তিনি বেশ খুশিই হলেন ! আজকালের ছেলে মেয়েরা তো বড়দের পায়ে হাত দিয়ে সালাম তো দুরের থাক একটা সালাম পর্যন্ত দেয় না ! এইটা নিয়ে আব্বার বিরক্তির শেষ নেই । সেই দিক দিয়ে মিশুর সালাম করাটা আব্বার পছন্দ করারই কথা !
তখনের মত বিপদ কাটলো ! কিন্তু পরে ?
এখনও মিশুর বাসায় কিছু জানে না ! জানলে কি হবে কে জানে ?
দুই দিক দিয়ে এই ঝড় আমি কিভাবে সামলাবো !
ঘরে আসতেই ভাবী আমাকে চেপে ধরলো ! আমি যতটুকু পারলাম বললাম ! মিশুও ভাবীকে বোঝানোর চেষ্টা করলো ! ওর কোন ভাবেই আর বাসায় থাকার উপায় ছিল না !
ভাবী সব শেষে বলল
-তা না হয় বুঝলাম কিন্তু এখন ? আব্বাকে কি বলবি ?
আমি বললাম
-আব্বা কদিন থাকবে ?
-জানি না । কি এক কাজে এসেছে !
-আব্বা আগে যাক তারপর ভাবা যাবে । আপাতত মিশুকে তো তোমার বোন হিসাবেই নিয়েছে ! সমস্যা হওয়ার কথা না !
ভাবী মাথা নাড়ালো !
-তা না হয় বুঝলাম ! কিন্তু কতদিন লুকিয়ে রাখবি ?
-সে দেখা যাবে ! আগে আপাতত এই বিপদ দুর হোক !
ভাবী যদিও তখন চলে গেল তবুও তার চেহারা দেখে মনে হল না তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট হয়েছেন । তার কাছে এসব কিছুই ভাব লাগছে না ! প্রাথমিক ভাবে যে ধাক্কাটা খেয়েছিলাম মনে হয় সেটা সামলে উঠতে পারলাম ! এখন আব্বা গ্রামের বাসায় চলে গেলেই কদিনের জন্য নিশ্চিন্ত ! পরে কি হবে সেটা পরে চিন্তা করা যাবে !
কিন্তু সব কিছু যে নিজের চাওয়ার মত হবে এমন কোন মানে নেই । সন্ধ্যা বেলার দিকে একটু চোখ টা লেগে এসেছিল । সারা দিনের টেনশনে কারনে আর আব্বার ভয়ে সারাদিন ঘুমাতে পারি নি ! হঠাৎই বাসায় ভেতর চিৎকার চেঁচামিচি শুনে ঘুম চটে গেল ! কি হল কে জানে !
আমি বাইরে বের হব ঠিক তখনই মিশু ঘরের ভেতরে এসে হাজির ! ওর চেহারা দেখে মনে হল খারাপ কিছু ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আব্বা এসেছে !
-হ্যা ! এটা তো জানিই ! তার এখানে আসার কথা ছিল না ! কিন্তু আপাতত ঝামেলা নাই !
-আরে গাধা, তোমার আব্বা না ! আমার আব্বা এসেছে ১
-সে কি !! তিনি কিভাবে জানলেন ?
-আমি কিভাবে জানবো ? আজিব !
-এখন উপায় ?
-আমি জানি না ! আমি কিচ্ছু না ! তুমি যাও বাবার সামনে !
-মাথা খারাপ !
আমরা দুজনেই চিন্তায় পরে গেলাম ! এমন ভাবে আটকে আছি যে বাসা থেকে পালিয়েও যেতে পারবো না ! তখনও বসার ঘর থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে ! আরও কিছু সময় আওয়াজ আসার পর হঠাৎই সব কেমন যেন চুপ হয়ে গেল ! প্রবল ঝড় আসার পরেই যেমন করে সব নিশ্চুপ হয়ে যায় ঠিক তেমন নিরবতা বিরাজ করছে !
আর কিছুক্ষন পরে আমার ডাক পড়লো ! বসার ঘরে গিয়ে দেখি বাবা গম্ভীর মুখে বসে আছে । মিশুর বাবা নাকি চলে গেছে তবে তিনি আবারও আসবেন বলে গেছেন !
বাবা আমার দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু টা সময় ! শোফার অন্য দিকে ভাইয়া বসে আছে ! ভাবী আর মিশু দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে ! আমি আব্বার থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে !
আব্বা হঠাৎ করেই বলল
-আমার নিজের ছেলে আমার কাছে মিথ্যা বলেছে !! নিজের ছেলেরা !
আমি কিংবা ভাইয়া কেউই কোন কথা বললাম না ! কেবল চুপ করে রইলাম !
-তোর অপরাধের কথা এখন আমাকে অন্য মানুষের কাছ থেকে শুনতে হয় ! আর তুই !
এবার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই আমাকে সত্যি কথাটা বলতে পারলি না ?
-আসলে আব্বা !
-চুপ ! তোর কাছ থেকে একটা কথা শুনতে চাই না ! একটা কথাও না ! আমি তোর বাসায় আর থাকবো ! এখনই চলে যাবো !
-আব্বা আপনি ...।
-একটা কথা না !
আব্বা এই বলে নিজের ঘরের দিকে হাটা দিলেন ! আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখলাম ! আব্বাকে গিয়ে আটকাবো সেই সাহস আমার কিংবা ভাইয়ার কারো নেই ! চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই !
আব্বা যখন ব্যং নিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে হাটা দিল তখনও আমরা কেবল অসহায় ভাবে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম ! ঠিক তখনই আমার জীবনের সব থেকে অদ্ভুদ কান্ড ঘটলো যা আমি কিংবা ভাইয়া এই জীবনে কেউই দেখে নাই ! কোন দিন কল্পনাও করতে পারি নাই !
মিশুর আব্বার সামনে গিয়ে আব্বার হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে নিল ! আমার ততক্ষনে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে । ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সেও কেমন অদ্ভুদ চোখে মিশুর দিকে তাকিয়ে আছে । আর সব থেকে অবাক হয়েছে স্বয়ং আব্বা ! তার সাথে কেউ এমন করতে পারে এটা সম্ভবত তার নিজেরও ধারনা ছিল না !
মিশু আব্বার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি আমার কারনে এই রাতের বেলা বের হয়ে যাবেন এটা হবে ! রাগ করে চলে যাবে ভাল কথা কিন্তু এই রাতের বেলা না ! কালকে যাবেন ! আজকে আমি কিছুতেই যেতে দিবো না !
আব্বা কোন কথা না বলে কেবল মিশুর দিকে তাকিয়ে রইলো ! মিশু আবারও বলল
-আমার নিজের আব্বু আমার উপর রাগ করে চলে গেছে আমি আরেকজন কে যেতে দেবো না ! আপনি যদি আমার উপর রাগ করে থাকনে তাহলে আমাকে শাস্তি দেন তবুও আমি আপনাকে যেতে দিব না ! কিছুতেই না !
আমি ঠিক মত বুঝতে পারলাম না এখন কি হবে ! আব্বার রিএকশান কি হবে !
মিশু আব্বার ব্যাগ টা নিয়ে শোবার ঘরে রেখে এল ! আমি আর ভাইা বোকার মত তখনও দাড়িয়ে ! আমার তখনই মনে হল বিপদ মনে হয় এবার সত্যি সত্যি কেটে গেছে । আব্বা কোন কথা না বললেও একটু আগে তার মুখ যেমন টা গম্ভীর মনে হচ্ছিলো তেমন মনে হচ্ছে না ! তবে তিনি আমাদের সাথে কথা বললেন না অবশ্য !
আমি অবশ্য এতেই খুশি ! শোবার ঘরে গিয়ে মিশুকে জড়িয়ে ধরলাম ! কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম
-তুমি দেখি দারুন সাহসী ! এতো সাহস পেলে কোথায় ?
মিশু কেবল হাসলো ! তারপর বলল
-আমার সাথে থাকো সব টের পাবা !
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম কেবল ! সিড়ি দিয়ে ওঠার সময়ই মিশু আমাকে অভয় দিয়েছিল ! বলেছিল যা হবে এক সাথে মোকাবেলা করবে ! এখন দেখছি এই মেয়ে একাই সব সমাধান করে ফেলেছে !
তারপর........ আরও কিছু হয়েছে তবে অন্য কোন গল্প !
(কদিন থেকে কেন জানি চারিপাশে বিয়ের ঘটনা, ছবি, ভিডিও সব বেশি বেশি চোখে পড়ছে. মন হচ্ছে বিয়ের বয়স হয়ে গেছে । অনলাইনে ডিএসএলআরে তোলা নতুন কাপলদের ছবি দেখে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে বিয়ে তাহলে করেই ফেলি ! কিন্তু অনলাইন থেকে যখন বাস্তবের কাপলদের দেখছি, তাদের আসল বাস্তবতা দেখছি প্যারা গুলো দেখছি তখনই বিয়ে করার ভুত মাথা থেকে কোথায় দুরে পালিয়ে যাচ্ছে । তাই ঠিক করেছি কদিন কেবল বিয়ে নিয়ে গল্প হবে ! দুধের সাধ ঘোলে মেটানো আর কি)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৪